নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। যার ফলে মানুষের গত বছরের গড় মাথাপিছু ঋণও বেড়েছে। আর ঋণ পরিশোধে ডলারের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ডলারের দামও। ডলারের দামের সঙ্গে টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে। তবে ডলারের সংকট মেটাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডলার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন জানা গেছে, গত এক বছরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ১০১ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার অঙ্কে প্রায় ৮ হাজার ৮৮০ টাকার বেশি। ২০২০ সালে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৩৫ ডলারের বেশি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ ডলারে। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ৮০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে।
এদিকে মোট ঋণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭ হাজার ২৭১ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ৭৬১ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ৬ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। মোট স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৮০৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ২৬২ কোটি ডলার। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ২০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। আর সরকারি খাতের ঋণ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৭৫ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ইউএস ডলার। গত বছর ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলার। তা গত বছর বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০৮ কোটি ডলার। সরকারি খাতের ঋণ ৫ হাজার ৮১৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ডলার।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ১৯০ কোটি ইউএস ডলার। আর বিদেশ থেকে পাওয়া স্ফীতি (গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলার। যা দেশের মজুতকৃত ডলারের দুই গুণের বেশি। ২০২০ সালে মোট ঋণের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। করোনাকালে অর্থাৎ ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ৫১ শতাংশ। একই সময়ে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ নেওয়া তো সরকারের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সেটা বিনিয়োগ করতে হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবদিক বিবেচনা করে বিদেশি ঋণ গ্রহণ করা হয়। কেননা স্বল্পমেয়াদি ঋণ দ্রুত পরিশোধ করতে হয়। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। বর্তমানে ডলার সংকটের একটি কারণ হচ্ছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধিও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বেসরকারি খাত কোনো কারণে খেলাপি হলে ঘুরেফিরে সেই ঋণের দায় সরকারের ওপরই চাপবে। অর্থাৎ দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই ওই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতে কিছু ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ঋণে পরিশোধে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’
বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। যার ফলে মানুষের গত বছরের গড় মাথাপিছু ঋণও বেড়েছে। আর ঋণ পরিশোধে ডলারের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ডলারের দামও। ডলারের দামের সঙ্গে টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে। তবে ডলারের সংকট মেটাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডলার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন জানা গেছে, গত এক বছরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ১০১ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার অঙ্কে প্রায় ৮ হাজার ৮৮০ টাকার বেশি। ২০২০ সালে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৩৫ ডলারের বেশি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ ডলারে। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ৮০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে।
এদিকে মোট ঋণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭ হাজার ২৭১ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ৭৬১ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ৬ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। মোট স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৮০৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ২৬২ কোটি ডলার। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ২০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। আর সরকারি খাতের ঋণ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৭৫ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ইউএস ডলার। গত বছর ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলার। তা গত বছর বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০৮ কোটি ডলার। সরকারি খাতের ঋণ ৫ হাজার ৮১৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ডলার।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ১৯০ কোটি ইউএস ডলার। আর বিদেশ থেকে পাওয়া স্ফীতি (গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলার। যা দেশের মজুতকৃত ডলারের দুই গুণের বেশি। ২০২০ সালে মোট ঋণের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। করোনাকালে অর্থাৎ ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ৫১ শতাংশ। একই সময়ে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ নেওয়া তো সরকারের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সেটা বিনিয়োগ করতে হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবদিক বিবেচনা করে বিদেশি ঋণ গ্রহণ করা হয়। কেননা স্বল্পমেয়াদি ঋণ দ্রুত পরিশোধ করতে হয়। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। বর্তমানে ডলার সংকটের একটি কারণ হচ্ছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধিও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বেসরকারি খাত কোনো কারণে খেলাপি হলে ঘুরেফিরে সেই ঋণের দায় সরকারের ওপরই চাপবে। অর্থাৎ দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই ওই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতে কিছু ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ঋণে পরিশোধে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’
হংকংয়ের একটি বিউটি সেলুনের মালিক ক্রিস্টাল এনজি এইচএসবিসি ও ডাহ সিং ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালের শেষদিকে যখন তিনি নতুন অফিসে স্থানান্তর করেন, তখন ব্যাংকগুলোর একটির মাধ্যমে জানতে পারেন, তার নতুন ঠিকানাটি যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি তালিকাভুক্ত। ওই ঠিকানার..
৩৬ মিনিট আগেআদানি গ্রুপ আগে বলেছিল, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, কিন্তু এখন ভারতীয় এই সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে দেখা গেছে, এই ব্যবসা থেকে কতটা চাহিদা তৈরি হবে, বিশেষ করে ভারতের বাজারে, সে সম্পর্কে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। এরপরই টাওয়ারের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
১ দিন আগেকর দিতে গিয়েও দিতে হয় ঘুষ—শিল্পমালিকদের এই বিস্ফোরক ক্ষোভ এখন আর কানে কানে বলা গুঞ্জন নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে প্রকাশ্য প্রতিবাদ। নিয়মিত করদাতারা পাচ্ছেন না ন্যায্য সম্মান, বরং তাঁদের ঘাড়ে চাপছে অতিরিক্ত বোঝা। উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, অথচ কর চাই নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিনিয়োগ থমকে...
২ দিন আগে