মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের এক প্রকৌশলী কোম্পানির ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের উড়োজাহাজে মারাত্মক ত্রুটির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি এই সিরিজের সব ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ড (উড্ডয়ন স্থগিত) করার আহ্বান জানিয়েছেন। ওই প্রকৌশলীর দাবি, দূরপাল্লার এই জেটগুলোর বিভিন্ন অংশের সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল, যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
বোয়িংয়ের মান যাচাইকারী প্রকৌশলী স্যাম সালেহপুর গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৭৭ জেট সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। এনবিসি নাইটলি নিউজের সঙ্গে টিভি সাক্ষাৎকারে সালেহপুর সমস্ত ড্রিমলাইনার পরিষেবা থেকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
তিনি এনবিসির লেস্টার হল্টকে বলেন, জীবনে এত গুরুতর ত্রুটি আর দেখেননি। তিনি কখনোই পরিবারকে নিয়ে ৭৮৭ জেটে ভ্রমণ করবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
সালেহপুর দাবি করেন, বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৭৭ জেট নির্মাণের সময় অর্থ সাশ্রয়ের জন্য শর্টকাট পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল। যন্ত্রাংশ সংযোজন প্রক্রিয়া চলাকালীন ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মূল কাঠামো বা ফিউজলেসের জোড়াগুলো ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি, সামান্য ফাঁক রয়ে গেছে। বারবার উড্ডয়নের চাপে ফিউজলেসটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়তে পারে।
ওই প্রকৌশলী দাবি করেন, তিনি যখন বোয়িং কর্তৃপক্ষের কাছে অভ্যন্তরীণভাবে এই বিষয়গুলো উত্থাপন করেছিলেন, তখন তারা উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। তাঁকে ৭৮৭ প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে ৭৭৭ জেটে কাজ করার জন্য পাঠায়। সেখানেও তিনি একই পরিবেশ দেখেছেন। একই কৌশল গ্রহণের কারণে ৭৭৭ সিরিজের নিরাপত্তাও বিপন্ন হয়।
সালেহপুর গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়েছিলেন। আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের দরজার প্লাগ মাঝ আকাশে উড়ে যাওয়ার ঘটনায় বোয়িং যখন তীব্র সমালোচনার মুখে, ওই সময় এফএএর কাছে অভিযোগটি দিয়েছিলেন সালেহপুর।
এফএএ বলেছে, তাঁর দাবিগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
বোয়িংয়ের দাবি, ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। গুণগত মানের ব্যাপারে তারা কখনো ছাড় দেয় না। এ ছাড়া কোম্পানিটি ৭৭৭ সিরিজের নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থাশীল বলেও জানিয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে ২০২১ সাল থেকে প্রায় দুই বছর ৭৮৭–এর উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল এফএএ। গ্রাহকদের কাছে নতুন ৭৮৭ বিমান সরবরাহ করার জন্য এফএএর অনুমোদন পুনরুদ্ধার করতে বোয়িংকে এই উড়োজাহাজের ১ লাখ ৬৫ হাজার উড্ডয়ন ও অবতরণ চাপ–পরীক্ষা করে দেখাতে হয়েছে।
বোয়িং বলেছে, বিশ্বব্যাপী ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের উড়োজাহাজ পরিষেবায় রয়েছে ১ হাজার ১০০ টির বেশি। এর মধ্যে ৬৮৯টি উড়োজাহাজ তারা পরীক্ষা করেছে বলে এনবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু সালেহপুর দাবি করেছেন, বোয়িং কখনোই ফিউজলেসের সমস্যাটি ঠিক করেনি। তারা এফএএর কাছে বিষয়টি গোপন করেছে। এফএএ ২০২২ সালে বোয়িংকে নতুন ৭৮৭ সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের এক প্রকৌশলী কোম্পানির ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের উড়োজাহাজে মারাত্মক ত্রুটির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি এই সিরিজের সব ড্রিমলাইনার গ্রাউন্ড (উড্ডয়ন স্থগিত) করার আহ্বান জানিয়েছেন। ওই প্রকৌশলীর দাবি, দূরপাল্লার এই জেটগুলোর বিভিন্ন অংশের সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল, যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
বোয়িংয়ের মান যাচাইকারী প্রকৌশলী স্যাম সালেহপুর গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৭৭ জেট সম্পর্কে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। এনবিসি নাইটলি নিউজের সঙ্গে টিভি সাক্ষাৎকারে সালেহপুর সমস্ত ড্রিমলাইনার পরিষেবা থেকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।
তিনি এনবিসির লেস্টার হল্টকে বলেন, জীবনে এত গুরুতর ত্রুটি আর দেখেননি। তিনি কখনোই পরিবারকে নিয়ে ৭৮৭ জেটে ভ্রমণ করবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
সালেহপুর দাবি করেন, বোয়িং ৭৮৭ এবং ৭৭৭ জেট নির্মাণের সময় অর্থ সাশ্রয়ের জন্য শর্টকাট পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল। যন্ত্রাংশ সংযোজন প্রক্রিয়া চলাকালীন ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মূল কাঠামো বা ফিউজলেসের জোড়াগুলো ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি, সামান্য ফাঁক রয়ে গেছে। বারবার উড্ডয়নের চাপে ফিউজলেসটি মাঝ আকাশে ভেঙে পড়তে পারে।
ওই প্রকৌশলী দাবি করেন, তিনি যখন বোয়িং কর্তৃপক্ষের কাছে অভ্যন্তরীণভাবে এই বিষয়গুলো উত্থাপন করেছিলেন, তখন তারা উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। তাঁকে ৭৮৭ প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে ৭৭৭ জেটে কাজ করার জন্য পাঠায়। সেখানেও তিনি একই পরিবেশ দেখেছেন। একই কৌশল গ্রহণের কারণে ৭৭৭ সিরিজের নিরাপত্তাও বিপন্ন হয়।
সালেহপুর গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়েছিলেন। আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের দরজার প্লাগ মাঝ আকাশে উড়ে যাওয়ার ঘটনায় বোয়িং যখন তীব্র সমালোচনার মুখে, ওই সময় এফএএর কাছে অভিযোগটি দিয়েছিলেন সালেহপুর।
এফএএ বলেছে, তাঁর দাবিগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
বোয়িংয়ের দাবি, ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। গুণগত মানের ব্যাপারে তারা কখনো ছাড় দেয় না। এ ছাড়া কোম্পানিটি ৭৭৭ সিরিজের নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থাশীল বলেও জানিয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগে ২০২১ সাল থেকে প্রায় দুই বছর ৭৮৭–এর উৎপাদন বন্ধ রেখেছিল এফএএ। গ্রাহকদের কাছে নতুন ৭৮৭ বিমান সরবরাহ করার জন্য এফএএর অনুমোদন পুনরুদ্ধার করতে বোয়িংকে এই উড়োজাহাজের ১ লাখ ৬৫ হাজার উড্ডয়ন ও অবতরণ চাপ–পরীক্ষা করে দেখাতে হয়েছে।
বোয়িং বলেছে, বিশ্বব্যাপী ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সিরিজের উড়োজাহাজ পরিষেবায় রয়েছে ১ হাজার ১০০ টির বেশি। এর মধ্যে ৬৮৯টি উড়োজাহাজ তারা পরীক্ষা করেছে বলে এনবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু সালেহপুর দাবি করেছেন, বোয়িং কখনোই ফিউজলেসের সমস্যাটি ঠিক করেনি। তারা এফএএর কাছে বিষয়টি গোপন করেছে। এফএএ ২০২২ সালে বোয়িংকে নতুন ৭৮৭ সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ৩৯টি নির্দেশনামূলক পদক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) গ্রিন রোডে পানি ভবনে বোর্ডের কার্যালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংস্থার মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহর এক মতবিনিময় সভায় এসব নির্দেশনা উপস্থাপন কর
২ ঘণ্টা আগেরুচি সস অ্যান্ড কেচাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় তারকা সিয়াম আহমেদ। দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সুপরিচিত এই ব্র্যান্ডটির সঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভ
৩ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করাই এই বৈঠকের মূল বিষয় বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, যদি কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনে
৩ ঘণ্টা আগেএ সময় তিনি এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় বাড়ানোর জন্য পাঁচটি কারণ বা যুক্তি তুলে ধরেন। সেগুলো হচ্ছে—১. ভালো বাণিজ্য দর-কষাকষির জন্য, ২. তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি বৈচিত্র্য আনা, ৩. শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, ৪. বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ৫. প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং জলবায়ু সহনশীলতা টেকসই করা।
৪ ঘণ্টা আগে