অর্চি হক, ঢাকা
‘আমি উদ্যোক্তা নই, অন্য কোনো পেশায়ও নেই। আমার সম্পদ পুরোটাই পারিবারিক সূত্রে পাওয়া। এখানে আমার নিজের কোনো অবদান নেই।’ আলাপের শুরুতেই নিজের সম্পর্কে এ কথাগুলো জানিয়ে দিলেন এ বছর মহিলা ক্যাটাগরিতে তৃতীয় সেরা করদাতা নির্বাচিত নিলুফার ফেরদৌস। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এই শেয়ারহোল্ডার এ বছর ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা কর পরিশোধ করেছেন।
নিলুফার ফেরদৌস গত শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করের ব্যাপারে আমরা খুব সিরিয়াস। এটা সরকারের নির্দেশ। এটা তো মানতেই হবে।’ সেরা করদাতা হওয়ায় বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই তাঁর মধ্যে। তিনি বললেন, ‘আমি যে কর দিচ্ছি, এতে যদি দেশের সাধারণ মানুষের উপকার হয়, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। কারণ আমার সম্পদের মধ্যে সাধারণ মানুষ একটা ভাগ পেল, অংশীদার হলো।’
কথা বলে জানা গেছে, নিলুফার ফেরদৌসের বাবা কাজী হারুন অর রশিদ ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের একজন।
স্যামসন এইচ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। বাবার কাছ থেকেই শেয়ারের মালিকানা পান নিলুফার ফেরদৌস ও ভাইবোনেরা। তাঁর ভাই কাজী ইকবাল হারুন বর্তমানে স্কয়ার ফার্মার একজন পরিচালক। তিন ভাইবোনের মধ্যে নিলুফার ফেরদৌস সবার বড়। ১৯৫৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জন্ম তাঁর। পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পরপরই মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পর পাবনা মহিলা কলেজ থেকে তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন প্রথম বিভাগে। পড়াশোনায় ভালো হলেও চাকরি করার ইচ্ছাটা কখনোই হয়নি।
নিলুফার ফেরদৌস জানান, স্বামী ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। বিয়ের পর স্বামীর চাকরিসূত্রে একপর্যায়ে খুলনায় চলে গিয়েছিলেন। কয়েক বছর সেখানে থাকার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। নিলুফার বলেন, ‘বিয়ের পর মূলত স্বামীর ইচ্ছায়ই পড়াশোনা করেছি। আমার স্বামী পড়াশোনা নিয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন। মূলত সে কারণেই পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ডিগ্রিও করেছি।’
বর্তমানে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকছেন নিলুফার ফেরদৌস। সেরা করদাতা হলেও তাঁর জীবনযাপন খুবই সাদামাটা। মেয়ে ফারিহা তাসনিম বলছিলেন, ‘আম্মা সবসময় আমাদের রিকশায় করেই স্কুলে আনা-নেওয়া করেছেন। আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম; কিন্তু আম্মা বললেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি তোমাকে পড়াতে পারব না। আমার এত টাকা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো।’
দেশের তৃতীয় সেরা নারী করদাতা নিলুফার ফেরদৌস ভালোবাসেন ধর্মীয় বই পড়তে। ঘরে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন।
‘আমি উদ্যোক্তা নই, অন্য কোনো পেশায়ও নেই। আমার সম্পদ পুরোটাই পারিবারিক সূত্রে পাওয়া। এখানে আমার নিজের কোনো অবদান নেই।’ আলাপের শুরুতেই নিজের সম্পর্কে এ কথাগুলো জানিয়ে দিলেন এ বছর মহিলা ক্যাটাগরিতে তৃতীয় সেরা করদাতা নির্বাচিত নিলুফার ফেরদৌস। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এই শেয়ারহোল্ডার এ বছর ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা কর পরিশোধ করেছেন।
নিলুফার ফেরদৌস গত শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করের ব্যাপারে আমরা খুব সিরিয়াস। এটা সরকারের নির্দেশ। এটা তো মানতেই হবে।’ সেরা করদাতা হওয়ায় বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই তাঁর মধ্যে। তিনি বললেন, ‘আমি যে কর দিচ্ছি, এতে যদি দেশের সাধারণ মানুষের উপকার হয়, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। কারণ আমার সম্পদের মধ্যে সাধারণ মানুষ একটা ভাগ পেল, অংশীদার হলো।’
কথা বলে জানা গেছে, নিলুফার ফেরদৌসের বাবা কাজী হারুন অর রশিদ ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকদের একজন।
স্যামসন এইচ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। বাবার কাছ থেকেই শেয়ারের মালিকানা পান নিলুফার ফেরদৌস ও ভাইবোনেরা। তাঁর ভাই কাজী ইকবাল হারুন বর্তমানে স্কয়ার ফার্মার একজন পরিচালক। তিন ভাইবোনের মধ্যে নিলুফার ফেরদৌস সবার বড়। ১৯৫৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জন্ম তাঁর। পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পরপরই মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পর পাবনা মহিলা কলেজ থেকে তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন প্রথম বিভাগে। পড়াশোনায় ভালো হলেও চাকরি করার ইচ্ছাটা কখনোই হয়নি।
নিলুফার ফেরদৌস জানান, স্বামী ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। বিয়ের পর স্বামীর চাকরিসূত্রে একপর্যায়ে খুলনায় চলে গিয়েছিলেন। কয়েক বছর সেখানে থাকার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। নিলুফার বলেন, ‘বিয়ের পর মূলত স্বামীর ইচ্ছায়ই পড়াশোনা করেছি। আমার স্বামী পড়াশোনা নিয়ে খুব আগ্রহী ছিলেন। মূলত সে কারণেই পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ডিগ্রিও করেছি।’
বর্তমানে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকছেন নিলুফার ফেরদৌস। সেরা করদাতা হলেও তাঁর জীবনযাপন খুবই সাদামাটা। মেয়ে ফারিহা তাসনিম বলছিলেন, ‘আম্মা সবসময় আমাদের রিকশায় করেই স্কুলে আনা-নেওয়া করেছেন। আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম; কিন্তু আম্মা বললেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি তোমাকে পড়াতে পারব না। আমার এত টাকা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো।’
দেশের তৃতীয় সেরা নারী করদাতা নিলুফার ফেরদৌস ভালোবাসেন ধর্মীয় বই পড়তে। ঘরে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। আজ রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
১৩ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগে