বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে আগের বছরের তুলনায় কম ধান ও চাল কিনতে যাচ্ছে সরকার। এবার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৪ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৩ লাখ টন কম। সরকারের লক্ষ্য হলো, মজুত ভারসাম্য বজায় রেখে ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ এবং বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় ধান ও চাল সংগ্রহের এ লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। একই সঙ্গে ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্যও সভায় নির্ধারিত হবে।
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে সরকার ১২ থেকে ১৪ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে। তবে কী দামে এসব সংগ্রহ করা হবে, তা পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বিশ্লেষণ করে ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে প্রস্তাব দেবে। সে প্রস্তাব নিয়ে সভায় আলোচনা শেষে সরকারিভাবে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, বোরোর উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং সরকারি গুদামে মজুতও সন্তোষজনক। ফলে গত বছরের কাছাকাছি দামে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হতে পারে।
গত বছর সরকার বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে ধান ছিল ৫ লাখ টন, সেদ্ধ চাল ১১ লাখ টন ও আতপ চাল ১ লাখ টন। সে সময় প্রতি কেজি ধানের মূল্য ছিল ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা ও আতপ চাল ৪৪ টাকা।
সরকারি হিসাবে বর্তমানে গুদামে মজুত রয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ টন খাদ্যশস্য। এর মধ্যে চাল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টন, গম ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৫ টন ও ধান ৩ হাজার ৩৬৭ টন।
একই সময়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৯০ টন ও বেসরকারিভাবে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে আমন ধান-চাল সংগ্রহে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার টন। তবে এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪ টন। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ৫ লাখ টন আমন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও তা এসেছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ টন। সাড়ে ৩ লাখ টন ধানের বিপরীতে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৭১৪ টন এবং ১ লাখ টন আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ৮৪ হাজার ৬১ টন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বোরো সংগ্রহ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে আগের বছরের তুলনায় কম ধান ও চাল কিনতে যাচ্ছে সরকার। এবার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৪ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৩ লাখ টন কম। সরকারের লক্ষ্য হলো, মজুত ভারসাম্য বজায় রেখে ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ এবং বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় ধান ও চাল সংগ্রহের এ লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। একই সঙ্গে ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্যও সভায় নির্ধারিত হবে।
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে সরকার ১২ থেকে ১৪ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে। তবে কী দামে এসব সংগ্রহ করা হবে, তা পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ বিশ্লেষণ করে ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে প্রস্তাব দেবে। সে প্রস্তাব নিয়ে সভায় আলোচনা শেষে সরকারিভাবে চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, বোরোর উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং সরকারি গুদামে মজুতও সন্তোষজনক। ফলে গত বছরের কাছাকাছি দামে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হতে পারে।
গত বছর সরকার বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে ধান ছিল ৫ লাখ টন, সেদ্ধ চাল ১১ লাখ টন ও আতপ চাল ১ লাখ টন। সে সময় প্রতি কেজি ধানের মূল্য ছিল ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা ও আতপ চাল ৪৪ টাকা।
সরকারি হিসাবে বর্তমানে গুদামে মজুত রয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮৫৪ টন খাদ্যশস্য। এর মধ্যে চাল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯২১ টন, গম ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৫ টন ও ধান ৩ হাজার ৩৬৭ টন।
একই সময়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৯০ টন ও বেসরকারিভাবে ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৭০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে আমন ধান-চাল সংগ্রহে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার টন। তবে এখন পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪ টন। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ৫ লাখ টন আমন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও তা এসেছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৬০ টন। সাড়ে ৩ লাখ টন ধানের বিপরীতে সংগৃহীত হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৭১৪ টন এবং ১ লাখ টন আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ৮৪ হাজার ৬১ টন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বোরো সংগ্রহ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাজার স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের খাইশি গ্রুপ আবারও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। আজ সোমবার ৪ কোটি ৫ হাজার ডলারের একটি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪৮৮ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে চীনের লেসো গ্রুপ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ দশমিক ৫ একর জমি হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংক খাতের আলোচনায় বারবার ভেসে ওঠে অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপির চিত্র। এর খেসারত দিচ্ছে অর্থনীতি, ভুগছেন সাধারণ গ্রাহক। ঠিক এক বছর আগে দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব সংস্কারে হাত দেন, যার ফলে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব বাস্তবতা।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রপ্তানির একটি বড় অংশ যায় চীনে। সম্প্রতি চীনকে সয়াবিন আমদানি চার গুণ বাড়াতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রোববার স্থানীয় সময় রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চীন সয়াবিনের ঘাটতি নিয়ে চিন্তিত। আমি আশা করি, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা (চার গ
৯ ঘণ্টা আগে