রোকন উদ্দীন, ঢাকা
ময়মনসিংহের ভালুকার ক্রাউন ফ্যাশন অ্যাপারেলস গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করেছে তাদের তৈরি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য। তবে মার্কিন প্রশাসনের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্কে ছাড় না পাওয়া গেলে এ বছর রপ্তানির এই অঙ্ক ধরে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এতে অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা ১৭ হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজিও।
ক্রাউন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ-দশ শতাংশ শুল্ক বাড়লে সেটা সমন্বয় করা যায়। কিন্তু ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি মানে আমাকে মোট শুল্ক দিতে হবে সাড়ে ৫০ শতাংশ। এখন যে পণ্যের দাম ১০ ডলার, ১ আগস্ট থেকে তা সরাসরি সাড়ে ১৩ ডলারে বিক্রি করতে হবে। এত শুল্ক কীভাবে সমন্বয় হবে।’
ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৮৮৭ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে ৭৪১ কোটি ডলার বা ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের। এর বাইরে আরও ৯০ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। তবে বড় অঙ্কের রপ্তানির মধ্যে রয়েছে হেডগিয়ার ৩৪ কোটি ডলার, ফুটওয়্যার ২৫ কোটি ডলার, টেক্সটাইল পণ্য ১৯ কোটি ডলার, পাখির পালক, মানুষের চুলসহ বিবিধ পণ্য ১৩ কোটি ডলার এবং চামড়াজাত পণ্য ১০ কোটি ডলার। এসবের বাইরে বাকি সব পণ্য ১০ কোটি ডলারের নিচে।
আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করেছে দেশের মোট ২ হাজার ৩৭৭ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮০১টি প্রতিষ্ঠানের মোট রপ্তানির ৫০ শতাংশের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। এই ৮০১ প্রতিষ্ঠান গত অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট রপ্তানি করেছে ৬৬২ কোটি ডলারের পণ্য। আর শুধু যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ৫০৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৫৮ শতাংশ।
জানা গেছে, তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন (বিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত কারখানা এখন ২ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে নিজেদের শতভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করে ১৬৮ প্রতিষ্ঠান। গত অর্থবছর এসব প্রতিষ্ঠান ২৫৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, শতভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো কারখানাগুলো এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ৩৫ শতাংশের বাড়তি শুল্কে ছাড় না পেলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বিপাকে পড়বে।
নিজেদের তৈরি পণ্যের প্রায় শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে চট্টগ্রামভিত্তিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেল। বাড়তি শুল্কের সিদ্ধান্ত ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্রয়াদেশ আপাতত স্থাগিতের কথা জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্রেতারা জানিয়েছেন, কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্রয় আদেশগুলো আপাতত স্থগিত থাকবে। মূলত তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এখনকার ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের অনেকটই আমাদের ওপর চাপিয়েছে তারা। সুতরাং ৩৫ শতাংশের বোঝা তারা নেবে না। এতে আমাদের দেশের ১৫-১৬শ কারখানা বিপাকে পড়বে। বিশেষ করে আমাদের মতো যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারনির্ভর।’
তবে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘শুল্ক কার্যকর হতে এখনো প্রায় তিন সপ্তাহ সময় রয়েছে। আমরা আশাবাদী, আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হবে। যদি শেষ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে; তবে পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে। বিশেষ করে যারা মার্কিন বাজারে এককভাবে নির্ভরশীল।’ বিজিএমইএ একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ক্ষতির হিসাব তৈরি করছে এবং তা সরকারের শীর্ষ মহলে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান মাহমুদ হাসান।
বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক কমিয়ে চুক্তি করলেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে; ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করলেও আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল রোববার সচিবালয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথমে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি চাচ্ছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এরপর ট্যারিফ (শুল্ক) ও নন-ট্যারিফ (অশুল্ক) বিষয়ে আলোচনা হবে।
ময়মনসিংহের ভালুকার ক্রাউন ফ্যাশন অ্যাপারেলস গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করেছে তাদের তৈরি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য। তবে মার্কিন প্রশাসনের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্কে ছাড় না পাওয়া গেলে এ বছর রপ্তানির এই অঙ্ক ধরে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এতে অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা ১৭ হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজিও।
ক্রাউন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ-দশ শতাংশ শুল্ক বাড়লে সেটা সমন্বয় করা যায়। কিন্তু ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি মানে আমাকে মোট শুল্ক দিতে হবে সাড়ে ৫০ শতাংশ। এখন যে পণ্যের দাম ১০ ডলার, ১ আগস্ট থেকে তা সরাসরি সাড়ে ১৩ ডলারে বিক্রি করতে হবে। এত শুল্ক কীভাবে সমন্বয় হবে।’
ট্রেডিং ইকোনমিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৮৮৭ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে ৭৪১ কোটি ডলার বা ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের। এর বাইরে আরও ৯০ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। তবে বড় অঙ্কের রপ্তানির মধ্যে রয়েছে হেডগিয়ার ৩৪ কোটি ডলার, ফুটওয়্যার ২৫ কোটি ডলার, টেক্সটাইল পণ্য ১৯ কোটি ডলার, পাখির পালক, মানুষের চুলসহ বিবিধ পণ্য ১৩ কোটি ডলার এবং চামড়াজাত পণ্য ১০ কোটি ডলার। এসবের বাইরে বাকি সব পণ্য ১০ কোটি ডলারের নিচে।
আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করেছে দেশের মোট ২ হাজার ৩৭৭ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮০১টি প্রতিষ্ঠানের মোট রপ্তানির ৫০ শতাংশের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। এই ৮০১ প্রতিষ্ঠান গত অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট রপ্তানি করেছে ৬৬২ কোটি ডলারের পণ্য। আর শুধু যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ৫০৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৫৮ শতাংশ।
জানা গেছে, তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন (বিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত কারখানা এখন ২ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে নিজেদের শতভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করে ১৬৮ প্রতিষ্ঠান। গত অর্থবছর এসব প্রতিষ্ঠান ২৫৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, শতভাগ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো কারখানাগুলো এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ৩৫ শতাংশের বাড়তি শুল্কে ছাড় না পেলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বিপাকে পড়বে।
নিজেদের তৈরি পণ্যের প্রায় শতভাগ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে চট্টগ্রামভিত্তিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেল। বাড়তি শুল্কের সিদ্ধান্ত ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্রয়াদেশ আপাতত স্থাগিতের কথা জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম তৈয়ব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ক্রেতারা জানিয়েছেন, কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্রয় আদেশগুলো আপাতত স্থগিত থাকবে। মূলত তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এখনকার ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের অনেকটই আমাদের ওপর চাপিয়েছে তারা। সুতরাং ৩৫ শতাংশের বোঝা তারা নেবে না। এতে আমাদের দেশের ১৫-১৬শ কারখানা বিপাকে পড়বে। বিশেষ করে আমাদের মতো যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারনির্ভর।’
তবে বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘শুল্ক কার্যকর হতে এখনো প্রায় তিন সপ্তাহ সময় রয়েছে। আমরা আশাবাদী, আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হবে। যদি শেষ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে; তবে পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে। বিশেষ করে যারা মার্কিন বাজারে এককভাবে নির্ভরশীল।’ বিজিএমইএ একটি পূর্ণাঙ্গ আর্থিক ক্ষতির হিসাব তৈরি করছে এবং তা সরকারের শীর্ষ মহলে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান মাহমুদ হাসান।
বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক কমিয়ে চুক্তি করলেও বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে; ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করলেও আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল রোববার সচিবালয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথমে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি চাচ্ছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এরপর ট্যারিফ (শুল্ক) ও নন-ট্যারিফ (অশুল্ক) বিষয়ে আলোচনা হবে।
পুঁজিবাজারে অনিয়ম, তদবির ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ওপর নজরদারি জোরদারের সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স। এই লক্ষ্যে তারা একটি শক্তিশালী ‘ওভারসাইট বডি’ বা নজরদারি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা আইনত স্বীকৃত ও কার্
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ২২ বছর পর রাজশাহীতে আবারও বেজেছে কারখানার সাইরেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ‘রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস্’ এখন প্রাণ-আরএফএলের হাতে হয়ে উঠছে কর্মসংস্থানের নতুন বাতিঘর। গতকাল শনিবার বিকেলে ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস্’ পরিদর্শনে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা...
৬ ঘণ্টা আগেআলোচিত ঢাকা-ওয়াশিংটন শুল্ক আলোচনার আনুষ্ঠানিক পর্ব আপাতত শেষ হলেও একটি প্রশ্ন এখন অনেক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে, এই চুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? হিসাব-নিকাশের পর এ থেকে বাংলাদেশের আসলে কতটা লাভ বা ক্ষতি হবে?
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের সস্তা শ্রম, প্রতিযোগীদের তুলনায় কম শুল্কহার ও চীনের ওপর বাড়তি শুল্কের কারণে নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাই...
৮ ঘণ্টা আগে