ফারুক মেহেদী, ঢাকা
বিদ্যমান শুল্কহার যৌক্তিক করতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি-২০২৩’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের ট্যারিফ পলিসি পর্যালোচনা কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি মৌসুমি শুল্ক আরোপের ব্যাপারে মত দেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি করা একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটি এনবিআর চেয়ারম্যান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর এনবিআরের সুপারিশে বাজেটে শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিদ্যমান অবস্থায় স্বল্প মেয়াদে বারবার শুল্কহার পরিবর্তন করার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ করার জন্য শুল্কহার যৌক্তিক করতে হবে। বর্তমানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম শুল্কহার রয়েছে। এসব শুল্কহারকে ভারসাম্যপূর্ণ করার প্রস্তাব উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৩০ বছরে প্রথম ১০ বছর শুল্কহার কমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হলেও পরবর্তী সময়ে শুল্কহার কমার ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় আমদানি শুল্ক ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং শিল্পের সুরক্ষা শুল্ক ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে। ওই বৈঠকের সূত্র ধরে ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মো. মশিউল আলমের বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরে বলা হয়, শুল্কহার বাড়ানো বা কমানোর ওপর সুপারিশ গ্রহণ করে তার আলোকে কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশে সিজনাল বা মৌসুমি শুল্ক এবং মিক্সড বা মিশ্র শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মৌসুমি শুল্ক আরোপের ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও মত দেন। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রয়োজনে কৃষিপণ্যের স্থানীয় উৎপাদনকে সুরক্ষা দেওয়া ও ভোক্তার স্বার্থে আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিতে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনায় মৌসুমি শুল্ক আরোপ করা যায়। প্রতিবেদনে বাণিজ্যমন্ত্রীর মতামত তুলে ধরে আরও বলা হয়, অত্যাবশ্যক পণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শুল্কহার কমানো ও বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় থাকা জরুরি। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে ধাপে ধাপে জাতীয় শুল্কনীতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী ও ট্যারিফ কমিশনের মৌসুমি শুল্ক আরোপের আগে সুনির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। তিনি আরও জানান, মৌসুমি শুল্ক আরোপের ফলে চাষি তাঁর উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ দাম না পেলে পরবর্তী সময়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হতে পারেন।
প্রতিবেদনে এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার কারণে শুল্ক ছাড় দেওয়া কঠিন। আয়কর ও মূসক আহরণের পরিমাণ যদি বাড়ানো না যায়, তাহলে কাস্টমসের ওপর চাপ কমানো সম্ভব হবে না।
বিদ্যমান শুল্কহার যৌক্তিক করতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি-২০২৩’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের ট্যারিফ পলিসি পর্যালোচনা কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি মৌসুমি শুল্ক আরোপের ব্যাপারে মত দেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি করা একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটি এনবিআর চেয়ারম্যান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর এনবিআরের সুপারিশে বাজেটে শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিদ্যমান অবস্থায় স্বল্প মেয়াদে বারবার শুল্কহার পরিবর্তন করার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ করার জন্য শুল্কহার যৌক্তিক করতে হবে। বর্তমানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম শুল্কহার রয়েছে। এসব শুল্কহারকে ভারসাম্যপূর্ণ করার প্রস্তাব উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৩০ বছরে প্রথম ১০ বছর শুল্কহার কমে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হলেও পরবর্তী সময়ে শুল্কহার কমার ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় আমদানি শুল্ক ১৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং শিল্পের সুরক্ষা শুল্ক ৩০ দশমিক ৫৮ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে। ওই বৈঠকের সূত্র ধরে ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মো. মশিউল আলমের বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরে বলা হয়, শুল্কহার বাড়ানো বা কমানোর ওপর সুপারিশ গ্রহণ করে তার আলোকে কর্মপরিকল্পনা করতে হবে। এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশে সিজনাল বা মৌসুমি শুল্ক এবং মিক্সড বা মিশ্র শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মৌসুমি শুল্ক আরোপের ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও মত দেন। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রয়োজনে কৃষিপণ্যের স্থানীয় উৎপাদনকে সুরক্ষা দেওয়া ও ভোক্তার স্বার্থে আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিতে স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনায় মৌসুমি শুল্ক আরোপ করা যায়। প্রতিবেদনে বাণিজ্যমন্ত্রীর মতামত তুলে ধরে আরও বলা হয়, অত্যাবশ্যক পণ্যের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শুল্কহার কমানো ও বাড়ানোর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় থাকা জরুরি। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে ধাপে ধাপে জাতীয় শুল্কনীতি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী ও ট্যারিফ কমিশনের মৌসুমি শুল্ক আরোপের আগে সুনির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। তিনি আরও জানান, মৌসুমি শুল্ক আরোপের ফলে চাষি তাঁর উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ দাম না পেলে পরবর্তী সময়ে কৃষিপণ্য উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হতে পারেন।
প্রতিবেদনে এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রার কারণে শুল্ক ছাড় দেওয়া কঠিন। আয়কর ও মূসক আহরণের পরিমাণ যদি বাড়ানো না যায়, তাহলে কাস্টমসের ওপর চাপ কমানো সম্ভব হবে না।
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে শিল্প খাতের অন্যতম সম্মাননা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছে দেশসেরা কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার ও হোম কেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড।
৪ ঘণ্টা আগেবার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে দেশীয় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতিবছর বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিচ্ছে। প্রতি মাসে এসব ঋণের একটি অংশ সুদ-আসলসহ পরিশোধও করা হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় এই পরিশোধ এখন সরকারের জন্য...
১৪ ঘণ্টা আগেগত কোরবানির ঈদে ঢাকার হেমায়েতপুরের ট্যানারিগুলো যে চামড়া সংগ্রহ করেছে, তার ৯৮ শতাংশেই ছিল দাগ, আর ৬৮ শতাংশে ছিল ছোট-বড় কাটা। এমনকি ১৮ শতাংশ চামড়া পচে গেছে সম্পূর্ণভাবে। চামড়ার গুণগত মানহীনতার এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণায়, যা দেশের...
১৫ ঘণ্টা আগেদেশের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন...
১৭ ঘণ্টা আগে