চীন ব্যাপকভাবে ঋণগ্রস্ত স্থানীয় সরকারগুলোকে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চলমান অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বিলম্বিত বা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এই সম্পর্কে জ্ঞাত তিনজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং অর্থনীতিকে চাঙা করার প্রচেষ্টায় থাকলেও এখনো দেউলিয়ার ঝুঁকি কাটাতেই লড়াই করছে।
সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের পৌরসভা ঋণ পরিশোধের জন্য চীনের স্টেট কাউন্সিল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্থানীয় সরকার এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলোকে দেশজুড়ে ১২টি অঞ্চলে নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো বিলম্বিত বা বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ঋণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করছে। একই সময়ে আবার স্থানীয় সরকারগুলোর অবকাঠামো বিনিয়োগের ওপর দীর্ঘকাল ধরে নির্ভরশীল প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করার চেষ্টা করছে।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সর্বশেষ নির্দেশনায় এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দর পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ এবং শহুরে রেল প্রকল্পগুলো রয়েছে। এসব আগে প্রকাশ্যে আসেনি।
অন্য দুটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সাশ্রয়ী মূল্যের কিছু আবাসন প্রকল্পও এই নির্দেশনার আওতায় পড়েছে। নির্দেশনাটি গোপনীয় হওয়ায় পরিচয় প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছে সূত্রগুলো।
চীনের গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরদাতা স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস ও চীনের মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
রয়টার্সের গত অক্টোবরে রিপোর্টে উঠে আসে, স্টেট কাউন্সিল ১২টি অঞ্চলের স্থানীয় সরকারগুলোর ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চালু হতে যাওয়া প্রকল্পগুলো সীমিত করেছে।
রয়টার্সের নভেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীন স্থানীয় সরকারগুলোকে ‘সমস্যাযুক্ত’ পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এবং বিনিয়োগের ওপর অন্যান্য সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা স্থানীয় সরকারগুলোকে কোন কোন অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ স্থগিত করতে হবে তার বিশদ তালিকা দিয়েছে।
চীনের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সম্পত্তি, স্থানীয় ঋণ এবং ছোট ও মাঝারি আকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলোর সমন্বয় ও সমাধান করা প্রয়োজন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডিসেম্বরে একটি কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটি জানিয়েছিল।
সূত্র জানিয়েছে, বেইজিং স্থানীয় সরকারের বড় ঋণ এবং সম্ভাব্য দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে খেলাপি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনের স্থানীয় সরকারের ঋণ ২০২২ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ৬২ শতাংশ ছিল। অপরদিকে কেন্দ্র সরকারের ঋণ কমে ২১ শতাংশ হয়েছে।
জমির দাম হ্রাসের কারণে স্থানীয় সরকারের ঋণ সমস্যা এবং নগদ সংকটের কারণে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি জমি কিনতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এটি রাজস্বের মূল উৎস এবং তহবিল সংগ্রহের জন্য কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।
চীনের অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারি লক্ষ্যমাত্রা থেকে সামান্য বেশি। কিন্তু অনেক বিশ্লেষকের চোখে এই অর্জন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি নড়বড়ে। কেননা স্থানীয় সরকারি ঋণ বৃদ্ধি এবং জমির সংকট চীনে এখন আরও চরম।
স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনার আওতাভুক্ত ঋণগ্রস্ত অঞ্চলগুলো হলো—উত্তর কোরিয়া সীমান্তের লিয়াওনিং এবং জিলিন প্রদেশ, দক্ষিণ–পশ্চিমে গুইঝো, ইউনান এবং তিয়ানজিন, চংকিং শহর।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অঞ্চলগুলোর ‘নিম্ন এবং মাঝারি স্তরে ঋণের ঝুঁকি’ কমানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঋণ হ্রাস কীভাবে পরিমাপ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি ওই নির্দেশে।
সূত্রটি জানিয়েছে, একবার স্থানীয় সরকারগুলো তাদের ঋণ হ্রাসের লক্ষ্যে পৌঁছালে চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারী জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন (এনডিআরসি) নতুন অবকাঠামো বিনিয়োগের জন্য ঋণ নীতিগুলো পুনরায় সমন্বয় করার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাইবে।
তবে এ বিষয়ে এনডিআরসি রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
চীন ব্যাপকভাবে ঋণগ্রস্ত স্থানীয় সরকারগুলোকে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চলমান অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বিলম্বিত বা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এই সম্পর্কে জ্ঞাত তিনজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং অর্থনীতিকে চাঙা করার প্রচেষ্টায় থাকলেও এখনো দেউলিয়ার ঝুঁকি কাটাতেই লড়াই করছে।
সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের পৌরসভা ঋণ পরিশোধের জন্য চীনের স্টেট কাউন্সিল সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্থানীয় সরকার এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলোকে দেশজুড়ে ১২টি অঞ্চলে নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো বিলম্বিত বা বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ঋণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করছে। একই সময়ে আবার স্থানীয় সরকারগুলোর অবকাঠামো বিনিয়োগের ওপর দীর্ঘকাল ধরে নির্ভরশীল প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করার চেষ্টা করছে।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সর্বশেষ নির্দেশনায় এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দর পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ এবং শহুরে রেল প্রকল্পগুলো রয়েছে। এসব আগে প্রকাশ্যে আসেনি।
অন্য দুটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সাশ্রয়ী মূল্যের কিছু আবাসন প্রকল্পও এই নির্দেশনার আওতায় পড়েছে। নির্দেশনাটি গোপনীয় হওয়ায় পরিচয় প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছে সূত্রগুলো।
চীনের গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরদাতা স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিস ও চীনের মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
রয়টার্সের গত অক্টোবরে রিপোর্টে উঠে আসে, স্টেট কাউন্সিল ১২টি অঞ্চলের স্থানীয় সরকারগুলোর ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে চালু হতে যাওয়া প্রকল্পগুলো সীমিত করেছে।
রয়টার্সের নভেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীন স্থানীয় সরকারগুলোকে ‘সমস্যাযুক্ত’ পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এবং বিনিয়োগের ওপর অন্যান্য সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা স্থানীয় সরকারগুলোকে কোন কোন অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ স্থগিত করতে হবে তার বিশদ তালিকা দিয়েছে।
চীনের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সম্পত্তি, স্থানীয় ঋণ এবং ছোট ও মাঝারি আকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলোর সমন্বয় ও সমাধান করা প্রয়োজন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডিসেম্বরে একটি কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটি জানিয়েছিল।
সূত্র জানিয়েছে, বেইজিং স্থানীয় সরকারের বড় ঋণ এবং সম্ভাব্য দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে খেলাপি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনের স্থানীয় সরকারের ঋণ ২০২২ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ৬২ শতাংশ ছিল। অপরদিকে কেন্দ্র সরকারের ঋণ কমে ২১ শতাংশ হয়েছে।
জমির দাম হ্রাসের কারণে স্থানীয় সরকারের ঋণ সমস্যা এবং নগদ সংকটের কারণে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি জমি কিনতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে এটি রাজস্বের মূল উৎস এবং তহবিল সংগ্রহের জন্য কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।
চীনের অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারি লক্ষ্যমাত্রা থেকে সামান্য বেশি। কিন্তু অনেক বিশ্লেষকের চোখে এই অর্জন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি নড়বড়ে। কেননা স্থানীয় সরকারি ঋণ বৃদ্ধি এবং জমির সংকট চীনে এখন আরও চরম।
স্টেট কাউন্সিলের নির্দেশনার আওতাভুক্ত ঋণগ্রস্ত অঞ্চলগুলো হলো—উত্তর কোরিয়া সীমান্তের লিয়াওনিং এবং জিলিন প্রদেশ, দক্ষিণ–পশ্চিমে গুইঝো, ইউনান এবং তিয়ানজিন, চংকিং শহর।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অঞ্চলগুলোর ‘নিম্ন এবং মাঝারি স্তরে ঋণের ঝুঁকি’ কমানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঋণ হ্রাস কীভাবে পরিমাপ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি ওই নির্দেশে।
সূত্রটি জানিয়েছে, একবার স্থানীয় সরকারগুলো তাদের ঋণ হ্রাসের লক্ষ্যে পৌঁছালে চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকারী জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন (এনডিআরসি) নতুন অবকাঠামো বিনিয়োগের জন্য ঋণ নীতিগুলো পুনরায় সমন্বয় করার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাইবে।
তবে এ বিষয়ে এনডিআরসি রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু দেশ এখনো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে আর্থিক খাতের মোট লেনদেনের ২৭-২৮ শতাংশ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, বাকিটা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর পেছনে রয়েছে সহায়ক নীতিমালার ঘাটতি, গ্রাহকের আস্থার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, সমন্বয়ের অভাব আর সাইবার...
৩ মিনিট আগেবন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
৮ মিনিট আগেবাসমতী ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে এবার নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে নন-বাসমতী চালের রপ্তানি নীতিতে এ পরিবর্তন আনে। এর ফলে এখন থেকে নন-বাসমতী চাল রপ্তানির প্রতিটি চুক্তি..
১ ঘণ্টা আগেসর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রূপালীক্যাশ’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দিলকুশাস্থ রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেবাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের
৪ ঘণ্টা আগে