
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি, ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার ইস্যুতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, আইনত প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অর্থ ও সম্পদ থেকে একদিকে ব্যাংকগুলোকে রিক্যাপিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে গঠিত হতে যাচ্ছে একটি জনহিতকর ফান্ড।
রাজধানীতে আজ ‘বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধার: গৃহীত কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হয়, যার সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গভর্নর।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে এবং সরকার আশা করছে, এক বছরের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। প্রয়োজনীয় আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জব্দ অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ফান্ড গঠন
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাংক লুটের মাধ্যমে যারা অর্থ আত্মসাৎ করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারের মূল্য প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই শেয়ারগুলো থেকে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকিং খাতকে চাঙা করতে ব্যবহার হবে।
অপরদিকে, যে অর্থগুলো ব্যাংক সংক্রান্ত নয়, বরং ভিন্নভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত— সেগুলো থেকে একটি বিশেষ ফান্ড বা তহবিল গঠন করা হবে, যেটি জনহিতকর খাতে ব্যবহার করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা হলো— এই ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
গভর্নর জানান, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সাধারণত ৪-৫ বছর সময় লাগে। তবে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা যেমন বিদেশে সম্পদ ফ্রিজ করা যেতে পারে বছরের মধ্যেই, যদি দেশের অভ্যন্তরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর জন্য ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স’ (MLA) ব্যবস্থার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, যুক্তরাজ্য সরকারের আইএসিসিসি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একজন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশে কাজ করবেন। দুবাইতেও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক ও সরকারের অবস্থান
‘নগদ’ এর আগের ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ৬৫০ কোটি টাকার ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এই ম্যানেজমেন্টের হাতে কোনোভাবেই ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আদালতের রায়ের কারণে আগের মালিকানা ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। এদিকে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নগদের মাধ্যমে নতুন কোনো লেনদেন বা ক্যাশ আউট না হয়। ফলে সরকার আশ্বস্ত যে, নতুন করে অর্থপাচারের ঝুঁকি নেই, তবে তথ্য মুছে ফেলা বা প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্নীতি তদন্তে আইনগত কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের অর্থপাচার ও আত্মসাতে সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও গভর্নর বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রয়োজনে চার্জশিট দেবে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও গভর্নর কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত তদন্ত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরিচালনা করছেন এবং প্রমাণ সংগ্রহে প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও আইনি বাস্তবতা: প্যারালাল গভর্নেন্স প্রশ্নে
নগদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে— আদালতের কিছু সিদ্ধান্ত ও আইনজীবীদের অবস্থান থেকে কী কোনো ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’ কাজ করছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য না করলেও বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তার দায়িত্ব পালনে কোনো ছাড় দিচ্ছে না।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় দুটি প্রতিবন্ধকতা হলো— ১. আন্তর্জাতিক মানের প্রমাণ ও ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতির ঘাটতি। ২. দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও বিদেশি আদালতের জটিলতা।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার তদন্ত কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিতে আগ্রহী।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে চলমান দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। ব্যাংক পুনর্গঠন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা এবং একটি জনহিত ফান্ড গঠন— এই তিনটি ধাপে সরকার এগোচ্ছে।
যদিও রাজনৈতিক, আইনি এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে সরকার মনে করে, এই কাঠামোর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জব্দকৃত অর্থ ব্যাংক খাতে পুনঃবিনিয়োগ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে জনহিতকর ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ‘নগদ’ নিয়ে বিতর্ক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আই
১৯ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৬ ঘণ্টা আগে