ভোজ্যতেল আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ভারত। এরপর শিল্প-সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন—এর ফলে নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভোজ্যতেলের প্রবেশ বাড়তে পারে। কারণ, এই দেশ দুটির সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিদ্যমান। তাদের আশঙ্কা, এসব দেশে তেল প্রক্রিয়াকরণ করে ভারতে বিক্রি করা এখনো সস্তা হতে পারে। এ ছাড়া, ইন্দোনেশিয়া পরিশোধিত তেল রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়ানোর ফলাফল মোকাবিলায় সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভারতীয় ভেজিটেবল ওয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধাকর দেশাই দ্য হিন্দুকে জানান, পরিশোধিত তেল আমদানির বাধা উন্মুক্ত হয়েছে। কারণ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া শুল্ক কমিয়ে রপ্তানি প্রণোদনার মাধ্যমে পরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে দিচ্ছে।
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সুধাকর দেশাই বলেন, এটি স্বল্প মেয়াদে তেলবীজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। এ ছাড়া, কেন্দ্র সরকার জাতীয় তেলবীজ মিশন চালু করেছে এবং রাজ্যগুলোকে তেলবীজ সংগ্রহ করতে বলেছে।
ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানির ওপর শুল্ক শূন্য শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। পরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের ওপর শুল্ক ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
এই বিষয়ে দেশাই বলেন, বর্তমান শুল্ক কাঠামো দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিভুক্ত (সাফটা) দেশগুলো যেমন—নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত আমদানির পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে, বিশেষ করে—পাম তেলের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য ভারতের ৩৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এড়িয়ে যাওয়ার সহজ পথ তৈরি হয়েছে, যা বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অসাম্য সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন প্যাকেজিং কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, ফলে দেশের উৎপাদন খাতের ওপর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। ভোজ্যতেল শিল্পকে আমদানি প্রবাহ থেকে সুরক্ষিত রাখতে শুল্ক কাঠামোর একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাস জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সুধাকর দেশাই বলেন, সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি ভারতীয় তৈলবীজের দাম, বিশেষ করে সয়াবিনের দাম বাড়ানোর জন্য করা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধি এখনো দেখা যায়নি। সয়াবিনের দাম এখনো ন্যূনতম মূল্যের নিচে। কারণ, তেলে মিলের সয়াবিনের দামে ক্রমাগত নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি ভারতের কৃষকদের প্রকৃতভাবে সহায়তা করার এবং দেশীয় কৃষিকে টিকিয়ে রাখার জন্য আরও সুনির্দিষ্ট হস্তক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনকে নির্দেশ করে।’
ভারতীয় ভেজিটেবল ওয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেছেন, অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের আমদানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ শুল্কের পার্থক্য ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সাম্প্রতিক রপ্তানি শুল্ক পরিবর্তনের তুলনায় পিছিয়ে। যেখানে পরিশোধিত পণ্যগুলো অপরিশোধিত তেলের তুলনায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উপজাত পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে কম শুল্কের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ভারতীয় পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অসম প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই আরও গতিশীল শুল্ক নীতি প্রয়োজন। যা বৈশ্বিক পরিবর্তনের আলোকে কাজ করবে।
ভোজ্যতেল আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ভারত। এরপর শিল্প-সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন—এর ফলে নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভোজ্যতেলের প্রবেশ বাড়তে পারে। কারণ, এই দেশ দুটির সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিদ্যমান। তাদের আশঙ্কা, এসব দেশে তেল প্রক্রিয়াকরণ করে ভারতে বিক্রি করা এখনো সস্তা হতে পারে। এ ছাড়া, ইন্দোনেশিয়া পরিশোধিত তেল রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়ানোর ফলাফল মোকাবিলায় সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভারতীয় ভেজিটেবল ওয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধাকর দেশাই দ্য হিন্দুকে জানান, পরিশোধিত তেল আমদানির বাধা উন্মুক্ত হয়েছে। কারণ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া শুল্ক কমিয়ে রপ্তানি প্রণোদনার মাধ্যমে পরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে দিচ্ছে।
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে সুধাকর দেশাই বলেন, এটি স্বল্প মেয়াদে তেলবীজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ। এ ছাড়া, কেন্দ্র সরকার জাতীয় তেলবীজ মিশন চালু করেছে এবং রাজ্যগুলোকে তেলবীজ সংগ্রহ করতে বলেছে।
ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানির ওপর শুল্ক শূন্য শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। পরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের ওপর শুল্ক ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
এই বিষয়ে দেশাই বলেন, বর্তমান শুল্ক কাঠামো দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিভুক্ত (সাফটা) দেশগুলো যেমন—নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত আমদানির পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এর ফলে, বিশেষ করে—পাম তেলের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য ভারতের ৩৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এড়িয়ে যাওয়ার সহজ পথ তৈরি হয়েছে, যা বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অসাম্য সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন প্যাকেজিং কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, ফলে দেশের উৎপাদন খাতের ওপর ঝুঁকি বেড়ে গেছে। ভোজ্যতেল শিল্পকে আমদানি প্রবাহ থেকে সুরক্ষিত রাখতে শুল্ক কাঠামোর একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাস জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সুধাকর দেশাই বলেন, সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি ভারতীয় তৈলবীজের দাম, বিশেষ করে সয়াবিনের দাম বাড়ানোর জন্য করা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মূল্যবৃদ্ধি এখনো দেখা যায়নি। সয়াবিনের দাম এখনো ন্যূনতম মূল্যের নিচে। কারণ, তেলে মিলের সয়াবিনের দামে ক্রমাগত নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি ভারতের কৃষকদের প্রকৃতভাবে সহায়তা করার এবং দেশীয় কৃষিকে টিকিয়ে রাখার জন্য আরও সুনির্দিষ্ট হস্তক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনকে নির্দেশ করে।’
ভারতীয় ভেজিটেবল ওয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেছেন, অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের আমদানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ শতাংশ শুল্কের পার্থক্য ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সাম্প্রতিক রপ্তানি শুল্ক পরিবর্তনের তুলনায় পিছিয়ে। যেখানে পরিশোধিত পণ্যগুলো অপরিশোধিত তেলের তুলনায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উপজাত পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে কম শুল্কের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ভারতীয় পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অসম প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই আরও গতিশীল শুল্ক নীতি প্রয়োজন। যা বৈশ্বিক পরিবর্তনের আলোকে কাজ করবে।
কর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
৫ ঘণ্টা আগেআগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর অলিগলিতে প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য—রোদে ঝলসে গেলেও থামে না শ্রমিকের কাজ। কেউ ড্রেন খুঁড়ছেন, কেউ টানছেন ইট-বালু। কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি প্রকল্পে সড়ক আর ভবন গড়ে উঠলেও সেই সব নির্মাণের ভিত গাঁথা শ্রমিকদের মজুরি থাকে বড্ড কম। কাজের ভার আর দক্ষতার ভিত্তিতে নয়—তাঁদের ঘামের দাম ঠিক হয় মালিকের...
৫ ঘণ্টা আগেদেশে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়লেও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের প্রকল্প ঋণের প্রতিশ্রুতি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বিপরীতে পুরোনো ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে