মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানত ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ থেকে লাফিয়ে বেড়ে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা) পৌঁছেছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আমানতের এই উল্লম্ফন নজিরবিহীন।
২০২৩ সালে যেখানে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর আমানত ছিল মাত্র ৩.৪৮ মিলিয়ন ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬.৬১ মিলিয়নে। এটি ১৬৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি। যদিও ব্যক্তিপর্যায়ের আমানত কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৬২ মিলিয়নে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।
এই অঙ্ক ১৯৯৬ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ২০২১ সালে—৮৭১.১ মিলিয়ন ফ্রাঁ।
হঠাৎ এই উল্লম্ফনের পেছনে কী
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডলার-সংকট ও বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের সহজলভ্য পথ হিসেবে সুইস ব্যাংকগুলো আবার আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে, ব্যাংকপর্যায়ের আমানতের এই বিস্ফোরক বৃদ্ধি অর্থ পাচার বা বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে অর্থ স্থানান্তরের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে এসএনবির পরিসংখ্যান কেবল আমানতের পরিমাণ নির্দেশ করে, কোন অর্থ বৈধ বা অবৈধ—তা আলাদা করে উল্লেখ করে না।
স্বচ্ছতা ও তথ্য বিনিময়ে বাংলাদেশের অনাগ্রহ
২০১৮ সাল থেকে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিকভাবে শুরু হয় অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন (এইওআই)। ২০২৪ সালে সুইস ফেডারেল ট্যাক্স প্রশাসন (ইএসটিভি) বিশ্বের ১০৮টি দেশের সঙ্গে প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন হিসাবসংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করেছে।
তবে ওইসিডির ২০২৫ সালের মার্চের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ এখনো এইওআইতে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে এই প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মে অংশ না নেওয়ায় দেশটির নাগরিকদের বিদেশে অর্থ লুকিয়ে রাখার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তথ্য পেতে হলে বাংলাদেশকে আগে নিজেকে স্বচ্ছতার আওতায় আনতে হবে।
মাত্র একজনের তথ্য দিয়েছে সুইজারল্যান্ড
২০২২ সালে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএআইএউ) অর্থ পাচারের অভিযোগে সন্দেহভাজন ৬৭ বাংলাদেশির ব্যাংক তথ্য চেয়ে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায়। তবে তথ্য পাওয়া গেছে মাত্র একজনের।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কার্যকর আইনি কাঠামো তৈরি না করায় সুইস ব্যাংকগুলো বাধ্য নয় তথ্য দিতে।
মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানত ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ থেকে লাফিয়ে বেড়ে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা) পৌঁছেছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আমানতের এই উল্লম্ফন নজিরবিহীন।
২০২৩ সালে যেখানে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর আমানত ছিল মাত্র ৩.৪৮ মিলিয়ন ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬.৬১ মিলিয়নে। এটি ১৬৫ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি। যদিও ব্যক্তিপর্যায়ের আমানত কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৬২ মিলিয়নে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।
এই অঙ্ক ১৯৯৬ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্যের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ২০২১ সালে—৮৭১.১ মিলিয়ন ফ্রাঁ।
হঠাৎ এই উল্লম্ফনের পেছনে কী
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডলার-সংকট ও বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের সহজলভ্য পথ হিসেবে সুইস ব্যাংকগুলো আবার আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে, ব্যাংকপর্যায়ের আমানতের এই বিস্ফোরক বৃদ্ধি অর্থ পাচার বা বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে অর্থ স্থানান্তরের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে এসএনবির পরিসংখ্যান কেবল আমানতের পরিমাণ নির্দেশ করে, কোন অর্থ বৈধ বা অবৈধ—তা আলাদা করে উল্লেখ করে না।
স্বচ্ছতা ও তথ্য বিনিময়ে বাংলাদেশের অনাগ্রহ
২০১৮ সাল থেকে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিকভাবে শুরু হয় অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন (এইওআই)। ২০২৪ সালে সুইস ফেডারেল ট্যাক্স প্রশাসন (ইএসটিভি) বিশ্বের ১০৮টি দেশের সঙ্গে প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন হিসাবসংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করেছে।
তবে ওইসিডির ২০২৫ সালের মার্চের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ এখনো এইওআইতে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে এই প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মে অংশ না নেওয়ায় দেশটির নাগরিকদের বিদেশে অর্থ লুকিয়ে রাখার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তথ্য পেতে হলে বাংলাদেশকে আগে নিজেকে স্বচ্ছতার আওতায় আনতে হবে।
মাত্র একজনের তথ্য দিয়েছে সুইজারল্যান্ড
২০২২ সালে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএআইএউ) অর্থ পাচারের অভিযোগে সন্দেহভাজন ৬৭ বাংলাদেশির ব্যাংক তথ্য চেয়ে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায়। তবে তথ্য পাওয়া গেছে মাত্র একজনের।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কার্যকর আইনি কাঠামো তৈরি না করায় সুইস ব্যাংকগুলো বাধ্য নয় তথ্য দিতে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজারকে টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সঠিক নিরপেক্ষ ও বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ অপরিহার্য। এর মাধ্যমে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হ
১ ঘণ্টা আগেআগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্ট করা ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু দেশ এখনো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে আর্থিক খাতের মোট লেনদেনের ২৭-২৮ শতাংশ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, বাকিটা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর পেছনে রয়েছে সহায়ক নীতিমালার ঘাটতি, গ্রাহকের আস্থার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, সমন্বয়ের অভাব আর সাইবার...
১৯ ঘণ্টা আগেবন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে