
বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘বাণিজ্য সংস্কার: একটি জরুরি এজেন্ডা’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাধা মোকাবেলা করে চলমান প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে একদিকে যেমন ব্যবসা ক্ষেত্রসহ অবকাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে হবে, অন্যদিকে শুধু তৈরি পোশাকে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সংস্কারকাজে গতির বলে আশাপ্রকাশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রুগ্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা, আমদানি বিধিনিষেধে ত্রুটি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। তবে ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরের হালনাগাদে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ দফায় নিজেদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলেছে সংস্থাটি। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক প্রাক্কলন করেছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এপ্রিলের প্রাক্কলনের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের অসংখ্য দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বাংলাদেশও করোনা মহামারির ধাক্কা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরদারে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংক সহায়তা করতে প্রস্তুত।
২০২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি ডলারে, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। একটি বহুমুখী বিনিময় হার পদ্ধতিও লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতিতে প্রভাব ফেলেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করেছে। তবে একক বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের দিকে এগোলে তা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট এবং ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের মুখে পড়েছে। দেশের বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাঙ্কগুলোর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতি আরও বেড়েছে। যাই হোক, এ বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ যৌথ উদ্যোগে ঋণ পরিশোধের টেকসই সক্ষমতার (ডিএসএ) যাচাই করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার শঙ্কা ক্ষীণ।
২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে শামিল হতে বাংলাদেশকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে জটিল পথ পাড়ি দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং ওই প্রতিবেদনের সহ-লেখক বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত। কোভিড-১৯ মহামারি এককভাবে এই খাতের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে। এর জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। একটি ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি আঞ্চলিক একতাকে শক্তিশালী করতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ হলো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের একটি সহযোগী অংশ। যা বছরে দুইবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনগুলো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা যাচাই করে এবং দেশগুলোর প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘বাণিজ্য সংস্কার: একটি জরুরি এজেন্ডা’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাধা মোকাবেলা করে চলমান প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে একদিকে যেমন ব্যবসা ক্ষেত্রসহ অবকাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে হবে, অন্যদিকে শুধু তৈরি পোশাকে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সংস্কারকাজে গতির বলে আশাপ্রকাশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রুগ্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা, আমদানি বিধিনিষেধে ত্রুটি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। তবে ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরের হালনাগাদে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ দফায় নিজেদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলেছে সংস্থাটি। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক প্রাক্কলন করেছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এপ্রিলের প্রাক্কলনের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের অসংখ্য দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বাংলাদেশও করোনা মহামারির ধাক্কা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরদারে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংক সহায়তা করতে প্রস্তুত।
২০২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি ডলারে, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। একটি বহুমুখী বিনিময় হার পদ্ধতিও লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতিতে প্রভাব ফেলেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করেছে। তবে একক বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের দিকে এগোলে তা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট এবং ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের মুখে পড়েছে। দেশের বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাঙ্কগুলোর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতি আরও বেড়েছে। যাই হোক, এ বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ যৌথ উদ্যোগে ঋণ পরিশোধের টেকসই সক্ষমতার (ডিএসএ) যাচাই করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার শঙ্কা ক্ষীণ।
২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে শামিল হতে বাংলাদেশকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে জটিল পথ পাড়ি দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং ওই প্রতিবেদনের সহ-লেখক বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত। কোভিড-১৯ মহামারি এককভাবে এই খাতের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে। এর জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। একটি ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি আঞ্চলিক একতাকে শক্তিশালী করতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ হলো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের একটি সহযোগী অংশ। যা বছরে দুইবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনগুলো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা যাচাই করে এবং দেশগুলোর প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘বাণিজ্য সংস্কার: একটি জরুরি এজেন্ডা’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাধা মোকাবেলা করে চলমান প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে একদিকে যেমন ব্যবসা ক্ষেত্রসহ অবকাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে হবে, অন্যদিকে শুধু তৈরি পোশাকে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সংস্কারকাজে গতির বলে আশাপ্রকাশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রুগ্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা, আমদানি বিধিনিষেধে ত্রুটি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। তবে ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরের হালনাগাদে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ দফায় নিজেদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলেছে সংস্থাটি। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক প্রাক্কলন করেছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এপ্রিলের প্রাক্কলনের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের অসংখ্য দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বাংলাদেশও করোনা মহামারির ধাক্কা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরদারে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংক সহায়তা করতে প্রস্তুত।
২০২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি ডলারে, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। একটি বহুমুখী বিনিময় হার পদ্ধতিও লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতিতে প্রভাব ফেলেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করেছে। তবে একক বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের দিকে এগোলে তা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট এবং ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের মুখে পড়েছে। দেশের বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাঙ্কগুলোর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতি আরও বেড়েছে। যাই হোক, এ বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ যৌথ উদ্যোগে ঋণ পরিশোধের টেকসই সক্ষমতার (ডিএসএ) যাচাই করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার শঙ্কা ক্ষীণ।
২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে শামিল হতে বাংলাদেশকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে জটিল পথ পাড়ি দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং ওই প্রতিবেদনের সহ-লেখক বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত। কোভিড-১৯ মহামারি এককভাবে এই খাতের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে। এর জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। একটি ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি আঞ্চলিক একতাকে শক্তিশালী করতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ হলো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের একটি সহযোগী অংশ। যা বছরে দুইবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনগুলো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা যাচাই করে এবং দেশগুলোর প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘বাণিজ্য সংস্কার: একটি জরুরি এজেন্ডা’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বাধা মোকাবেলা করে চলমান প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে একদিকে যেমন ব্যবসা ক্ষেত্রসহ অবকাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে হবে, অন্যদিকে শুধু তৈরি পোশাকে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সংস্কারকাজে গতির বলে আশাপ্রকাশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, রুগ্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা, আমদানি বিধিনিষেধে ত্রুটি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। তবে ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরের হালনাগাদে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ দফায় নিজেদের আগের পূর্বাভাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলেছে সংস্থাটি। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক প্রাক্কলন করেছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এপ্রিলের প্রাক্কলনের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বের অসংখ্য দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বাংলাদেশও করোনা মহামারির ধাক্কা কাটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরদারে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংক সহায়তা করতে প্রস্তুত।
২০২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি ডলারে, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৫৩০ কোটি ডলার। এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। একটি বহুমুখী বিনিময় হার পদ্ধতিও লেনদেন ভারসাম্য ঘাটতিতে প্রভাব ফেলেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহকে নিরুৎসাহিত করেছে। তবে একক বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের দিকে এগোলে তা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারসাম্য আনবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট এবং ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের মুখে পড়েছে। দেশের বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাঙ্কগুলোর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতি আরও বেড়েছে। যাই হোক, এ বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ যৌথ উদ্যোগে ঋণ পরিশোধের টেকসই সক্ষমতার (ডিএসএ) যাচাই করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার শঙ্কা ক্ষীণ।
২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে শামিল হতে বাংলাদেশকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে জটিল পথ পাড়ি দিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এবং ওই প্রতিবেদনের সহ-লেখক বার্নার্ড হ্যাভেন বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত। কোভিড-১৯ মহামারি এককভাবে এই খাতের ওপর নির্ভরশীলতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে। এর জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। একটি ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি আঞ্চলিক একতাকে শক্তিশালী করতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ হলো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের একটি সহযোগী অংশ। যা বছরে দুইবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনগুলো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা যাচাই করে এবং দেশগুলোর প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৩ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
০৪ এপ্রিল ২০২৩
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৩ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
০৪ এপ্রিল ২০২৩
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
০৪ এপ্রিল ২০২৩
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির কারণে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারির আঘাত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি ঘাটতি, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি ও রাজস্ব ঘাটতিসহ নানা বাধার মুখে বাংলাদেশ।
০৪ এপ্রিল ২০২৩
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৩ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৩ ঘণ্টা আগে