আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। অথচ দেশের বাজারে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান মাসে বাড়তি ফায়দা লুটতেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৬৫১ মার্কিন ডলার। চলতি মার্চ মাসে তা নেমে এসেছে ১ হাজার ৩৩৬ ডলারে। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৩১৫ ডলার।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণপত্র (এলসি) এবং বিল দেওয়া নিয়ে জটিলতায় দেশে ভোজ্যতেল আমদানি কমেছে। শিগগির এই জটিলতা না কাটলে সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিকুল আথহার তসলিম বলেন, গত নভেম্বর মাসের আমদানি করা ভোজ্যতেলের বিল এখনো বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিলের জটিলতায় ২৭০ দিনের আগে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করতে পারছে না। এখন পণ্য আমদানি করলে সেটি কী দামে বিক্রি করা হবে, এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, রাজধানী ও আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে দাম বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। আর পাম তেলে ৫ টাকা। আগে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা। বর্তমানে তা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১৩৫ টাকার পাম তেলের কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকার মুদিদোকানি সৌরভ মাহমুদ জানান, দুই সপ্তাহ আগে তিনি পাম তেল বিক্রি করেছিলেন ১৩৫ টাকা কেজি। গতকাল সোমবার তা ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন ১৯০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ছিল ১৮৭ টাকা। পুরান ঢাকার মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছিলেন ১৮১ টাকা কেজি। গতকাল তা ১৮৪ টাকায় বিক্রি করেছেন। আর পাম তেল ছিল ১৩২ টাকা। গতকাল তা ১৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত রোববার প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এক মাস আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৯ টাকা। বর্তমানে তা ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১১৯ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৩ হাজার টন। দেশে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয় ২০ লাখ টন। রমজান মাসে চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ টন। ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়া আর কোনো ট্যাক্স-ভ্যাট নেই।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। অথচ দেশের বাজারে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান মাসে বাড়তি ফায়দা লুটতেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক নিউজপোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৬৫১ মার্কিন ডলার। চলতি মার্চ মাসে তা নেমে এসেছে ১ হাজার ৩৩৬ ডলারে। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৩১৫ ডলার।
ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণপত্র (এলসি) এবং বিল দেওয়া নিয়ে জটিলতায় দেশে ভোজ্যতেল আমদানি কমেছে। শিগগির এই জটিলতা না কাটলে সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিকুল আথহার তসলিম বলেন, গত নভেম্বর মাসের আমদানি করা ভোজ্যতেলের বিল এখনো বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিলের জটিলতায় ২৭০ দিনের আগে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করতে পারছে না। এখন পণ্য আমদানি করলে সেটি কী দামে বিক্রি করা হবে, এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, রাজধানী ও আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে দাম বেড়েছে ৩ টাকা পর্যন্ত। আর পাম তেলে ৫ টাকা। আগে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৮৭ টাকা। বর্তমানে তা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১৩৫ টাকার পাম তেলের কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকার মুদিদোকানি সৌরভ মাহমুদ জানান, দুই সপ্তাহ আগে তিনি পাম তেল বিক্রি করেছিলেন ১৩৫ টাকা কেজি। গতকাল সোমবার তা ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন ১৯০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ছিল ১৮৭ টাকা। পুরান ঢাকার মুদিদোকানি সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করেছিলেন ১৮১ টাকা কেজি। গতকাল তা ১৮৪ টাকায় বিক্রি করেছেন। আর পাম তেল ছিল ১৩২ টাকা। গতকাল তা ১৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত রোববার প্রতি লিটার পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এক মাস আগে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬৯ টাকা। বর্তমানে তা ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১১৯ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৩ হাজার টন। দেশে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয় ২০ লাখ টন। রমজান মাসে চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ টন। ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়া আর কোনো ট্যাক্স-ভ্যাট নেই।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৪ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৪ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
৪ ঘণ্টা আগে