ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। যেন বিভক্ত এক বিশ্বের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে সংস্থাটি। আর এই বিভক্তির মূল দৃশ্যপটে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ‘বাণিজ্যিক স্বার্থ’ পুঁথিগত নামে এসব বিরোধ পরিচিত হলেও এর গণ্ডি বিশ্ব রাজনীতি ছুঁয়েছে। একপক্ষীয় সিদ্ধান্তে গোঁ ধরার কারণে ডব্লিউটিও অচল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিওর আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ আটকে দেয়। দেশটির অভিযোগ ছিল, ক্ষমতার বাইরে গিয়ে চর্চা করছে আপিল বিভাগ। সেই ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের ২৯টি অভিযোগ আপিলে জমে আছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে চীন, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
এই বিষয়টি ডব্লিউটিওর আপিল বিভাগকে অচলাবস্থার মধ্যে এনে ফেলেছে। বিষয়টি উল্লেখ করে গত মাসে সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক অ্যালান উলফ এক সম্মেলনে বলেন, ২০২৪ সাল থেকে সদস্য দেশগুলোর আর কোনো বিষয়ে আপিল করা উচিত নয়। অন্তত যতক্ষণ না বিদ্যমান মামলাগুলো সমাধান হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অনেক আগেই সতর্ক করে বলেছিল—মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলো বিশ্বায়নের ওপর থেকে মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক নীতি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে। গত মাসেও সংস্থাটি সতর্ক করেছিল যে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যদি একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে তা বিশ্ব অর্থনীতিকে বিভক্ত করে ফেলবে এবং বৈশ্বিক আয় ৫ শতাংশ কমে যাবে।
২০১৮ সালের দিকে বিশ্বজুড়ে আমদানি নীতি শিথিল হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসে চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি কমে আসে, কিন্তু অন্য দেশগুলোও জবাবে পাল্টা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে বিশ্বে গড়ে ২১টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতো। কিন্তু ২০২২ সালেই এককভাবে ১৩৯টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর অধিকাংশই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো।
এই বিষয়গুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যেমন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে এবং প্রযুক্তি খাতে উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও আলাদাভাবে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে আইন করেছে, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সব মিলিয়ে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ক্রমেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরভিত্তিক থিংক ট্যাংক হাইনরিখ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো কেইথ রকওয়েল বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা দিনে দিনে অপ্রাসঙ্গিক এক ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।’
রকওয়েলের মতে, নীতির প্রশ্নে মানুষ এখন আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাধ্যবাধকতার প্রতি খুব বেশি অনুগত থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছে না। তবে মাত্র এক দশক আগেও এমন ছিল না। তাঁর মতে, ওয়াশিংটনের কারণেই নিয়মভিত্তিক যে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা ছিল তা এখন আর নজরে নেই।
তার বদলে দেশগুলো এখন নিজস্ব স্বার্থে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে ব্যবহার করছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থার নিয়ম ব্যবহার করে ধাতু আমদানি কমিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন উপসাগরীয় দেশ যেমন—কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে। চীনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাতব পদার্থ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। বিপরীতে টেক দুনিয়ায় চীনের প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে হচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে, সংস্থার সব সদস্যই এক বাক্যে স্বীকার করছে যে, সংস্থার সংস্কার দরকার। কিন্তু বিষয়টি চাইলেই কি সম্ভব? উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সংস্থার আপিল বিভাগ সংক্রান্ত কোনো পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র খুব সহজেই মানতে চাইবে না। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য প্রবাহ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময়ে এসে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্থাটি কীভাবে খাপ খাইয়ে নেবে তাও ভাবার বিষয় রয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সংস্কারের বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত থাকতে পারে। বিশেষ করে, বিগত কয়েক বছর ধরেই বাইডেন প্রশাসন বিশ্বাস করে আসছে যে, বিশ্ব বাণিজ্যের উদারীকরণ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পক্ষে যায়নি। ২০২৪ সালের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন জনমানসেও বিষয়টি বদ্ধমূল হতে পারে।
এই অবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি-নির্ধারকদের আবেদন হলো—পুনর্বিশ্বায়নের মাধ্যমে বিশ্বকে আবারও একই সুতোয় গাঁথার বা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি ইস্যুতে এই বিষয়টি খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে ডব্লিউটিওর মহাসচিব এনগোজি ওকোঞ্জো-ওয়েইলা বলেন, ‘আমরা একটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে গেছি এবং নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার পরিবর্তে আমরা ক্ষমতাকেন্দ্রিক একটি ব্যবস্থার অংশ হয়ে গেছি।’
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। যেন বিভক্ত এক বিশ্বের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে সংস্থাটি। আর এই বিভক্তির মূল দৃশ্যপটে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ‘বাণিজ্যিক স্বার্থ’ পুঁথিগত নামে এসব বিরোধ পরিচিত হলেও এর গণ্ডি বিশ্ব রাজনীতি ছুঁয়েছে। একপক্ষীয় সিদ্ধান্তে গোঁ ধরার কারণে ডব্লিউটিও অচল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউটিওর আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ আটকে দেয়। দেশটির অভিযোগ ছিল, ক্ষমতার বাইরে গিয়ে চর্চা করছে আপিল বিভাগ। সেই ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের ২৯টি অভিযোগ আপিলে জমে আছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে চীন, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
এই বিষয়টি ডব্লিউটিওর আপিল বিভাগকে অচলাবস্থার মধ্যে এনে ফেলেছে। বিষয়টি উল্লেখ করে গত মাসে সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক অ্যালান উলফ এক সম্মেলনে বলেন, ২০২৪ সাল থেকে সদস্য দেশগুলোর আর কোনো বিষয়ে আপিল করা উচিত নয়। অন্তত যতক্ষণ না বিদ্যমান মামলাগুলো সমাধান হচ্ছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অনেক আগেই সতর্ক করে বলেছিল—মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলো বিশ্বায়নের ওপর থেকে মানুষের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক নীতি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য বাড়ছে। গত মাসেও সংস্থাটি সতর্ক করেছিল যে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যদি একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে তা বিশ্ব অর্থনীতিকে বিভক্ত করে ফেলবে এবং বৈশ্বিক আয় ৫ শতাংশ কমে যাবে।
২০১৮ সালের দিকে বিশ্বজুড়ে আমদানি নীতি শিথিল হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসে চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি কমে আসে, কিন্তু অন্য দেশগুলোও জবাবে পাল্টা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে বিশ্বে গড়ে ২১টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতো। কিন্তু ২০২২ সালেই এককভাবে ১৩৯টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর অধিকাংশই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো।
এই বিষয়গুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যেমন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে এবং প্রযুক্তি খাতে উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও আলাদাভাবে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে আইন করেছে, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সব মিলিয়ে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ক্রমেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরভিত্তিক থিংক ট্যাংক হাইনরিখ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো কেইথ রকওয়েল বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা দিনে দিনে অপ্রাসঙ্গিক এক ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে।’
রকওয়েলের মতে, নীতির প্রশ্নে মানুষ এখন আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বাধ্যবাধকতার প্রতি খুব বেশি অনুগত থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছে না। তবে মাত্র এক দশক আগেও এমন ছিল না। তাঁর মতে, ওয়াশিংটনের কারণেই নিয়মভিত্তিক যে বাণিজ্যিক ব্যবস্থা ছিল তা এখন আর নজরে নেই।
তার বদলে দেশগুলো এখন নিজস্ব স্বার্থে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে ব্যবহার করছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র এই সংস্থার নিয়ম ব্যবহার করে ধাতু আমদানি কমিয়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন উপসাগরীয় দেশ যেমন—কাতারের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে। চীনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাতব পদার্থ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। বিপরীতে টেক দুনিয়ায় চীনের প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে হচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে, সংস্থার সব সদস্যই এক বাক্যে স্বীকার করছে যে, সংস্থার সংস্কার দরকার। কিন্তু বিষয়টি চাইলেই কি সম্ভব? উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সংস্থার আপিল বিভাগ সংক্রান্ত কোনো পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্র খুব সহজেই মানতে চাইবে না। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য প্রবাহ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময়ে এসে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্থাটি কীভাবে খাপ খাইয়ে নেবে তাও ভাবার বিষয় রয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সংস্কারের বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত থাকতে পারে। বিশেষ করে, বিগত কয়েক বছর ধরেই বাইডেন প্রশাসন বিশ্বাস করে আসছে যে, বিশ্ব বাণিজ্যের উদারীকরণ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পক্ষে যায়নি। ২০২৪ সালের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন জনমানসেও বিষয়টি বদ্ধমূল হতে পারে।
এই অবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি-নির্ধারকদের আবেদন হলো—পুনর্বিশ্বায়নের মাধ্যমে বিশ্বকে আবারও একই সুতোয় গাঁথার বা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ ইত্যাদি ইস্যুতে এই বিষয়টি খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে ডব্লিউটিওর মহাসচিব এনগোজি ওকোঞ্জো-ওয়েইলা বলেন, ‘আমরা একটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে গেছি এবং নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার পরিবর্তে আমরা ক্ষমতাকেন্দ্রিক একটি ব্যবস্থার অংশ হয়ে গেছি।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৪ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৪ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে