নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা, দায়–দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব কী হবে, তা স্পষ্ট করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি জারি করা হয় গত ১৮ অক্টোবর।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ২০এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগে কমিশন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হলো।
নির্দেশনায় ৬টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
স্বতন্ত্র পরিচালকরা কমিশন বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্ধারিত সীমার মধ্যে কোম্পানির সুশাসন, স্থায়িত্ব এবং সামগ্রিক কল্যাণের জন্য কাজ করবেন।
বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালককে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ৩০-এর বিধান প্রযোজ্য হবে।
কোম্পানির ঋণ বা অন্য কোনো দায় বা বাধ্যবাধকতার জন্য কোনো গ্যারান্টি প্রদানে স্বতন্ত্র পরিচালক দায়ী থাকবেন না।
কোম্পানির ঋণ বা অন্য কোনো দায় বা বাধ্যবাধকতার জন্য কোনো বন্ধকি বা জামানত বা চার্জ নথিতে স্বতন্ত্র পরিচালক স্বাক্ষর করবেন না। যদি না তিনি কোম্পানির এমন পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, যেখানে তার পদবি অনুসারে স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
কোম্পানির ঋণ বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো দায়ের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) কাছে প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হবে না। তবে ব্যক্তিগত ঋণ এবং দায়ের জন্য সিআইবিতে রিপোর্ট করা হবে।
কোম্পানির বিরুদ্ধে আনা কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলার জন্য কোম্পানির অন্যান্য পরিচালকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালককে একটি পক্ষ হিসেবে গণ্য করা যাবে না; যদি না স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে তার ভূমিকার বাইরে এই বিষয়ে কোনো ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থাকে।
এ বিষয়ে বিএসইসির ক্যাপিটাল মার্কেট রেগুলেটরি রিফর্মস অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের (সিএমআরআরসি) পরিচালক মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে শুধু জেড ক্যাটাগরির জন্য ছিল। এখন যে কোনো স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।’
কী সংযোজন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, স্বতন্ত্র পরিচালক কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার না হওয়ায় তাকে গ্যারান্টি, সিগনেচার, দায়ভার বহন করার প্রয়োজন পড়বে না। কোম্পানির কোনো দায়ের কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। যদি সে ব্যক্তিগতভাবে জিম্মাদার না হয়।’
তবে কোম্পানির সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালকের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় জড়িত থাকলে দায় এড়াতে পারবেন না বলেও জানান বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম। তিনি বলেন, তাদের (স্বতন্ত্র পরিচালক) ব্যক্তিগত কারণে যদি কোম্পানির কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তারা তা এড়াতে পারবে না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। এর জন্য তাকে ব্যাংক ডিফল্টার দেখানো যাবে। এই বিষয়গুলোই অর্ডারে স্পষ্ট করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা, দায়–দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব কী হবে, তা স্পষ্ট করে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত–উল–ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি জারি করা হয় গত ১৮ অক্টোবর।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ২০এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতার প্রয়োগে কমিশন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বলা হলো।
নির্দেশনায় ৬টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে:
স্বতন্ত্র পরিচালকরা কমিশন বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্ধারিত সীমার মধ্যে কোম্পানির সুশাসন, স্থায়িত্ব এবং সামগ্রিক কল্যাণের জন্য কাজ করবেন।
বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশন কর্তৃক নিযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালককে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অরডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ৩০-এর বিধান প্রযোজ্য হবে।
কোম্পানির ঋণ বা অন্য কোনো দায় বা বাধ্যবাধকতার জন্য কোনো গ্যারান্টি প্রদানে স্বতন্ত্র পরিচালক দায়ী থাকবেন না।
কোম্পানির ঋণ বা অন্য কোনো দায় বা বাধ্যবাধকতার জন্য কোনো বন্ধকি বা জামানত বা চার্জ নথিতে স্বতন্ত্র পরিচালক স্বাক্ষর করবেন না। যদি না তিনি কোম্পানির এমন পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, যেখানে তার পদবি অনুসারে স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
কোম্পানির ঋণ বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো দায়ের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) কাছে প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হবে না। তবে ব্যক্তিগত ঋণ এবং দায়ের জন্য সিআইবিতে রিপোর্ট করা হবে।
কোম্পানির বিরুদ্ধে আনা কোনো ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলার জন্য কোম্পানির অন্যান্য পরিচালকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালককে একটি পক্ষ হিসেবে গণ্য করা যাবে না; যদি না স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে তার ভূমিকার বাইরে এই বিষয়ে কোনো ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থাকে।
এ বিষয়ে বিএসইসির ক্যাপিটাল মার্কেট রেগুলেটরি রিফর্মস অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের (সিএমআরআরসি) পরিচালক মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে শুধু জেড ক্যাটাগরির জন্য ছিল। এখন যে কোনো স্বতন্ত্র পরিচালকের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।’
কী সংযোজন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, স্বতন্ত্র পরিচালক কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার না হওয়ায় তাকে গ্যারান্টি, সিগনেচার, দায়ভার বহন করার প্রয়োজন পড়বে না। কোম্পানির কোনো দায়ের কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। যদি সে ব্যক্তিগতভাবে জিম্মাদার না হয়।’
তবে কোম্পানির সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালকের ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় জড়িত থাকলে দায় এড়াতে পারবেন না বলেও জানান বিএসইসির পরিচালক আবুল কালাম। তিনি বলেন, তাদের (স্বতন্ত্র পরিচালক) ব্যক্তিগত কারণে যদি কোম্পানির কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তারা তা এড়াতে পারবে না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। এর জন্য তাকে ব্যাংক ডিফল্টার দেখানো যাবে। এই বিষয়গুলোই অর্ডারে স্পষ্ট করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি।
২ ঘণ্টা আগেএক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি...
৩ ঘণ্টা আগেসদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু প্রাথমিক চিহ্ন দেখা গেলেও কাঠামোগত সমস্যা এখনো অর্থনীতির গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য...
৬ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তা, কাঁচামালের দাম ওঠানামা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সংকটের মধ্যেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি মিলিয়ে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার; যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ বেশি। এই লক্ষ্য শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের...
৬ ঘণ্টা আগে