জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
২০২৪ সাল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য ছিল সংকটময় ও ঘটনাবহুল। বছরের শুরুতে খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যায় এবং করপোরেট ঋণখেলাপিদের অবাধ শোষণ প্রকাশ পায়, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে। পাশাপাশি বিগত সরকারের প্রভাবশালীদের অর্থ পাচারের ঘটনা ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা আরও স্পষ্ট করে তোলে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকগুলো ভয়াবহ তারল্য-সংকটে পড়ে।
ইসলামী ব্যাংক ও কিছু দুর্বল বেসরকারি ব্যাংকের পরিস্থিতি সামনে আসার পর গ্রাহকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং টাকা তোলার হিড়িক পড়ে, যা চেক ডিজঅনারসহ ব্যাংক খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে টাকা ছাপায়, যা সমালোচনার জন্ম দেয়। ব্যাংক খাতে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের অর্থনীতির সংকট আরও গভীর হতে পারে এবং সমগ্র খাতকেই অস্থিতিশীল করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং ছিল ২০২৪ সাল, যেখানে ডলারের বাজারে অস্থিরতা, আমদানি এলসিতে সংকট এবং ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনৈতিক কারসাজি এবং নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়; আর বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধির পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। তবে এসব সংকটের মধ্যেও দেশের ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধারে কিছু আশার আলো দেখা গেছে। নতুন গভর্নরের নেতৃত্বে ব্যাংক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংকিং কমিশন গঠন এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করা অন্যতম।
২০২৪ সালের শেষের দিকে যদিও রিজার্ভের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ ছিল এবং কিছু সময় তলানিতে চলে গিয়েছিল, তবে রেমিট্যান্সপ্রবাহের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির দিকে চলে আসে। এটা সত্ত্বেও, ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতের দৃশ্যপটের স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে কাঠামোগত সংস্কারের সফল বাস্তবায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনার সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকের খেলাপি ও পাচারের তথ্য জেনে মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়ে। ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র জানার জন্য ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। জাতি এখন এই টাস্কফোর্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ বেড়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় পৌঁছায়। এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া ডলার বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। প্রতি ডলার ১১০ টাকার থেকে বেড়ে ১২৩ টাকায় পৌঁছায় এবং খোলাবাজারে ১২৯ টাকায় ওঠে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়, যা ২০২৩ সালের ২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের শেষে ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগ হারের অবনতি ঘটে।
এতেও ব্যাংকিং খাতে তারল্য-সংকট তৈরি হয়; যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা সহায়তা দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এভাবে ২০২৪ সালের ব্যাংকিং খাতের সংকট দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রতিকূল প্রভাব ফেলেছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, সুদের হার বাড়ানোর কারণে বিনিয়োগের ধীরগতি, তারল্য-সংকট ও রিজার্ভের পতন—এসব বিষয় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
২০২৪ সাল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য ছিল সংকটময় ও ঘটনাবহুল। বছরের শুরুতে খেলাপি ঋণ রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যায় এবং করপোরেট ঋণখেলাপিদের অবাধ শোষণ প্রকাশ পায়, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে। পাশাপাশি বিগত সরকারের প্রভাবশালীদের অর্থ পাচারের ঘটনা ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা আরও স্পষ্ট করে তোলে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকগুলো ভয়াবহ তারল্য-সংকটে পড়ে।
ইসলামী ব্যাংক ও কিছু দুর্বল বেসরকারি ব্যাংকের পরিস্থিতি সামনে আসার পর গ্রাহকদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং টাকা তোলার হিড়িক পড়ে, যা চেক ডিজঅনারসহ ব্যাংক খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে টাকা ছাপায়, যা সমালোচনার জন্ম দেয়। ব্যাংক খাতে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে দেশের অর্থনীতির সংকট আরও গভীর হতে পারে এবং সমগ্র খাতকেই অস্থিতিশীল করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং ছিল ২০২৪ সাল, যেখানে ডলারের বাজারে অস্থিরতা, আমদানি এলসিতে সংকট এবং ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনৈতিক কারসাজি এবং নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়; আর বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধির পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। তবে এসব সংকটের মধ্যেও দেশের ব্যাংক খাত পুনরুদ্ধারে কিছু আশার আলো দেখা গেছে। নতুন গভর্নরের নেতৃত্বে ব্যাংক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংকিং কমিশন গঠন এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করা অন্যতম।
২০২৪ সালের শেষের দিকে যদিও রিজার্ভের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ ছিল এবং কিছু সময় তলানিতে চলে গিয়েছিল, তবে রেমিট্যান্সপ্রবাহের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তির দিকে চলে আসে। এটা সত্ত্বেও, ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতের দৃশ্যপটের স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে কাঠামোগত সংস্কারের সফল বাস্তবায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে হাসিনার সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংকের খেলাপি ও পাচারের তথ্য জেনে মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়ে। ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র জানার জন্য ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। জাতি এখন এই টাস্কফোর্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ বেড়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায় পৌঁছায়। এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া ডলার বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। প্রতি ডলার ১১০ টাকার থেকে বেড়ে ১২৩ টাকায় পৌঁছায় এবং খোলাবাজারে ১২৯ টাকায় ওঠে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়, যা ২০২৩ সালের ২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের শেষে ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগ হারের অবনতি ঘটে।
এতেও ব্যাংকিং খাতে তারল্য-সংকট তৈরি হয়; যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা সহায়তা দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এভাবে ২০২৪ সালের ব্যাংকিং খাতের সংকট দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রতিকূল প্রভাব ফেলেছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, সুদের হার বাড়ানোর কারণে বিনিয়োগের ধীরগতি, তারল্য-সংকট ও রিজার্ভের পতন—এসব বিষয় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
২২ মিনিট আগেহজ মৌসুমে সম্মানিত হজযাত্রীদের জন্য উন্নত ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আশকোনায় অবস্থিত হজ ক্যাম্পে সেবা বুথ উদ্বোধন করেছে এক্সিম ব্যাংক। ২৮ এপ্রিল হজ ক্যাম্পে এক্সিম ব্যাংকের সেবা বুথে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ‘স্পেশাল ঈদ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন’ শীর্ষক মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন আজ মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে উদ্বোধন করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন চলাকালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের ডিজিটাল ড্রর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৩টি করে
৩ ঘণ্টা আগেএনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় সম্প্রতি আবদুস সালাম (উদ্যোক্তা পরিচালক) সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম দেশের একজন স্বনামধন্য প্রকৌশলী এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। প্রতিষ্ঠানের খবর, করপোরেট, ব্যাংক, বিজ্ঞপ্তি, এনসিসি ব্যাংক
৩ ঘণ্টা আগে