অনলাইন ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ৯০ দিনে ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যেখানে ট্রাম্পের নির্বিচার পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের পথে চ্যালেঞ্জগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যপ্রধান মারোস সেফকোভিচ জরুরি আলোচনায় অংশ নিতে আগামীকাল সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের ঘোষিত উচ্চ শুল্কের বিষয়ে আলোচনা করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের দ্বিমুখী বাণিজ্য হয়েছে দুই পক্ষে।
কিন্তু যখন সেফকোভিচ ওয়াশিংটনে পৌঁছাবেন, তখন ট্রাম্পের শীর্ষ শুল্ক আলোচক ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানাতে বুয়েনস এইরেসে থাকবেন। যেখানে আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বছরে মাত্র ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে।
সোমবার বেসেন্টের অনুপস্থিতি, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে প্রশাসনের এতগুলো সমান্তরাল আলোচনা পরিচালনার কার্যকারিতা এবং ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্পাদনের সার্বিক সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান ওয়েন্ডি কাটলার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করতে কিছু গুরুতর আলোচনার প্রয়োজন হবে। এই সময়ের মধ্যে এই দেশগুলোর সঙ্গে কোনো ব্যাপক চুক্তি করা সম্ভব নয়।’
হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো গত শুক্রবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, বেসেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এটা সম্ভব।’
নাভারো আরও বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে, ট্রাম্পই “বস”, তিনিই প্রধান আলোচক হবেন। তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ ছাড়া কিছুই করা হবে না।’
২ এপ্রিল সব আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক এবং ৬০টির মতো দেশের পণ্যে বিভিন্ন হারে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর পরপরই অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্যস্ফীতির আশঙ্কায় আর্থিক বাজারগুলোতে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প অনেক দেশের জন্য উচ্চ শুল্ক স্থগিত করেন। এই স্থগিতাদেশের পর, তিনি ৯০ দিনের গণনা শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ দেবে।
৯০ দিনের মধ্যে আর্থিক বাজারগুলোর আস্থা পুনরুদ্ধার করা এই শুল্ক স্থগিতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। বিনিয়োগকারীরা চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিল বিক্রি করে দেয়, ফলে সুদের হার বেড়ে যায় এবং ডলারের মান কমে যায়। সংকটকালে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, এই অস্থিরতা ট্রাম্পের দলের ওপর কিছু দ্রুত সাফল্য দেখানোর চাপ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের ওপর চাপ থাকবে যে তারা দ্রুত দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারবে এবং বাজার ও অন্য বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবে এই আশ্বাস দিয়ে যে এখানে একটি সমাধানের পথ রয়েছে।’
পাল্টা শুল্ক সব দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেও চীনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। চীনও পাল্টা মার্কিন পণ্যে সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ নিয়ে দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে। এ নিয়ে এ সপ্তাহে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে হতাশা বেড়েছে।
কাটলার বলেন, ট্রাম্প ও আর্থিক বাজার উভয়কে সন্তুষ্ট করে এমন বাণিজ্য চুক্তি করা ‘বিশাল কাজ’। পরিবর্তে, ট্রাম্প দলকে সম্ভবত প্রধান দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং অন্যদের জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ বাড়াতে হবে।
এমনকি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সবচেয়ে ছোট একটি বাণিজ্য চুক্তির (যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) কিছু বিধান সংশোধন করতে আট মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসটিআর) ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।
বাস্তবতা হলো, ট্রাম্প প্রশাসনে এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ খালি। যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রায়ই অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ট্রেজারি কর্মকর্তারা গত শুক্রবার ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ফক্স নিউজকে বলেন, তাঁর ২০০ জনের মতো কর্মী বিদেশি প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রস্তাব আদান-প্রদান করে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে ট্রেজারিতে সিনেট দ্বারা নিশ্চিত হওয়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাত্র একজন, ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি মাইকেল ফাউলকান্ডার। ট্রাম্প এখনো আন্তর্জাতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি পদের জন্য কাউকে মনোনীত করেননি। একজন পেশাদার কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউএসটিআরও পেশাদার কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে। সিনেটের নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডেপুটি পদ এখনো পূরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জটি হলো কূটনৈতিক। বাণিজ্য বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের অনিশ্চয়তা আরেকটি জটিল কারণ, যেখানে ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টাদের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য কিছু দেশ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছে, তবে খুব কম ফলাফল এসেছে।
একজন কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, একটি দৃঢ় আলোচনার পয়েন্ট সংবলিত একটি কাগজের হাতবদল হচ্ছে। এটি একটি প্রক্রিয়া। আমি বলব, “আলোচনা” শব্দটি ব্যবহার করুন, “চুক্তি” নয়।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ৯০ দিনে ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যেখানে ট্রাম্পের নির্বিচার পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের পথে চ্যালেঞ্জগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যপ্রধান মারোস সেফকোভিচ জরুরি আলোচনায় অংশ নিতে আগামীকাল সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের ঘোষিত উচ্চ শুল্কের বিষয়ে আলোচনা করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের দ্বিমুখী বাণিজ্য হয়েছে দুই পক্ষে।
কিন্তু যখন সেফকোভিচ ওয়াশিংটনে পৌঁছাবেন, তখন ট্রাম্পের শীর্ষ শুল্ক আলোচক ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানাতে বুয়েনস এইরেসে থাকবেন। যেখানে আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বছরে মাত্র ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে।
সোমবার বেসেন্টের অনুপস্থিতি, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে প্রশাসনের এতগুলো সমান্তরাল আলোচনা পরিচালনার কার্যকারিতা এবং ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্পাদনের সার্বিক সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি এবং এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান ওয়েন্ডি কাটলার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করতে কিছু গুরুতর আলোচনার প্রয়োজন হবে। এই সময়ের মধ্যে এই দেশগুলোর সঙ্গে কোনো ব্যাপক চুক্তি করা সম্ভব নয়।’
হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো গত শুক্রবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, বেসেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। এটা সম্ভব।’
নাভারো আরও বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে, ট্রাম্পই “বস”, তিনিই প্রধান আলোচক হবেন। তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ ছাড়া কিছুই করা হবে না।’
২ এপ্রিল সব আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক এবং ৬০টির মতো দেশের পণ্যে বিভিন্ন হারে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর পরপরই অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্যস্ফীতির আশঙ্কায় আর্থিক বাজারগুলোতে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প অনেক দেশের জন্য উচ্চ শুল্ক স্থগিত করেন। এই স্থগিতাদেশের পর, তিনি ৯০ দিনের গণনা শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ দেবে।
৯০ দিনের মধ্যে আর্থিক বাজারগুলোর আস্থা পুনরুদ্ধার করা এই শুল্ক স্থগিতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। বিনিয়োগকারীরা চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিল বিক্রি করে দেয়, ফলে সুদের হার বেড়ে যায় এবং ডলারের মান কমে যায়। সংকটকালে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, এই অস্থিরতা ট্রাম্পের দলের ওপর কিছু দ্রুত সাফল্য দেখানোর চাপ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের ওপর চাপ থাকবে যে তারা দ্রুত দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারবে এবং বাজার ও অন্য বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবে এই আশ্বাস দিয়ে যে এখানে একটি সমাধানের পথ রয়েছে।’
পাল্টা শুল্ক সব দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেও চীনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। চীনও পাল্টা মার্কিন পণ্যে সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এ নিয়ে দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন চরমে। এ নিয়ে এ সপ্তাহে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে হতাশা বেড়েছে।
কাটলার বলেন, ট্রাম্প ও আর্থিক বাজার উভয়কে সন্তুষ্ট করে এমন বাণিজ্য চুক্তি করা ‘বিশাল কাজ’। পরিবর্তে, ট্রাম্প দলকে সম্ভবত প্রধান দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং অন্যদের জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ বাড়াতে হবে।
এমনকি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সবচেয়ে ছোট একটি বাণিজ্য চুক্তির (যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) কিছু বিধান সংশোধন করতে আট মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা (ইউএসটিআর) ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল।
বাস্তবতা হলো, ট্রাম্প প্রশাসনে এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ খালি। যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রায়ই অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ট্রেজারি কর্মকর্তারা গত শুক্রবার ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ফক্স নিউজকে বলেন, তাঁর ২০০ জনের মতো কর্মী বিদেশি প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রস্তাব আদান-প্রদান করে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে ট্রেজারিতে সিনেট দ্বারা নিশ্চিত হওয়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাত্র একজন, ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি মাইকেল ফাউলকান্ডার। ট্রাম্প এখনো আন্তর্জাতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি পদের জন্য কাউকে মনোনীত করেননি। একজন পেশাদার কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউএসটিআরও পেশাদার কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে। সিনেটের নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডেপুটি পদ এখনো পূরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জটি হলো কূটনৈতিক। বাণিজ্য বিষয়ে মার্কিন অবস্থানের অনিশ্চয়তা আরেকটি জটিল কারণ, যেখানে ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টাদের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য কিছু দেশ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছে, তবে খুব কম ফলাফল এসেছে।
একজন কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা এমন নয় যে, একটি দৃঢ় আলোচনার পয়েন্ট সংবলিত একটি কাগজের হাতবদল হচ্ছে। এটি একটি প্রক্রিয়া। আমি বলব, “আলোচনা” শব্দটি ব্যবহার করুন, “চুক্তি” নয়।’
আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিং ও ইউরোর দামও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আমদানি শুল্ক থেকে রক্ষা পেতে ইন্দোনেশিয়ায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন বা সম্প্রসারণে ঝুঁকছে চীনা কোম্পানিগুলো। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশটিতে বিনিয়োগের নতুন ঢল নেমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বাড়তি দামে ডলার বিক্রি করেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। ডলার কারসাজির মাধ্যমে ব্যাংকটির ঢাকা প্রধান কার্যালয়, উত্তরাসহ কয়েকটি শাখায় গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
১০ ঘণ্টা আগেসরকার কর ও শুল্কছাড়ের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করলেও তা কার্যত সাধারণ ভোক্তার দামের বোঝা কমাতে পারেনি। গত অর্থবছরে ভোজ্যতেল, মোবাইল ফোন, পোলট্রি, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনের উপকরণসহ বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা শুল্কছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারের যুক্তি ছিল, এতে ভোক্তারা কম দামে পণ্য পাবে।
১১ ঘণ্টা আগে