আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ হিসেবে চীনে আদার প্রচলন ঘটে দুই হাজার বছর আগে।
এখন সময় বদলেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে। আগের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও টিকে আছে আদার প্রচলন। বরং আধুনিকতার এই সময়ে আদার ব্যবহার, ক্ষেত্র এবং ভোক্তা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে রান্নার উপকরণের বাইরেও আদার ব্যবহার রূপান্তর হচ্ছে। আচার, পানীয় তৈরিসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এর হরেক ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধ এবং সুগন্ধিশিল্পেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আদা।
দেশীয় বাস্তবতা
বৈশ্বিক বাস্তবতার ছাপ দেশেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আদার ব্যবহার এবং ভোগ—উভয়ই বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, বিশ্বের আদা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আদার জেনেরিক নাম জিঙ্গিবার, যা মসলার সংস্কৃত নাম সিঙ্গাবেরা এবং গ্রিক জিঙ্গিবেরিস থেকে উদ্ভূত। দেশে এই মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় তার অর্ধেক। আবার উৎপাদন পর্যায়ে মাটিবাহিত রোগ এবং উৎপাদন-পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রতিবছর চাহিদার ঘাটতি পড়ে ৬০ শতাংশের মতো; যা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়; যার ৬০ শতাংশই আসে চীন থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত চার অর্থবছরের হিসাবে চাহিদা পূরণে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন আদা আমদানি করতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৬ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯১ হাজার টন আদা আমদানি হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। সারা বছর এর প্রতি কেজির গড় মূল্য ২০০ টাকা বিবেচনায় নেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে দেশে চাহিদার ৪ লাখ ৮০ হাজার টন আদার বাজারমূল্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বাধা যেখানে
দেশে আদার ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদন কম। অভাব রয়েছে আদা চাষের উপযোগী জমিরও। এটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। প্রায় ১০ মাস সময় লাগে। এত সময় ধরে আদা চাষে অনাগ্রহী কৃষক। তাঁরা একই সময় ওই জমিতে ৩-৪টি অন্য ফসল ফলাতে পারেন, যা লাভজনক। অন্যদিকে তদুপরি দেশীয় প্রেক্ষাপটে জমিতে আদার কন্দপচা রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। এর কারণে কোনো কোনো বছর আদার ফলন ৫০-৮০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্থানীয় বাজারে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয় এবং দাম চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে।
আছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ
এসব সমস্যা মোকাবিলা ও ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বারি-১, বারি-২, ও বারি-৩ নামে তিনটি উচ্চফলনশীল আদার জাত; যার প্রতি হেক্টরে ফলন ৩০-৩৯ টন। গবেষকেরা বলছেন, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হলো, আবাদি জমির প্রয়োজন হবে না। যেকোনো পতিত জায়গায় চাষ করা যাবে। যেমন বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, অফিসে, যেখানে নতুন বাগান হচ্ছে, যেখানে ছায়া কম, সেসব জায়গায় চাষ করা যাবে। জুন-জলাই মাস আদা চাষের উপযুক্ত সময়। ফলনও পাওয়া যাবে চাষের ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে। প্রাকৃতিক যেকোনো বিপর্যয়ে বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে একই জায়গায় বারবার মাটির মিশ্রণ তৈরি করে আদাবীজ রোপণ করা যায়। শুধু বস্তা কিনতে হবে। চার-পাঁচ টাকা দাম। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈব সার, ছাই ব্যবহার করে মিশ্রণ করা যেতে পারে।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা সম্পর্কে বগুড়ায় অবস্থিত শিবগঞ্জের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, ‘মাটিতে আদা চাষে বিদ্যমান অসুবিধার সমাধান মিলেছে বস্তায় আদা চাষে। এই অভিনব পদ্ধতি দেখাচ্ছে ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা। দিচ্ছে স্বনির্ভরতা অর্জনের হাতছানি। দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো বসতবাড়ি রয়েছে। এসব বাড়িতে ১০ বস্তা করে আদা চাষ করা হলেও সাড়ে ৩৫ কোটি বস্তা হবে। প্রতি বস্তায় ১ কেজি আদা উৎপাদিত হলেও আমাদের চাহিদা মিটে যাবে; যা প্রতিবছর সাশ্রয় করতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয়।’
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে অনানুষ্ঠানিক ও স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদার চাষ শুরু হলেও বছর দুয়েক হলো এর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া হয়েছে সরকারি প্রকল্প। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ, বস্তা, বীজ, সার ইত্যাদি। এ ছাড়া কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগেও এখন বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে আদার চাষ শিখছেন অনেক তরুণ। যার মাধ্যমে এর চাষাবাদ পদ্ধতি ছড়িয়ে গেছে দেশের সর্বত্র। বাড়ছে আগ্রহ। উৎপাদনে কমছে জমিনির্ভরতা।
এ প্রসঙ্গে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রকল্পের অধীনে এ নিয়ে দুই বছর বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রকল্প ও ব্যক্তি উদ্যোগ মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে; যা থেকে প্রায় ১০ হাজার টন আদা উৎপাদিত হবে। এটি কেবল সরকারি হিসাব। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বস্তায় আদা চাষ করছেন। আগে এ-সম্পর্কিত কোনো জরিপ করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যান না থাকলেও সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, উৎপাদন ছিল অনেক কম; যা এখন সারা দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
এ পদ্ধতির চর্চা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমির ওপর চাপ কমিয়ে স্থানীয় আদার চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
খরচ কম, মুনাফা বেশি
মসলার গবেষক ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এক বস্তায় ৫০-৬০ গ্রাম বীজ হলেই হয়, আর চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক বস্তায় খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু আদার ফলন যদি প্রতি বস্তায় এক কেজি হলেও কৃষক ন্যূনতম ২০০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ মুনাফা ১৫০ টাকা। আর ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও ১০০ টাকা লাভ হবে।
সফলতার গল্প
ছোটবেলা থেকে শখের বশে পশুপাখি লালনপালনসহ কৃষিকাজে বেশ মনোযোগী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের তরুণ ফখরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে আগ্রহী হই। পরে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় প্রথমবার বাড়ির আঙিনায় ২৬০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা হিসাবে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আদাগাছের যে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, প্রতি বস্তায় দেড় কেজি আদা পাওয়া যাবে। উৎপাদিত হবে প্রায় ৪০০ কেজি। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে আদার দাম কেজিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আশা করছি, এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে।’
৪৫০ বস্তায় ১৫ কেজি আদা রোপণ করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের উজ্জ্বল শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন ২ ফুটের বেশি লম্বা হয়েছে গাছ। প্রতি বস্তায় ১ কেজি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১২টি ব্লকে ২৫ জন কৃষক প্রায় দেড় হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রতি বস্তায় দুই কেজির বেশি আদার ফলন হতে পারে। এতে প্রায় তিন হাজার কেজি আদা উৎপাদিত হবে।
ফুলজোড় নদীর নুরনগর তালপট্টি চরের কৃষক লিটন আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে জমিতে ভিন্ন ফসল এবং খালি পড়ে থাকা জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করায় বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আদার পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি ব্যবহার
আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ক্যালরি ৮০, প্রোটিন ১.৮২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.৮ গ্রাম (ডায়েটারি ফাইবার ২ গ্রাম), টোটাল ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, মিনারেল ৭৮.৯ গ্রাম। এসব কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা-মধু-পানি সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। অন্যদিকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে দেশে আদার বহুল ব্যবহার রয়েছে। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি অনেক গোপন সমস্যা দূর করতেও সহায়ক আদা।
[প্রতিবেদনে সহযোগিতা করেছেন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ও কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।]

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ হিসেবে চীনে আদার প্রচলন ঘটে দুই হাজার বছর আগে।
এখন সময় বদলেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে। আগের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও টিকে আছে আদার প্রচলন। বরং আধুনিকতার এই সময়ে আদার ব্যবহার, ক্ষেত্র এবং ভোক্তা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে রান্নার উপকরণের বাইরেও আদার ব্যবহার রূপান্তর হচ্ছে। আচার, পানীয় তৈরিসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এর হরেক ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধ এবং সুগন্ধিশিল্পেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আদা।
দেশীয় বাস্তবতা
বৈশ্বিক বাস্তবতার ছাপ দেশেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আদার ব্যবহার এবং ভোগ—উভয়ই বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, বিশ্বের আদা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আদার জেনেরিক নাম জিঙ্গিবার, যা মসলার সংস্কৃত নাম সিঙ্গাবেরা এবং গ্রিক জিঙ্গিবেরিস থেকে উদ্ভূত। দেশে এই মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় তার অর্ধেক। আবার উৎপাদন পর্যায়ে মাটিবাহিত রোগ এবং উৎপাদন-পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রতিবছর চাহিদার ঘাটতি পড়ে ৬০ শতাংশের মতো; যা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়; যার ৬০ শতাংশই আসে চীন থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত চার অর্থবছরের হিসাবে চাহিদা পূরণে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন আদা আমদানি করতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৬ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯১ হাজার টন আদা আমদানি হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। সারা বছর এর প্রতি কেজির গড় মূল্য ২০০ টাকা বিবেচনায় নেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে দেশে চাহিদার ৪ লাখ ৮০ হাজার টন আদার বাজারমূল্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বাধা যেখানে
দেশে আদার ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদন কম। অভাব রয়েছে আদা চাষের উপযোগী জমিরও। এটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। প্রায় ১০ মাস সময় লাগে। এত সময় ধরে আদা চাষে অনাগ্রহী কৃষক। তাঁরা একই সময় ওই জমিতে ৩-৪টি অন্য ফসল ফলাতে পারেন, যা লাভজনক। অন্যদিকে তদুপরি দেশীয় প্রেক্ষাপটে জমিতে আদার কন্দপচা রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। এর কারণে কোনো কোনো বছর আদার ফলন ৫০-৮০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্থানীয় বাজারে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয় এবং দাম চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে।
আছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ
এসব সমস্যা মোকাবিলা ও ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বারি-১, বারি-২, ও বারি-৩ নামে তিনটি উচ্চফলনশীল আদার জাত; যার প্রতি হেক্টরে ফলন ৩০-৩৯ টন। গবেষকেরা বলছেন, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হলো, আবাদি জমির প্রয়োজন হবে না। যেকোনো পতিত জায়গায় চাষ করা যাবে। যেমন বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, অফিসে, যেখানে নতুন বাগান হচ্ছে, যেখানে ছায়া কম, সেসব জায়গায় চাষ করা যাবে। জুন-জলাই মাস আদা চাষের উপযুক্ত সময়। ফলনও পাওয়া যাবে চাষের ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে। প্রাকৃতিক যেকোনো বিপর্যয়ে বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে একই জায়গায় বারবার মাটির মিশ্রণ তৈরি করে আদাবীজ রোপণ করা যায়। শুধু বস্তা কিনতে হবে। চার-পাঁচ টাকা দাম। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈব সার, ছাই ব্যবহার করে মিশ্রণ করা যেতে পারে।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা সম্পর্কে বগুড়ায় অবস্থিত শিবগঞ্জের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, ‘মাটিতে আদা চাষে বিদ্যমান অসুবিধার সমাধান মিলেছে বস্তায় আদা চাষে। এই অভিনব পদ্ধতি দেখাচ্ছে ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা। দিচ্ছে স্বনির্ভরতা অর্জনের হাতছানি। দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো বসতবাড়ি রয়েছে। এসব বাড়িতে ১০ বস্তা করে আদা চাষ করা হলেও সাড়ে ৩৫ কোটি বস্তা হবে। প্রতি বস্তায় ১ কেজি আদা উৎপাদিত হলেও আমাদের চাহিদা মিটে যাবে; যা প্রতিবছর সাশ্রয় করতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয়।’
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে অনানুষ্ঠানিক ও স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদার চাষ শুরু হলেও বছর দুয়েক হলো এর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া হয়েছে সরকারি প্রকল্প। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ, বস্তা, বীজ, সার ইত্যাদি। এ ছাড়া কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগেও এখন বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে আদার চাষ শিখছেন অনেক তরুণ। যার মাধ্যমে এর চাষাবাদ পদ্ধতি ছড়িয়ে গেছে দেশের সর্বত্র। বাড়ছে আগ্রহ। উৎপাদনে কমছে জমিনির্ভরতা।
এ প্রসঙ্গে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রকল্পের অধীনে এ নিয়ে দুই বছর বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রকল্প ও ব্যক্তি উদ্যোগ মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে; যা থেকে প্রায় ১০ হাজার টন আদা উৎপাদিত হবে। এটি কেবল সরকারি হিসাব। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বস্তায় আদা চাষ করছেন। আগে এ-সম্পর্কিত কোনো জরিপ করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যান না থাকলেও সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, উৎপাদন ছিল অনেক কম; যা এখন সারা দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
এ পদ্ধতির চর্চা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমির ওপর চাপ কমিয়ে স্থানীয় আদার চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
খরচ কম, মুনাফা বেশি
মসলার গবেষক ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এক বস্তায় ৫০-৬০ গ্রাম বীজ হলেই হয়, আর চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক বস্তায় খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু আদার ফলন যদি প্রতি বস্তায় এক কেজি হলেও কৃষক ন্যূনতম ২০০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ মুনাফা ১৫০ টাকা। আর ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও ১০০ টাকা লাভ হবে।
সফলতার গল্প
ছোটবেলা থেকে শখের বশে পশুপাখি লালনপালনসহ কৃষিকাজে বেশ মনোযোগী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের তরুণ ফখরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে আগ্রহী হই। পরে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় প্রথমবার বাড়ির আঙিনায় ২৬০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা হিসাবে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আদাগাছের যে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, প্রতি বস্তায় দেড় কেজি আদা পাওয়া যাবে। উৎপাদিত হবে প্রায় ৪০০ কেজি। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে আদার দাম কেজিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আশা করছি, এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে।’
৪৫০ বস্তায় ১৫ কেজি আদা রোপণ করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের উজ্জ্বল শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন ২ ফুটের বেশি লম্বা হয়েছে গাছ। প্রতি বস্তায় ১ কেজি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১২টি ব্লকে ২৫ জন কৃষক প্রায় দেড় হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রতি বস্তায় দুই কেজির বেশি আদার ফলন হতে পারে। এতে প্রায় তিন হাজার কেজি আদা উৎপাদিত হবে।
ফুলজোড় নদীর নুরনগর তালপট্টি চরের কৃষক লিটন আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে জমিতে ভিন্ন ফসল এবং খালি পড়ে থাকা জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করায় বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আদার পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি ব্যবহার
আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ক্যালরি ৮০, প্রোটিন ১.৮২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.৮ গ্রাম (ডায়েটারি ফাইবার ২ গ্রাম), টোটাল ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, মিনারেল ৭৮.৯ গ্রাম। এসব কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা-মধু-পানি সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। অন্যদিকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে দেশে আদার বহুল ব্যবহার রয়েছে। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি অনেক গোপন সমস্যা দূর করতেও সহায়ক আদা।
[প্রতিবেদনে সহযোগিতা করেছেন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ও কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।]
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ হিসেবে চীনে আদার প্রচলন ঘটে দুই হাজার বছর আগে।
এখন সময় বদলেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে। আগের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও টিকে আছে আদার প্রচলন। বরং আধুনিকতার এই সময়ে আদার ব্যবহার, ক্ষেত্র এবং ভোক্তা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে রান্নার উপকরণের বাইরেও আদার ব্যবহার রূপান্তর হচ্ছে। আচার, পানীয় তৈরিসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এর হরেক ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধ এবং সুগন্ধিশিল্পেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আদা।
দেশীয় বাস্তবতা
বৈশ্বিক বাস্তবতার ছাপ দেশেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আদার ব্যবহার এবং ভোগ—উভয়ই বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, বিশ্বের আদা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আদার জেনেরিক নাম জিঙ্গিবার, যা মসলার সংস্কৃত নাম সিঙ্গাবেরা এবং গ্রিক জিঙ্গিবেরিস থেকে উদ্ভূত। দেশে এই মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় তার অর্ধেক। আবার উৎপাদন পর্যায়ে মাটিবাহিত রোগ এবং উৎপাদন-পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রতিবছর চাহিদার ঘাটতি পড়ে ৬০ শতাংশের মতো; যা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়; যার ৬০ শতাংশই আসে চীন থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত চার অর্থবছরের হিসাবে চাহিদা পূরণে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন আদা আমদানি করতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৬ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯১ হাজার টন আদা আমদানি হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। সারা বছর এর প্রতি কেজির গড় মূল্য ২০০ টাকা বিবেচনায় নেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে দেশে চাহিদার ৪ লাখ ৮০ হাজার টন আদার বাজারমূল্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বাধা যেখানে
দেশে আদার ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদন কম। অভাব রয়েছে আদা চাষের উপযোগী জমিরও। এটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। প্রায় ১০ মাস সময় লাগে। এত সময় ধরে আদা চাষে অনাগ্রহী কৃষক। তাঁরা একই সময় ওই জমিতে ৩-৪টি অন্য ফসল ফলাতে পারেন, যা লাভজনক। অন্যদিকে তদুপরি দেশীয় প্রেক্ষাপটে জমিতে আদার কন্দপচা রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। এর কারণে কোনো কোনো বছর আদার ফলন ৫০-৮০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্থানীয় বাজারে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয় এবং দাম চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে।
আছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ
এসব সমস্যা মোকাবিলা ও ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বারি-১, বারি-২, ও বারি-৩ নামে তিনটি উচ্চফলনশীল আদার জাত; যার প্রতি হেক্টরে ফলন ৩০-৩৯ টন। গবেষকেরা বলছেন, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হলো, আবাদি জমির প্রয়োজন হবে না। যেকোনো পতিত জায়গায় চাষ করা যাবে। যেমন বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, অফিসে, যেখানে নতুন বাগান হচ্ছে, যেখানে ছায়া কম, সেসব জায়গায় চাষ করা যাবে। জুন-জলাই মাস আদা চাষের উপযুক্ত সময়। ফলনও পাওয়া যাবে চাষের ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে। প্রাকৃতিক যেকোনো বিপর্যয়ে বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে একই জায়গায় বারবার মাটির মিশ্রণ তৈরি করে আদাবীজ রোপণ করা যায়। শুধু বস্তা কিনতে হবে। চার-পাঁচ টাকা দাম। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈব সার, ছাই ব্যবহার করে মিশ্রণ করা যেতে পারে।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা সম্পর্কে বগুড়ায় অবস্থিত শিবগঞ্জের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, ‘মাটিতে আদা চাষে বিদ্যমান অসুবিধার সমাধান মিলেছে বস্তায় আদা চাষে। এই অভিনব পদ্ধতি দেখাচ্ছে ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা। দিচ্ছে স্বনির্ভরতা অর্জনের হাতছানি। দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো বসতবাড়ি রয়েছে। এসব বাড়িতে ১০ বস্তা করে আদা চাষ করা হলেও সাড়ে ৩৫ কোটি বস্তা হবে। প্রতি বস্তায় ১ কেজি আদা উৎপাদিত হলেও আমাদের চাহিদা মিটে যাবে; যা প্রতিবছর সাশ্রয় করতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয়।’
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে অনানুষ্ঠানিক ও স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদার চাষ শুরু হলেও বছর দুয়েক হলো এর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া হয়েছে সরকারি প্রকল্প। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ, বস্তা, বীজ, সার ইত্যাদি। এ ছাড়া কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগেও এখন বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে আদার চাষ শিখছেন অনেক তরুণ। যার মাধ্যমে এর চাষাবাদ পদ্ধতি ছড়িয়ে গেছে দেশের সর্বত্র। বাড়ছে আগ্রহ। উৎপাদনে কমছে জমিনির্ভরতা।
এ প্রসঙ্গে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রকল্পের অধীনে এ নিয়ে দুই বছর বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রকল্প ও ব্যক্তি উদ্যোগ মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে; যা থেকে প্রায় ১০ হাজার টন আদা উৎপাদিত হবে। এটি কেবল সরকারি হিসাব। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বস্তায় আদা চাষ করছেন। আগে এ-সম্পর্কিত কোনো জরিপ করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যান না থাকলেও সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, উৎপাদন ছিল অনেক কম; যা এখন সারা দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
এ পদ্ধতির চর্চা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমির ওপর চাপ কমিয়ে স্থানীয় আদার চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
খরচ কম, মুনাফা বেশি
মসলার গবেষক ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এক বস্তায় ৫০-৬০ গ্রাম বীজ হলেই হয়, আর চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক বস্তায় খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু আদার ফলন যদি প্রতি বস্তায় এক কেজি হলেও কৃষক ন্যূনতম ২০০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ মুনাফা ১৫০ টাকা। আর ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও ১০০ টাকা লাভ হবে।
সফলতার গল্প
ছোটবেলা থেকে শখের বশে পশুপাখি লালনপালনসহ কৃষিকাজে বেশ মনোযোগী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের তরুণ ফখরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে আগ্রহী হই। পরে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় প্রথমবার বাড়ির আঙিনায় ২৬০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা হিসাবে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আদাগাছের যে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, প্রতি বস্তায় দেড় কেজি আদা পাওয়া যাবে। উৎপাদিত হবে প্রায় ৪০০ কেজি। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে আদার দাম কেজিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আশা করছি, এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে।’
৪৫০ বস্তায় ১৫ কেজি আদা রোপণ করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের উজ্জ্বল শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন ২ ফুটের বেশি লম্বা হয়েছে গাছ। প্রতি বস্তায় ১ কেজি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১২টি ব্লকে ২৫ জন কৃষক প্রায় দেড় হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রতি বস্তায় দুই কেজির বেশি আদার ফলন হতে পারে। এতে প্রায় তিন হাজার কেজি আদা উৎপাদিত হবে।
ফুলজোড় নদীর নুরনগর তালপট্টি চরের কৃষক লিটন আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে জমিতে ভিন্ন ফসল এবং খালি পড়ে থাকা জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করায় বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আদার পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি ব্যবহার
আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ক্যালরি ৮০, প্রোটিন ১.৮২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.৮ গ্রাম (ডায়েটারি ফাইবার ২ গ্রাম), টোটাল ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, মিনারেল ৭৮.৯ গ্রাম। এসব কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা-মধু-পানি সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। অন্যদিকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে দেশে আদার বহুল ব্যবহার রয়েছে। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি অনেক গোপন সমস্যা দূর করতেও সহায়ক আদা।
[প্রতিবেদনে সহযোগিতা করেছেন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ও কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।]

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ হিসেবে চীনে আদার প্রচলন ঘটে দুই হাজার বছর আগে।
এখন সময় বদলেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে। আগের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও টিকে আছে আদার প্রচলন। বরং আধুনিকতার এই সময়ে আদার ব্যবহার, ক্ষেত্র এবং ভোক্তা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে রান্নার উপকরণের বাইরেও আদার ব্যবহার রূপান্তর হচ্ছে। আচার, পানীয় তৈরিসহ খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এর হরেক ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধ এবং সুগন্ধিশিল্পেও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আদা।
দেশীয় বাস্তবতা
বৈশ্বিক বাস্তবতার ছাপ দেশেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আদার ব্যবহার এবং ভোগ—উভয়ই বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, বিশ্বের আদা উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আদার জেনেরিক নাম জিঙ্গিবার, যা মসলার সংস্কৃত নাম সিঙ্গাবেরা এবং গ্রিক জিঙ্গিবেরিস থেকে উদ্ভূত। দেশে এই মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় তার অর্ধেক। আবার উৎপাদন পর্যায়ে মাটিবাহিত রোগ এবং উৎপাদন-পরবর্তী সংরক্ষণের অভাবে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রতিবছর চাহিদার ঘাটতি পড়ে ৬০ শতাংশের মতো; যা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করতে হয়; যার ৬০ শতাংশই আসে চীন থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত চার অর্থবছরের হিসাবে চাহিদা পূরণে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন আদা আমদানি করতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৬ হাজার টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯১ হাজার টন আদা আমদানি হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়। সারা বছর এর প্রতি কেজির গড় মূল্য ২০০ টাকা বিবেচনায় নেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং আমদানি মিলিয়ে দেশে চাহিদার ৪ লাখ ৮০ হাজার টন আদার বাজারমূল্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
বাধা যেখানে
দেশে আদার ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে উৎপাদন কম। অভাব রয়েছে আদা চাষের উপযোগী জমিরও। এটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। প্রায় ১০ মাস সময় লাগে। এত সময় ধরে আদা চাষে অনাগ্রহী কৃষক। তাঁরা একই সময় ওই জমিতে ৩-৪টি অন্য ফসল ফলাতে পারেন, যা লাভজনক। অন্যদিকে তদুপরি দেশীয় প্রেক্ষাপটে জমিতে আদার কন্দপচা রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব। এর কারণে কোনো কোনো বছর আদার ফলন ৫০-৮০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। তখন স্থানীয় বাজারে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয় এবং দাম চলে যায় সাধারণের নাগালের বাইরে।
আছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ
এসব সমস্যা মোকাবিলা ও ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন বারি-১, বারি-২, ও বারি-৩ নামে তিনটি উচ্চফলনশীল আদার জাত; যার প্রতি হেক্টরে ফলন ৩০-৩৯ টন। গবেষকেরা বলছেন, বস্তায় আদা চাষের সুবিধা হলো, আবাদি জমির প্রয়োজন হবে না। যেকোনো পতিত জায়গায় চাষ করা যাবে। যেমন বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে, অফিসে, যেখানে নতুন বাগান হচ্ছে, যেখানে ছায়া কম, সেসব জায়গায় চাষ করা যাবে। জুন-জলাই মাস আদা চাষের উপযুক্ত সময়। ফলনও পাওয়া যাবে চাষের ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে। প্রাকৃতিক যেকোনো বিপর্যয়ে বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে একই জায়গায় বারবার মাটির মিশ্রণ তৈরি করে আদাবীজ রোপণ করা যায়। শুধু বস্তা কিনতে হবে। চার-পাঁচ টাকা দাম। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জৈব সার, ছাই ব্যবহার করে মিশ্রণ করা যেতে পারে।
বস্তায় আদা চাষের সুবিধা সম্পর্কে বগুড়ায় অবস্থিত শিবগঞ্জের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, ‘মাটিতে আদা চাষে বিদ্যমান অসুবিধার সমাধান মিলেছে বস্তায় আদা চাষে। এই অভিনব পদ্ধতি দেখাচ্ছে ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা। দিচ্ছে স্বনির্ভরতা অর্জনের হাতছানি। দেশে সাড়ে তিন কোটির মতো বসতবাড়ি রয়েছে। এসব বাড়িতে ১০ বস্তা করে আদা চাষ করা হলেও সাড়ে ৩৫ কোটি বস্তা হবে। প্রতি বস্তায় ১ কেজি আদা উৎপাদিত হলেও আমাদের চাহিদা মিটে যাবে; যা প্রতিবছর সাশ্রয় করতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয়।’
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে অনানুষ্ঠানিক ও স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদার চাষ শুরু হলেও বছর দুয়েক হলো এর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে বস্তায় আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া হয়েছে সরকারি প্রকল্প। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ, বস্তা, বীজ, সার ইত্যাদি। এ ছাড়া কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগেও এখন বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে আদার চাষ শিখছেন অনেক তরুণ। যার মাধ্যমে এর চাষাবাদ পদ্ধতি ছড়িয়ে গেছে দেশের সর্বত্র। বাড়ছে আগ্রহ। উৎপাদনে কমছে জমিনির্ভরতা।
এ প্রসঙ্গে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রকল্পের অধীনে এ নিয়ে দুই বছর বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। এ বছর প্রকল্প ও ব্যক্তি উদ্যোগ মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে; যা থেকে প্রায় ১০ হাজার টন আদা উৎপাদিত হবে। এটি কেবল সরকারি হিসাব। এর বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বস্তায় আদা চাষ করছেন। আগে এ-সম্পর্কিত কোনো জরিপ করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যান না থাকলেও সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, উৎপাদন ছিল অনেক কম; যা এখন সারা দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
এ পদ্ধতির চর্চা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জমির ওপর চাপ কমিয়ে স্থানীয় আদার চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
খরচ কম, মুনাফা বেশি
মসলার গবেষক ড. আশিকুল ইসলাম নিরু বলেন, বস্তায় আদা চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এক বস্তায় ৫০-৬০ গ্রাম বীজ হলেই হয়, আর চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক বস্তায় খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু আদার ফলন যদি প্রতি বস্তায় এক কেজি হলেও কৃষক ন্যূনতম ২০০ টাকায় তা বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ মুনাফা ১৫০ টাকা। আর ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও ১০০ টাকা লাভ হবে।
সফলতার গল্প
ছোটবেলা থেকে শখের বশে পশুপাখি লালনপালনসহ কৃষিকাজে বেশ মনোযোগী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের তরুণ ফখরুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে আগ্রহী হই। পরে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহযোগিতায় প্রথমবার বাড়ির আঙিনায় ২৬০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় ৩০ টাকা হিসাবে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে আদাগাছের যে ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, প্রতি বস্তায় দেড় কেজি আদা পাওয়া যাবে। উৎপাদিত হবে প্রায় ৪০০ কেজি। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে আদার দাম কেজিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আশা করছি, এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বেশি লাভ হবে।’
৪৫০ বস্তায় ১৫ কেজি আদা রোপণ করেছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের উজ্জ্বল শেখ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন ২ ফুটের বেশি লম্বা হয়েছে গাছ। প্রতি বস্তায় ১ কেজি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১২টি ব্লকে ২৫ জন কৃষক প্রায় দেড় হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রতি বস্তায় দুই কেজির বেশি আদার ফলন হতে পারে। এতে প্রায় তিন হাজার কেজি আদা উৎপাদিত হবে।
ফুলজোড় নদীর নুরনগর তালপট্টি চরের কৃষক লিটন আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে জমিতে ভিন্ন ফসল এবং খালি পড়ে থাকা জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করায় বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আদার পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি ব্যবহার
আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ক্যালরি ৮০, প্রোটিন ১.৮২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.৮ গ্রাম (ডায়েটারি ফাইবার ২ গ্রাম), টোটাল ফ্যাট ০.৭৫ গ্রাম, মিনারেল ৭৮.৯ গ্রাম। এসব কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা-মধু-পানি সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। অন্যদিকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে দেশে আদার বহুল ব্যবহার রয়েছে। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি অনেক গোপন সমস্যা দূর করতেও সহায়ক আদা।
[প্রতিবেদনে সহযোগিতা করেছেন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ও কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।]

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
৮ ঘণ্টা আগে
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার ব
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম
১০ নভেম্বর ২০২৪
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার ব
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার বেশি বিনিয়োগ করবে; যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইউরোপীয় ইক্যুইটি বিনিয়োগ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (বিডা) আশিক চৌধুরী এসব কথা জানান। তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কাঠামোর আওতায় এই টার্মিনাল নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে এপিএম টার্মিনালস, তবে মালিকানা থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। প্রকল্পটি হলে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে। সরকার ও সিপিএর আয়, পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ ১১ ধরনের সুবিধা বাড়বে।
বেজার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বন্দর খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। লালদিয়া টার্মিনাল প্রকল্পটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস খাতকে ফিউচার-রেডি করে তুলবে; যা আমাদের রপ্তানি, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের পিপিপি খাত একটি বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটি ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও সামাজিক অবকাঠামো খাতে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের বন্দর খাত শুধু আধুনিকায়নই হবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক লজিস্টিক হাবে পরিণত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শিপিং প্রতিষ্ঠান, যার সহযোগী এপিএম টার্মিনালস বর্তমানে ৩৩টি দেশে ৬০টির বেশি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপ, চীন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে বন্দর পরিচালনা করছে।
আশিক চৌধুরী বলেন, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল হবে দেশের প্রথম গ্রিন ও স্মার্ট পোর্ট, যা বর্তমান সক্ষমতার দ্বিগুণ আকারের জাহাজ ধারণ করতে পারবে এবং ২৪ ঘণ্টা নাইট নেভিগেশন সুবিধাসহ পরিচালিত হবে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে গতি আসবে, কমবে পরিবহন ব্যয় এবং বৈশ্বিক শিপিং সংযোগ আরও জোরদার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টার্মিনালটি ২০৩০ সালের মধ্যে চালু হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে বছরে ৮ লক্ষাধিক টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে, যা বর্তমান সক্ষমতার তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি।
প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি ৫০০-৭০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষ কাজের সুযোগ পাবেন; বিশেষ করে ট্রাকিং, স্টোরেজ, লজিস্টিকস ও স্থানীয় এসএমই খাতে। রাজস্ব ভাগাভাগি ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ায় সিপিএ প্রতি কনটেইনারে নির্দিষ্ট হারে আয় পাবে, পাশাপাশি কর ও শুল্কের মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
বন্দরটিতে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার ও জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কার্বন নির্গমন কমবে এবং বাংলাদেশের প্যারিস চুক্তির (এনডিসি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান চৌধুরী আশিক।

লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার বেশি বিনিয়োগ করবে; যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইউরোপীয় ইক্যুইটি বিনিয়োগ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (বিডা) আশিক চৌধুরী এসব কথা জানান। তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কাঠামোর আওতায় এই টার্মিনাল নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে এপিএম টার্মিনালস, তবে মালিকানা থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। প্রকল্পটি হলে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়বে। সরকার ও সিপিএর আয়, পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ ১১ ধরনের সুবিধা বাড়বে।
বেজার চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বন্দর খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। লালদিয়া টার্মিনাল প্রকল্পটি শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস খাতকে ফিউচার-রেডি করে তুলবে; যা আমাদের রপ্তানি, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের পিপিপি খাত একটি বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটি ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ, পরিবহন ও সামাজিক অবকাঠামো খাতে নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের বন্দর খাত শুধু আধুনিকায়নই হবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক লজিস্টিক হাবে পরিণত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শিপিং প্রতিষ্ঠান, যার সহযোগী এপিএম টার্মিনালস বর্তমানে ৩৩টি দেশে ৬০টির বেশি টার্মিনাল পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপ, চীন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে বন্দর পরিচালনা করছে।
আশিক চৌধুরী বলেন, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল হবে দেশের প্রথম গ্রিন ও স্মার্ট পোর্ট, যা বর্তমান সক্ষমতার দ্বিগুণ আকারের জাহাজ ধারণ করতে পারবে এবং ২৪ ঘণ্টা নাইট নেভিগেশন সুবিধাসহ পরিচালিত হবে। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে গতি আসবে, কমবে পরিবহন ব্যয় এবং বৈশ্বিক শিপিং সংযোগ আরও জোরদার হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টার্মিনালটি ২০৩০ সালের মধ্যে চালু হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে বছরে ৮ লক্ষাধিক টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে, যা বর্তমান সক্ষমতার তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি।
প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি ৫০০-৭০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষ কাজের সুযোগ পাবেন; বিশেষ করে ট্রাকিং, স্টোরেজ, লজিস্টিকস ও স্থানীয় এসএমই খাতে। রাজস্ব ভাগাভাগি ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়ায় সিপিএ প্রতি কনটেইনারে নির্দিষ্ট হারে আয় পাবে, পাশাপাশি কর ও শুল্কের মাধ্যমে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
বন্দরটিতে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার ও জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কার্বন নির্গমন কমবে এবং বাংলাদেশের প্যারিস চুক্তির (এনডিসি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান চৌধুরী আশিক।

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম
১০ নভেম্বর ২০২৪
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা। বৈঠকে ইচ্ছাকৃত বড় খেলাপিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে বকেয়া আদায়ে আদালতে মামলা করার সময় নিয়মিত এককালীন ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বেসামাল খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ে গৃহীত পদক্ষেপসংক্রান্ত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহম্মদ। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রেসিডেন্ট এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, সরকারের পালাবদলের পর খেলাপি ঋণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপির হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এক বছরেই প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি বেড়েছে। এত খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায়, তা নিয়ে এক্সক্লুসিভ আলোচনা হয়েছে। সেখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট বৃদ্ধি করে অর্ধেকের কাছাকাছি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর রিট শুনানিকালে ব্যাংকারদেরও একটি পক্ষ হিসেবে মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর আদালতে যেন খেলাপিদের স্বার্থের মতো আমানতকারীদের স্বার্থের দিক বিবেচনায় রাখা হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মাসরুর আরেফিন বলেন, ঋণ আদায়ে ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু করতে চায় ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সেই রকম অগ্রগতি দেখতে চান। কিন্তু কোন কৌশলে যেন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিচ্ছে না। সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাস্তব নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। আর নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) ব্যাংকের আমানত ফেরত দিচ্ছে না। এনবিএফআইগুলো যাতে অর্থ ফেরত দেয়, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
পতিত সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া নীতি সহায়তার বিষয়ে মাসরুর আরেফিন বলেন, নীতি সহায়তার পদক্ষেপ একেবারে কাজ করছে না। তারা সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকার ডাউন পেমেন্টে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবর গ্রাহকভেদে ১ শতাংশ বা ২ শতাংশ ডাইন পেমেন্ট নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় খেলাপিরা নানা ভঙ্গিমায় নতুন ঋণ চাচ্ছে, যা ঋণ নীতিমালার কার্যক্রমের সঙ্গে যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলমান রাখার গৃহীত উদ্যোগ কিন্তু শুরুতে ভালো ছিল। অনেকে প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ঋণ গ্রহীতাদের সাড়া না মেলায় পুরো নীতি সহায়তা যেন হযবরল দশায় উপনীত হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি আনতে গত আগস্টে দেশের বড় করপোরেট ঋণখেলাপিসহ প্রায় ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ঋণ ৫ থেকে ১৫ বছরের জন্য পরিশোধের সুযোগ পাবে। এই সুবিধার আওতায় ডাউন পেমেন্ট মাত্র ১ শতাংশ থেকে শুরু হবে এবং কিস্তি পরিশোধ শুরু করার আগে তিন বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। তবে শর্তগুলো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আলাদা হবে। বিশেষ সুবিধার আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আবদুল মোনেম গ্রুপ, ড্যান্ডি ডাইং, তানাকা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপ, জিপিএইচ ইস্পাত, আনোয়ার গ্রুপ, শাদাব ফ্যাশন, অ্যাপেক্স উইভিং। যদিও ১ হাজার ২৫০টি প্রতিষ্ঠান বিশেষ নীতি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিল।

দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা। বৈঠকে ইচ্ছাকৃত বড় খেলাপিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে বকেয়া আদায়ে আদালতে মামলা করার সময় নিয়মিত এককালীন ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বেসামাল খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ে গৃহীত পদক্ষেপসংক্রান্ত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহম্মদ। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর প্রেসিডেন্ট এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, সরকারের পালাবদলের পর খেলাপি ঋণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপির হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এক বছরেই প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি বেড়েছে। এত খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায়, তা নিয়ে এক্সক্লুসিভ আলোচনা হয়েছে। সেখানে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট বৃদ্ধি করে অর্ধেকের কাছাকাছি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর রিট শুনানিকালে ব্যাংকারদেরও একটি পক্ষ হিসেবে মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখার বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর আদালতে যেন খেলাপিদের স্বার্থের মতো আমানতকারীদের স্বার্থের দিক বিবেচনায় রাখা হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মাসরুর আরেফিন বলেন, ঋণ আদায়ে ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু করতে চায় ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সেই রকম অগ্রগতি দেখতে চান। কিন্তু কোন কৌশলে যেন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিচ্ছে না। সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাস্তব নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা। আর নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই) ব্যাংকের আমানত ফেরত দিচ্ছে না। এনবিএফআইগুলো যাতে অর্থ ফেরত দেয়, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
পতিত সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া নীতি সহায়তার বিষয়ে মাসরুর আরেফিন বলেন, নীতি সহায়তার পদক্ষেপ একেবারে কাজ করছে না। তারা সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকার ডাউন পেমেন্টে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবর গ্রাহকভেদে ১ শতাংশ বা ২ শতাংশ ডাইন পেমেন্ট নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় খেলাপিরা নানা ভঙ্গিমায় নতুন ঋণ চাচ্ছে, যা ঋণ নীতিমালার কার্যক্রমের সঙ্গে যায় না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলমান রাখার গৃহীত উদ্যোগ কিন্তু শুরুতে ভালো ছিল। অনেকে প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ঋণ গ্রহীতাদের সাড়া না মেলায় পুরো নীতি সহায়তা যেন হযবরল দশায় উপনীত হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি আনতে গত আগস্টে দেশের বড় করপোরেট ঋণখেলাপিসহ প্রায় ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ঋণ ৫ থেকে ১৫ বছরের জন্য পরিশোধের সুযোগ পাবে। এই সুবিধার আওতায় ডাউন পেমেন্ট মাত্র ১ শতাংশ থেকে শুরু হবে এবং কিস্তি পরিশোধ শুরু করার আগে তিন বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। তবে শর্তগুলো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আলাদা হবে। বিশেষ সুবিধার আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আবদুল মোনেম গ্রুপ, ড্যান্ডি ডাইং, তানাকা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপ, জিপিএইচ ইস্পাত, আনোয়ার গ্রুপ, শাদাব ফ্যাশন, অ্যাপেক্স উইভিং। যদিও ১ হাজার ২৫০টি প্রতিষ্ঠান বিশেষ নীতি সহায়তার জন্য আবেদন করেছিল।

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম
১০ নভেম্বর ২০২৪
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
৮ ঘণ্টা আগে
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার ব
৮ ঘণ্টা আগে
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
বাণিজ্যসচিব বলেন, মইনুল খান আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া তাঁর পদত্যাগপত্রে আবেদনের তারিখ উল্লেখ আছে ৩০ অক্টোবর। এর অনুলিপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও সংরক্ষিত রয়েছে।
বর্তমানে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন মইনুল খান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২০ অক্টোবরের সরকারি আদেশ (জিও) অনুযায়ী, তিনি ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।
বিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিসের সহকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে মইনুল খান স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি তিন দশকের বেশি সময় সরকারের বিভিন্ন পদে থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান। এ জন্য তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।
বাণিজ্যসচিব বলেন, মইনুল খান আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া তাঁর পদত্যাগপত্রে আবেদনের তারিখ উল্লেখ আছে ৩০ অক্টোবর। এর অনুলিপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও সংরক্ষিত রয়েছে।
বর্তমানে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন মইনুল খান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২০ অক্টোবরের সরকারি আদেশ (জিও) অনুযায়ী, তিনি ২৬ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের ছুটিতে রয়েছেন।
বিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অফিসের সহকর্মীদের কাছে দোয়া চেয়ে মইনুল খান স্বেচ্ছা অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি তিন দশকের বেশি সময় সরকারের বিভিন্ন পদে থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

মসলাজাতীয় একটি প্রাচীনতম ফসল আদা; যা বাণিজ্যিকভাবে প্রথম মসলাজাতীয় পণ্য হিসেবে এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমানরা এটি ব্যবহার করত। মুখরোচক রান্নায় আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকে রান্নায় আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ভেষজ গুণও উপেক্ষার নয়। চিকিৎসার অন্যতম
১০ নভেম্বর ২০২৪
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
৮ ঘণ্টা আগে
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল (এলসিটি) পিপিপি প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি সই করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং ডেনমার্কভিত্তিক মায়ের্সক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। চুক্তির আওতায় এপিএম টার্মিনালস বাংলাদেশে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার ব
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ব্যাংকগুলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানেরা।
৮ ঘণ্টা আগে