অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের যেন ফোয়ারা বইছে। আজ বুধবার সকালেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জানা যাচ্ছে, ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। অবশ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই ঘোষণা দিয়েছে গত সোমবারেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত সোমবার জানিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা ও ওষুধ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওষুধ শিল্পে এটি সর্বশেষ বড় বিনিয়োগ।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বিনিয়োগের অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় নতুন একটি ওষুধ উৎপাদন কারখানা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইন্ডিয়ানা এবং টেক্সাসে গবেষণা ও কোষ-চিকিৎসা উপাদান উৎপাদনের পরিসর বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের পাশাপাশি নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য চলমান বিনিয়োগেও অর্থায়ন করা হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, এই সম্প্রসারণ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৮০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, যার ‘অর্ধেকই আসবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।’
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এসেছে কোম্পানিটির ‘৪০ শতাংশের বেশি বার্ষিক আয়।’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ বাজার হওয়ায় (মার্কিন বাজারের মূল্য ৬৩৫ বিলিয়ন ডলার), ট্রাম্পের ফের ক্ষমতায় আসার আগেই প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন বাজারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওষুধ শিল্পে শুল্ক আরোপের হুমকি এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেওয়ার পর একে একে বহু ওষুধ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে ওষুধ শিল্পকে বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বারবার ওষুধ কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের বিক্রি করা ওষুধ ও উপাদান দেশেই উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে তিনি চাচ্ছেন, আমেরিকানদের জন্য ওষুধের দাম কমে অন্য দেশের দামের সমান হোক।
ওয়াশিংটনে এক ঘোষণায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাসকেল সোরিও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও গবেষণা ও উদ্ভাবনের ব্যয় বহনে অংশ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র একা এই গবেষণা ব্যয় বহন করতে পারে না।’
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের দপ্তর বর্তমানে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানির বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নতুন শুল্ক আরোপের পথ তৈরি হতে পারে। লুটনিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকানরা ওষুধের জন্য বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি এই কাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতেই কাজ করছে।’
যদিও ট্রাম্প একাধিকবার ওষুধ শিল্পে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, তবে চলতি মাসের শুরুতে তিনি ইঙ্গিত দেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘১ বছর থেকে ১৮ মাস সময়’ দেওয়া হবে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই ঘোষণা মূলত দেশটির বর্তমান নীতিনির্ধারণী পরিবেশকে কেন্দ্র করে হলেও, ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তাদের কিছু ব্যয় আগেই নির্ধারিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি ছাড়াও তারা ২০২৪ সালের নভেম্বরে ‘ঘোষিত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনাও’ কার্যকর করছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকারের আগে, গত এপ্রিলে সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রোশেও (Roche) যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ইলাই লিলি, জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভার্টিস ও সানোফিসহ একাধিক ওষুধ কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের যেন ফোয়ারা বইছে। আজ বুধবার সকালেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই জানা যাচ্ছে, ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। অবশ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই ঘোষণা দিয়েছে গত সোমবারেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত সোমবার জানিয়েছে, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা ও ওষুধ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওষুধ শিল্পে এটি সর্বশেষ বড় বিনিয়োগ।
প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বিনিয়োগের অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় নতুন একটি ওষুধ উৎপাদন কারখানা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া, ইন্ডিয়ানা এবং টেক্সাসে গবেষণা ও কোষ-চিকিৎসা উপাদান উৎপাদনের পরিসর বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের পাশাপাশি নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য চলমান বিনিয়োগেও অর্থায়ন করা হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, এই সম্প্রসারণ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৮০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, যার ‘অর্ধেকই আসবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।’
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এসেছে কোম্পানিটির ‘৪০ শতাংশের বেশি বার্ষিক আয়।’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ বাজার হওয়ায় (মার্কিন বাজারের মূল্য ৬৩৫ বিলিয়ন ডলার), ট্রাম্পের ফের ক্ষমতায় আসার আগেই প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন বাজারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওষুধ শিল্পে শুল্ক আরোপের হুমকি এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেওয়ার পর একে একে বহু ওষুধ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে ওষুধ শিল্পকে বাণিজ্য যুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বারবার ওষুধ কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের বিক্রি করা ওষুধ ও উপাদান দেশেই উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে তিনি চাচ্ছেন, আমেরিকানদের জন্য ওষুধের দাম কমে অন্য দেশের দামের সমান হোক।
ওয়াশিংটনে এক ঘোষণায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাসকেল সোরিও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও গবেষণা ও উদ্ভাবনের ব্যয় বহনে অংশ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র একা এই গবেষণা ব্যয় বহন করতে পারে না।’
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের দপ্তর বর্তমানে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানির বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নতুন শুল্ক আরোপের পথ তৈরি হতে পারে। লুটনিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকানরা ওষুধের জন্য বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি এই কাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতেই কাজ করছে।’
যদিও ট্রাম্প একাধিকবার ওষুধ শিল্পে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, তবে চলতি মাসের শুরুতে তিনি ইঙ্গিত দেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘১ বছর থেকে ১৮ মাস সময়’ দেওয়া হবে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই ঘোষণা মূলত দেশটির বর্তমান নীতিনির্ধারণী পরিবেশকে কেন্দ্র করে হলেও, ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তাদের কিছু ব্যয় আগেই নির্ধারিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি ছাড়াও তারা ২০২৪ সালের নভেম্বরে ‘ঘোষিত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনাও’ কার্যকর করছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকারের আগে, গত এপ্রিলে সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রোশেও (Roche) যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ইলাই লিলি, জনসন অ্যান্ড জনসন, নোভার্টিস ও সানোফিসহ একাধিক ওষুধ কোম্পানি নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এসঅ্যান্ডপির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনে টেসলার জনপ্রিয়তা বা ব্র্যান্ড আনুগত্য ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সে সময় নতুন গাড়ি কিনতে গিয়ে টেসলামালিকদের ৭৩ শতাংশ আবারও টেসলাই কিনেছিল। কিন্তু জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার পর মাস্ক প্রকাশ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানালে এই
২৮ মিনিট আগেসরকারের কার্যক্রম নিয়ে কিছু অর্থনীতিদের সমালোচনা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদ যারা কিছুই (সরকারের ইতিবাচক কাজ) দেখেন না; দেখতে দৃষ্টি লাগে। অন্তর্দৃষ্টি লাগে। না চাইলে তো দেখতে পারবেন না!’
৭ ঘণ্টা আগেট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠন এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য ইরাক। সম্প্রতি ইরাকে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াতে শুরু করেছে চীনের স্বশাসিত তুলনামূলক ছোট ও বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে