গত বছরের শেষ দিকে আকস্মিকভাবে মন্দায় পড়ে গিয়েছিল জাপান, যার কারণে দেশটির জিডিপি বেশ সংকুচিত হয়েছিল। আর এর ফল হিসেবে দেশটিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ এখন জার্মানি। জাপান এমন এক সময়ে এই অবস্থায় পড়ল, যখন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যাপক শিথিল অর্থনৈতিক নীতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দিকে হাঁটছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের অর্থনীতি চলতি প্রান্তিকেও আরও খাদে পড়তে পারে। বিশেষ করে চীনে জাপানি পণ্যের কম চাহিদা, দেশের অভ্যন্তরে ভোগ কম এবং টয়োটার মতো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন হ্রাসের কারণে বিষয়টি ঘটবে।
জাপানের অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইয়োশিকি শিনকে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয় হলো ভোগ ও মূলধন ব্যয়ের মন্থর গতি, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার মূল স্তম্ভ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি ছাড়া আপাতত অর্থনীতিতে মন্থর গতি অব্যাহত থাকবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার জাপানের সরকারি তথ্য থেকে দেখা গেছে, জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তার আগের প্রান্তিকে জাপানের জিপিডি কমেছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা টানা দুই প্রান্তিকে কোনো দেশের জিডিপি কমে যাওয়াকে মন্দা হিসেবেই বিবেচনা করেন।
তবে টানা দুই প্রান্তিকে কমলেও জাপানের জিডিপি ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ জাপানের মোট জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত জানুয়ারির শেষ দিকে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, জার্মানির জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
জাপানের অর্থনীতির পতনের পেছনে প্রাথমিকভাবে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের তীব্র দরপতন অন্যতম কারণ। ২০২২-২০২৩ সালে ডলারের বিপরীতে প্রায় জাপানি মুদ্রার মান এক-পঞ্চমাংশ কমে গিয়েছিল। অপর একটি কারণ হলো ব্যাংক অব জাপানের নেতিবাচক সুদের হার বজায় রাখা। এই অবস্থায় দেশটির ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়িয়েছে।
উভয় দেশের অর্থনীতিই রপ্তানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। তবে জার্মান রপ্তানিকারকেরা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউরোজোনে সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজেটের অনিশ্চয়তা ও দক্ষ শ্রমের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতির কারণেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার পরও দেশটি জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত বছরের শেষ দিকে আকস্মিকভাবে মন্দায় পড়ে গিয়েছিল জাপান, যার কারণে দেশটির জিডিপি বেশ সংকুচিত হয়েছিল। আর এর ফল হিসেবে দেশটিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ এখন জার্মানি। জাপান এমন এক সময়ে এই অবস্থায় পড়ল, যখন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যাপক শিথিল অর্থনৈতিক নীতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার দিকে হাঁটছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের অর্থনীতি চলতি প্রান্তিকেও আরও খাদে পড়তে পারে। বিশেষ করে চীনে জাপানি পণ্যের কম চাহিদা, দেশের অভ্যন্তরে ভোগ কম এবং টয়োটার মতো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন হ্রাসের কারণে বিষয়টি ঘটবে।
জাপানের অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইয়োশিকি শিনকে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয় হলো ভোগ ও মূলধন ব্যয়ের মন্থর গতি, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদার মূল স্তম্ভ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি ছাড়া আপাতত অর্থনীতিতে মন্থর গতি অব্যাহত থাকবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার জাপানের সরকারি তথ্য থেকে দেখা গেছে, জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তার আগের প্রান্তিকে জাপানের জিপিডি কমেছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা টানা দুই প্রান্তিকে কোনো দেশের জিডিপি কমে যাওয়াকে মন্দা হিসেবেই বিবেচনা করেন।
তবে টানা দুই প্রান্তিকে কমলেও জাপানের জিডিপি ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ জাপানের মোট জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার। কিন্তু গত জানুয়ারির শেষ দিকে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, জার্মানির জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
জাপানের অর্থনীতির পতনের পেছনে প্রাথমিকভাবে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের তীব্র দরপতন অন্যতম কারণ। ২০২২-২০২৩ সালে ডলারের বিপরীতে প্রায় জাপানি মুদ্রার মান এক-পঞ্চমাংশ কমে গিয়েছিল। অপর একটি কারণ হলো ব্যাংক অব জাপানের নেতিবাচক সুদের হার বজায় রাখা। এই অবস্থায় দেশটির ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়িয়েছে।
উভয় দেশের অর্থনীতিই রপ্তানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। তবে জার্মান রপ্তানিকারকেরা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউরোজোনে সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজেটের অনিশ্চয়তা ও দক্ষ শ্রমের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতির কারণেও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার পরও দেশটি জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৮ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৮ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৮ ঘণ্টা আগে