Ajker Patrika

সিন্ডিকেটে চড়া চালের বাজার

  • সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা।
  • এমন পরিস্থিতির জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন সাধারণ ক্রেতারা।
  • কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় দাম বেড়েছে: বিক্রেতা
  • টাস্কফোর্সের মাধ্যমে দ্রুত অভিযান চালানো হবে: কর্মকর্তা
মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের অস্থায়ী চালের বাজারে বেচাকেনা। গতকাল তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের অস্থায়ী চালের বাজারে বেচাকেনা। গতকাল তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষের দিকে। ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে নতুন চাল। তবে দামে স্বস্তি আসেনি। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চাল কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা পুরোনো চালেরও। ভরা মৌসুমে এমন পরিস্থিতির জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাঁদের দাবি, সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সুযোগ নিচ্ছেন আড়তদার ও মিলমালিকেরা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বড় বড় আড়তদার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়বে।

শস্যভান্ডারখ্যাত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে ১০০ কেজির স্বর্ণা-৫ জাতের চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪ হাজার ৮০০ টাকা। গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ টাকা। বাবু কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া এশিয়ান কাটারি (মিনিকেট) পুরোনো চাল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার টাকা। ২৮ জাতের (পুরোনো) চাল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ টাকা। ২৯ জাতের (পুরোনো) চাল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার টাকা।

ফুলবাড়ী পৌর শহরে চাল কিনতে আসা শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘সারা বছরই চাল কিনে খেতে হয়। নতুন ধান ওঠায় মনে করেছিলাম দাম হয়তো কিছুটা কমবে। বাজারে এসে শুনি কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমরা সাধারণ মানুষ কী করে চলব?’

পৌর শহরের চাল ব্যবসায়ী যুগল কুমার সাহা, শাহিনুর কবির ও খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি থাকার কারণে চালের দাম বেশি। বর্তমানে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। চালের দাম প্রকারভেদে প্রতি বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেড়েছে। সামনে হয়তো আরও বাড়তে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ব্রি-৩৪ জাতের (জিরা কাটারিভোগ) ধান চাষ হয়েছে। তা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য ধারা হয়েছে ৩৯ হাজার ৯০০ টন। এতে শুধু জিরা কাটারিভোগ বা ব্রি-৩৪ জাতের চিকন ধান চাষ হয়েছে শতকরা ৪৯ ভাগ। বাকি ৫১ ভাগ জমিতে চাষ করা হয়েছে মোটা এবং মাঝারি স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, ব্রি-৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ জাতের ধান, যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ হাজার ৬০ টন।

মিলমালিক আফতার আলী বলেন, ‘এ বছর কৃষকেরা বেশি লাভের আশায় উপজেলার ৮০ শতাংশ জমিতে জিরা কাটারি জাতের সুগন্ধি চিকন ধান আবাদ করেছেন। বাকি ২০ শতাংশ জমিতে মোটা ধান আবাদ করেছেন। সে কারণে মোটা ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি আমন মৌসুমে ১০-১২ হাজার টন ধান কিনি। কিন্তু এবার মাত্র ৩ হাজার টন ধান কিনতে পেরেছি। ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের বাজার চড়া।’

একই চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। সেখানে তিন মৌসুমে ইরি, বোরো ও আমন ধান চাষ হয়। বর্তমানে বাজারে উঠছে নতুন আমন ধান। এরপরও হঠাৎ বৃদ্ধি পাচ্ছে সব ধরনের চালের দাম। সপ্তাহখানেক আগেও স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকায়, সে চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা; ২৮ চাল বিক্রি হতো ৬৭ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে। জিরা চাল ৭৭ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা, কাটারি চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকার ওপরে। এ ছাড়া বাসমতী চালও একইভাবে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে।

নিয়ামত আলী নামের এক চাল ক্রেতা বলেন, ‘গত সপ্তাহে স্বর্ণা চাল কিনেছেন ৫০ টাকায়, সে চাল আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। এখন চালের ভরা মৌসুম। দাম বাড়ানোর সুযোগ দেখছি না। নিশ্চয়ই দাম বাড়ানোর পেছনে বড় কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে। তাদের প্রতিরোধ করা দরকার।’

খুচরা বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, সয়াবিন তেলের মতো চালের দাম বাড়াতে সিন্ডিকেট করে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন মিলমালিক ও আড়তদারেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই নিয়ন্ত্রণ হবে চালের বাজার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, সিন্ডিকেট করে বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে দ্রুত অভিযান চালানো হবে। কোনো মিলমালিক বা আড়তদার যদি মজুত করে চালের দাম বাড়ান, ছাড় দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে প্রশাসক টিমের মতবিনিময়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার আজ ব্যাংকের করপোরেট শাখার গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মুরাদ আনছারুল কবির, অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও যুগ্ম পরিচালক মো. ওমর ফারুক, ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও চাহিদার কথা আন্তরিকতার সঙ্গে শোনেন এবং তাঁদের আশ্বস্ত করেন, এই ব্যাংকে তাঁদের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের ফলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন ও অন্যান্য কার্যক্রম শিগগিরই স্বাভাবিক হবে।’ এ সময় তিনি গ্রাহকদের আস্থার সঙ্গে এই ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হলো কেব্‌লস

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ক্যাব্‌লস। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটনের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ক্যাব্‌লস। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নতমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে নিরাপদ ও উচ্চ গুণগতমানের কেব্‌লস তৈরি করছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও কেব্‌লস রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

সে জন্য বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরি সংস্থার কাছে সংশ্লিষ্ট দেশে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাত করার অনুমতিপত্র প্রদানের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মালদ্বীপে মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাত করার অনুমতিপত্র প্রদান করেছে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটি। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কেব্‌লস রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে টেক জায়ান্ট ওয়ালটন। সেই সঙ্গে ওয়ালটনের রপ্তানিকৃত পণ্যের তালিকায় নতুন যুক্ত হলো কেব্‌লস প্রোডাক্ট।

ওয়ালটন কেব্‌লসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হাসিবুল হক জানান, মালদ্বীপে কেব্‌লস বাজারজাতের আগে দেশটির ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটির কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। বাজারজাতকৃত কেব্‌লসের গুনগতমান শুধু আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করলেই সংস্থাটি অনুমোদন প্রদান করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির কাছে মালদ্বীপের মেইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং ডিস্ট্রিবিউশনে ওয়ালটন কেব্‌লস ব্যবহারের অনুমতিপত্র প্রদানের আবেদন করে দেশটিতে নিযুক্ত ওয়ালটনের পরিবেশক ‘রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেড’। ওবি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন কেব্‌লসের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মালে ইউটিলিটি রেগুলেটরি অথোরিটি। ওয়ালটন কেব্‌লসের গুনগতমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করায় সংস্থাটি রানফাউনকে ওয়ালটন কেব্‌লস বাজারজাতের অনুমতিপত্র প্রদান করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন কেব্‌লসের দুটি শিপমেন্ট মালে পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকটি শিপমেন্ট পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।

ওয়ালটন কেব্‌লসের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) রাজু আহমেদ বলেন, মালদ্বীপ একটি ছোট দেশ হলেও দেশটির মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য মালদ্বীপ। দেশটিতে কেব্‌লসের প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে। প্রতিবছর চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে এই বাজারও বড় হচ্ছে। ওয়ালটন নিরাপদ ও উন্নতমানের কেব্‌লস সরবরাহের মাধ্যমে দেশটির সম্ভাবনাময় এই বাজারে দ্রুত শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, ওয়ালটন দেশে হাউসহোল্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কমিউনিকেশন, টেইলরমেইডসহ সব ধরনের কেব্‌লস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। নিরাপদ ও উন্নতমানের হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ওয়ালটন কেব্‌লসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাজারে চলতি অর্থবছরে ওয়ালটনের উল্লেখযোগ্য অঙ্কের কেব্‌লস বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ওয়ালটন কেব্‌লসের রপ্তানিও দ্রুত বাড়ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপের পর শিগগিরই আরও চারটি নতুন দেশে ওয়ালটন কেব্‌লসের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মালদ্বীপে কেব্‌লসের পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনারও রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। দেশটিতে পর্যায়ক্রমে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিনসহ ওয়ালটনের অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী রপ্তানি শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের।

ওয়ালটনের লক্ষ্য হলো—বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব হাই-টেক পণ্য উৎপাদন হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্য পূরণে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে এই টেক জায়ান্ট। ইতিমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৫০টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম শূন্য ঘোষণার বিষয়ে গভর্নরের বক্তব্য চূড়ান্ত নয়, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি

একীভূত হওয়ার পথে থাকা পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি সরকার দেখবে বলেও জানান তিনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

একীভূত হওয়ার পথে থাকা পাঁচ ব্যাংক হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারগুলোর মূল্য শূন্য হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

অর্থ উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে, এটা আমরা দেখব। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যেটা বলেছেন, সেটাই চূড়ান্ত কথা নয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ মন্ত্রী মর্যাদার করার প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। সমষ্টিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে এ ব্যাপারে কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ধাতু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল চীন

এএফপি, বেইজিং
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ধাতু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল চীন

আধুনিক প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিন ধাতু—গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে চীন।

আজ রোববার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সর্বশেষ পদক্ষেপ।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তথাকথিত দ্বৈত ব্যবহারের পণ্যের ওপর আরোপিত ছিল; যেগুলোর বেসামরিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্ভব। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর থাকা নিষেধাজ্ঞাটি এখন ২০২৬ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ঘোষণাটি আসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর। যেখানে দুই নেতা পারস্পরিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে শিথিল করতে সম্মত হন।

একসময় দুই দেশের মধ্যে আরোপিত শুল্ক তিন অঙ্কের সীমা ছুঁয়েছিল। যা বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্য প্রবাহ ব্যাহত করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল।

বাণিজ্যযুদ্ধের পুরো সময় চীন তার কৌশলগত খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম ও অ্যান্টিমনি বিরল মৃত্তিকা না হলেও এগুলো আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অপরিহার্য উপাদান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে গ্যালিয়াম উৎপাদনের ৯৪ শতাংশই চীনে হয়, যা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, এলইডি ও সৌর প্যানেলে ব্যবহৃত হয়। জার্মেনিয়ামের ক্ষেত্রে চীনের অংশ ৮৩ শতাংশ, যা ফাইবার অপটিক ও ইনফ্রারেড প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিমনি ব্যবহৃত হয় ব্যাটারি প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশিল্পে—বর্ম ও গোলাবারুদ শক্তিশালী করতে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বৈত ব্যবহারের পণ্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিষিদ্ধ গ্রাফাইট-সম্পর্কিত পণ্যের রপ্তানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। সি-ট্রাম্প বৈঠকের পর এটি বেইজিংয়ের নেওয়া কয়েকটি প্রশমনমূলক উদ্যোগের একটি।

এর আগে গত বুধবার চীন ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক এক বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া সয়াবিনসহ কয়েকটি মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর মার্চ মাসে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কও প্রত্যাহার করা হবে—যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল।

ট্রাম্প গত অক্টোবরের শেষের দিকে ঘোষণা দেন, চীন এক বছরের জন্য বিরল মৃত্তিকা প্রযুক্তি রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করতে রাজি হয়েছে।

বিরল মৃত্তিকা বা রেয়ার আর্থস এমন এক কৌশলগত খাত, যা চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং যা প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল ও ভোক্তা ইলেকট্রনিকস শিল্পের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত