সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এমন অবস্থায় বড় অঙ্কের সুনির্দিষ্ট সহায়তার আশ্বাস আসেনি। বাণিজ্য সহযোগিতার নামে কিছু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও তা কম, ১৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা (১০০ কোটি ইউয়ান)। এতে বিব্রত বাংলাদেশ। আর তাই সহযোগিতার পরিমাণ জানাতে গিয়ে কিছুটা তালগোলও পাকিয়ে যায়।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোথাও একটি ঝামেলার ব্যাপার আছে। এতে চীনারা সতর্ক হয়েছে। এতে স্পষ্টতই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিতে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সফর থেকে যা আশা করা হয়েছিল, আর যা পাওয়া গেছে, তার মধ্যে বেশ ফারাক আছে।... মনে হচ্ছে, কোথাও কিছু একটা ঘটেছে, যা এখনো স্পষ্ট নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার বেইজিং সফরে যান। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও হয়। সফর শেষে গত বুধবার দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ফেরেন।
এই সফরের আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা চাইবে সরকার।
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীন আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরে সেদিন রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) দেবে।
সফরের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিং ও ঢাকা থেকে একযোগে ২৭ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। চীন বিআরআই কাঠামোর আওতায় এতে যুক্ত হতে নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছে। চীনের এই সম্মতিকে একটি অর্জন মনে করছে বাংলাদেশ পক্ষ।
তবে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, চীনারা বিষয়টিতে কিঞ্চিৎ আগ্রহী ছিল। বিস্তারিত জানতে চেয়েছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় বিশদ জানানো যায়নি। তাই এমন বিস্তৃত বিষয়ে ঢালাও প্রস্তাবে সীমিত না রেখে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা চীনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
বিবৃতি অনুযায়ী, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। এটিও একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে উভয় পক্ষ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ২০১৬ সালের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত করে।
চীন মিয়ানমারের সামরিক শাসক ও রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফেরাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এভাবে রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে ফেরানো ‘অতি উচ্চ আশা’ বলে মনে করেন হুমায়ুন কবির।
তাইওয়ান এল প্রথমবার
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ ‘এক-চীন নীতির’ প্রতি বছরের পর বছর দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। এবারের সফরে ‘এক-চীনকে’ মূল নীতি হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাইওয়ানকে দেশটির অংশ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করার জন্য চীনারা চাপ দেয়। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বিবৃতিতে থাকবে কি না, থাকলে কীভাবে থাকবে, শুধু এ বিষয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দর-কষাকষির পর বাংলাদেশ সম্মতি জানায়। অবশ্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগে (জিএসআই) যুক্ত হওয়ার জন্য চীন প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, বিবৃতিতে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি চীনের একটি কৌশলগত অর্জন।
তিস্তা আসেনি
তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে চীনের আগ্রহ থাকলেও তারা বিষয়টি আলোচনায়ই আনেনি। ভারত এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় এবং তাতে বাংলাদেশের স্পষ্ট সায় থাকায় চীনারা পিছিয়ে গেছে, এমনটিই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
বিবৃতিতে দুই দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, একে অপরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোয় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। চীন এবং বাংলাদেশ দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায়। এর বাইরে বাংলাদেশে সাবওয়ে, মেট্রোরেল, সড়ক, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, হাসপাতাল, পানিসম্পদ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, টেলিটকের ফোর-জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ, নতুন জাহাজ সংগ্রহ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রস্তাবে চীন তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে সম্মত হয়।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এমন অবস্থায় বড় অঙ্কের সুনির্দিষ্ট সহায়তার আশ্বাস আসেনি। বাণিজ্য সহযোগিতার নামে কিছু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও তা কম, ১৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা (১০০ কোটি ইউয়ান)। এতে বিব্রত বাংলাদেশ। আর তাই সহযোগিতার পরিমাণ জানাতে গিয়ে কিছুটা তালগোলও পাকিয়ে যায়।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোথাও একটি ঝামেলার ব্যাপার আছে। এতে চীনারা সতর্ক হয়েছে। এতে স্পষ্টতই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিতে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সফর থেকে যা আশা করা হয়েছিল, আর যা পাওয়া গেছে, তার মধ্যে বেশ ফারাক আছে।... মনে হচ্ছে, কোথাও কিছু একটা ঘটেছে, যা এখনো স্পষ্ট নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার বেইজিং সফরে যান। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও হয়। সফর শেষে গত বুধবার দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ফেরেন।
এই সফরের আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা চাইবে সরকার।
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীন আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরে সেদিন রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) দেবে।
সফরের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিং ও ঢাকা থেকে একযোগে ২৭ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। চীন বিআরআই কাঠামোর আওতায় এতে যুক্ত হতে নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছে। চীনের এই সম্মতিকে একটি অর্জন মনে করছে বাংলাদেশ পক্ষ।
তবে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, চীনারা বিষয়টিতে কিঞ্চিৎ আগ্রহী ছিল। বিস্তারিত জানতে চেয়েছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় বিশদ জানানো যায়নি। তাই এমন বিস্তৃত বিষয়ে ঢালাও প্রস্তাবে সীমিত না রেখে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা চীনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
বিবৃতি অনুযায়ী, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। এটিও একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে উভয় পক্ষ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ২০১৬ সালের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত করে।
চীন মিয়ানমারের সামরিক শাসক ও রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফেরাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এভাবে রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে ফেরানো ‘অতি উচ্চ আশা’ বলে মনে করেন হুমায়ুন কবির।
তাইওয়ান এল প্রথমবার
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ ‘এক-চীন নীতির’ প্রতি বছরের পর বছর দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। এবারের সফরে ‘এক-চীনকে’ মূল নীতি হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাইওয়ানকে দেশটির অংশ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করার জন্য চীনারা চাপ দেয়। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বিবৃতিতে থাকবে কি না, থাকলে কীভাবে থাকবে, শুধু এ বিষয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দর-কষাকষির পর বাংলাদেশ সম্মতি জানায়। অবশ্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগে (জিএসআই) যুক্ত হওয়ার জন্য চীন প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, বিবৃতিতে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি চীনের একটি কৌশলগত অর্জন।
তিস্তা আসেনি
তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে চীনের আগ্রহ থাকলেও তারা বিষয়টি আলোচনায়ই আনেনি। ভারত এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় এবং তাতে বাংলাদেশের স্পষ্ট সায় থাকায় চীনারা পিছিয়ে গেছে, এমনটিই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
বিবৃতিতে দুই দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, একে অপরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোয় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। চীন এবং বাংলাদেশ দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায়। এর বাইরে বাংলাদেশে সাবওয়ে, মেট্রোরেল, সড়ক, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, হাসপাতাল, পানিসম্পদ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, টেলিটকের ফোর-জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ, নতুন জাহাজ সংগ্রহ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রস্তাবে চীন তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে সম্মত হয়।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এমন অবস্থায় বড় অঙ্কের সুনির্দিষ্ট সহায়তার আশ্বাস আসেনি। বাণিজ্য সহযোগিতার নামে কিছু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও তা কম, ১৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা (১০০ কোটি ইউয়ান)। এতে বিব্রত বাংলাদেশ। আর তাই সহযোগিতার পরিমাণ জানাতে গিয়ে কিছুটা তালগোলও পাকিয়ে যায়।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোথাও একটি ঝামেলার ব্যাপার আছে। এতে চীনারা সতর্ক হয়েছে। এতে স্পষ্টতই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিতে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সফর থেকে যা আশা করা হয়েছিল, আর যা পাওয়া গেছে, তার মধ্যে বেশ ফারাক আছে।... মনে হচ্ছে, কোথাও কিছু একটা ঘটেছে, যা এখনো স্পষ্ট নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার বেইজিং সফরে যান। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও হয়। সফর শেষে গত বুধবার দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ফেরেন।
এই সফরের আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা চাইবে সরকার।
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীন আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরে সেদিন রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) দেবে।
সফরের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিং ও ঢাকা থেকে একযোগে ২৭ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। চীন বিআরআই কাঠামোর আওতায় এতে যুক্ত হতে নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছে। চীনের এই সম্মতিকে একটি অর্জন মনে করছে বাংলাদেশ পক্ষ।
তবে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, চীনারা বিষয়টিতে কিঞ্চিৎ আগ্রহী ছিল। বিস্তারিত জানতে চেয়েছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় বিশদ জানানো যায়নি। তাই এমন বিস্তৃত বিষয়ে ঢালাও প্রস্তাবে সীমিত না রেখে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা চীনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
বিবৃতি অনুযায়ী, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। এটিও একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে উভয় পক্ষ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ২০১৬ সালের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত করে।
চীন মিয়ানমারের সামরিক শাসক ও রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফেরাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এভাবে রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে ফেরানো ‘অতি উচ্চ আশা’ বলে মনে করেন হুমায়ুন কবির।
তাইওয়ান এল প্রথমবার
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ ‘এক-চীন নীতির’ প্রতি বছরের পর বছর দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। এবারের সফরে ‘এক-চীনকে’ মূল নীতি হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাইওয়ানকে দেশটির অংশ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করার জন্য চীনারা চাপ দেয়। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বিবৃতিতে থাকবে কি না, থাকলে কীভাবে থাকবে, শুধু এ বিষয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দর-কষাকষির পর বাংলাদেশ সম্মতি জানায়। অবশ্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগে (জিএসআই) যুক্ত হওয়ার জন্য চীন প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, বিবৃতিতে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি চীনের একটি কৌশলগত অর্জন।
তিস্তা আসেনি
তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে চীনের আগ্রহ থাকলেও তারা বিষয়টি আলোচনায়ই আনেনি। ভারত এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় এবং তাতে বাংলাদেশের স্পষ্ট সায় থাকায় চীনারা পিছিয়ে গেছে, এমনটিই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
বিবৃতিতে দুই দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, একে অপরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোয় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। চীন এবং বাংলাদেশ দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায়। এর বাইরে বাংলাদেশে সাবওয়ে, মেট্রোরেল, সড়ক, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, হাসপাতাল, পানিসম্পদ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, টেলিটকের ফোর-জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ, নতুন জাহাজ সংগ্রহ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রস্তাবে চীন তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে সম্মত হয়।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এমন অবস্থায় বড় অঙ্কের সুনির্দিষ্ট সহায়তার আশ্বাস আসেনি। বাণিজ্য সহযোগিতার নামে কিছু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও তা কম, ১৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা (১০০ কোটি ইউয়ান)। এতে বিব্রত বাংলাদেশ। আর তাই সহযোগিতার পরিমাণ জানাতে গিয়ে কিছুটা তালগোলও পাকিয়ে যায়।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোথাও একটি ঝামেলার ব্যাপার আছে। এতে চীনারা সতর্ক হয়েছে। এতে স্পষ্টতই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিতে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সফর থেকে যা আশা করা হয়েছিল, আর যা পাওয়া গেছে, তার মধ্যে বেশ ফারাক আছে।... মনে হচ্ছে, কোথাও কিছু একটা ঘটেছে, যা এখনো স্পষ্ট নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার বেইজিং সফরে যান। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও হয়। সফর শেষে গত বুধবার দিবাগত রাতে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ফেরেন।
এই সফরের আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা চাইবে সরকার।
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীন আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরে সেদিন রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চীন ১০০ কোটি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) দেবে।
সফরের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিং ও ঢাকা থেকে একযোগে ২৭ অনুচ্ছেদের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।
বিবৃতি অনুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। চীন বিআরআই কাঠামোর আওতায় এতে যুক্ত হতে নীতিগত সম্মতির কথা জানিয়েছে। চীনের এই সম্মতিকে একটি অর্জন মনে করছে বাংলাদেশ পক্ষ।
তবে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, চীনারা বিষয়টিতে কিঞ্চিৎ আগ্রহী ছিল। বিস্তারিত জানতে চেয়েছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় বিশদ জানানো যায়নি। তাই এমন বিস্তৃত বিষয়ে ঢালাও প্রস্তাবে সীমিত না রেখে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা চীনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।
বিবৃতি অনুযায়ী, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। এটিও একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে উভয় পক্ষ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ২০১৬ সালের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত করে।
চীন মিয়ানমারের সামরিক শাসক ও রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে সেখানে ফেরাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এভাবে রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে ফেরানো ‘অতি উচ্চ আশা’ বলে মনে করেন হুমায়ুন কবির।
তাইওয়ান এল প্রথমবার
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ ‘এক-চীন নীতির’ প্রতি বছরের পর বছর দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে। এবারের সফরে ‘এক-চীনকে’ মূল নীতি হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাইওয়ানকে দেশটির অংশ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করার জন্য চীনারা চাপ দেয়। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বিবৃতিতে থাকবে কি না, থাকলে কীভাবে থাকবে, শুধু এ বিষয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দর-কষাকষির পর বাংলাদেশ সম্মতি জানায়। অবশ্য বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগে (জিএসআই) যুক্ত হওয়ার জন্য চীন প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির মনে করেন, বিবৃতিতে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি চীনের একটি কৌশলগত অর্জন।
তিস্তা আসেনি
তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে চীনের আগ্রহ থাকলেও তারা বিষয়টি আলোচনায়ই আনেনি। ভারত এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় এবং তাতে বাংলাদেশের স্পষ্ট সায় থাকায় চীনারা পিছিয়ে গেছে, এমনটিই মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
বিবৃতিতে দুই দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা, একে অপরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোয় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। চীন এবং বাংলাদেশ দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানায়। এর বাইরে বাংলাদেশে সাবওয়ে, মেট্রোরেল, সড়ক, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান, হাসপাতাল, পানিসম্পদ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা, টেলিটকের ফোর-জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ, নতুন জাহাজ সংগ্রহ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের প্রস্তাবে চীন তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে সম্মত হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৯ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এ
১২ জুলাই ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এ
১২ জুলাই ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৯ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এ
১২ জুলাই ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৯ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বাজেট সহায়তা ও বাণিজ্যে সহযোগিতার জন্য চীনের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অথবা সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা ঋণ হিসেবে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আশা করেছিল সরকার। কিন্তু চীনের সঙ্গে আগে আলাপ না করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় বিস্মিত হয়েছেন দেশটির নেতারা। এ
১২ জুলাই ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৯ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে