নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পতনে পতনে প্রায় খাদের কিনারে দেশের পুঁজিবাজার। পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবারও দেখা গেল বড় পতন।
মোটা দাগে মার্চেন্ট ব্যাংকের ফোর্সড সেল ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের অভাব এবং সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাকেই পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের জন্য দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার-পরবর্তী দর সমন্বয়, ফোর্সড সেলের পতনে পুঁজি হারানোর ভয়ে শেয়ার বিক্রি এবং নতুন বিনিয়োগ না করা বা সাইডলাইনে থাকা, সুদের হার বেশি হওয়ায় বিনিয়োগ হ্রাস বা তারল্যসংকট এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার হুটহুট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, অযাচিত ঘোষণা ও অস্থায়ীভাবে বাজার চাঙা রাখার মনোভাবই বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীলতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জানুয়ারির পর ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রত্যাহারের পর প্রায় আড়াই মাসের দরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা শেয়ারের সম্মিলিত দাম কমেছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ঈদের পর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ঈদের পর ৮ কর্মদিবসের সাত দিন পতন হওয়ার পর বুধবার দরপতনের নতুন সীমা বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে বলা হয়, এক দিনে কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ কমতে পারবে। তার পরও গতকাল সূচকের পতন হয়েছে ৬০ পয়েন্ট। এতে করে ঈদের পর সূচক কমল প্রায় ৩৪৬ পয়েন্ট।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সূচক ধরে রাখার প্রবণতাকে সমর্থন করেন না বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সূচক ধরে রাখা রেগুলেটরের কাজ নয়। কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ পছন্দ করি না। বিএসইসির কাজ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তাহলেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
পুঁজিবাজারে পতনের বিষয়ে ডিএসইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরপতনের শুরুটা হয়েছে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দর সমন্বয় থেকে। দেড় বছর বাজার ধরে রাখার পর দর সমন্বয় হবেই, তা হওয়ার কারণে বাজারে পতন হয়েছে। পতনের কারণে মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেলের একটা ধাক্কা আসছে। এই চাপটা বাজার নিতে পারছে না।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের সমালোচনা করে আহমেদ রশিদ লালী বলেন, এতদিন থেকে বাজার পড়ছে, অথচ তাঁরা বসে আছেন। তাঁদের তো উচিত অনুসন্ধান করা, বাজার কেন অব্যাহতভাবে পতনের মুখে পড়ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁরা সেটা করছেন না।
পতনের কিছু কারণ ব্যাখ্যা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, পতনের প্রধান কারণ আস্থার সংকট। অল্প সময়ে মুনাফা করার চিন্তা।
পতনে পতনে প্রায় খাদের কিনারে দেশের পুঁজিবাজার। পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবারও দেখা গেল বড় পতন।
মোটা দাগে মার্চেন্ট ব্যাংকের ফোর্সড সেল ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের অভাব এবং সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাকেই পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের জন্য দায়ী করছেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোরপ্রাইস প্রত্যাহার-পরবর্তী দর সমন্বয়, ফোর্সড সেলের পতনে পুঁজি হারানোর ভয়ে শেয়ার বিক্রি এবং নতুন বিনিয়োগ না করা বা সাইডলাইনে থাকা, সুদের হার বেশি হওয়ায় বিনিয়োগ হ্রাস বা তারল্যসংকট এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার হুটহুট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, অযাচিত ঘোষণা ও অস্থায়ীভাবে বাজার চাঙা রাখার মনোভাবই বাজারকে স্থায়ী স্থিতিশীলতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা, বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জানুয়ারির পর ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রত্যাহারের পর প্রায় আড়াই মাসের দরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা শেয়ারের সম্মিলিত দাম কমেছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। ঈদের পর বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ঈদের পর ৮ কর্মদিবসের সাত দিন পতন হওয়ার পর বুধবার দরপতনের নতুন সীমা বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে বলা হয়, এক দিনে কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ কমতে পারবে। তার পরও গতকাল সূচকের পতন হয়েছে ৬০ পয়েন্ট। এতে করে ঈদের পর সূচক কমল প্রায় ৩৪৬ পয়েন্ট।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সূচক ধরে রাখার প্রবণতাকে সমর্থন করেন না বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সূচক ধরে রাখা রেগুলেটরের কাজ নয়। কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ পছন্দ করি না। বিএসইসির কাজ সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। তাহলেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
পুঁজিবাজারে পতনের বিষয়ে ডিএসইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, দরপতনের শুরুটা হয়েছে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দর সমন্বয় থেকে। দেড় বছর বাজার ধরে রাখার পর দর সমন্বয় হবেই, তা হওয়ার কারণে বাজারে পতন হয়েছে। পতনের কারণে মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেলের একটা ধাক্কা আসছে। এই চাপটা বাজার নিতে পারছে না।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের সমালোচনা করে আহমেদ রশিদ লালী বলেন, এতদিন থেকে বাজার পড়ছে, অথচ তাঁরা বসে আছেন। তাঁদের তো উচিত অনুসন্ধান করা, বাজার কেন অব্যাহতভাবে পতনের মুখে পড়ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁরা সেটা করছেন না।
পতনের কিছু কারণ ব্যাখ্যা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, পতনের প্রধান কারণ আস্থার সংকট। অল্প সময়ে মুনাফা করার চিন্তা।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১ দিন আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে