নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন সময়ে তাঁর চতুর্থ বাজেট পেশ করলেন যখন বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একইসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার গতিও মন্থর।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বড় ঘাটতি মেটাতে বিপুল অঙ্কের ঋণের ওপর নির্ভর করতে হবে সরকার। এই ঋণের প্রায় অর্ধেকই নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। বিদেশি ঋণের পরিমাণও প্রায় সমান।
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য বাড়িয়েছে। এ বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে সরকার। এই ঋণের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণই থাকছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ দিতে হবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে নিট বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে যা আছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩০ মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ২৯ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি। উল্টো আগের নেওয়া ঋণের ২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এতে চলতি অর্থবছরের ৩০ মে পর্যন্ত সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যেখানে পুরো অর্থবছরে সরকারের ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা।
এদিকে ঘাটতি পূরণে এবারই প্রথম দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। সঞ্চয়পত্র থেকেও ধারের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ হাজার ৬ কোটি ৩৩৪ টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
যেখানে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। আর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন সময়ে তাঁর চতুর্থ বাজেট পেশ করলেন যখন বিশ্ব অর্থনীতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একইসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার গতিও মন্থর।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বড় ঘাটতি মেটাতে বিপুল অঙ্কের ঋণের ওপর নির্ভর করতে হবে সরকার। এই ঋণের প্রায় অর্ধেকই নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। বিদেশি ঋণের পরিমাণও প্রায় সমান।
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য বাড়িয়েছে। এ বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে সরকার। এই ঋণের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণই থাকছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ দিতে হবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে নিট বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে যা আছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ৩০ মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ২৯ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি। উল্টো আগের নেওয়া ঋণের ২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এতে চলতি অর্থবছরের ৩০ মে পর্যন্ত সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। যেখানে পুরো অর্থবছরে সরকারের ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা।
এদিকে ঘাটতি পূরণে এবারই প্রথম দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। সঞ্চয়পত্র থেকেও ধারের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ হাজার ৬ কোটি ৩৩৪ টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার।
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
যেখানে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। আর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এই উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আগে থেকেই পতনের ধারায় থাকা দেশের শেয়ারবাজার এখন তলানিতে রয়েছে। এখান থেকে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। তাহলে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
৩৪ মিনিট আগেবিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুরের মাহিগঞ্জ পূর্ব খাসবাগ এলাকার মো. আলম মিয়া পেশায় মুদিদোকানি। যে আয় হতো, তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলত। তবে সঞ্চয় থাকত না। নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ১৫ বছরে আগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সে ১২ বছর মেয়াদি বিমা করেন। তিন বছর আগে বিমার মেয়াদ শেষ হলেও টাকা পাননি তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ, যা আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সমান। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় দেশটি। একসময় মনে করা হতো, দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ব্যর্থ। তবে ১৯৮০-এর দশক থেকে পোশাকশিল্পকে কেন্দ্র করে দেশটি ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে