নিজস্ব প্রতিবেদক
লাগামহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর মাংসের বাজার। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। আজ শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
রাজধানীর ডেমরা,যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক জাতের মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসখানিক ধরেই মুরগির মাংসের বাজারে আগুন। মাসখানিক আগে যে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা সেটিই এখন দাম বাড়তে বাড়তে ১৬৫ টাকায় এসে ঠেকেছে।
খাসির মাংস কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, আমি দুই কেজি মাংস নিলাম এক হাজার ৯০০ টাকায়। কিছুদিন আগেও ৮০০ টাকা কেজি ছিল। এভাবে যদি মাংসের দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম আমাদের ওপর চাপিয়ে দিবে।
রাজধানীর রামপুরায় গরুর মাংস কিনতে আসা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী আরিফুর রহমান বলেন, যেভাবে মাংসের দাম বাড়ছে তাতে মাংস কেনারই সাহস পাই না। তবুও আজ শুক্রবার ছুটির দিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু ভালো খেতে চাই তাই দাম বেশি হাওয়া সত্ত্বেও কিনেছি।
দিনমজুর রায়হান এসেছিলেন মুরগির মাংস কিনতে। তিনি সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা শুনেই মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তাকে থামিয়ে চলে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ভাই আমরা গরীব মানুষ। এতো ট্যাকা দিয়া মাংস কেনা আমাগো দ্বারা সম্ভব না।
মুরগি ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, একমাস আগেও কক জাতের মুরগি আমরা ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই এখন কেজি প্রতি ১২০ টাকা করে বেশি।
যাত্রাবাড়ী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, এখন আমরা গরুর মাংস ৫৮০–৬০০ টাকা বিক্রি করছি। ৫৮০ টাকার নিচে যদি বিক্রি করি তাহলে আমাদের লোকসান দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
এর আগে গত বুধবার মাংসের দাম নির্ধারণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছিলেন, আমরা মাংস ব্যবসায়ীরা চাই মাংসের দাম যেন কম থাকে। আমরা চাই এবার দেশি গরু প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা, বিদেশি গরু ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা এবং ছাগল-ভেড়া ৭০০ টাকার মধ্যে রাখতে।
মাংস ব্যবসায়ীদের পক্ষে প্রস্তাব শুনে ভার্চুয়াল সভার সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেছিলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। আপনারা কত টাকার মধ্যে মাংসের দাম রাখতে পারবেন তা জানলাম। আমরা দ্রুতই মাংসের দাম নির্ধারণ করে জানিয়ে দিবো।
শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার কাছে মাংসের দাম নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ২/৩ দিনের মধ্যে একটি সহনশীল দাম নির্ধারণ করে আপনাদেরকে জানাবো।
লাগামহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর মাংসের বাজার। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। আজ শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
রাজধানীর ডেমরা,যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক জাতের মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসখানিক ধরেই মুরগির মাংসের বাজারে আগুন। মাসখানিক আগে যে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা সেটিই এখন দাম বাড়তে বাড়তে ১৬৫ টাকায় এসে ঠেকেছে।
খাসির মাংস কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, আমি দুই কেজি মাংস নিলাম এক হাজার ৯০০ টাকায়। কিছুদিন আগেও ৮০০ টাকা কেজি ছিল। এভাবে যদি মাংসের দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম আমাদের ওপর চাপিয়ে দিবে।
রাজধানীর রামপুরায় গরুর মাংস কিনতে আসা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী আরিফুর রহমান বলেন, যেভাবে মাংসের দাম বাড়ছে তাতে মাংস কেনারই সাহস পাই না। তবুও আজ শুক্রবার ছুটির দিন ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটু ভালো খেতে চাই তাই দাম বেশি হাওয়া সত্ত্বেও কিনেছি।
দিনমজুর রায়হান এসেছিলেন মুরগির মাংস কিনতে। তিনি সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা শুনেই মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তাকে থামিয়ে চলে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ভাই আমরা গরীব মানুষ। এতো ট্যাকা দিয়া মাংস কেনা আমাগো দ্বারা সম্ভব না।
মুরগি ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, একমাস আগেও কক জাতের মুরগি আমরা ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই এখন কেজি প্রতি ১২০ টাকা করে বেশি।
যাত্রাবাড়ী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, এখন আমরা গরুর মাংস ৫৮০–৬০০ টাকা বিক্রি করছি। ৫৮০ টাকার নিচে যদি বিক্রি করি তাহলে আমাদের লোকসান দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।
এর আগে গত বুধবার মাংসের দাম নির্ধারণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছিলেন, আমরা মাংস ব্যবসায়ীরা চাই মাংসের দাম যেন কম থাকে। আমরা চাই এবার দেশি গরু প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা, বিদেশি গরু ৫০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকা এবং ছাগল-ভেড়া ৭০০ টাকার মধ্যে রাখতে।
মাংস ব্যবসায়ীদের পক্ষে প্রস্তাব শুনে ভার্চুয়াল সভার সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেছিলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। আপনারা কত টাকার মধ্যে মাংসের দাম রাখতে পারবেন তা জানলাম। আমরা দ্রুতই মাংসের দাম নির্ধারণ করে জানিয়ে দিবো।
শুক্রবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার কাছে মাংসের দাম নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ২/৩ দিনের মধ্যে একটি সহনশীল দাম নির্ধারণ করে আপনাদেরকে জানাবো।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে