অর্চি হক, ঢাকা

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে না।
জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাবি, হাই-টেক পার্কে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে ১১টি পার্কে বিনিয়োগকারীদের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যক্রম একেবারে কম। ভাড়া, বিল বকেয়াসহ পার্কগুলোর ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের পরিমাণ ২৭ কোটি টাকার বেশি। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টির কাছে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বাকি ৪০ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টেকনোসিটি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেডের বকেয়া ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে হলেও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে। এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টির বকেয়া ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া উৎসব টেকনোলজি লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ৪৭ মাস ধরে ভাড়া এবং ৪৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না। জেএসআর আইটি ও আনিকা আইটি কর্নার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ মাসের ভাড়া বকেয়া। জেসিআর আইটির মোট বকেয়া ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং আনিকা আইটির বকেয়া ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভাড়া তোলা এবং পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব টেক সিটির। কারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, কেন করছে না, এটা ওরা বলতে পারবে।
টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভাড়া আদায়ে প্রতিনিয়ত নোটিশ দিই। চার বছরের মতো যাদের বকেয়া আছে, তাদের সঙ্গে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের সমঝোতা হয়েছে।
সিলেটের হাই-টেক পার্কে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের কাছেই বকেয়া ৬ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সিলেট হাই-টেক পার্কের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, স্পেস রেট নিয়ে জটিলতার কারণে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেলেও এখনো পার্কে কার্যক্রম শুরু করেনি। তাই তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট বকেয়া ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টির কাছে মোট বকেয়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তবে পার্কের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া পরিশোধ শুরু করেছে। তবে সংস্কারকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। কিছু বকেয়া পরিশোধ হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো পাওনা আছে। সর্বোচ্চ বকেয়া ভারগো কন্ট্রাক্ট সেন্টার সার্ভিসেসের কাছে, ৩৯ লাখ টাকা। মার্স সল্যুশনের কাছে পাওনা ৩৫ লাখ টাকা। তারা দু-এক দিনে কিছু টাকা পরিশোধের কথা জানিয়েছে।
রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ৬ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। রাজশাহীর আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
নাটোরের আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ প্রতিষ্ঠানের ভাড়া বকেয়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬৮ হাজার টাকা।
খুলনার আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েটে ৭ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ৪ লাখ ১ হাজার, সার্ভিস চার্জ ২ লাখ ১৫ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ৩৫ হাজার ও পানির বিল বকেয়া ২ হাজার টাকা।
গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাড়া আদায়ে অসংগতিসহ নানা অনিয়মে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি।
আশানুরূপ বিনিয়োগ না এলেও বিগত সরকার আরও ১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে করা কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ১২টি পার্কের মধ্যে চারটির নির্মাণ বন্ধ করেছে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে যাঁরা ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের আমরা কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। এরপরও যাঁরা বকেয়া শোধ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।’ তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে না।
জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাবি, হাই-টেক পার্কে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে ১১টি পার্কে বিনিয়োগকারীদের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যক্রম একেবারে কম। ভাড়া, বিল বকেয়াসহ পার্কগুলোর ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের পরিমাণ ২৭ কোটি টাকার বেশি। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টির কাছে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বাকি ৪০ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টেকনোসিটি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেডের বকেয়া ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে হলেও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে। এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টির বকেয়া ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া উৎসব টেকনোলজি লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ৪৭ মাস ধরে ভাড়া এবং ৪৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না। জেএসআর আইটি ও আনিকা আইটি কর্নার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ মাসের ভাড়া বকেয়া। জেসিআর আইটির মোট বকেয়া ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং আনিকা আইটির বকেয়া ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভাড়া তোলা এবং পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব টেক সিটির। কারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, কেন করছে না, এটা ওরা বলতে পারবে।
টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভাড়া আদায়ে প্রতিনিয়ত নোটিশ দিই। চার বছরের মতো যাদের বকেয়া আছে, তাদের সঙ্গে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের সমঝোতা হয়েছে।
সিলেটের হাই-টেক পার্কে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের কাছেই বকেয়া ৬ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সিলেট হাই-টেক পার্কের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, স্পেস রেট নিয়ে জটিলতার কারণে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেলেও এখনো পার্কে কার্যক্রম শুরু করেনি। তাই তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট বকেয়া ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টির কাছে মোট বকেয়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তবে পার্কের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া পরিশোধ শুরু করেছে। তবে সংস্কারকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। কিছু বকেয়া পরিশোধ হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো পাওনা আছে। সর্বোচ্চ বকেয়া ভারগো কন্ট্রাক্ট সেন্টার সার্ভিসেসের কাছে, ৩৯ লাখ টাকা। মার্স সল্যুশনের কাছে পাওনা ৩৫ লাখ টাকা। তারা দু-এক দিনে কিছু টাকা পরিশোধের কথা জানিয়েছে।
রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ৬ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। রাজশাহীর আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
নাটোরের আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ প্রতিষ্ঠানের ভাড়া বকেয়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬৮ হাজার টাকা।
খুলনার আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েটে ৭ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ৪ লাখ ১ হাজার, সার্ভিস চার্জ ২ লাখ ১৫ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ৩৫ হাজার ও পানির বিল বকেয়া ২ হাজার টাকা।
গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাড়া আদায়ে অসংগতিসহ নানা অনিয়মে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি।
আশানুরূপ বিনিয়োগ না এলেও বিগত সরকার আরও ১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে করা কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ১২টি পার্কের মধ্যে চারটির নির্মাণ বন্ধ করেছে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে যাঁরা ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের আমরা কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। এরপরও যাঁরা বকেয়া শোধ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।’ তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্চি হক, ঢাকা

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে না।
জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাবি, হাই-টেক পার্কে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে ১১টি পার্কে বিনিয়োগকারীদের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যক্রম একেবারে কম। ভাড়া, বিল বকেয়াসহ পার্কগুলোর ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের পরিমাণ ২৭ কোটি টাকার বেশি। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টির কাছে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বাকি ৪০ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টেকনোসিটি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেডের বকেয়া ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে হলেও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে। এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টির বকেয়া ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া উৎসব টেকনোলজি লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ৪৭ মাস ধরে ভাড়া এবং ৪৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না। জেএসআর আইটি ও আনিকা আইটি কর্নার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ মাসের ভাড়া বকেয়া। জেসিআর আইটির মোট বকেয়া ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং আনিকা আইটির বকেয়া ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভাড়া তোলা এবং পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব টেক সিটির। কারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, কেন করছে না, এটা ওরা বলতে পারবে।
টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভাড়া আদায়ে প্রতিনিয়ত নোটিশ দিই। চার বছরের মতো যাদের বকেয়া আছে, তাদের সঙ্গে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের সমঝোতা হয়েছে।
সিলেটের হাই-টেক পার্কে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের কাছেই বকেয়া ৬ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সিলেট হাই-টেক পার্কের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, স্পেস রেট নিয়ে জটিলতার কারণে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেলেও এখনো পার্কে কার্যক্রম শুরু করেনি। তাই তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট বকেয়া ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টির কাছে মোট বকেয়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তবে পার্কের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া পরিশোধ শুরু করেছে। তবে সংস্কারকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। কিছু বকেয়া পরিশোধ হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো পাওনা আছে। সর্বোচ্চ বকেয়া ভারগো কন্ট্রাক্ট সেন্টার সার্ভিসেসের কাছে, ৩৯ লাখ টাকা। মার্স সল্যুশনের কাছে পাওনা ৩৫ লাখ টাকা। তারা দু-এক দিনে কিছু টাকা পরিশোধের কথা জানিয়েছে।
রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ৬ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। রাজশাহীর আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
নাটোরের আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ প্রতিষ্ঠানের ভাড়া বকেয়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬৮ হাজার টাকা।
খুলনার আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েটে ৭ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ৪ লাখ ১ হাজার, সার্ভিস চার্জ ২ লাখ ১৫ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ৩৫ হাজার ও পানির বিল বকেয়া ২ হাজার টাকা।
গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাড়া আদায়ে অসংগতিসহ নানা অনিয়মে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি।
আশানুরূপ বিনিয়োগ না এলেও বিগত সরকার আরও ১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে করা কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ১২টি পার্কের মধ্যে চারটির নির্মাণ বন্ধ করেছে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে যাঁরা ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের আমরা কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। এরপরও যাঁরা বকেয়া শোধ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।’ তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে না।
জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের দাবি, হাই-টেক পার্কে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা, সেগুলো পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে ১১টি পার্কে বিনিয়োগকারীদের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কার্যক্রম একেবারে কম। ভাড়া, বিল বকেয়াসহ পার্কগুলোর ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ভাড়া ও ইউটিলিটি বিলের পরিমাণ ২৭ কোটি টাকার বেশি। গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টির কাছে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। বাকি ৪০ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টেকনোসিটি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেডের বকেয়া ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে হলেও এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে। এই পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টির বকেয়া ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ২ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া উৎসব টেকনোলজি লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ৪৭ মাস ধরে ভাড়া এবং ৪৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না। জেএসআর আইটি ও আনিকা আইটি কর্নার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ মাসের ভাড়া বকেয়া। জেসিআর আইটির মোট বকেয়া ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং আনিকা আইটির বকেয়া ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ভাড়া তোলা এবং পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব টেক সিটির। কারা বকেয়া পরিশোধ করছে না, কেন করছে না, এটা ওরা বলতে পারবে।
টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের এজিএম মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ভাড়া আদায়ে প্রতিনিয়ত নোটিশ দিই। চার বছরের মতো যাদের বকেয়া আছে, তাদের সঙ্গে কিস্তিতে বকেয়া পরিশোধের সমঝোতা হয়েছে।
সিলেটের হাই-টেক পার্কে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের কাছেই বকেয়া ৬ কোটি ২২ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সিলেট হাই-টেক পার্কের উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, স্পেস রেট নিয়ে জটিলতার কারণে র্যাংগ্স ইলেকট্রনিকসের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান জায়গা বরাদ্দ পেলেও এখনো পার্কে কার্যক্রম শুরু করেনি। তাই তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে মোট বকেয়া ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪টির কাছে মোট বকেয়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তবে পার্কের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার আল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাড়া পরিশোধ শুরু করেছে। তবে সংস্কারকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। কিছু বকেয়া পরিশোধ হয়েছে। বর্তমানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো পাওনা আছে। সর্বোচ্চ বকেয়া ভারগো কন্ট্রাক্ট সেন্টার সার্ভিসেসের কাছে, ৩৯ লাখ টাকা। মার্স সল্যুশনের কাছে পাওনা ৩৫ লাখ টাকা। তারা দু-এক দিনে কিছু টাকা পরিশোধের কথা জানিয়েছে।
রাজশাহী হাই-টেক পার্কে ৬ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। রাজশাহীর আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ৫ প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
নাটোরের আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ১০ প্রতিষ্ঠানের ভাড়া বকেয়া ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৬৮ হাজার টাকা।
খুলনার আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, কুয়েটে ৭ প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া বকেয়া ৪ লাখ ১ হাজার, সার্ভিস চার্জ ২ লাখ ১৫ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ৩৫ হাজার ও পানির বিল বকেয়া ২ হাজার টাকা।
গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাড়া আদায়ে অসংগতিসহ নানা অনিয়মে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার বেশি।
আশানুরূপ বিনিয়োগ না এলেও বিগত সরকার আরও ১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে করা কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ১২টি পার্কের মধ্যে চারটির নির্মাণ বন্ধ করেছে।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন হাই-টেক পার্কে যাঁরা ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের আমরা কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। এরপরও যাঁরা বকেয়া শোধ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে মামলা করা হবে।’ তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে।
এক বছর পর ২০২৫ সালের জুন মাসে এয়ারলাইনটি পুনরায় আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সম্পন্ন করে ২০২৭ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত আইওএসএ রেজিস্টার্ড এয়ারলাইন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এয়ার এ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ এ বিষয়ে বলেন, ‘এয়ার এ্যাস্ট্রার ফ্লাইট অপারেশন শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমরা যাত্রীদের একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত ফ্লাইট অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার লক্ষে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ)-এর পরিকল্পনা শুরু করি। যার অংশ হিসেবে ২০২৪ সালে আইওএসস সনদ প্রাপ্তি এবং তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর আমরা পুনরায় এই অডিটটি সম্পন্ন করি। এয়ার এ্যাস্ট্রা যাত্রীদের নিরাপদ এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করার জন্য সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)-এর কঠোর মানদণ্ড অনুযায়ী তাঁদের নিরীক্ষকের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন মাসে এয়ার এ্যাস্ট্রার অডিট সম্পন্ন হয়। গত এক দশকে, আইওএসএ (আইওএসএ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইনসের অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল্যায়ন করার জন্য সবচেয়ে স্বীকৃত সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।
এয়ার এ্যাস্ট্রা বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার এ্যাস্ট্রার বহরে বর্তমানে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপদ টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট।

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে।
এক বছর পর ২০২৫ সালের জুন মাসে এয়ারলাইনটি পুনরায় আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সম্পন্ন করে ২০২৭ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত আইওএসএ রেজিস্টার্ড এয়ারলাইন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এয়ার এ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ এ বিষয়ে বলেন, ‘এয়ার এ্যাস্ট্রার ফ্লাইট অপারেশন শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমরা যাত্রীদের একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত ফ্লাইট অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার লক্ষে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ)-এর পরিকল্পনা শুরু করি। যার অংশ হিসেবে ২০২৪ সালে আইওএসস সনদ প্রাপ্তি এবং তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর আমরা পুনরায় এই অডিটটি সম্পন্ন করি। এয়ার এ্যাস্ট্রা যাত্রীদের নিরাপদ এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করার জন্য সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)-এর কঠোর মানদণ্ড অনুযায়ী তাঁদের নিরীক্ষকের মাধ্যমে চলতি বছরের জুন মাসে এয়ার এ্যাস্ট্রার অডিট সম্পন্ন হয়। গত এক দশকে, আইওএসএ (আইওএসএ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইনসের অপারেশনাল ম্যানেজমেন্ট এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের মূল্যায়ন করার জন্য সবচেয়ে স্বীকৃত সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।
এয়ার এ্যাস্ট্রা বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার এ্যাস্ট্রার বহরে বর্তমানে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপদ টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট।

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে ন
১২ জানুয়ারি ২০২৫
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ গজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের অন্য যেসব সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলে—ওবায়েদ উল্লাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারাল্গুন নাওমী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশে শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু তাঁর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, তাই তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ গজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের অন্য যেসব সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা হলে—ওবায়েদ উল্লাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে মুনমুন মাসুদ, ছেলে জুনায়েদ জুলকার নায়েন ভিয়ান ও জুলুন সাফওয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারাল্গুন নাওমী।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ঋণের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, বিশেষ করে ছেলের বিদেশে শিক্ষার খরচে ব্যবহার করেছেন। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোতে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে নগদ অর্থ জমা, ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অজানা উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমহীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করেন, যা অর্থপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু তাঁর দুই সন্তান দেশত্যাগ করেছেন, তাই তিনিসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কাজী হাসানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে ন
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।
প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।
প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে ন
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে
দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই দিনে, ২২ ক্যারেটের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫৮ দশমিক ৭৫ দিরহাম।
আরব আমিরাতের স্থানীয় সোনার বাজারে দামের এই বৃদ্ধি বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। বিশ্বে সোনার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা দামের এই বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা এখনো বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে, আরব আমিরাতের বাজারে সোনার দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম টান তিন দিন বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পরিকল্পনা এবং সরকারের শাটডাউন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাজার স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ প্রহরে প্রাথমিক লেনদেনে সোনা এক সময় আউন্স প্রতি ৪ হাজার ১৪৫ ডলার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তবে পরে কিছুটা হ্রাস পায়।
এদিকে, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে—২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আগের চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১১ হাজার ২৫০ পদ কমিয়েছে। এটি শ্রমবাজারের স্থিতিশীল দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুর্বলতা আরও নীতি শিথিলতার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা সোনার জন্য সহায়ক, কারণ এতে কোনো সুদ আসে না।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকার পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রকাশিত সরকারি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তথ্য পুনরায় প্রকাশিত হলে অর্থনীতির পরিষ্কার ছবি মিলবে এবং ফেডের ডিসেম্বরে সুদের হার নির্ধারণে প্রভাব পড়বে।
সেঞ্চুরি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভ্যালেচা বলেছেন, সোনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘সোনার ভবিষ্যৎ বাজার গঠনমূলক। সরকারের পুনরায় খোলার ফলে ফেড মূল অর্থনৈতিক তথ্য পাবে, যা ডিসেম্বরে নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।’ ভ্যালেচা আরও জানান, ‘যদি তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হয় বা সুদহারের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠা-নামা বাড়তে পারে।’

দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই দিনে, ২২ ক্যারেটের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫৮ দশমিক ৭৫ দিরহাম।
আরব আমিরাতের স্থানীয় সোনার বাজারে দামের এই বৃদ্ধি বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। বিশ্বে সোনার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা দামের এই বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা এখনো বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
এদিকে, আরব আমিরাতের বাজারে সোনার দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম টান তিন দিন বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পরিকল্পনা এবং সরকারের শাটডাউন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাজার স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ প্রহরে প্রাথমিক লেনদেনে সোনা এক সময় আউন্স প্রতি ৪ হাজার ১৪৫ ডলার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তবে পরে কিছুটা হ্রাস পায়।
এদিকে, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে—২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আগের চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১১ হাজার ২৫০ পদ কমিয়েছে। এটি শ্রমবাজারের স্থিতিশীল দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুর্বলতা আরও নীতি শিথিলতার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা সোনার জন্য সহায়ক, কারণ এতে কোনো সুদ আসে না।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকার পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রকাশিত সরকারি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তথ্য পুনরায় প্রকাশিত হলে অর্থনীতির পরিষ্কার ছবি মিলবে এবং ফেডের ডিসেম্বরে সুদের হার নির্ধারণে প্রভাব পড়বে।
সেঞ্চুরি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভ্যালেচা বলেছেন, সোনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘সোনার ভবিষ্যৎ বাজার গঠনমূলক। সরকারের পুনরায় খোলার ফলে ফেড মূল অর্থনৈতিক তথ্য পাবে, যা ডিসেম্বরে নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।’ ভ্যালেচা আরও জানান, ‘যদি তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হয় বা সুদহারের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠা-নামা বাড়তে পারে।’

দেশের নয়টি হাই-টেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল বকেয়া ২৭ কোটি টাকার বেশি। টানা চার বছর ভাড়া দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল দেয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সব বকেয়া আদায় হচ্ছে ন
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের সর্বকনিষ্ঠ এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৪ সালে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদ পায় বেসরকারি এয়ারলাইন এয়ার এ্যাস্ট্রা। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরূপণী অডিট যা এয়ারলাইনসের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের পরিবারের পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্ট এনার্জি সল্যুশন (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হাসান শরীফেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা প্রদান করে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৭ ঘণ্টা আগে