Ajker Patrika

একনেকে অনুমোদন আজ

বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমাতে ১৮১৮ কোটির নতুন প্রকল্প

  • উঠছে মোট ৭ হাজার কোটির ১০ প্রকল্প
  • বিদ্যুতের প্রকল্পে ব্যয় হবে ১,৮১৮ কোটি
  • বার্ন ইউনিট প্রকল্পে ব্যয় দ্বিগুণ
  • মেয়াদ বাড়ছে মিরসরাই ইজেডের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রকল্পের
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৩৫
বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমাতে ১৮১৮ কোটির নতুন প্রকল্প

দেশে বছরের পর বছর বিদ্যুতের সিস্টেম লস বা ব্যবস্থাপনাগত লোকসান যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ থেকে উত্তরণে সরকার নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে, যার মাধ্যমে ১৪ জেলার ২০ উপজেলার ২৫টি আউটডোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রথাগত লোকসান কমানো হবে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) তত্ত্বাবধানে চার বছরমেয়াদি হিসেবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর মোট খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

প্রকল্পটি অনুমোদনোর জন্য আজ রোববার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠানো হবে বলে আজকের পত্রিকা'কে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। তিনি আরও বলেন, এবারের একনেক সভায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও বিতরণ ব্যবস্থায় সিস্টেম লস কমানোর প্রকল্প ছাড়াও মোট ১০টি প্রকল্প উঠছে। এর মধ্যে ৬টি নতুন এবং ৪টি সংশোধিত। এগুলোর মধ্যে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের একটি, শিল্প ও শক্তি বিভাগের দুটি, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের তিনটি এবং ভৌত-অবকাঠামো বিভাগের চারটি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

একনেক সভায় সম্ভাব্য উপস্থাপিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে, তবে প্রকল্প নেওয়ার আগে অবশ্যই যথাযথ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয়গুলো নেওয়া উচিত।

সূত্রমতে, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র আধুনিকায়ন ও বিতরণ ব্যবস্থায় সিস্টেম লস কমানোর এ নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার দেবে ৪৯৭ কোটি, বৈদেশিক ঋণ আসবে ১ হাজার ৮০ কোটি এবং নিজস্ব সংস্থার অর্থায়ন হবে ২৫৭ কোটি টাকা। ২০২৯ সালের জুন নাগাদ প্রকল্প শেষ হলে উপকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়বে ৪১৮ এমভিএ। পাশাপাশি বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস বর্তমান ৬.৬২ শতাংশ থেকে কমে ৫.৮২ শতাংশে নামবে।

এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়ন করা গেলে এর সুফল পাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ।

একনেক সভায় এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রকল্পও উঠবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এ প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬১ কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, এবার চতুর্থবারের মতো ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।

কৃষি খাতের উন্নয়নে নতুন প্রকল্প নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৩ কোটি টাকা। পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্প চলবে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

শিক্ষা খাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ৫১৯ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প একনেকে উঠছে। আর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের সংশোধিত প্রকল্প তুলবে। ব্যয় ৪৫৬ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৮১৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে।

এ ছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আজিমপুর সরকারি কলোনিতে বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণে ৭৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণে ৫৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উঠছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকার পরিবেশবান্ধব পানি সরবরাহ প্রকল্পের ব্যয়সহ মেয়াদ তৃতীয়বার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২৮২৮ কোটি টাকা, মেয়াদ বাড়বে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। পাশাপাশি বান্দরবান পৌরসভা ও তিন উপজেলা সদর এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে প্রশাসক টিমের মতবিনিময়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজ ব্যাংকের করপোরেট শাখার গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মুরাদ আনছারুল কবির, অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও যুগ্ম পরিচালক মো. ওমর ফারুক, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও চাহিদার কথা আন্তরিকতার সঙ্গে শোনেন এবং তাঁদের আশ্বস্ত করেন, এই ব্যাংকে তাঁদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রম শিগগিরই স্বাভাবিক হবে।’ এ সময় তিনি গ্রাহকদের আস্থার সঙ্গে এই ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হলো কেব্‌লস

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ক্যাব্‌লস। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ক্যাব্‌লস। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নতমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে নিরাপদ ও উচ্চ গুণগতমানের কেব্‌লস তৈরি করছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও কেব্‌লস রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

সে জন্য বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরি সংস্থার কাছে সংশ্লিষ্ট দেশে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাত করার অনুমতিপত্র প্রদানের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মালদ্বীপে মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাত করার অনুমতিপত্র প্রদান করেছে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটি। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কেব্‌লস রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। সেই সঙ্গে ওয়ালটনের রপ্তানিকৃত পণ্যের তালিকায় নতুন যুক্ত হলো কেব্‌লস প্রোডাক্ট।

ওয়ালটন কেব্‌লসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হাসিবুল হক জানান, মালদ্বীপে কেব্‌লস বাজারজাতের আগে দেশটির ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটির কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। বাজারজাতকৃত কেব্‌লসের গুনগতমান শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করলেই সংস্থাটি অনুমোদন প্রদান করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির কাছে মালদ্বীপের মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ওয়ালটন কেব্‌লস ব্যবহারের অনুমতিপত্র প্রদানের আবেদন করে দেশটিতে নিযুক্ত ওয়ালটনের পরিবেশক ‘রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেড’। ওবি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন কেব্‌লসের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটি। ওয়ালটন কেব্‌লসের গুনগতমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করায় সংস্থাটি রানফাউনকে ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাতের অনুমতিপত্র প্রদান করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন কেব্‌লসের দুটি শিপমেন্ট মালে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকটি শিপমেন্ট পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।

ওয়ালটন কেব্‌লসের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) রাজু আহমেদ বলেন, মালদ্বীপ একটি ছোট দেশ হলেও দেশটির মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য মালদ্বীপ। দেশটিতে কেব্‌লসের প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে। প্রতিবছর চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে এই বাজারও বড় হচ্ছে। ওয়ালটন নিরাপদ ও উন্নতমানের কেব্‌লস সরবরাহের মাধ্যমে দেশটির সম্ভাবনাময় এই বাজারে দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, ওয়ালটন দেশে হাউসহোল্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কমিউনিকেশন, টেইলরমেইডসহ সব ধরনের কেব্‌লস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। নিরাপদ ও উন্নতমানের হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটন কেব্‌লসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে চলতি অর্থবছরে ওয়ালটনের উল্লেখযোগ্য অঙ্কের কেব্‌লস বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ওয়ালটন কেব্‌লসের রপ্তানিও দ্রুত বাড়ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের পর শিগগিরই আরও চারটি নতুন দেশে ওয়ালটন কেব্‌লসের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মালদ্বীপে কেব্‌লসের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনারও রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে পর্যায়ক্রমে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিনসহ ওয়ালটনের অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানি শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের।

ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো—বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে এই টেক জায়ান্ট। ইতিমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম শূন্য ঘোষণার বিষয়ে গভর্নরের বক্তব্য চূড়ান্ত নয়, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়ার পথে থাকা পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি সরকার দেখবে বলেও জানান তিনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

একীভূত হওয়ার পথে থাকা পাঁচ ব্যাংক হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারগুলোর মূল্য শূন্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

অর্থ উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, এটা আমরা দেখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলেছেন, সেটাই চূড়ান্ত কথা নয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ মন্ত্রী মর্যাদার করার প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। সমষ্টিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে এ ব্যাপারে কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ধাতু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল চীন

এএফপি, বেইজিং
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ধাতু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল চীন

আধুনিক প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিন ধাতু—গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে চীন।

আজ রোববার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সর্বশেষ পদক্ষেপ।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তথাকথিত দ্বৈত ব্যবহারের পণ্যের ওপর আরোপিত ছিল; যেগুলোর বেসামরিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্ভব। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর থাকা নিষেধাজ্ঞাটি এখন ২০২৬ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ঘোষণাটি আসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর। যেখানে দুই নেতা পারস্পরিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে শিথিল করতে সম্মত হন।

একসময় দুই দেশের মধ্যে আরোপিত শুল্ক তিন অঙ্কের সীমা ছুঁয়েছিল। যা বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্য প্রবাহ ব্যাহত করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।

বাণিজ্যযুদ্ধের পুরো সময় চীন তার কৌশলগত খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি বিরল মৃত্তিকা না হলেও এগুলো আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অপরিহার্য উপাদান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে গ্যালিয়াম উৎপাদনের ৯৪ শতাংশই চীনে হয়, যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, এলইডি ও সৌর প্যানেলে ব্যবহৃত হয়। জার্মেনিয়ামের ক্ষেত্রে চীনের অংশ ৮৩ শতাংশ, যা ফাইবার অপটিক ও ইনফ্রারেড প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিমনি ব্যবহৃত হয় ব্যাটারি প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশিল্পে—বর্ম ও গোলাবারুদ শক্তিশালী করতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বৈত ব্যবহারের পণ্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিষিদ্ধ গ্রাফাইট-সম্পর্কিত পণ্যের রপ্তানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। সি-ট্রাম্প বৈঠকের পর এটি বেইজিংয়ের নেওয়া কয়েকটি প্রশমনমূলক উদ্যোগের একটি।

এর আগে গত বুধবার চীন ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক এক বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া সয়াবিনসহ কয়েকটি মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর মার্চ মাসে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কও প্রত্যাহার করা হবে—যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল।

ট্রাম্প গত অক্টোবরের শেষের দিকে ঘোষণা দেন, চীন এক বছরের জন্য বিরল মৃত্তিকা প্রযুক্তি রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করতে রাজি হয়েছে।

বিরল মৃত্তিকা বা রেয়ার আর্থস এমন এক কৌশলগত খাত, যা চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং যা প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল ও ভোক্তা ইলেকট্রনিকস শিল্পের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত