সৌদি আরব ও রাশিয়ার নেতৃত্বে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস উৎপাদন কমিয়ে রাখার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, বর্ধিত আরও ৩ মাস এই উৎপাদন কম থাকবে। মূলত তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে—চলতি মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই সময়সীমা বেড়ে আগামী জুন মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
মূলত ২০২২ সাল থেকে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমিয়ে রেখেছে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা সীমাবদ্ধ রাখতেই সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সর্বশেষ জানুয়ারিতে জোটটি আরও তিন মাসের জন্য তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার ঘোষণা দেয়। যার মেয়াদ শেষ হবে মার্চের শেষে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে, জোটটি সম্মিলিতভাবে দৈনিক ২২ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদন করছে।
তার আগে, নভেম্বরের শেষে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রেন্টের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও লোহিত সাগরে হুতি গোষ্ঠীর হামলার কারণে দাম প্রকৃতপক্ষে খুব বেশি বাড়তে পারেনি। এর আগে, ২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের কাছাকাছি উঠে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তার চেয়ে যথেষ্ট নিচে।
ওপেক প্লাসের ঘোষণার ঠিক আগে, গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়বে। বর্তমান বাজারে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম গত শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ৮৩ ডলার ছিল এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নিচে। যদিও এই দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলের দামই কিছুটা বেড়েছে।
ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েছে জ্বালানি বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টের অমৃতা সেন বলেছেন, ‘ওপেক প্লাস মূলত বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে তেলের দাম অনেক বেশি স্থিতিশীল, কিন্তু তারা স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে চায়।’
ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের অর্ধেক একাই বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরব। দেশটি গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় দৈনিক অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদন করছে। সব মিলিয়ে শুরু থেকে সৌদি আরব প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করছে। দেশটি ২০২৭ সালে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দেশটি।
সৌদি আরব ও রাশিয়ার নেতৃত্বে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস উৎপাদন কমিয়ে রাখার মেয়াদ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, বর্ধিত আরও ৩ মাস এই উৎপাদন কম থাকবে। মূলত তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে—চলতি মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই সময়সীমা বেড়ে আগামী জুন মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
মূলত ২০২২ সাল থেকে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমিয়ে রেখেছে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা সীমাবদ্ধ রাখতেই সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সর্বশেষ জানুয়ারিতে জোটটি আরও তিন মাসের জন্য তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার ঘোষণা দেয়। যার মেয়াদ শেষ হবে মার্চের শেষে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে, জোটটি সম্মিলিতভাবে দৈনিক ২২ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদন করছে।
তার আগে, নভেম্বরের শেষে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রেন্টের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও লোহিত সাগরে হুতি গোষ্ঠীর হামলার কারণে দাম প্রকৃতপক্ষে খুব বেশি বাড়তে পারেনি। এর আগে, ২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের কাছাকাছি উঠে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তার চেয়ে যথেষ্ট নিচে।
ওপেক প্লাসের ঘোষণার ঠিক আগে, গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়বে। বর্তমান বাজারে অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম গত শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ৮৩ ডলার ছিল এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নিচে। যদিও এই দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলের দামই কিছুটা বেড়েছে।
ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েছে জ্বালানি বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টের অমৃতা সেন বলেছেন, ‘ওপেক প্লাস মূলত বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে তেলের দাম অনেক বেশি স্থিতিশীল, কিন্তু তারা স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে চায়।’
ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্তের অর্ধেক একাই বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরব। দেশটি গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় দৈনিক অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদন করছে। সব মিলিয়ে শুরু থেকে সৌদি আরব প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করছে। দেশটি ২০২৭ সালে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৬ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১৪ ঘণ্টা আগে