Ajker Patrika

দেশের সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল ৩ মার্কিন অধ্যাপকের

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৬: ৪৪
দেশের সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল ৩ মার্কিন অধ্যাপকের

চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক তুর্কি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ড্যারন আসেমোগলু, একই প্রতিষ্ঠানের সাইমন জনসন এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো, ইলিনয়ের অধ্যাপক জেমস এ রবিনসন। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স তাঁর নাম ঘোষণা করে।

নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কেন দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধিতে এত বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান—এই বিষয়ে চলতি বছরের নোবেল বিজয়ীরা নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন—এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার ব্যাপক পার্থক্য। ইউরোপীয় উপনিবেশিক দেশগুলোর প্রবর্তিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরীক্ষা করে ড্যারন আসেমোগলু, সাইমন জনসন এবং জেমস রবিনসন প্রতিষ্ঠান ও সমৃদ্ধির মধ্যকার সম্পর্ক বের করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের তাত্ত্বিক উপাদানগুলো ব্যাখ্যা করেছে, কেন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য বজায় থাকে এবং কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবর্তন আনতে পারে।

গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল জেতেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লাউডিয়া গোলডিন। শ্রমবাজারে নারী অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আক্ষেপের বিষয় হলো—তিনি যেদিন পুরস্কার গ্রহণ করেন, সেদিন খুব অল্পসংখ্যক নারীই উপস্থিত ছিলেন। ১৯৬৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনকে নোবেল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ক্লডিয়া গোল্ডিনসহ নারী মাত্র তিনজন। বাকি দুজন হলেন এলিনর অস্ট্রোম ও এস্তার দুফলো।

এর আগে, চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানে পরমাণু বোমা হামলায় জীবিতদের নিয়ে গড়ে ওঠা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষকে নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে ‘হিবাকুশা’ নামেও পরিচিত। গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এদিকে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত শান্তি ছাড়াও চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। ‘প্রগাঢ় কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক ক্ষত তুলে ধরা এবং মানবজীবনের নাজুক পরিস্থিতির উন্মোচনের জন্য’ তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি।

চলতি বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তাঁরা হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাঁদের এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এ বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন এআই গডফাদার হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিনটন ও জন হপফিল্ড।

তার আগের দিন চিকিৎসায় নোবেল জেতেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো-আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (জিনের প্রতিলিপির পর) জিন নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো-আরএনএর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত