Ajker Patrika

কর্ণফুলী টানেলের ব্যয় বাড়ল ৩১৫ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮: ৪৮
কর্ণফুলী টানেলের ব্যয় বাড়ল ৩১৫ কোটি টাকা

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও শেষ মুহূর্তে নতুন কাজ যুক্ত হওয়ায় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ বেড়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। ব্যয়ের সঙ্গে সময় এক বছর বাড়িয়ে ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের সংশোধনী আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটিসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভার পর অনুমোদিত প্রকল্পগুলো নিয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সংশোধনীর ফলে নির্মাণের খরচ বেড়ে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ করার সময় ছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্প সংশোধনের বিষয়ে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে ফিজিবিলিটি স্টাডিতে (সম্ভাব্যতা যাচাই) ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ক্যাম্প যুক্ত করার বিষয়টি উঠে আসেনি, যা থাকা উচিত ছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে এই দুটি কাজ যোগ হয়ে ব্যয় বাড়ছে। তাছাড়া ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬ টাকা হয়েছে। সে কারণে এই প্রকল্পের খরচ বেড়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেল নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কর্ণফুলীর দুই পাশের শহরকে যুক্ত করা হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামে বিক্রি হয়নি, সাবেক এমপিদের ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি পাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কিছু সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চায়। এর জবাবে গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন বলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে নির্দেশনা প্রদান করে এনবিআর।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এ সকল গাড়ির একক প্রতি প্রদেয় শুল্ক-করের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে সব শুল্ক-কর পরিশোধ করে ওই ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকেরা খালাস করেননি। বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়নি। পরবর্তীতে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।

প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুবাইয়ে সোনার দাম আরও বাড়ল, প্রতি গ্রাম ৫০০ দিরহাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দুবাইয়ে সোনার দাম আরও বাড়ল, প্রতি গ্রাম ৫০০ দিরহাম

দুবাইয়ের বাজারে আজ বুধবার সোনার দাম আরও বেড়েছে। প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনা এখন ৪৯৫ দশমিক ৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। গত সপ্তাহেই এই ক্যাটাগরির এক গ্রাম সোনার গড় মূল্য ছিল ৪৭৫ দিরহাম। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই দিনে, ২২ ক্যারেটের দাম প্রতি গ্রামে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫৮ দশমিক ৭৫ দিরহাম।

আরব আমিরাতের স্থানীয় সোনার বাজারে দামের এই বৃদ্ধি বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত। বিশ্বে সোনার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা দামের এই বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়লেও ক্রেতাদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা এখনো বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।

এদিকে, আরব আমিরাতের বাজারে সোনার দাম বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম টান তিন দিন বাড়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর পরিকল্পনা এবং সরকারের শাটডাউন শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বাজার স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার শেষ প্রহরে প্রাথমিক লেনদেনে সোনা এক সময় আউন্স প্রতি ৪ হাজার ১৪৫ ডলার পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। তবে পরে কিছুটা হ্রাস পায়।

এদিকে, একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য বলছে—২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আগের চার সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১১ হাজার ২৫০ পদ কমিয়েছে। এটি শ্রমবাজারের স্থিতিশীল দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দুর্বলতা আরও নীতি শিথিলতার জন্য প্ররোচিত করতে পারে, যা সোনার জন্য সহায়ক, কারণ এতে কোনো সুদ আসে না।

বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকার পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রকাশিত সরকারি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তথ্য পুনরায় প্রকাশিত হলে অর্থনীতির পরিষ্কার ছবি মিলবে এবং ফেডের ডিসেম্বরে সুদের হার নির্ধারণে প্রভাব পড়বে।

সেঞ্চুরি ফিন্যান্সিয়ালের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা বিজয় ভ্যালেচা বলেছেন, সোনার দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘সোনার ভবিষ্যৎ বাজার গঠনমূলক। সরকারের পুনরায় খোলার ফলে ফেড মূল অর্থনৈতিক তথ্য পাবে, যা ডিসেম্বরে নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।’ ভ্যালেচা আরও জানান, ‘যদি তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হয় বা সুদহারের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে স্বল্পমেয়াদে দামের ওঠা-নামা বাড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘাটতি বাণিজ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

দেশ থেকে হঠাৎ বেশি পরিমাণে ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই বৈদেশিক বাণিজ্যে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়লেও তার চেয়ে দ্রুত হারে আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশ আবারও ঘাটতি বাণিজ্যের মুখে পড়ছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ডলারের অতিরিক্ত বহির্মুখী প্রবাহ আবার বাণিজ্য ঘাটতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সামনে নতুন এক সতর্কবার্তা। এই প্রবণতার পেছনে অর্থ পাচারের কোনো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭১ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রমজানকে ঘিরে বাড়তি আমদানি, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা ব্যয়; ফলে দীর্ঘ সময় পর চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়েছে, ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার।

এই সময়ে দেশে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বিপরীতে আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানি ও রপ্তানিতে কিছুটা স্থিতি ফিরেছিল। তবে বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ব্যয় বাড়ায় আবারও ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য, তেল, চিনি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও ব্যয়ের হার তার চেয়ে বেশি হওয়ায় চলতি হিসাব আবারও ঘাটতিতে পড়েছে।

তবে একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগের বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে এই সূচকে ঘাটতি ছিল ১৪৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের অস্বাভাবিক বহির্মুখী প্রবাহ উদ্বেগজনক। তাঁর ভাষায়, দেশ থেকে এত বেশি ডলার কোথায় যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যে অর্থ পাচারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমদানির কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৭ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও বেড়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। তবে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের চিত্র উল্টো; গত বছর যেখানে নিট বিনিয়োগ ছিল ৫০ লাখ ডলার, এবার তা ঋণাত্মক ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার-সংকট মোকাবিলায় আমরা কিছু নীতি শিথিল করেছি, যাতে আমদানিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। তবে এর ফলে ব্যয় বেড়ে গেছে, বিশেষ করে রমজানকেন্দ্রিক আমদানিতে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৪
সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে না দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কর অঞ্চল—২৫, ঢাকার সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পলাশী মোড়-নীলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল।

মামলার তদন্ত ও বিভাগীয় মামলায় ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

আদেশে বলা হয়, কর অঞ্চল-২৫ এর সহকারী কর কমিশনার মিজ ফাতেমা বেগম গত ১২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪৫৯০৬) প্রাইভেটকারে অবস্থানকালে লালবাগ থানাধীন ২৬ নং ওয়ার্ডস্থ পলাশী মোড় পলাশী-নীলক্ষেতগামী পাকা রাস্তার উপর সিয়েরা ট্যাঙ্গো-৩৫ ডিউটি করার সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহা জামাল গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু মিজ ফাতেমা বেগম গাড়ীর কাগজপত্র সঠিক আছে বলে গাড়ীর কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং গাড়ী থেকে বের হয়ে তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ কারণে গত ১৩ এপ্রিল ট্রাফিক সার্জেন্ট তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় পেনাল কোড ১৮৬০-এর ১৮৬ / ৩৫৩ / ৩৩২ / ১৭৯ / ১১৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

একই সঙ্গে এমন কর্মকান্ডের জন্য ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’—এর দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তিনি কৈফিয়তের জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন এবং গত ৪ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত শুনানি দেন। বিচারের স্বার্থে বক্তব্যসহ পুরো বিষয় তদন্ত করেন এনবিআরের প্রথম সচিব মো. জাহিদ নেওয়াজ।

এ ছাড়া তাঁর কারণ দর্শানোর জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় মামলা সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ ’—এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী আনীত ‘অসদাচারণ’—এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এ জন্য বিধিমালার ৪ (২) (ঘ) বিধি অনুসারে তাঁকে ‘বেতন গ্রেডের এক ধাপ অবনমিত’ করা হয়। অর্থাৎ বর্তমান মূল বেতন ৫০ হাজার ৩০ টাকার নিম্নধাপ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণের লঘুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

শটগান–চায়না রাইফেল বাদ, ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে এসএমজি— সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: ৬৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত