মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক কম। কিছু মানুষ এমনকি যেকোনো কাজ করতে রাজি, তা-ও সেভাবে সুযোগ নেই।
কর্মসংস্থানে এলাকা এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্যও প্রবল। নারীর তুলনায় পুরুষই কাজ পাচ্ছে বেশি। এসবের প্রভাব পড়েছে সার্বিক বেকারত্বে। শ্রমবাজারের এই দ্বিমুখী বাস্তবতা আগামী কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে।
এই জরিপে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের স্বল্পতা—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে বড় চাপ রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে শ্রমবাজারে। তদুপরি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষার অপ্রতুলতাও কর্মসংস্থান না বাড়ার পেছনে দায়ী। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, যেগুলোতে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৮ কোটি, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার জন।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের জরিপে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার জন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।
অর্থাৎ ২০২৩ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ লাখ ৬০ হাজার বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। সেখানে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় কর্মসংস্থান কম হারে হয়েছে। আবার কর্মসংস্থান যেটুকু বেড়েছে, সেখানে শহরের তুলনায় এগিয়ে গ্রামের মানুষ। যেখানে ৬২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কর্মসংস্থানে নিয়োজিত গ্রামে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সময়ে শ্রমিকদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, যেখানে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল নিরক্ষর।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, কর্মক্ষম ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছে। এটি মূলত পারিবারিক বা স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কাজ, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণনা হলেও সরাসরি আয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়। এভাবে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের সমানুপাতিক হয়নি এবং বিনা পারিশ্রমিকে কাজের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।
এদিকে ২০২৩ সালে দেশের মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২২ সালের জরিপে ছিল ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান কৃষি, বনজ ও মৎস্য খাতে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মীর সংখ্যা ৪৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেবা খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে শিল্প খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সেবা খাতে কর্মসংস্থানের হার অনেক বেশি, যা ৬১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পল্লি অঞ্চলে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা বেশি, যেখানে ৫৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। তবে কৃষি ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান বাড়লেও শিল্প খাতে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই বৈষম্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর থেকে উত্তরণে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা এবং দক্ষ শ্রমিকও তৈরি করতে হবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগ বাড়লেই বাড়বে কর্মসংস্থান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশের টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে দেশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যেত। তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পে চাকরি দেওয়া ৫ লাখ বেড়েছে। কিন্তু পাচার হওয়া টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান আরও কয়েক গুণ বাড়ত।
অর্থাৎ শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান কম হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত বছরে সরকার একটি গোষ্ঠীকে আর্থিক ও জ্বালানি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। তাই নতুন করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে সরকার সত্যিকার অর্থে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারেনি। তাই কর্মসংস্থান বাড়েনি।
জরিপে বলা হয়েছে, ২৬ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তি নিজস্ব ব্যবসা কার্যক্রমে নিয়োজিত এবং ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪ হাজার তাদের অধীনে কাজ করছে।

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক কম। কিছু মানুষ এমনকি যেকোনো কাজ করতে রাজি, তা-ও সেভাবে সুযোগ নেই।
কর্মসংস্থানে এলাকা এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্যও প্রবল। নারীর তুলনায় পুরুষই কাজ পাচ্ছে বেশি। এসবের প্রভাব পড়েছে সার্বিক বেকারত্বে। শ্রমবাজারের এই দ্বিমুখী বাস্তবতা আগামী কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে।
এই জরিপে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের স্বল্পতা—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে বড় চাপ রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে শ্রমবাজারে। তদুপরি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষার অপ্রতুলতাও কর্মসংস্থান না বাড়ার পেছনে দায়ী। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, যেগুলোতে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৮ কোটি, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার জন।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের জরিপে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার জন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।
অর্থাৎ ২০২৩ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ লাখ ৬০ হাজার বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। সেখানে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় কর্মসংস্থান কম হারে হয়েছে। আবার কর্মসংস্থান যেটুকু বেড়েছে, সেখানে শহরের তুলনায় এগিয়ে গ্রামের মানুষ। যেখানে ৬২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কর্মসংস্থানে নিয়োজিত গ্রামে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সময়ে শ্রমিকদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, যেখানে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল নিরক্ষর।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, কর্মক্ষম ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছে। এটি মূলত পারিবারিক বা স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কাজ, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণনা হলেও সরাসরি আয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়। এভাবে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের সমানুপাতিক হয়নি এবং বিনা পারিশ্রমিকে কাজের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।
এদিকে ২০২৩ সালে দেশের মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২২ সালের জরিপে ছিল ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান কৃষি, বনজ ও মৎস্য খাতে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মীর সংখ্যা ৪৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেবা খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে শিল্প খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সেবা খাতে কর্মসংস্থানের হার অনেক বেশি, যা ৬১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পল্লি অঞ্চলে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা বেশি, যেখানে ৫৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। তবে কৃষি ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান বাড়লেও শিল্প খাতে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই বৈষম্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর থেকে উত্তরণে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা এবং দক্ষ শ্রমিকও তৈরি করতে হবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগ বাড়লেই বাড়বে কর্মসংস্থান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশের টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে দেশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যেত। তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পে চাকরি দেওয়া ৫ লাখ বেড়েছে। কিন্তু পাচার হওয়া টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান আরও কয়েক গুণ বাড়ত।
অর্থাৎ শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান কম হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত বছরে সরকার একটি গোষ্ঠীকে আর্থিক ও জ্বালানি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। তাই নতুন করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে সরকার সত্যিকার অর্থে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারেনি। তাই কর্মসংস্থান বাড়েনি।
জরিপে বলা হয়েছে, ২৬ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তি নিজস্ব ব্যবসা কার্যক্রমে নিয়োজিত এবং ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪ হাজার তাদের অধীনে কাজ করছে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক কম। কিছু মানুষ এমনকি যেকোনো কাজ করতে রাজি, তা-ও সেভাবে সুযোগ নেই।
কর্মসংস্থানে এলাকা এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্যও প্রবল। নারীর তুলনায় পুরুষই কাজ পাচ্ছে বেশি। এসবের প্রভাব পড়েছে সার্বিক বেকারত্বে। শ্রমবাজারের এই দ্বিমুখী বাস্তবতা আগামী কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে।
এই জরিপে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের স্বল্পতা—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে বড় চাপ রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে শ্রমবাজারে। তদুপরি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষার অপ্রতুলতাও কর্মসংস্থান না বাড়ার পেছনে দায়ী। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, যেগুলোতে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৮ কোটি, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার জন।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের জরিপে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার জন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।
অর্থাৎ ২০২৩ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ লাখ ৬০ হাজার বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। সেখানে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় কর্মসংস্থান কম হারে হয়েছে। আবার কর্মসংস্থান যেটুকু বেড়েছে, সেখানে শহরের তুলনায় এগিয়ে গ্রামের মানুষ। যেখানে ৬২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কর্মসংস্থানে নিয়োজিত গ্রামে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সময়ে শ্রমিকদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, যেখানে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল নিরক্ষর।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, কর্মক্ষম ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছে। এটি মূলত পারিবারিক বা স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কাজ, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণনা হলেও সরাসরি আয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়। এভাবে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের সমানুপাতিক হয়নি এবং বিনা পারিশ্রমিকে কাজের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।
এদিকে ২০২৩ সালে দেশের মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২২ সালের জরিপে ছিল ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান কৃষি, বনজ ও মৎস্য খাতে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মীর সংখ্যা ৪৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেবা খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে শিল্প খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সেবা খাতে কর্মসংস্থানের হার অনেক বেশি, যা ৬১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পল্লি অঞ্চলে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা বেশি, যেখানে ৫৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। তবে কৃষি ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান বাড়লেও শিল্প খাতে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই বৈষম্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর থেকে উত্তরণে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা এবং দক্ষ শ্রমিকও তৈরি করতে হবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগ বাড়লেই বাড়বে কর্মসংস্থান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশের টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে দেশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যেত। তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পে চাকরি দেওয়া ৫ লাখ বেড়েছে। কিন্তু পাচার হওয়া টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান আরও কয়েক গুণ বাড়ত।
অর্থাৎ শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান কম হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত বছরে সরকার একটি গোষ্ঠীকে আর্থিক ও জ্বালানি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। তাই নতুন করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে সরকার সত্যিকার অর্থে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারেনি। তাই কর্মসংস্থান বাড়েনি।
জরিপে বলা হয়েছে, ২৬ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তি নিজস্ব ব্যবসা কার্যক্রমে নিয়োজিত এবং ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪ হাজার তাদের অধীনে কাজ করছে।

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক কম। কিছু মানুষ এমনকি যেকোনো কাজ করতে রাজি, তা-ও সেভাবে সুযোগ নেই।
কর্মসংস্থানে এলাকা এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক বৈষম্যও প্রবল। নারীর তুলনায় পুরুষই কাজ পাচ্ছে বেশি। এসবের প্রভাব পড়েছে সার্বিক বেকারত্বে। শ্রমবাজারের এই দ্বিমুখী বাস্তবতা আগামী কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য বেশ অস্বস্তিকর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য মিলেছে।
এই জরিপে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগের স্বল্পতা—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে বড় চাপ রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটেছে শ্রমবাজারে। তদুপরি, দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষার অপ্রতুলতাও কর্মসংস্থান না বাড়ার পেছনে দায়ী। যদিও এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে, যেগুলোতে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৮ কোটি, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার জন।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের জরিপে বলা হয়, দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ, তাদের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছিল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার জন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল।
অর্থাৎ ২০২৩ সালে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ লাখ ৬০ হাজার বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার। সেখানে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৫ লাখ ১০ হাজার মানুষের। অর্থাৎ কর্মক্ষম মানুষের তুলনায় কর্মসংস্থান কম হারে হয়েছে। আবার কর্মসংস্থান যেটুকু বেড়েছে, সেখানে শহরের তুলনায় এগিয়ে গ্রামের মানুষ। যেখানে ৬২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কর্মসংস্থানে নিয়োজিত গ্রামে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যা ৫০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার। এই সময়ে শ্রমিকদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৫১ শতাংশ ছিল সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, যেখানে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল নিরক্ষর।
জরিপে আরও উঠে এসেছে, কর্মক্ষম ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করছে। এটি মূলত পারিবারিক বা স্বেচ্ছাশ্রমভিত্তিক কাজ, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গণনা হলেও সরাসরি আয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়। এভাবে দেখা যায়, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের সমানুপাতিক হয়নি এবং বিনা পারিশ্রমিকে কাজের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।
এদিকে ২০২৩ সালে দেশের মোট ৭ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার; যা ২০২২ সালের জরিপে ছিল ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান কৃষি, বনজ ও মৎস্য খাতে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মীর সংখ্যা ৪৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সেবা খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে শিল্প খাত, যেখানে কর্মীর সংখ্যা ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
শহরাঞ্চলে সেবা খাতে কর্মসংস্থানের হার অনেক বেশি, যা ৬১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পল্লি অঞ্চলে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবণতা বেশি, যেখানে ৫৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত। তবে কৃষি ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান বাড়লেও শিল্প খাতে তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই বৈষম্য দেশের শ্রমবাজারের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর থেকে উত্তরণে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা এবং দক্ষ শ্রমিকও তৈরি করতে হবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগ বাড়লেই বাড়বে কর্মসংস্থান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশের টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে দেশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যেত। তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পে চাকরি দেওয়া ৫ লাখ বেড়েছে। কিন্তু পাচার হওয়া টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান আরও কয়েক গুণ বাড়ত।
অর্থাৎ শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থান কম হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত বছরে সরকার একটি গোষ্ঠীকে আর্থিক ও জ্বালানি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সাধারণ উদ্যোক্তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। তাই নতুন করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে সরকার সত্যিকার অর্থে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে পারেনি। তাই কর্মসংস্থান বাড়েনি।
জরিপে বলা হয়েছে, ২৬ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তি নিজস্ব ব্যবসা কার্যক্রমে নিয়োজিত এবং ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪ হাজার তাদের অধীনে কাজ করছে।

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক
২১ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক
২১ জানুয়ারি ২০২৫
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে
মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়তার জন্য একটি চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক হওয়া জরুরি। তাঁদের যুক্তি, এতে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেন করা গেলে ডলার সাশ্রয় হবে। তবে অর্থনীতিবিদের মতে, চীনা ব্যাংক যদি আসেও, তারা কী সেবা দেবে, তার ওপরই মূলত এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে। ইউয়ানের স্বল্পতাও একটা সীমাবদ্ধতা।
বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে ওঠা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। গত ১০ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়ে ৩ গুণ ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি আসে চীন থেকে। তবে মোট রপ্তানির মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি যায় চীনে। এ ছাড়া চীনের অনেক প্রকল্প চলছে বাংলাদেশে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ও লেনদেন রয়েছে। মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করেছে। কর্ণফুলী নদীর তলায় নির্মিত টানেল এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পেও চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে চীনের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কিংবা কোনো সেবার অর্থ পরিশোধ করতে তিনটি স্তরে লেনদেন করতে হয়। প্রথমে দেশের ব্যবসায়ীরা টাকায় স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে আমদানি করা পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ করেন। স্থানীয় ব্যাংক সেই টাকাকে ডলারে রূপান্তর করে চীনের রপ্তানিকারকের ব্যাংককে পরিশোধ করে। সেই ব্যাংক আবার ডলারকে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারককে পরিশোধ করে। এই তিন স্তরের লেনদেনে মোটা বিনিময় ফি গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এখানে চীনের কোনো ব্যাংক থাকলে সরাসরি ইউয়ানে লেনদেন হতে পারে। এতে মোট লেনদেন খরচের ২-৩ শতাংশ কমে যাবে।
এ ছাড়া ডলারের সংকট ও ডলারের বাড়তি দামের কারণে ব্যবসায়িক যে ক্ষতি হয় তা-ও কমে আসবে। চীনে রপ্তানি থেকে আয় এবং বিভিন্ন প্রকল্প সহযোগিতার অর্থ মিলিয়ে ২-৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইউয়ান মজুত রাখা সম্ভব। এই ২ বিলিয়ন ডলারের লেনদেনও যদি ইউয়ানে করা যায়, তবে দেশে ডলারের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে।
ইউয়ানের মূল্য অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় আমদানি খরচও হুটহাট তেমন বাড়বে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায়ই ডলারের বাড়তি দামের কারণে যা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের দাম বেড়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৪-৮৫ টাকা। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি তা ১০৭ টাকায় ওঠে। বর্তমানে ডলারের দাম ১২২ টাকার বেশি। বিপরীতে ইউয়ানের মূল্য ২০২০ সালে ছিল ১৩.৪৮ টাকা, যা ২০২৩ সালে ২ টাকা বেড়ে ১৫.৪৮ টাকা হয়। বর্তমানে ১৭.২২ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৬টি দেশের মোট ৯টি বিদেশি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ২টি ও পাকিস্তানের ৩টি। অন্যগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলঙ্কার ১টি করে ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি মো. খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেশে চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এতে নানা দিক থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই আমরা চীনা দূতাবাসে বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে একটি কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও দিয়েছি। তারা প্রস্তাবটি পেয়ে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।’
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিসিআই। এর মধ্যে চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন আরও সহজ করতে বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি রয়েছে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ‘এটা ঠিক, আমাদের হাতে ইউয়ানের মজুত কম থাকে। কারণ চীনে আমাদের রপ্তানি কম। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের সহায়তাসহ হিসাব করলে আমাদের হাতে ২-৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইউয়ান মজুত হয়। চীনা পণ্য আমদানির জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারও যদি আমরা ইউয়ানে পরিশোধ করতে পারি, তা-ও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে।’
আল মামুন মৃধা বলেন, তারা গত চার-পাঁচ বছর বাংলাদেশে চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা বলে আসছেন চীন দূতাবাসকে। তাঁদের জানা মতে, এ নিয়ে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যায়ে কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। তবে কী কারণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, তা তাঁরা জানেন না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বাড়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা—দুটোই রয়েছে। চীনের একটি ব্যাংক যদি বাংলাদেশে থাকে, তবে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সহজ হবে। ইউয়ানের মজুতে যেটুকু ঘাটতি থাকবে, তা ডলারে লেনদেন করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেশে চীনের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবকে যৌক্তিক ও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘চীন যেহেতু আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী, তাই তাদের একটা ব্যাংক থাকাটা স্বাভাবিক। তবে চীনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটি থেকে এখনো কেউ আবেদন বা প্রস্তাব দেয়নি। যদি কোনো প্রস্তাব আসে, তবে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।’
জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘চীনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলে আমাদের কতটুকু সুবিধা হবে, তা নির্ভর করবে তারা আমাদের কী এবং কতটুকু সেবা ও সুবিধা দেবে—তার ওপর। তা ছাড়া, আগে চীনের কোনো ব্যাংককে বাংলাদেশে অপারেট করতে আগ্রহী হতে হবে। আর ইউয়ানে লেনদেনের বিষয়টা অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমাদের অত ইউয়ান থাকে না।’

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়তার জন্য একটি চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক হওয়া জরুরি। তাঁদের যুক্তি, এতে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেন করা গেলে ডলার সাশ্রয় হবে। তবে অর্থনীতিবিদের মতে, চীনা ব্যাংক যদি আসেও, তারা কী সেবা দেবে, তার ওপরই মূলত এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে। ইউয়ানের স্বল্পতাও একটা সীমাবদ্ধতা।
বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে চীনা দূতাবাসে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে ওঠা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। গত ১০ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়ে ৩ গুণ ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি আসে চীন থেকে। তবে মোট রপ্তানির মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি যায় চীনে। এ ছাড়া চীনের অনেক প্রকল্প চলছে বাংলাদেশে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরে চীন থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ও লেনদেন রয়েছে। মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করেছে। কর্ণফুলী নদীর তলায় নির্মিত টানেল এবং পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পেও চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে চীনের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কিংবা কোনো সেবার অর্থ পরিশোধ করতে তিনটি স্তরে লেনদেন করতে হয়। প্রথমে দেশের ব্যবসায়ীরা টাকায় স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে আমদানি করা পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ করেন। স্থানীয় ব্যাংক সেই টাকাকে ডলারে রূপান্তর করে চীনের রপ্তানিকারকের ব্যাংককে পরিশোধ করে। সেই ব্যাংক আবার ডলারকে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে রূপান্তরিত করে রপ্তানিকারককে পরিশোধ করে। এই তিন স্তরের লেনদেনে মোটা বিনিময় ফি গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এখানে চীনের কোনো ব্যাংক থাকলে সরাসরি ইউয়ানে লেনদেন হতে পারে। এতে মোট লেনদেন খরচের ২-৩ শতাংশ কমে যাবে।
এ ছাড়া ডলারের সংকট ও ডলারের বাড়তি দামের কারণে ব্যবসায়িক যে ক্ষতি হয় তা-ও কমে আসবে। চীনে রপ্তানি থেকে আয় এবং বিভিন্ন প্রকল্প সহযোগিতার অর্থ মিলিয়ে ২-৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইউয়ান মজুত রাখা সম্ভব। এই ২ বিলিয়ন ডলারের লেনদেনও যদি ইউয়ানে করা যায়, তবে দেশে ডলারের ওপর চাপ অনেকটাই কমবে।
ইউয়ানের মূল্য অনেকটাই স্থিতিশীল হওয়ায় আমদানি খরচও হুটহাট তেমন বাড়বে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায়ই ডলারের বাড়তি দামের কারণে যা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। বিপরীতে চীনের মুদ্রা ইউয়ানের দাম বেড়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ। ২০২০ সালে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৪-৮৫ টাকা। কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি তা ১০৭ টাকায় ওঠে। বর্তমানে ডলারের দাম ১২২ টাকার বেশি। বিপরীতে ইউয়ানের মূল্য ২০২০ সালে ছিল ১৩.৪৮ টাকা, যা ২০২৩ সালে ২ টাকা বেড়ে ১৫.৪৮ টাকা হয়। বর্তমানে ১৭.২২ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৬টি দেশের মোট ৯টি বিদেশি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ২টি ও পাকিস্তানের ৩টি। অন্যগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলঙ্কার ১টি করে ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সভাপতি মো. খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেশে চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। এতে নানা দিক থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই আমরা চীনা দূতাবাসে বিভিন্ন প্রস্তাবের সঙ্গে একটি কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও দিয়েছি। তারা প্রস্তাবটি পেয়ে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে।’
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিসিআই। এর মধ্যে চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন আরও সহজ করতে বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ চীনা বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি রয়েছে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, ‘এটা ঠিক, আমাদের হাতে ইউয়ানের মজুত কম থাকে। কারণ চীনে আমাদের রপ্তানি কম। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের সহায়তাসহ হিসাব করলে আমাদের হাতে ২-৩ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইউয়ান মজুত হয়। চীনা পণ্য আমদানির জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারও যদি আমরা ইউয়ানে পরিশোধ করতে পারি, তা-ও রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে।’
আল মামুন মৃধা বলেন, তারা গত চার-পাঁচ বছর বাংলাদেশে চীনের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা বলে আসছেন চীন দূতাবাসকে। তাঁদের জানা মতে, এ নিয়ে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যায়ে কিছুটা আলোচনাও হয়েছে। তবে কী কারণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, তা তাঁরা জানেন না।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও বাড়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা—দুটোই রয়েছে। চীনের একটি ব্যাংক যদি বাংলাদেশে থাকে, তবে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সহজ হবে। ইউয়ানের মজুতে যেটুকু ঘাটতি থাকবে, তা ডলারে লেনদেন করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেশে চীনের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবকে যৌক্তিক ও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘চীন যেহেতু আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী, তাই তাদের একটা ব্যাংক থাকাটা স্বাভাবিক। তবে চীনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটি থেকে এখনো কেউ আবেদন বা প্রস্তাব দেয়নি। যদি কোনো প্রস্তাব আসে, তবে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।’
জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘চীনের ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হলে আমাদের কতটুকু সুবিধা হবে, তা নির্ভর করবে তারা আমাদের কী এবং কতটুকু সেবা ও সুবিধা দেবে—তার ওপর। তা ছাড়া, আগে চীনের কোনো ব্যাংককে বাংলাদেশে অপারেট করতে আগ্রহী হতে হবে। আর ইউয়ানে লেনদেনের বিষয়টা অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ আমাদের অত ইউয়ান থাকে না।’

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক
২১ জানুয়ারি ২০২৫
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাস্টমস ও আবগারি বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুজ্জামান সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) শুল্ক-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে সই করেন আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

কাস্টমস ও আবগারি বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুজ্জামান সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার (২ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) শুল্ক-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে সই করেন আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. শহিদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দেশে কাজের সুযোগের অভাব বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষ বাড়ছে, অথচ সেই তুলনায় কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কম। ফলে বাড়ছে এ দুইয়ের ব্যবধান। আবার যারা কর্মক্ষম, তাদের বড় একটা অংশ শ্রমের বিনিময়ে নিচ্ছে না মজুরি। যারা কাজ খুঁজছে, তারা তাদের যোগ্যতার মানে কাজ পায় না। যাদের কাজ রয়েছে, তাদের মজুরি প্রত্যাশিতের চেয়ে অনেক
২১ জানুয়ারি ২০২৫
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। দেশটির সঙ্গে এখন বাংলাদেশের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকলেও চীনের কোনো ব্যাংক নেই বাংলাদেশে।
৬ ঘণ্টা আগে