রোকন উদ্দীন, ঢাকা
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক এখন আরও শক্ত অবস্থানে। গত এক দশকে রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশের বেশি। ২০১৫ সালে যেখানে রপ্তানি আয় ছিল ১১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ইউরো, ২০২৪ সালের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ইউরোতে।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিও বেড়েছে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ইইউ দেশগুলো ৭১ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরোর পোশাক আমদানি করেছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ইউরোতে। অর্থাৎ আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।
২০১৯ সাল পর্যন্ত এই প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। কিন্তু কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় ২০২০ সালে আমদানি কমে যায় প্রায় ১৪ শতাংশ। সেই ধস বাংলাদেশের রপ্তানিতেও আঘাত হানে—২০১৯ সালে ১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ইউরো থেকে নেমে ২০২০ সালে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৩২ বিলিয়নে। তবে পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। গত পাঁচ বছরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ, যেখানে ইইউর মোট আমদানির প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ।
প্রতিযোগিতার দিক থেকেও চিত্র বাংলাদেশের পক্ষে। ইইউ বাজারে সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী চীন গত পাঁচ বছরে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ। অথচ একই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি তার প্রায় তিন গুণ। ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। চীন শীর্ষে থেকে রপ্তানি করেছে ২৪ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ইউরো, আর বাংলাদেশের আয় দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ইউরো। তুরস্ক অনেকটা পিছিয়ে থেকে ৯ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
অন্য প্রতিযোগীদের মধ্যে পাকিস্তান ৬৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখালেও তাদের বাজার আকার বাংলাদেশের তুলনায় ছোট। ভিয়েতনাম ও ভারতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৪৫ ও ৪২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা আরও বড়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকেছে। এই বাস্তবতায়, চীন থেকে সরে আসা ক্রেতাদের অর্ডার মাত্র ৭ থেকে ১০ শতাংশ ধরতে পারলেই বাংলাদেশের রপ্তানি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তবে প্রবৃদ্ধির পথে বড় বাধা রয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, কাস্টমস জটিলতা, ব্যাংকিং খাতের অনিশ্চয়তা ও আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউরোপের বাজারে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারত, যদি অভ্যন্তরীণ বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো কমানো যেত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলতি বছরের তথ্যও আশাব্যঞ্জক। জানুয়ারি-জুন ছয় মাসে বাংলাদেশ ইউরোপে পোশাক রপ্তানি করেছে ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এই সময়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশ এখন ইউরোপের বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। তবে সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে দেশকে অবশ্যই জ্বালানি, ব্যাংকিং ও নীতিগত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক এখন আরও শক্ত অবস্থানে। গত এক দশকে রপ্তানি বেড়েছে ৫৮ শতাংশের বেশি। ২০১৫ সালে যেখানে রপ্তানি আয় ছিল ১১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ইউরো, ২০২৪ সালের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ইউরোতে।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিও বেড়েছে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ইইউ দেশগুলো ৭১ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউরোর পোশাক আমদানি করেছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ইউরোতে। অর্থাৎ আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি।
২০১৯ সাল পর্যন্ত এই প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। কিন্তু কোভিড-১৯-এর ধাক্কায় ২০২০ সালে আমদানি কমে যায় প্রায় ১৪ শতাংশ। সেই ধস বাংলাদেশের রপ্তানিতেও আঘাত হানে—২০১৯ সালে ১৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ইউরো থেকে নেমে ২০২০ সালে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৩২ বিলিয়নে। তবে পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। গত পাঁচ বছরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ, যেখানে ইইউর মোট আমদানির প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ।
প্রতিযোগিতার দিক থেকেও চিত্র বাংলাদেশের পক্ষে। ইইউ বাজারে সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী চীন গত পাঁচ বছরে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ। অথচ একই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি তার প্রায় তিন গুণ। ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ। চীন শীর্ষে থেকে রপ্তানি করেছে ২৪ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ইউরো, আর বাংলাদেশের আয় দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ইউরো। তুরস্ক অনেকটা পিছিয়ে থেকে ৯ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ইউরো রপ্তানি করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
অন্য প্রতিযোগীদের মধ্যে পাকিস্তান ৬৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখালেও তাদের বাজার আকার বাংলাদেশের তুলনায় ছোট। ভিয়েতনাম ও ভারতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৪৫ ও ৪২ শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা আরও বড়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ে ইউরোপের ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকেছে। এই বাস্তবতায়, চীন থেকে সরে আসা ক্রেতাদের অর্ডার মাত্র ৭ থেকে ১০ শতাংশ ধরতে পারলেই বাংলাদেশের রপ্তানি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তবে প্রবৃদ্ধির পথে বড় বাধা রয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, কাস্টমস জটিলতা, ব্যাংকিং খাতের অনিশ্চয়তা ও আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউরোপের বাজারে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারত, যদি অভ্যন্তরীণ বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো কমানো যেত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলতি বছরের তথ্যও আশাব্যঞ্জক। জানুয়ারি-জুন ছয় মাসে বাংলাদেশ ইউরোপে পোশাক রপ্তানি করেছে ১০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। এই সময়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশ এখন ইউরোপের বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে। তবে সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে দেশকে অবশ্যই জ্বালানি, ব্যাংকিং ও নীতিগত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজীকরণ ও হয়রানিমুক্ত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এজন্য তারা ৭ দফা প্রস্তাবনাও দিয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সার্কুলার অর্থনীতি ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে নেদারল্যান্ডসে চার দিনব্যাপী সার্কুলার টেক্সটাইল ট্রেড মিশনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। ‘টুগেদার ফর এ সার্কুলার ফ্যাশন টুমোরো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ মিশন ৮ সেপ্টেম্বর শ
১ দিন আগেদেশে সোনার দাম ক্রমেই বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিন গড়ছে নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বগতি, ডলার-সংকট ও আমদানির জটিলতা প্রভাব ফেলছে স্থানীয় বাজারে। ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
১ দিন আগেব্যাংক খাতে অস্থিরতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমানতে নতুন করে সাড়া মিলেছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসে ব্যাংকে জমা বেড়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা, যা প্রবৃদ্ধির হারে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
২ দিন আগে