সরকার পতনের পালাবদলে বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবিতে ফুঁসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনে তাঁদের পুঞ্জীভূত বেশ কিছু দাবি ও ক্ষোভে সোচ্চার হয়েছেন। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সব দাবিদাওয়া নিয়ে একটি খোলাচিঠিও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এবারের মূল দাবি এনবিআরের চেয়ারম্যান সংস্থার কর্মকর্তাদের থেকেই করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যানারে তাঁরা এই খোলাচিঠি প্রকাশ করেন।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভবনে বিক্ষোভ করেন কাস্টমস ও আবগারি ক্যাডার কর্মকর্তা সমিতির সদস্য ও কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। পরে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও পৃথকভাবে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে কাস্টমস ও আবগারি ক্যাডার সমিতির প্রতিনিধি ও সাবেক এনবিআরের সদস্য হুমায়ুন কবির, বর্তমান সদস্য ড. শহীদুল ইসলাম, হোসেন আহমেদসহ কর্মচারী সমিতির সদস্যরা অংশ নেন। তাঁরা এনবিআরে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের দাবি জানান। প্রায় একই দাবি করেন কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। তাঁদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা খোলাচিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর কাস্টমস ও কর ক্যাডারের ভেতর থেকেই চেয়ারম্যান করতে হবে। তাঁদের প্রস্তাব, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডার থেকে দুই বছরের জন্য ও আয়কর ক্যাডার থেকে দুই বছরের জন্য সদস্যদের পালাক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের আক্ষেপ, অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাজস্ব কর্মকর্তাদের কষ্ট বুঝতে চান না।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। নিচের সারির কর্মচারীদের নিয়মমতো অফিসে আসতে হয়। যদিও বড় কর্তারা যখন-তখন আসেন। নিচের সারির কর্মচারীদের কথায় কথায় বদলি ও বরখাস্ত করা হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, অনেক কর্মকর্তা আছেন নামে নন-টেকার (যাঁরা ঘুষ নেন না, তাঁরা এনবিআরে নন-টেকার নামে পরিচিত); কিন্তু তাঁদের বিমানভাড়া, বাসার খরচ ও অবাধে অফিসের গাড়ি ব্যবহারসহ সব সুবিধা দেওয়া হয়। বেতনের টাকা তুলতে হয় না।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করেন, যাঁদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, তাঁদের আগে পদোন্নতি দিতে হবে। সেই সঙ্গে যথাসময়ে পদোন্নতি দিতে হবে। ফাইল আটকে রাখা যাবে না; যথাসময়ে পদোন্নতির পরীক্ষা নিতে হবে; যথাসময়ে ডিপিসি করতে হবে; যথাসময়ে নিয়োগ দিতে হবে; নিয়মমাফিক বদলি ও পদায়ন করতে হবে; কোনো ধরনের বদলি-বাণিজ্য মেনে নেওয়া হবে না; বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চাকরিজীবী হলে তাঁদের সুবিধামতো জায়গায় বদলি করতে হবে; সামান্য কারণে কর্মচারীদের বদলি করা যাবে না; ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণ, কর্মচারীদের শোকজ দেওয়া বা বরখাস্ত বন্ধ করতে হবে; প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাপ্তরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে গতকাল এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা চাই, এনবিআর চালাবে এর কর্মকর্তারা। এটা দীর্ঘদিনের দাবি। বাইরে থেকে এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়।
সরকার পতনের পালাবদলে বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবিতে ফুঁসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনে তাঁদের পুঞ্জীভূত বেশ কিছু দাবি ও ক্ষোভে সোচ্চার হয়েছেন। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সব দাবিদাওয়া নিয়ে একটি খোলাচিঠিও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এবারের মূল দাবি এনবিআরের চেয়ারম্যান সংস্থার কর্মকর্তাদের থেকেই করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যানারে তাঁরা এই খোলাচিঠি প্রকাশ করেন।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভবনে বিক্ষোভ করেন কাস্টমস ও আবগারি ক্যাডার কর্মকর্তা সমিতির সদস্য ও কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। পরে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও পৃথকভাবে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে কাস্টমস ও আবগারি ক্যাডার সমিতির প্রতিনিধি ও সাবেক এনবিআরের সদস্য হুমায়ুন কবির, বর্তমান সদস্য ড. শহীদুল ইসলাম, হোসেন আহমেদসহ কর্মচারী সমিতির সদস্যরা অংশ নেন। তাঁরা এনবিআরে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের দাবি জানান। প্রায় একই দাবি করেন কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। তাঁদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা খোলাচিঠিতে বলা হয়েছে, এনবিআর কাস্টমস ও কর ক্যাডারের ভেতর থেকেই চেয়ারম্যান করতে হবে। তাঁদের প্রস্তাব, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডার থেকে দুই বছরের জন্য ও আয়কর ক্যাডার থেকে দুই বছরের জন্য সদস্যদের পালাক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। তাঁদের আক্ষেপ, অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা রাজস্ব কর্মকর্তাদের কষ্ট বুঝতে চান না।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। নিচের সারির কর্মচারীদের নিয়মমতো অফিসে আসতে হয়। যদিও বড় কর্তারা যখন-তখন আসেন। নিচের সারির কর্মচারীদের কথায় কথায় বদলি ও বরখাস্ত করা হয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, অনেক কর্মকর্তা আছেন নামে নন-টেকার (যাঁরা ঘুষ নেন না, তাঁরা এনবিআরে নন-টেকার নামে পরিচিত); কিন্তু তাঁদের বিমানভাড়া, বাসার খরচ ও অবাধে অফিসের গাড়ি ব্যবহারসহ সব সুবিধা দেওয়া হয়। বেতনের টাকা তুলতে হয় না।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করেন, যাঁদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, তাঁদের আগে পদোন্নতি দিতে হবে। সেই সঙ্গে যথাসময়ে পদোন্নতি দিতে হবে। ফাইল আটকে রাখা যাবে না; যথাসময়ে পদোন্নতির পরীক্ষা নিতে হবে; যথাসময়ে ডিপিসি করতে হবে; যথাসময়ে নিয়োগ দিতে হবে; নিয়মমাফিক বদলি ও পদায়ন করতে হবে; কোনো ধরনের বদলি-বাণিজ্য মেনে নেওয়া হবে না; বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চাকরিজীবী হলে তাঁদের সুবিধামতো জায়গায় বদলি করতে হবে; সামান্য কারণে কর্মচারীদের বদলি করা যাবে না; ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণ, কর্মচারীদের শোকজ দেওয়া বা বরখাস্ত বন্ধ করতে হবে; প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাপ্তরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে গতকাল এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা চাই, এনবিআর চালাবে এর কর্মকর্তারা। এটা দীর্ঘদিনের দাবি। বাইরে থেকে এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়।
পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব কী দেবে ইরান, এই প্রশ্ন পুরো বিশ্বের। তবে প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক পথটি বন্ধ করা হবে ইরানের ‘অর্থনৈতিক...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
১০ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
১০ ঘণ্টা আগে