ফারুক মেহেদী, ঢাকা
নিত্যপণ্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়ার চাপে রয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে করোনায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার আপাতত আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছে না। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোই সরকারের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, প্রণোদনা দিলে অর্থনীতিতে আরও চাপ বাড়বে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পর্যালোচনা করতে হবে।
করোনায় গত দেড় বছরে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে এসএমই, পর্যটন, পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি সেবা খাতের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। তাই ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা মহলের পক্ষ থেকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করা এবং কোন কোন খাত কী রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) একটি জরিপ পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফলাফল এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
এদিকে, করোনা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসায় প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসার পর নতুন করে বিপত্তি তৈরি করছে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।
কিছুদিন ধরে প্রায় সবকটি নিত্যপণ্যের দামই অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবেই গত এক মাসে পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, আটাসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাস্তবে এই বৃদ্ধি আরও বেশি। এতে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রণোদনা দেওয়ার কথা সরকার আর ভাবছে না বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া আগের প্রণোদনাই এখনো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আগেরটির বাস্তবায়ন দরকার। তিনি মনে করেন, পণ্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, এখন প্রণোদনা দেওয়া মানে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়া। এর ফলে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেওয়ার কোনো মানে নেই। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ সামলানোই সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাবে দেখা যায়, দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে বেড়েছে। গত জুলাইয়ে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সেখানে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে। একই সময়ের ব্যবধানে খাদ্যপণ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে গত এক মাসে নিত্যপণ্যের দাম যেহেতু অনেক বেড়েছে, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের হিসাবেও মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। ফলে এখানে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। এটা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে।’
নিত্যপণ্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়ার চাপে রয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে করোনায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার আপাতত আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছে না। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোই সরকারের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, প্রণোদনা দিলে অর্থনীতিতে আরও চাপ বাড়বে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পর্যালোচনা করতে হবে।
করোনায় গত দেড় বছরে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে এসএমই, পর্যটন, পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি সেবা খাতের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। তাই ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা মহলের পক্ষ থেকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করা এবং কোন কোন খাত কী রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) একটি জরিপ পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফলাফল এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
এদিকে, করোনা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসায় প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসার পর নতুন করে বিপত্তি তৈরি করছে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।
কিছুদিন ধরে প্রায় সবকটি নিত্যপণ্যের দামই অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবেই গত এক মাসে পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, আটাসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাস্তবে এই বৃদ্ধি আরও বেশি। এতে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। এ অবস্থায় সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রণোদনা দেওয়ার কথা সরকার আর ভাবছে না বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া আগের প্রণোদনাই এখনো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আগেরটির বাস্তবায়ন দরকার। তিনি মনে করেন, পণ্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, এখন প্রণোদনা দেওয়া মানে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়া। এর ফলে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেওয়ার কোনো মানে নেই। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ সামলানোই সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাবে দেখা যায়, দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে বেড়েছে। গত জুলাইয়ে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সেখানে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে। একই সময়ের ব্যবধানে খাদ্যপণ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে গত এক মাসে নিত্যপণ্যের দাম যেহেতু অনেক বেড়েছে, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের হিসাবেও মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। ফলে এখানে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। এটা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে রাখা টাকা জমা হয় একটি একক অ্যাকাউন্টে। এটি সিসিএ বা সমন্বিত গ্রাহক হিসাব নামে পরিচিত। সেই টাকায় ব্যাংক থেকে যে সুদ আসে, এত দিন তা ছিল একরকম বিতর্কিত সম্পদ।
১ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মধ্যে এপ্রিল মাসে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, মাসজুড়ে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মার্চ মাসের তুলনায় ১২৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার কম।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মূলধন ঘাটতিও। গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ২০টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি যেখানে ৫৩ হাজার ২৫৩ কোটি ছিল, সেখানে ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে...
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ন্যায্য নিয়োগপ্রক্রিয়া এবং বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে একটি কার্যকর জাতীয় নীতির প্রয়োজন। যাতে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সক্ষমতা ও মনোভাব থাকা সত্ত্বেও কেউ কর্মবাজার থেকে বঞ্চিত না হয়। সম্প্রতি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীতে...
১৩ ঘণ্টা আগে