নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিতর্কিত এস আলম গ্রুপসহ অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক হিসাব স্থায়ীভাবে জব্দ না করার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৮ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক মেসার্স জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নাকচ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুযোগে শরিয়াহভিত্তিক তিনটি ব্যাংক থেকে ফের ১৯৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টরা। মূলত ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকার বংশাল ও গুলশান এবং রাজশাহীর সাহেব বাজার শাখা থেকে কমপক্ষে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের একটি শাখা এবং ঢাকার গুলশান শাখা থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এস আলম গ্রুপের এসব বেনামী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা নিয়ে বিপাকে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলম গ্রুপের সব হিসাব ব্লক করা হয়েছে।’ তবে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কোনো শিল্পে প্রভাব ফেলছি না। প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই, অর্থ আটকানো হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গত জুনে জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি গত জুলাই মাসে আজহার স্পিনিং লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বড় ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন করে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকেও ৪০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ইখলাস স্পিনিং লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রুপের বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ইখলাস স্পিনিংয়ের এই ঋণও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও খবর পড়ুন:
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিতর্কিত এস আলম গ্রুপসহ অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক হিসাব স্থায়ীভাবে জব্দ না করার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৮ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক মেসার্স জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব নাকচ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুযোগে শরিয়াহভিত্তিক তিনটি ব্যাংক থেকে ফের ১৯৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টরা। মূলত ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকার বংশাল ও গুলশান এবং রাজশাহীর সাহেব বাজার শাখা থেকে কমপক্ষে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের একটি শাখা এবং ঢাকার গুলশান শাখা থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এস আলম গ্রুপের এসব বেনামী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা নিয়ে বিপাকে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলম গ্রুপের সব হিসাব ব্লক করা হয়েছে।’ তবে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কোনো শিল্পে প্রভাব ফেলছি না। প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই, অর্থ আটকানো হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গত জুনে জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি গত জুলাই মাসে আজহার স্পিনিং লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বড় ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন করে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকেও ৪০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ইখলাস স্পিনিং লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রুপের বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ইখলাস স্পিনিংয়ের এই ঋণও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও খবর পড়ুন:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
২ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে