নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তাদেরকে ১ হাজার ১৩৮ একর জমি দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এই জমি উন্নয়ন করে বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেবে বেপজা। এ লক্ষ্যে রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি সংস্থা দুইটির মধ্যে উন্নয়ন চুক্তি সই হয়েছে। বেজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী আর বেপজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় জানানো হয়, বর্তমানে বেপজার নিয়ন্ত্রণে দেশে আটটি ইপিজেড রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে সেসব বিনিয়োগকারীর চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না বেপজা। তাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১৫০ একর জমির ওপর এ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৮ একর জায়গা পাচ্ছে বেপজা। বেজার কাছ থেকে ৫০ বছরের জন্য এ জমি ৩০০ কোটি টাকায় ইজারা নিচ্ছে বেপজা। বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৩৯টি প্লটে মোট ৩৫০টি শিল্প-কারখানা হবে বলেও জানানো হয়। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাশা বেপজার। যেখানে কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, 'আজ আমরা বেজার সঙ্গে উন্নয়ন চুক্তি করলেও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নকাজ আগেই শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা প্রকল্পের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ শেষ করেছি। মাটি ভরাটের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ১৪০টি প্লট প্রস্তুত করেছি, যেগুলো খুব শিগগিরই বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'
এ সময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, 'আমরা যে চুক্তিটা সই করলাম, এটা আরও আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দুই সংস্থার মতের অমিলের কারণে দেরি হলো। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ছোট ছোট দ্বন্দ্বের সুরাহা হয়েছে। এসব দ্বন্দ্ব না থাকলে অন্তত এক বছর আগেই আমরা এই চুক্তি করতে পারতাম।'
পবন চৌধুরী আরও বলেন, 'আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে মূলত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ টানতে কাজ করছিলাম। তবে বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।'
বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের অবকাঠামো সুবিধা উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিল্পনগরের সঙ্গে প্রধান সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ৬৫৩ কোটি টাকা খরচে দুইটি সেতু নির্মাণ করছি আমরা। তা ছাড়া শিল্পনগরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে কর্ণফুলী নদী থেকে পানি আনার জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে কর্ণফুলীর পানি পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসেবে পদ্মা থেকে পানি নেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।'
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। বেপজার হাত ধরে দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের শুরু হয়েছে বেপজার হাত ধরে। দেশের রপ্তানি আয়ে তাদের ভূমিকা অনেক। এবার তারা বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে কাজ করতে যাচ্ছে। বেপজার মতো অভিজ্ঞ একটি সরকারি সংস্থার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেজাকে অনেকখানি এগিয়ে নেবে।'
আগে দেশের শিল্পের উন্নয়নে কেবল শিল্প মন্ত্রণালয় ছিল, এখন বেজা, বেপজা, শিল্প মন্ত্রণালয় সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আহমদ কায়কাউস।
ঢাকা: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তাদেরকে ১ হাজার ১৩৮ একর জমি দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এই জমি উন্নয়ন করে বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেবে বেপজা। এ লক্ষ্যে রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি সংস্থা দুইটির মধ্যে উন্নয়ন চুক্তি সই হয়েছে। বেজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী আর বেপজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় জানানো হয়, বর্তমানে বেপজার নিয়ন্ত্রণে দেশে আটটি ইপিজেড রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্রতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে সেসব বিনিয়োগকারীর চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না বেপজা। তাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১৫০ একর জমির ওপর এ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৮ একর জায়গা পাচ্ছে বেপজা। বেজার কাছ থেকে ৫০ বছরের জন্য এ জমি ৩০০ কোটি টাকায় ইজারা নিচ্ছে বেপজা। বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৩৯টি প্লটে মোট ৩৫০টি শিল্প-কারখানা হবে বলেও জানানো হয়। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাশা বেপজার। যেখানে কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, 'আজ আমরা বেজার সঙ্গে উন্নয়ন চুক্তি করলেও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নকাজ আগেই শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা প্রকল্পের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ শেষ করেছি। মাটি ভরাটের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় ১৪০টি প্লট প্রস্তুত করেছি, যেগুলো খুব শিগগিরই বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'
এ সময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, 'আমরা যে চুক্তিটা সই করলাম, এটা আরও আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দুই সংস্থার মতের অমিলের কারণে দেরি হলো। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ছোট ছোট দ্বন্দ্বের সুরাহা হয়েছে। এসব দ্বন্দ্ব না থাকলে অন্তত এক বছর আগেই আমরা এই চুক্তি করতে পারতাম।'
পবন চৌধুরী আরও বলেন, 'আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে মূলত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ টানতে কাজ করছিলাম। তবে বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।'
বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের অবকাঠামো সুবিধা উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিল্পনগরের সঙ্গে প্রধান সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ৬৫৩ কোটি টাকা খরচে দুইটি সেতু নির্মাণ করছি আমরা। তা ছাড়া শিল্পনগরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে কর্ণফুলী নদী থেকে পানি আনার জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে কর্ণফুলীর পানি পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসেবে পদ্মা থেকে পানি নেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।'
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। বেপজার হাত ধরে দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের শুরু হয়েছে বেপজার হাত ধরে। দেশের রপ্তানি আয়ে তাদের ভূমিকা অনেক। এবার তারা বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে কাজ করতে যাচ্ছে। বেপজার মতো অভিজ্ঞ একটি সরকারি সংস্থার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে বেজাকে অনেকখানি এগিয়ে নেবে।'
আগে দেশের শিল্পের উন্নয়নে কেবল শিল্প মন্ত্রণালয় ছিল, এখন বেজা, বেপজা, শিল্প মন্ত্রণালয় সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আহমদ কায়কাউস।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
৭ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
১১ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১৫ ঘণ্টা আগে