দ্রুত উত্তাপ ছড়ানো ডলারের দাম খোলাবাজারে কমতে শুরু করেছে। আজ বুধবার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে খুচরা ডলার ৯৭ টাকা থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যা দুই দিন আগেও ১০২ থেকে ১০৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
বিলাসী পণ্যসহ আমদানিতে সরকারের কড়াকড়ি, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংশ্লেষ আছে কম দরকারি এমন প্রকল্প আপাতত স্থগিতে সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের ফলেই ডলারের বাজার আপাত কিছুটা সহনীয় হচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকটি নির্দেশনার ফলে ক্রমেই ডলারের চাহিদা কমছে বলে তারা জানান।
জানা যায়, খোলা বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ব্যাংকগুলো যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দাম অনুসরণ করে, তাই ব্যাংকে এখনো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার রাজধানীর ব্যাংকপাড়া বলে পরিচিত মতিঝিলের বিভিন্ন স্থানে মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের কাছে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম বেঁধে দিয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বেঁধে দেওয়া এ দাম বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মানছে না। এখন ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক এর চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক দিনের ডলার ১০৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে ডলারের দাম কমাতে থাকায় আমরা অনেকে লোকসানের মুখে পড়েছি। কারণ দাম বাড়ার প্রবণতায় আমরা ৯৯ টাকায় পর্যন্ত ডলার কিনেছি। সেটা এখন কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডলারের দাম ওঠা-নামার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে তা নিরসনে সরকারের বিশেষ নজরদারি করা দরকার।’
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ইসমাইল মানি এক্সচেঞ্জারের স্বত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারের দাম কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আমরা ভালো মুনাফা করেছি। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা থেকে ডলারের দাম কমে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা ৯৭ টাকায় ডলার কিনে তা ৯৯ টাকায় বিক্রয় করেছি। সামনের দিনে আরও দাম কমতে পারে বলে শুনেছি।’
খোলাবাজারে ডলারের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার নিয়ে অস্থিরতা আছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ রেখেছে। চাহিদা ও মজুতে বিষয় মাথায় রেখে সম্প্রতি ৫ বার ডলারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর খোলা বাজারে যে পরিমাণ ডলার ক্রয়-বিক্রয় হয় তার পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। তবে ব্যাংকগুলোর ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতি আমাদের নজর রয়েছে। এ জন্য ব্যাংক রেট কিছুটা বেশি হলেও খোলাবাজারের মতো খুব চড়া নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশে আমদানি বিল বাবদ বেশি হারে ডলার খরচ হচ্ছে। এতে ডলারের রিজার্ভে চাপ পড়েছে। একসময় ৪৮ বিলিয়নে পৌঁছানো রিজার্ভ নেমে ৪৪ বিলিয়নে এসে ঠেকেছে। এখন আর দফায় দফায় ডলারের রেকর্ড হতে দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু মেগা প্রকল্পের বৈদেশিক কেনাকাটা, অপরিহার্য নিত্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতেই হবে এবং এসব আমদানির বিপরীতে ডলারে বিল পরিশোধ করতে হবে। তাই সামনে যাতে ডলারের সংকট প্রকট না হয়, সে জন্য সরকার এরই মধ্যে সতর্ক হয়ে ডলারের ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে দ্রুত চড়তে থাকা ডলারের দাম গত কয়েক দিন ধরে আবার কমছে। সামনে আরও সহনীয় হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দ্রুত উত্তাপ ছড়ানো ডলারের দাম খোলাবাজারে কমতে শুরু করেছে। আজ বুধবার মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে খুচরা ডলার ৯৭ টাকা থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যা দুই দিন আগেও ১০২ থেকে ১০৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
বিলাসী পণ্যসহ আমদানিতে সরকারের কড়াকড়ি, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংশ্লেষ আছে কম দরকারি এমন প্রকল্প আপাতত স্থগিতে সরকারের নেওয়া নানান পদক্ষেপের ফলেই ডলারের বাজার আপাত কিছুটা সহনীয় হচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকটি নির্দেশনার ফলে ক্রমেই ডলারের চাহিদা কমছে বলে তারা জানান।
জানা যায়, খোলা বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ব্যাংকগুলো যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দাম অনুসরণ করে, তাই ব্যাংকে এখনো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার রাজধানীর ব্যাংকপাড়া বলে পরিচিত মতিঝিলের বিভিন্ন স্থানে মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের কাছে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম বেঁধে দিয়েছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বেঁধে দেওয়া এ দাম বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মানছে না। এখন ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক এর চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক দিনের ডলার ১০৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হয়। এভাবে ডলারের দাম কমাতে থাকায় আমরা অনেকে লোকসানের মুখে পড়েছি। কারণ দাম বাড়ার প্রবণতায় আমরা ৯৯ টাকায় পর্যন্ত ডলার কিনেছি। সেটা এখন কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডলারের দাম ওঠা-নামার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে তা নিরসনে সরকারের বিশেষ নজরদারি করা দরকার।’
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ইসমাইল মানি এক্সচেঞ্জারের স্বত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারের দাম কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আমরা ভালো মুনাফা করেছি। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা থেকে ডলারের দাম কমে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমরা ৯৭ টাকায় ডলার কিনে তা ৯৯ টাকায় বিক্রয় করেছি। সামনের দিনে আরও দাম কমতে পারে বলে শুনেছি।’
খোলাবাজারে ডলারের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার নিয়ে অস্থিরতা আছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ রেখেছে। চাহিদা ও মজুতে বিষয় মাথায় রেখে সম্প্রতি ৫ বার ডলারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর খোলা বাজারে যে পরিমাণ ডলার ক্রয়-বিক্রয় হয় তার পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। তবে ব্যাংকগুলোর ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতি আমাদের নজর রয়েছে। এ জন্য ব্যাংক রেট কিছুটা বেশি হলেও খোলাবাজারের মতো খুব চড়া নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশে আমদানি বিল বাবদ বেশি হারে ডলার খরচ হচ্ছে। এতে ডলারের রিজার্ভে চাপ পড়েছে। একসময় ৪৮ বিলিয়নে পৌঁছানো রিজার্ভ নেমে ৪৪ বিলিয়নে এসে ঠেকেছে। এখন আর দফায় দফায় ডলারের রেকর্ড হতে দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু মেগা প্রকল্পের বৈদেশিক কেনাকাটা, অপরিহার্য নিত্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতেই হবে এবং এসব আমদানির বিপরীতে ডলারে বিল পরিশোধ করতে হবে। তাই সামনে যাতে ডলারের সংকট প্রকট না হয়, সে জন্য সরকার এরই মধ্যে সতর্ক হয়ে ডলারের ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে দ্রুত চড়তে থাকা ডলারের দাম গত কয়েক দিন ধরে আবার কমছে। সামনে আরও সহনীয় হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১৮ ঘণ্টা আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
২০ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
২০ ঘণ্টা আগে