
যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের পর্যবেক্ষণে, ব্যাংক লাইসেন্স বিতরণ থেকে শুরু করে খেলাপি ঋণকে ‘নীতি-সুবিধা’র আড়ালে বৈধ করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি ও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে আইএমএফ মিশনের সদস্যরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাস্তব পরিস্থিতি।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তোলে। তাদের মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং নিয়মের ফাঁকে খেলাপি ঋণ বৈধ করার প্রবণতাকেই আইএমএফ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপরিহার্য। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা এখন প্রায় নামমাত্র হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা ও নীতিগত স্বচ্ছতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
তাঁরা সতর্ক করেছেন, ব্যাংক খাতের এ কাঠামোগত দুর্বলতা ভবিষ্যতে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিনিধিদল ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারকে তারা চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে যেখানে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় পৌনে ৭ লাখ কোটিতে। অথচ এত দিন সরকারি পরিসংখ্যানে এটি দেখানো হতো মাত্র ২ লাখ কোটি টাকার মতো। সুদের হার ৯ শতাংশে বেঁধে রাখার নীতিকে তাঁরা ‘অবৈধ অর্থ পাচারে প্রণোদনা’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিনিধিদল জানায়, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু গোষ্ঠী নাম-বেনামে ঋণ নিয়ে সেই অর্থ ডলার ক্রয়ে ব্যবহার করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে ২০২১ সালের মহামারিকালে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২০ বিলিয়নের ঘরে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কিছু দুর্বল ব্যাংক কোনো কার্যকর তদারকি ছাড়াই প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। এ অবস্থায় আইএমএফ ব্যাংক খাতের ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর জামানত ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ তদারকি কাঠামো প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ মিশনের নিয়মিত পরিদর্শন চলছে। তারা মূলত ঋণ কর্মসূচির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি যাচাই করছে। কিছু ইস্যুতে তাদের উদ্বেগ থাকলেও সার্বিকভাবে তারা অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও ব্যাপারীরা দোলাচলে আছেন। সরকারের আমদানির ঘোষণা এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। ফলে কেউ মজুত পেঁয়াজ দ্রুত বিক্রি করতে চাইছেন, আবার কেউ আশা করছেন দাম বাড়বে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের আগোরায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১১৫ টাকায়, পাশের কাঁচাবাজারে দাম ছিল ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। আগের দিন এসব বাজারে দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা।
তবে কোনো কোনো বাজারে ১১০ টাকায়ও পেঁয়াজ মিলছে। মুগদা বাজারের বিক্রেতা কাউসার বলেন, ‘গত রোববার পাইকারিতে ৯৫ টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ, কুলি খরচ, নষ্টের ঝুঁকি ও সামান্য মুনাফা যোগ করে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।’
শ্যামবাজারে সকালে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১০৫, মাঝারি মানের ১০২ এবং ছোট পেঁয়াজ ৯৮-১০০ টাকায়। তবে দুপুরের পর দাম কমে যথাক্রমে ১০০-৯৮ এবং ৯৬-৯৭ টাকায় নেমেছে। আগের দিন এই বাজারে দাম ছিল ৯৭-৯৮, ৯৫-৯৬ এবং ৯২-৯৩ টাকা।
রাজধানীর প্রায় সব বাজারে নতুন মৌসুমের মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাতাসহ এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, খেতের পেঁয়াজ ঘন হয়ে গেলে কৃষকেরা কিছু তুলে ফেলেন, যাতে বাকি গাছগুলো দ্রুত বড় হয় এবং কৃষক কিছু আয়ও পান। ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা এখন বেশি করে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আনছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৮ ঘণ্টা আগে৯১৪ টনের ক্রয়াদেশ ইসির
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯ টন কাগজ, অবশিষ্ট ৭৩৬ টন ধাপে ধাপে উৎপাদন করে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের জন্য রঙিন (সবুজ, গোলাপি, এজুরলেইড) ও বাদামি সালফেট কাগজের মোট ৯১৪ টন ব্যালট ছাপার কাগজের অর্ডার এসেছে। ব্যালট ছাপার জন্য এসব বিশেষ কাগজের মান, ঘনত্ব ও টেক্সচার নিয়ে মিলের প্রযুক্তিবিদেরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করেছেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশ স্টেশনারি অফিস (বিএসও), বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকেও এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৮৯৪ টন কাগজের অর্ডার পেয়েছে কেপিএম, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ৯২৩ টন কাগজ সরবরাহ করেছি।’
কেপিএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মিলটির বার্ষিক কাগজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫০০ টন, যার সম্ভাব্য বাজারদর ৪০-৪৫ কোটি টাকা। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১,০৯৩ টন কাগজ এবং উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কাপ্তাইয়ের এই কর্ণফুলী পেপার মিলস দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৫৩ সালে স্থাপিত এ মিলটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পরীক্ষার উত্তরপত্র ছাপানোসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে কাগজ সরবরাহ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যন্ত্রপাতি সংস্কার, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নের ফলে মিলটির উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সবগুলো ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

দেশের সব ক্যাডেট কলেজে ভর্তি আবেদন ফি সহজেই দেওয়া যাচ্ছে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। বরাবরের মতো এবারও এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি খরচ প্রয়োজন হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও তিনটি মেয়েদের জন্য। ইতিমধ্যে এসব ক্যাডেট কলেজের ভর্তি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সব ক্যাডেট কলেজে যেকোনো আবেদনকারী নগদের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন ফি দিতে পারবে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। তা ছাড়া নগদের এই ভর্তি ফির চার্জবিহীন পেমেন্ট সুবিধার ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া এখন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে।
আবেদনকারী বা অভিভাবকেরা ক্যাডেট কলেজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
অথবা https://cadetcollegeadmission.army.mil.bd/ -এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন
করে ফি পরিশোধ করতে পারবে।
‘Apply Now/Sign Up’-এ ক্লিক করে নাম, মোবাইল নম্বর, পাসওয়ার্ড, ই-মেইল অ্যাড্রেস, জন্মতারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ‘User ID’ ও ‘Password’ দিয়ে লগইন করে ‘Payment’ অপশন থেকে ‘Nagad’ নির্বাচন করে দুই হাজার টাকা আবেদন ফি তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। নগদ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই ফি প্রদানে কোনো সার্ভিস চার্জ বা ট্রানজেকশন ফি প্রযোজ্য হবে না। পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মোবাইলে সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস নিশ্চিতকরণ বার্তা পাঠানো হবে।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি ফি সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করার বিষয়ে নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নগদের মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ফি প্রদান সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত করেছি, যাতে সারা দেশের যেকোনো স্থান থেকে অভিভাবকেরা সহজে, দ্রুত ও সবচেয়ে কম খরচে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে। শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট আরও সহজ করতে নগদ বরাবরই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখবে।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ও টিউশন ফি দিচ্ছে। এই সুবিধা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সলিউশন হিসেবে কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কম
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। ঢাকায় সফররত সংস্থাটির সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন চড়া থাকার পর রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারে দেখা গেছে ওঠানামা। সকালে কিছুটা বেড়েছে, বিকেলে আবার নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপার জন্য নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) থেকে ৯১৪ দশমিক ০০৯ টন কাগজ কিনছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে ১৭৮ দশমিক ০০৯
২ ঘণ্টা আগে