ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়নের বাসিন্দা উম্মে হাবিবা সাথী। পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসে কেক বানানো তাঁর শখ। শখের কাজটাকে তিনি কাজে লাগিয়ে বর্তমানে ঘরে বসে নিজের হাতের তৈরি কেক বিক্রয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। নিজের হাতের বানানো এই কেক বিক্রয় করে ইতিমধ্যে লাখ টাকা আয় করেছেন সাথী।
সফল নারী উদ্যোক্তা উম্মে হাবিবা সাথীর জানান, ২০২০ সালে যখন করোনার কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন হাতে প্রচুর সময় ছিল। তখন চিন্তা এলো নিজ থেকে কিছু একটা করার। এ সময় অনেকটা শখের বসে কেক বানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা যখন কেকের প্রশংসা করল, তখন কেক বানানোর প্রতি উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। হঠাৎ একদিন এক প্রতিবেশীর নিকট থেকে কেক বানানোর অর্ডার পাই। সেদিন চমৎকার কেক তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিই। প্রতিবেশীরা কেকের প্রশংসা করলেন এবং টাকা দিলেন। এই কেক বিক্রির টাকা এবং আমার জমানো কিছু টাকা দিয়ে কেক তৈরির সরঞ্জাম ক্রয় করি। আমার বানানো প্রথম অর্ডারের কেকটি এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল যে যারা খেয়েছেন তারা সকলেই এর প্রশংসা করেছেন। ধীরে ধীরে কেকের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পর কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে কেকের জন্য আরও অর্ডার আসতে লাগল। এভাবে ২০২১ সালে পুরোদমে অনলাইন এবং অফলাইনে হরেক রকমের কেকের অর্ডার পেতে লাগলাম এবং সফলভাবে তা তৈরি করে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হতে লাগলাম।
উম্মে হাবিবা সাথী আরও জানান, একসময় তিনি মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে কেক বানানো শুরু করলেও বর্তমানে কেক বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে শুধু কেক তৈরিতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের অনুপ্রেরণায় তিনি একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। যেখানে কাপ্তাই ইউনিয়নের অনেক নারী প্রশিক্ষণার্থীকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কেক বানানোর কাজ শিখিয়েছেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছাড়াও তিনি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নারীকে কেক তৈরিতে পারদর্শী করে তুলেছেন। বর্তমানে তাঁর ছাত্রীরাও কেক বানিয়ে বিক্রয় করে আয় করছেন।
কোন ধরনের কেক বানাতে পারদর্শী এই বিষয়ে জানতে চাইলে উম্মে হাবিবা সাথী জানান, তিনি বিভিন্ন প্রকারের কেক তৈরি করতে পারেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চকলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি, লেমন, অরেঞ্জ, বাটার কচ, পানদান ফ্লেভারের বিভিন্ন ডিজাইনের কেক বেশি তৈরি করেন। তা ছাড়া ছোট বাচ্চাদের জন্মদিনের ডল কেক, ডোরিমন, কার কেকসহ বিভিন্ন কার্টুনের কেক বানাতে পারদর্শী তিনি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তিনি ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী হুবহু ডিজাইন সংবলিত কেক তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিতে পারেন।
বর্তমানে উম্মে হাবিবা সাথীর একটি নিজস্ব অনলাইন ব্যবসার ফেসবুক পেজ রয়েছে। যার নাম Sathi’s vlog। যেখানে তিনি কেক বিক্রয়ের জন্য অনেক অর্ডার পান। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে জানান, কেক বিক্রির ধারাবাহিকতা তিনি ধরে রাখতে চান। এবং ভবিষ্যতে এই নিয়ে আরও ভালো কিছু করতে চান। তা ছাড়া তিনি নিজের পেশার পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে থাকা নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার পেছনে যাদের অবদান অনেক বেশি, বিশেষ করে তাঁর স্বামী, পরিবারসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম ভিশন হলো উদ্যোক্তা সৃষ্টি। আজকে নারীরা ঘরে বসেই এ ধরনের কাজে নিয়োজিত হয়ে শুধু আত্মকর্মসংস্থানই নয়, অন্য অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন এ ধরনের কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। কেউ যদি উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারিভাবে লোন নিতে চান, আমরা সহায়তা করার আশ্বাস দিচ্ছি। তা ছাড়া কিছুদিনের মধ্যেই আমরা উপজেলার সকল উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটা ‘উদ্যোক্তা মেলা’ আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়নের বাসিন্দা উম্মে হাবিবা সাথী। পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসে কেক বানানো তাঁর শখ। শখের কাজটাকে তিনি কাজে লাগিয়ে বর্তমানে ঘরে বসে নিজের হাতের তৈরি কেক বিক্রয় করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। নিজের হাতের বানানো এই কেক বিক্রয় করে ইতিমধ্যে লাখ টাকা আয় করেছেন সাথী।
সফল নারী উদ্যোক্তা উম্মে হাবিবা সাথীর জানান, ২০২০ সালে যখন করোনার কারণে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন হাতে প্রচুর সময় ছিল। তখন চিন্তা এলো নিজ থেকে কিছু একটা করার। এ সময় অনেকটা শখের বসে কেক বানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা যখন কেকের প্রশংসা করল, তখন কেক বানানোর প্রতি উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। হঠাৎ একদিন এক প্রতিবেশীর নিকট থেকে কেক বানানোর অর্ডার পাই। সেদিন চমৎকার কেক তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিই। প্রতিবেশীরা কেকের প্রশংসা করলেন এবং টাকা দিলেন। এই কেক বিক্রির টাকা এবং আমার জমানো কিছু টাকা দিয়ে কেক তৈরির সরঞ্জাম ক্রয় করি। আমার বানানো প্রথম অর্ডারের কেকটি এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল যে যারা খেয়েছেন তারা সকলেই এর প্রশংসা করেছেন। ধীরে ধীরে কেকের সুনাম ছড়িয়ে পড়ার পর কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে কেকের জন্য আরও অর্ডার আসতে লাগল। এভাবে ২০২১ সালে পুরোদমে অনলাইন এবং অফলাইনে হরেক রকমের কেকের অর্ডার পেতে লাগলাম এবং সফলভাবে তা তৈরি করে ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হতে লাগলাম।
উম্মে হাবিবা সাথী আরও জানান, একসময় তিনি মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে কেক বানানো শুরু করলেও বর্তমানে কেক বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে শুধু কেক তৈরিতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের অনুপ্রেরণায় তিনি একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছেন। যেখানে কাপ্তাই ইউনিয়নের অনেক নারী প্রশিক্ষণার্থীকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কেক বানানোর কাজ শিখিয়েছেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছাড়াও তিনি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নারীকে কেক তৈরিতে পারদর্শী করে তুলেছেন। বর্তমানে তাঁর ছাত্রীরাও কেক বানিয়ে বিক্রয় করে আয় করছেন।
কোন ধরনের কেক বানাতে পারদর্শী এই বিষয়ে জানতে চাইলে উম্মে হাবিবা সাথী জানান, তিনি বিভিন্ন প্রকারের কেক তৈরি করতে পারেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চকলেট, ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি, লেমন, অরেঞ্জ, বাটার কচ, পানদান ফ্লেভারের বিভিন্ন ডিজাইনের কেক বেশি তৈরি করেন। তা ছাড়া ছোট বাচ্চাদের জন্মদিনের ডল কেক, ডোরিমন, কার কেকসহ বিভিন্ন কার্টুনের কেক বানাতে পারদর্শী তিনি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তিনি ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী হুবহু ডিজাইন সংবলিত কেক তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিতে পারেন।
বর্তমানে উম্মে হাবিবা সাথীর একটি নিজস্ব অনলাইন ব্যবসার ফেসবুক পেজ রয়েছে। যার নাম Sathi’s vlog। যেখানে তিনি কেক বিক্রয়ের জন্য অনেক অর্ডার পান। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে জানান, কেক বিক্রির ধারাবাহিকতা তিনি ধরে রাখতে চান। এবং ভবিষ্যতে এই নিয়ে আরও ভালো কিছু করতে চান। তা ছাড়া তিনি নিজের পেশার পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে থাকা নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার কাজে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার পেছনে যাদের অবদান অনেক বেশি, বিশেষ করে তাঁর স্বামী, পরিবারসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম ভিশন হলো উদ্যোক্তা সৃষ্টি। আজকে নারীরা ঘরে বসেই এ ধরনের কাজে নিয়োজিত হয়ে শুধু আত্মকর্মসংস্থানই নয়, অন্য অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন এ ধরনের কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। কেউ যদি উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারিভাবে লোন নিতে চান, আমরা সহায়তা করার আশ্বাস দিচ্ছি। তা ছাড়া কিছুদিনের মধ্যেই আমরা উপজেলার সকল উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটা ‘উদ্যোক্তা মেলা’ আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
ব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
৬ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুরোপুরি না পাল্টাতে পারলেও অন্তত কিছুটা স্বস্তির জায়গায় আনতে পেরেছেন তাঁরা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদও মনে করেন, নানা দিক সামলে তুলনামূলকভাবে একটি স্থিতিশীল অবস্থা গড়ে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রতিশ্রুতি ও প্রচারণা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ আসেনি। আগের তুলনায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে এসেছে ছন্দ এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু অর্থনীতির অন্যতম প্রাণ—বিনিয়োগ খাতে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। বরং বাস্তবতা বলছে, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা আরও ঘনীভূত হয়েছে। রা
৭ ঘণ্টা আগে