ডিসিসিআইয়ের মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চামড়াশিল্পের কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, এই শিল্প এখন পর্যন্ত নানা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় নীতিগত সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাই দ্রুত এই শিল্পকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে পূর্ণাঙ্গ নীতিগত কাঠামোর আওতায় আনা প্রয়োজন। এ ছাড়া ব্যক্তি খাতের ইটিপি স্থাপনে গ্রিন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে হবে। গতকাল রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘চামড়াশিল্পের কৌশল নির্ধারণ: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে টেকসই রপ্তানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘চামড়াশিল্প এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বিশেষ করে এলডব্লিউজি সনদ না পাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে আমাদের অবস্থান দুর্বল। কমপ্লায়েন্স ঘাটতি এবং অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এ খাতকে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।’
নাসিম মঞ্জুর বলেন, চামড়াশিল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না, তাই এটিকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।
সভার প্রধান অতিথি শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ইকো-সিস্টেম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাভারের সিইটিপির বর্তমান সক্ষমতা ১৪ হাজার কিউবিক মিটার, যা কোরবানির মৌসুমে প্রয়োজন হয় ৩২-৩৫ হাজার কিউবিক মিটার। এ ব্যবধান ঘোচাতে সক্ষমতা ২০-২৫ হাজার কিউবিক মিটারে উন্নীত করতে একটি কারিগরি দল কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ইটিপি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মতো চামড়া খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পেও বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী বাস্তবতায় চামড়াশিল্পে রপ্তানি সুবিধা কমে আসবে। তাই এখনই প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হওয়া।
চামড়াশিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চামড়া খাতে অবকাঠামো ও পানিব্যবস্থাপনায় সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের ইটিপি স্থাপনে গ্রিন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে হবে।
চামড়াশিল্পের কাঙ্ক্ষিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, এই শিল্প এখন পর্যন্ত নানা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় নীতিগত সমন্বয় ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাই দ্রুত এই শিল্পকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে পূর্ণাঙ্গ নীতিগত কাঠামোর আওতায় আনা প্রয়োজন। এ ছাড়া ব্যক্তি খাতের ইটিপি স্থাপনে গ্রিন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে হবে। গতকাল রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘চামড়াশিল্পের কৌশল নির্ধারণ: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে টেকসই রপ্তানি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘চামড়াশিল্প এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, বিশেষ করে এলডব্লিউজি সনদ না পাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে আমাদের অবস্থান দুর্বল। কমপ্লায়েন্স ঘাটতি এবং অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এ খাতকে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।’
নাসিম মঞ্জুর বলেন, চামড়াশিল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না, তাই এটিকে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।
সভার প্রধান অতিথি শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ইকো-সিস্টেম গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাভারের সিইটিপির বর্তমান সক্ষমতা ১৪ হাজার কিউবিক মিটার, যা কোরবানির মৌসুমে প্রয়োজন হয় ৩২-৩৫ হাজার কিউবিক মিটার। এ ব্যবধান ঘোচাতে সক্ষমতা ২০-২৫ হাজার কিউবিক মিটারে উন্নীত করতে একটি কারিগরি দল কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ইটিপি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৮-১০টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের মতো চামড়া খাতসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী শিল্পেও বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী বাস্তবতায় চামড়াশিল্পে রপ্তানি সুবিধা কমে আসবে। তাই এখনই প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হওয়া।
চামড়াশিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চামড়া খাতে অবকাঠামো ও পানিব্যবস্থাপনায় সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি ব্যক্তি খাতের ইটিপি স্থাপনে গ্রিন ফান্ড থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দিতে হবে।
দুই মাস ধরে কিছুটা গতি ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজারে। তার আগের পরিস্থিতি মোটেও সুখকর ছিল না। সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরে আগের বছরের তুলনায় বাজারের লেনদেন ১৯ শতাংশের বেশি কমেছে। একই সময়ে প্রধান সূচক নেমেছে ৮ শতাংশের বেশি।
২ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো কোনো ঋণ ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চীন থেকে দুটি আধুনিক জাহাজ কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
৭ ঘণ্টা আগেবাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষকে স্বস্তির খবর দিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আগামীকাল রোববার (১০ আগস্ট) থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভর্তুকিমূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবার মূল্যেও এসেছে উল্লেখযোগ্য ছাড়।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্ববাণিজ্যের জটিল পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ এশিয়ার পোশাক রপ্তানিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলেছে। চীন ও ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হলেও বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত উল্লেখযোগ্যভাবে জোরালো হয়েছে। ভিয়েতনামও বাণিজ্যে ভালো অগ্রগতি দেখাচ্ছে। একই সঙ্গে, দেশের অর্থনীতির উৎপাদন ও সেবা...
৯ ঘণ্টা আগে