হুসাইন আহমদ, ঢাকা

বহুমাত্রিক চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গতবছর আগস্টে অভুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে কয়েক ডজন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরির সঙ্গে উপার্জন হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে প্রবৃদ্ধির গতি মারাত্মকভাবে শ্লথ। এমন অবস্থায় এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
তার উপর বলা যায় অসময়ে রাজস্ব খাত সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত করে আলাদা দুটি বিভাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কাঠামোগত পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। দুয়ে মিলে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এপ্রিল ২০২৫ হালনাগাদ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা গত প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮%।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগের গতি হ্রাস, মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। এই দুর্বল প্রবৃদ্ধির মধ্যে এনবিআরের অস্থিরতা রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতির শঙ্কাকে যেন বাস্তব করে তুলছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এনবিআরের মতো সংস্থার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এমন দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিত হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবচিত্র
২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম নয় মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০.৯%। অথচ অর্থবছরের ৭৫% সময় পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আহরণের গতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশ পিছিয়ে। প্রথম নয় মাসে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রথম নয় মাসের আদায়ের ভিত্তিতে গড় ধরলে প্রতি মাসে প্রায় ৬.৭৭% হারে রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই গড় ধরে শেষ তিন মাস— এপ্রিল, মে ও জুন— পর্যন্ত যদি একই হারে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে আর প্রায় ২০.৩১% অর্থাৎ প্রায় ৮৫,৪৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
এখন মার্চ পর্যন্ত আদায় হওয়া ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সঙ্গে সম্ভাব্য বাকি আদায় ৮৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা যোগ করে অর্থবছরের শেষে মোট রাজস্ব আদায় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা অর্জন করতে সম্ভাব্য ঘাটতি থাকবে প্রায় ৭৮ লাখ ৯৮৭ কোটি টাকা। তবে চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে ঘাটতি ৮৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এনবিআরের কলমবিরতি ও ধর্মঘটের প্রভাব
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও ধর্মঘট বড় উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সময় আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সময়মতো কর পরিশোধ করতে পারেনি, অনেক ব্যাংকিং কার্যক্রমও বিলম্বিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন কাঠামোতে দায়িত্ব, পদমর্যাদা ও চাকরির নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত ১৩ মে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত দুটি নতুন সংস্থা— রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠন করার পর এই পরিস্থিতি চলছে। রাজস্ব খাতে নির্বাহী প্রশাসনের প্রভাবের অভিযোগ করে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তারা টানা পাঁচ দিনের কলমবিরতি পালন করছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে তাঁরা পুনর্গঠন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাস্টমস ছাড়পত্র, আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও ভ্যাট আদায় কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

এই অচলাবস্থার কারণে মে মাসের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি এক মাসে বাড়তি চাপ পড়বে। পুরো ঘাটতি পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। এতে বছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
সরকার যদি শিগগিরই কর আদায়ের গতি বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যেমন—কর প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংকটের সমাধান, করপ্রণোদনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে বাজেট ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় তখন সরকারকে হয় ব্যয় সংকোচন করতে হবে, নয়তো অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে। বিকল্প এই ব্যবস্থায় ব্যয় সংকোচন বা ঋণনির্ভরতা বাড়াতে হতে পারে, যা দেশের উন্নয়ন বাজেট, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অবকাঠামো প্রকল্পে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে।
সংকট নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনবিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। একইসঙ্গে, জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থাও সরকার বিবেচনা করছে। তবে স্থায়ী সমাধান না এলে রাজস্ব প্রশাসনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থার সংকট দেখা দেবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তে অটল থাকার আভাস পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের গঠনতন্ত্রে এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এনবিআর কর্মকর্তারা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কর্মবিরতির ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে দ্রুত সমাধান হলে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
যখন দেশের অর্থনীতি ৩.৩% প্রবৃদ্ধিতে সংকুচিত হচ্ছে, তখন এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট ও রাজস্ব ঘাটতি মিলে অর্থনীতির ওপর দ্বিগুণ চাপ তৈরি করছে। এ অবস্থায় দ্রুত, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সমাধান ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা—উভয়ই মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এই সংকটে সরকার ও এনবিআর উভয়ের জন্য সময়োপযোগী সমঝোতা এখন অত্যাবশ্যক।

বহুমাত্রিক চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গতবছর আগস্টে অভুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে কয়েক ডজন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরির সঙ্গে উপার্জন হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে প্রবৃদ্ধির গতি মারাত্মকভাবে শ্লথ। এমন অবস্থায় এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
তার উপর বলা যায় অসময়ে রাজস্ব খাত সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত করে আলাদা দুটি বিভাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কাঠামোগত পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। দুয়ে মিলে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এপ্রিল ২০২৫ হালনাগাদ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা গত প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮%।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগের গতি হ্রাস, মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। এই দুর্বল প্রবৃদ্ধির মধ্যে এনবিআরের অস্থিরতা রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতির শঙ্কাকে যেন বাস্তব করে তুলছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এনবিআরের মতো সংস্থার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এমন দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিত হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবচিত্র
২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম নয় মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০.৯%। অথচ অর্থবছরের ৭৫% সময় পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আহরণের গতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশ পিছিয়ে। প্রথম নয় মাসে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রথম নয় মাসের আদায়ের ভিত্তিতে গড় ধরলে প্রতি মাসে প্রায় ৬.৭৭% হারে রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই গড় ধরে শেষ তিন মাস— এপ্রিল, মে ও জুন— পর্যন্ত যদি একই হারে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে আর প্রায় ২০.৩১% অর্থাৎ প্রায় ৮৫,৪৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
এখন মার্চ পর্যন্ত আদায় হওয়া ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সঙ্গে সম্ভাব্য বাকি আদায় ৮৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা যোগ করে অর্থবছরের শেষে মোট রাজস্ব আদায় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা অর্জন করতে সম্ভাব্য ঘাটতি থাকবে প্রায় ৭৮ লাখ ৯৮৭ কোটি টাকা। তবে চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে ঘাটতি ৮৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এনবিআরের কলমবিরতি ও ধর্মঘটের প্রভাব
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও ধর্মঘট বড় উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সময় আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সময়মতো কর পরিশোধ করতে পারেনি, অনেক ব্যাংকিং কার্যক্রমও বিলম্বিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন কাঠামোতে দায়িত্ব, পদমর্যাদা ও চাকরির নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত ১৩ মে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত দুটি নতুন সংস্থা— রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠন করার পর এই পরিস্থিতি চলছে। রাজস্ব খাতে নির্বাহী প্রশাসনের প্রভাবের অভিযোগ করে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তারা টানা পাঁচ দিনের কলমবিরতি পালন করছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে তাঁরা পুনর্গঠন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাস্টমস ছাড়পত্র, আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও ভ্যাট আদায় কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

এই অচলাবস্থার কারণে মে মাসের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি এক মাসে বাড়তি চাপ পড়বে। পুরো ঘাটতি পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। এতে বছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
সরকার যদি শিগগিরই কর আদায়ের গতি বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যেমন—কর প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংকটের সমাধান, করপ্রণোদনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে বাজেট ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় তখন সরকারকে হয় ব্যয় সংকোচন করতে হবে, নয়তো অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে। বিকল্প এই ব্যবস্থায় ব্যয় সংকোচন বা ঋণনির্ভরতা বাড়াতে হতে পারে, যা দেশের উন্নয়ন বাজেট, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অবকাঠামো প্রকল্পে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে।
সংকট নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনবিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। একইসঙ্গে, জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থাও সরকার বিবেচনা করছে। তবে স্থায়ী সমাধান না এলে রাজস্ব প্রশাসনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থার সংকট দেখা দেবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তে অটল থাকার আভাস পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের গঠনতন্ত্রে এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এনবিআর কর্মকর্তারা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কর্মবিরতির ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে দ্রুত সমাধান হলে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
যখন দেশের অর্থনীতি ৩.৩% প্রবৃদ্ধিতে সংকুচিত হচ্ছে, তখন এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট ও রাজস্ব ঘাটতি মিলে অর্থনীতির ওপর দ্বিগুণ চাপ তৈরি করছে। এ অবস্থায় দ্রুত, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সমাধান ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা—উভয়ই মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এই সংকটে সরকার ও এনবিআর উভয়ের জন্য সময়োপযোগী সমঝোতা এখন অত্যাবশ্যক।
হুসাইন আহমদ, ঢাকা

বহুমাত্রিক চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গতবছর আগস্টে অভুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে কয়েক ডজন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরির সঙ্গে উপার্জন হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে প্রবৃদ্ধির গতি মারাত্মকভাবে শ্লথ। এমন অবস্থায় এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
তার উপর বলা যায় অসময়ে রাজস্ব খাত সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত করে আলাদা দুটি বিভাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কাঠামোগত পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। দুয়ে মিলে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এপ্রিল ২০২৫ হালনাগাদ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা গত প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮%।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগের গতি হ্রাস, মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। এই দুর্বল প্রবৃদ্ধির মধ্যে এনবিআরের অস্থিরতা রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতির শঙ্কাকে যেন বাস্তব করে তুলছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এনবিআরের মতো সংস্থার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এমন দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিত হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবচিত্র
২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম নয় মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০.৯%। অথচ অর্থবছরের ৭৫% সময় পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আহরণের গতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশ পিছিয়ে। প্রথম নয় মাসে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রথম নয় মাসের আদায়ের ভিত্তিতে গড় ধরলে প্রতি মাসে প্রায় ৬.৭৭% হারে রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই গড় ধরে শেষ তিন মাস— এপ্রিল, মে ও জুন— পর্যন্ত যদি একই হারে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে আর প্রায় ২০.৩১% অর্থাৎ প্রায় ৮৫,৪৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
এখন মার্চ পর্যন্ত আদায় হওয়া ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সঙ্গে সম্ভাব্য বাকি আদায় ৮৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা যোগ করে অর্থবছরের শেষে মোট রাজস্ব আদায় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা অর্জন করতে সম্ভাব্য ঘাটতি থাকবে প্রায় ৭৮ লাখ ৯৮৭ কোটি টাকা। তবে চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে ঘাটতি ৮৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এনবিআরের কলমবিরতি ও ধর্মঘটের প্রভাব
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও ধর্মঘট বড় উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সময় আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সময়মতো কর পরিশোধ করতে পারেনি, অনেক ব্যাংকিং কার্যক্রমও বিলম্বিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন কাঠামোতে দায়িত্ব, পদমর্যাদা ও চাকরির নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত ১৩ মে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত দুটি নতুন সংস্থা— রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠন করার পর এই পরিস্থিতি চলছে। রাজস্ব খাতে নির্বাহী প্রশাসনের প্রভাবের অভিযোগ করে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তারা টানা পাঁচ দিনের কলমবিরতি পালন করছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে তাঁরা পুনর্গঠন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাস্টমস ছাড়পত্র, আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও ভ্যাট আদায় কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

এই অচলাবস্থার কারণে মে মাসের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি এক মাসে বাড়তি চাপ পড়বে। পুরো ঘাটতি পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। এতে বছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
সরকার যদি শিগগিরই কর আদায়ের গতি বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যেমন—কর প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংকটের সমাধান, করপ্রণোদনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে বাজেট ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় তখন সরকারকে হয় ব্যয় সংকোচন করতে হবে, নয়তো অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে। বিকল্প এই ব্যবস্থায় ব্যয় সংকোচন বা ঋণনির্ভরতা বাড়াতে হতে পারে, যা দেশের উন্নয়ন বাজেট, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অবকাঠামো প্রকল্পে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে।
সংকট নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনবিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। একইসঙ্গে, জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থাও সরকার বিবেচনা করছে। তবে স্থায়ী সমাধান না এলে রাজস্ব প্রশাসনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থার সংকট দেখা দেবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তে অটল থাকার আভাস পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের গঠনতন্ত্রে এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এনবিআর কর্মকর্তারা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কর্মবিরতির ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে দ্রুত সমাধান হলে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
যখন দেশের অর্থনীতি ৩.৩% প্রবৃদ্ধিতে সংকুচিত হচ্ছে, তখন এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট ও রাজস্ব ঘাটতি মিলে অর্থনীতির ওপর দ্বিগুণ চাপ তৈরি করছে। এ অবস্থায় দ্রুত, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সমাধান ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা—উভয়ই মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এই সংকটে সরকার ও এনবিআর উভয়ের জন্য সময়োপযোগী সমঝোতা এখন অত্যাবশ্যক।

বহুমাত্রিক চাপের মুখে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গতবছর আগস্টে অভুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল। একদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে কয়েক ডজন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরির সঙ্গে উপার্জন হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে প্রবৃদ্ধির গতি মারাত্মকভাবে শ্লথ। এমন অবস্থায় এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে বড় প্রভাব পড়ার কথা।
তার উপর বলা যায় অসময়ে রাজস্ব খাত সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত করে আলাদা দুটি বিভাগ সৃষ্টির মাধ্যমে কাঠামোগত পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে রাজস্ব প্রশাসনে চলছে অস্থিরতা। দুয়ে মিলে দেশের রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এপ্রিল ২০২৫ হালনাগাদ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে (২০২৪–২৫) বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা গত প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮%।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগের গতি হ্রাস, মূল্যস্ফীতির চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। এই দুর্বল প্রবৃদ্ধির মধ্যে এনবিআরের অস্থিরতা রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতির শঙ্কাকে যেন বাস্তব করে তুলছে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এনবিআরের মতো সংস্থার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। এমন দায়িত্বশীল পদে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়া উচিত হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবচিত্র
২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম নয় মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০.৯%। অথচ অর্থবছরের ৭৫% সময় পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ, সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আহরণের গতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশ পিছিয়ে। প্রথম নয় মাসে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
প্রথম নয় মাসের আদায়ের ভিত্তিতে গড় ধরলে প্রতি মাসে প্রায় ৬.৭৭% হারে রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই গড় ধরে শেষ তিন মাস— এপ্রিল, মে ও জুন— পর্যন্ত যদি একই হারে রাজস্ব আহরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে আর প্রায় ২০.৩১% অর্থাৎ প্রায় ৮৫,৪৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
এখন মার্চ পর্যন্ত আদায় হওয়া ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সঙ্গে সম্ভাব্য বাকি আদায় ৮৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা যোগ করে অর্থবছরের শেষে মোট রাজস্ব আদায় দাঁড়াতে পারে প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা অর্জন করতে সম্ভাব্য ঘাটতি থাকবে প্রায় ৭৮ লাখ ৯৮৭ কোটি টাকা। তবে চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে ঘাটতি ৮৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এনবিআরের কলমবিরতি ও ধর্মঘটের প্রভাব
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও ধর্মঘট বড় উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই সময় আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ও ভ্যাট আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করদাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সময়মতো কর পরিশোধ করতে পারেনি, অনেক ব্যাংকিং কার্যক্রমও বিলম্বিত হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন কাঠামোতে দায়িত্ব, পদমর্যাদা ও চাকরির নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গত ১৩ মে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত দুটি নতুন সংস্থা— রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও রাজস্ব নীতি বিভাগ—গঠন করার পর এই পরিস্থিতি চলছে। রাজস্ব খাতে নির্বাহী প্রশাসনের প্রভাবের অভিযোগ করে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তারা টানা পাঁচ দিনের কলমবিরতি পালন করছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে তাঁরা পুনর্গঠন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাস্টমস ছাড়পত্র, আয়কর রিটার্ন গ্রহণ ও ভ্যাট আদায় কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।

এই অচলাবস্থার কারণে মে মাসের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বাকি এক মাসে বাড়তি চাপ পড়বে। পুরো ঘাটতি পূরণ হয়তো সম্ভব হবে না। এতে বছরের শেষে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
সরকার যদি শিগগিরই কর আদায়ের গতি বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, যেমন—কর প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংকটের সমাধান, করপ্রণোদনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। তবে বাজেট ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় তখন সরকারকে হয় ব্যয় সংকোচন করতে হবে, নয়তো অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক ঋণ নিতে হবে। বিকল্প এই ব্যবস্থায় ব্যয় সংকোচন বা ঋণনির্ভরতা বাড়াতে হতে পারে, যা দেশের উন্নয়ন বাজেট, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অবকাঠামো প্রকল্পে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে সামগ্রিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে।
সংকট নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এনবিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। একইসঙ্গে, জরুরি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থাও সরকার বিবেচনা করছে। তবে স্থায়ী সমাধান না এলে রাজস্ব প্রশাসনে দীর্ঘমেয়াদি আস্থার সংকট দেখা দেবে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তে অটল থাকার আভাস পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের গঠনতন্ত্রে এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এনবিআর কর্মকর্তারা। তাঁরা আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, কর্মবিরতির ক্ষতি নিয়ে সন্দেহ নেই, তবে দ্রুত সমাধান হলে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
যখন দেশের অর্থনীতি ৩.৩% প্রবৃদ্ধিতে সংকুচিত হচ্ছে, তখন এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট ও রাজস্ব ঘাটতি মিলে অর্থনীতির ওপর দ্বিগুণ চাপ তৈরি করছে। এ অবস্থায় দ্রুত, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সমাধান ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা—উভয়ই মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এই সংকটে সরকার ও এনবিআর উভয়ের জন্য সময়োপযোগী সমঝোতা এখন অত্যাবশ্যক।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৩৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘দেশে শুধু ভোটাররাই নন, রাজনীতিবিদেরাও এখন বিপন্নতার মধ্যে রয়েছেন।’

আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিপিডির ফেলো।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘বিপন্ন জনগোষ্ঠীর প্রসঙ্গে সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায় বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা উঠে আসে। তবে এর সঙ্গে বড় একটি বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সিপিডির এই ফেলো বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে সহিংসতার পর এখন নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, গত দেড় মাসে ‘বাংলাদেশ রিফর্ম ট্র্যাকার’ প্ল্যাটফর্ম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্-নির্বাচনী সংলাপ আয়োজন করেছে। এসব সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব আলোচনার ভিত্তিতে একটি নাগরিক ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেসব জায়গায় গিয়েছি, প্রায় সর্বত্রই নিরাপত্তার বিষয়টি খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে কি না, এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত নন।’
সংস্কার এজেন্ডা প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্তমানে সংস্কার-সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি এলিট গোষ্ঠী প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতিকে দুর্বল করেছে, যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিযোগিতাহীন অর্থনীতি।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম ও একটি অলিগার্কিক ব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে সংস্কার নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমান উদ্যোগটি আলাদা, কারণ এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কমিশন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেও তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে যে গতি তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘আমরা দেখেছি স্বচ্ছতা, সমন্বয় ও যোগাযোগ সব সময় পর্যাপ্ত ছিল না। আর শুধু পরিকল্পনার মাধ্যমে সংস্কার সফল করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ।’
তাঁর মতে, সংস্কার শুধু পরিকল্পনা বা উদ্দীপনার বিষয় নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নাগরিকদের সচেতনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় ধরনের পতন আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এ কাঠামোগত অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩% হতে পারে, যা চার দশকে সর্বনিম্ন।
২০ মে ২০২৫
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৩৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও টিভি ফ্রি পাওয়া পণ্য ছয় ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। তাঁরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের গোলাম রাব্বানি সিফাত ও গৃহিণী আফসানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আজমির খান, রূপগঞ্জের সবুর হোসাইন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের তারিকুল ইসলাম ও আসমা জাহান বিথী।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের হাতে উপহার পাওয়া পণ্য তুলে দেন চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সে সময় আরও ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের প্রধান মো. ফিরোজ আলম প্রমুখ।
বিজয়ী ক্রেতাদের মধ্যে গোলাম রাব্বানি সিফাত, আফসানা, আজমির খান ও আসমা জাহান বিথী ফ্রিজ কিনে উপহার পেয়েছেন ওয়ালটনের অত্যাধুনিক সিক্সএনাইন মডেলের সাইড বাই সাইড স্মার্ট ফ্রিজ। অন্যদিকে তারিকুল ইসলাম ফ্রিজ কিনে ফ্রি পেয়েছেন ২১৩ লিটারের ফ্রিজ এবং সবুর হোসাইন ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ওয়ালটনের ৪৩ ইঞ্চি স্মার্ট টেলিভিশন।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, ‘ওয়ালটন ক্রেতাদের সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং সম্মান করে। সারা দেশে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে নানান উপহার পাচ্ছেন যা তাদের যথাযথভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে কয়েকজনের হাতে করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠান করে প্রাপ্য পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গ্রাহকদের জন্য আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় ধরনের পতন আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এ কাঠামোগত অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩% হতে পারে, যা চার দশকে সর্বনিম্ন।
২০ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় ধরনের পতন আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এ কাঠামোগত অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩% হতে পারে, যা চার দশকে সর্বনিম্ন।
২০ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৩৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় ধরনের পতন আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এ কাঠামোগত অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশে রাজস্ব ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৩% হতে পারে, যা চার দশকে সর্বনিম্ন।
২০ মে ২০২৫
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদেরা আরও সহিংসতা বা হামলার শিকার হবেন কি না এবং নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সরকার তাঁদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে কি না এ নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
৭ মিনিট আগে
ইলেকট্রনিকস পণ্য ক্রয়ে গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের ২৩তম সিজনে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি ফ্যান কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার।
৩৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
৪ ঘণ্টা আগে