নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী মৌসুমের চাহিদা মেটাতে মজুত বাড়ানোর ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশি উৎস থেকে আরও ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন আমদানি করা হবে, আর ৩০ হাজার টন দেশি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হবে। মোট ব্যয় হবে ৫৯৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ-বিষয়ক তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মো. আব্দুল বারিক বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সভায় অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের একটি; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। কমিটি ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে, মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি থেকে ৩৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ থাকবে ৬৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রস্তাব: শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকায় ব্যয় হবে।
এ ছাড়া বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান থেকেও বিসিআইসির মাধ্যমে ইউরিয়া সার কেনা হবে। এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আসবে। যাতে খরচ হবে ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা। সৌদি আরবের সেবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকেও নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে, ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা।
বিসিআইসির মাধ্যমে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় আমদানি করা হবে। ডিএপি সার তৈরিতে ব্যবহৃত হবে ফসফরিক অ্যাসিড।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ‘ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে (গৃহায়ণ কনকচাঁপা) কম্পাউন্ডে তিনটি ১৪ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন পেয়েছে। দরদাতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে। ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৭ টাকা।
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) কর্তৃক ই-জিপি সিস্টেমের উন্নয়ন এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে দোহাটেক মিডিয়া বাংলাদেশ এবং জিএসএস ইনফোটেক, ইন্ডিয়া। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে ৫১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৯ টাকা।
আগামী মৌসুমের চাহিদা মেটাতে মজুত বাড়ানোর ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশি উৎস থেকে আরও ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৬০ হাজার টন আমদানি করা হবে, আর ৩০ হাজার টন দেশি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হবে। মোট ব্যয় হবে ৫৯৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ-বিষয়ক তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মো. আব্দুল বারিক বলেন, ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সভায় অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের একটি; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। কমিটি ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে, মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি থেকে ৩৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ থাকবে ৬৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত প্রস্তাব: শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকায় ব্যয় হবে।
এ ছাড়া বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান থেকেও বিসিআইসির মাধ্যমে ইউরিয়া সার কেনা হবে। এর মধ্যে কাতারের মুনতাজাত থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আসবে। যাতে খরচ হবে ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা। সৌদি আরবের সেবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকেও নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে, ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকা।
বিসিআইসির মাধ্যমে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় আমদানি করা হবে। ডিএপি সার তৈরিতে ব্যবহৃত হবে ফসফরিক অ্যাসিড।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ‘ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেটের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে (গৃহায়ণ কনকচাঁপা) কম্পাউন্ডে তিনটি ১৪ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন পেয়েছে। দরদাতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে। ব্যয় হবে ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৭ টাকা।
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) কর্তৃক ই-জিপি সিস্টেমের উন্নয়ন এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্ট মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট’ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
দর প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে দোহাটেক মিডিয়া বাংলাদেশ এবং জিএসএস ইনফোটেক, ইন্ডিয়া। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে ৫১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৯ টাকা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনার বাইরে থাকা (অব্যবস্থাপিত) ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর ২০২৫
২ মিনিট আগেরপ্তানি খাতকে প্রতিযোগী সক্ষম করতে আইএমএফের পরামর্শ মেনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবচেয়ে প্রভাব পড়বে উৎপাদন ও সেবা খাতে।
৪৩ মিনিট আগেবিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য তৈরি হয় চাল থেকে। কিন্তু এই মৌলিক খাদ্যশস্য এখন সংকটে। বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। এর পাশাপাশি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে দিন দিন কমছে ফলন। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে চালের দাম এখন
২ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম ব্যবহারের জন্য পূবালী, যমুনা ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
২ ঘণ্টা আগে