নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর গত রোববার বড় দরপতনের ধাক্কা সামলে পরের দুই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবসে আবারও বড় দরপতনে মিইয়ে গেল উত্থানের আনন্দ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে দীর্ঘদিন একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল পুঁজিবাজার। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই বাজার স্থিতিশীল হবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে শঙ্কার কিছুই দেখছেন না তাঁরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সূচক পতন হচ্ছে এটা বড় বিষয় নয়, বাজারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, স্বাভাবিকভাবে চালু আছে, সেটা বড় কথা। কেউ শেয়ার কিনবেন, কেউ বেচবেন। এভাবেই টার্নওভার বাড়বে। এটাই বড় বিষয়। যাঁরা এখন বিক্রি করছেন বা অপেক্ষায় আছেন, তাঁরা আবার কিছুদিন পরে কিনবেন। ফলে কিছুদিন বাজার এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে দরবৃদ্ধির তুলনায় তিন গুণের বেশি দরপতন হয়েছে। সাধারণ বিমা ছাড়া দরপতন থেকে রক্ষা পায়নি কোনো খাত।
এদিন সব মিলিয়ে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫টির দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ২৮২টির। আর ২২টির লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। এর প্রভাবে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে।
অংশীজনদের চাওয়ার মুখে ৩৫টি বাদে সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে গত বৃহস্পতিবার। এরপর প্রথম কর্মদিবস রোববার বড় দরপতনের পর দুই দিন বাজারে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। প্রথম দিন ডিএসইর সূচক পড়েছিল ৯৬ পয়েন্ট। পরের দিন সূচকে যোগ হয় ১৪ পয়েন্ট।
এতে মঙ্গলবার থেকে আরও ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেদিনও ২১ পয়েন্ট বাড়ে সূচক।
উত্থানের সুখস্মৃতি দীর্ঘ হতে দেয়নি বুধবারের ৫০ পয়েন্ট পতন। তবে সেদিন লেনদেন খুব একটা কমেনি। ফলে ছয় মাস পর টানা তিন কর্মদিবস হাজার কোটির ঘরে লেনদেন দেখেন বিনিয়োগকারীরা। এতে সূচক কমলেও বিষয়টি কিছুটা হলেও স্বস্তির ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য।
তবে বৃহস্পতিবার সূচকের বড় পতনের সঙ্গে লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা আগের দিনের চেয়ে ৩০২ কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার টাকা কম।
এ বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশীদ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, কম দামে শেয়ার কেনার জন্য অনেকেই বেঁচে দিয়ে থাকতে পারেন বা একটা বেঁচে আরেকটা কিনে থাকতে পারেন। বড় বায়াররা কম দামে কিনতে চায়, এই প্রবণতা হয়তো কাজ করেছে। বায়ার সাইড স্ট্রং ছিল না, যাতে লেনদেন কিছুটা কম হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার অনেকেই মুনাফা গ্রহণ করেছেন। ওই দিন শেষ দিকে সেল প্রেশার আসার কারণে বাজার নেতিবাচক ছিল। আজকেও (বৃহস্পতিবার) একই আচরণই দেখা গেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন, আরও দাম কমলে কিনবেন।
শরীফ আনোয়ার যোগ করেন, যখন বাজার নেতিবাচক হয়, তখনই শেয়ার কেনার সময়। অনেকেই সেই সময় কেনার সাহস করেন না। বড় সেল প্রেশার দেখে ভয় পান। বেশি পরিমাণ শেয়ার যাঁরা কেনেন, তারা যখন স্থির হবেন, তখনই দেখা যাবে আতঙ্ক কেটে গেছে। আর কিছুদিন গেলে এসব সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২২টির। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর গত রোববার বড় দরপতনের ধাক্কা সামলে পরের দুই দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পুঁজিবাজার। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দুই কর্মদিবসে আবারও বড় দরপতনে মিইয়ে গেল উত্থানের আনন্দ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে দীর্ঘদিন একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল পুঁজিবাজার। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই বাজার স্থিতিশীল হবে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে শঙ্কার কিছুই দেখছেন না তাঁরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সূচক পতন হচ্ছে এটা বড় বিষয় নয়, বাজারে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, স্বাভাবিকভাবে চালু আছে, সেটা বড় কথা। কেউ শেয়ার কিনবেন, কেউ বেচবেন। এভাবেই টার্নওভার বাড়বে। এটাই বড় বিষয়। যাঁরা এখন বিক্রি করছেন বা অপেক্ষায় আছেন, তাঁরা আবার কিছুদিন পরে কিনবেন। ফলে কিছুদিন বাজার এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইতে দরবৃদ্ধির তুলনায় তিন গুণের বেশি দরপতন হয়েছে। সাধারণ বিমা ছাড়া দরপতন থেকে রক্ষা পায়নি কোনো খাত।
এদিন সব মিলিয়ে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৫টির দর বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ২৮২টির। আর ২২টির লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। এর প্রভাবে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে।
অংশীজনদের চাওয়ার মুখে ৩৫টি বাদে সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে গত বৃহস্পতিবার। এরপর প্রথম কর্মদিবস রোববার বড় দরপতনের পর দুই দিন বাজারে সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। প্রথম দিন ডিএসইর সূচক পড়েছিল ৯৬ পয়েন্ট। পরের দিন সূচকে যোগ হয় ১৪ পয়েন্ট।
এতে মঙ্গলবার থেকে আরও ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেদিনও ২১ পয়েন্ট বাড়ে সূচক।
উত্থানের সুখস্মৃতি দীর্ঘ হতে দেয়নি বুধবারের ৫০ পয়েন্ট পতন। তবে সেদিন লেনদেন খুব একটা কমেনি। ফলে ছয় মাস পর টানা তিন কর্মদিবস হাজার কোটির ঘরে লেনদেন দেখেন বিনিয়োগকারীরা। এতে সূচক কমলেও বিষয়টি কিছুটা হলেও স্বস্তির ছিল বিনিয়োগকারীদের জন্য।
তবে বৃহস্পতিবার সূচকের বড় পতনের সঙ্গে লেনদেনেও ভাটা পড়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, যা আগের দিনের চেয়ে ৩০২ কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার টাকা কম।
এ বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশীদ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, কম দামে শেয়ার কেনার জন্য অনেকেই বেঁচে দিয়ে থাকতে পারেন বা একটা বেঁচে আরেকটা কিনে থাকতে পারেন। বড় বায়াররা কম দামে কিনতে চায়, এই প্রবণতা হয়তো কাজ করেছে। বায়ার সাইড স্ট্রং ছিল না, যাতে লেনদেন কিছুটা কম হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার অনেকেই মুনাফা গ্রহণ করেছেন। ওই দিন শেষ দিকে সেল প্রেশার আসার কারণে বাজার নেতিবাচক ছিল। আজকেও (বৃহস্পতিবার) একই আচরণই দেখা গেছে। অনেকেই অপেক্ষায় আছেন, আরও দাম কমলে কিনবেন।
শরীফ আনোয়ার যোগ করেন, যখন বাজার নেতিবাচক হয়, তখনই শেয়ার কেনার সময়। অনেকেই সেই সময় কেনার সাহস করেন না। বড় সেল প্রেশার দেখে ভয় পান। বেশি পরিমাণ শেয়ার যাঁরা কেনেন, তারা যখন স্থির হবেন, তখনই দেখা যাবে আতঙ্ক কেটে গেছে। আর কিছুদিন গেলে এসব সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২২টির। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনে ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় অভিঘাতের আভাস মিলছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে—যা গত ২৫ মে’র পর প্রথমবারের মতো ঘটল।
৯ মিনিট আগেঅর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারে ‘সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা’ করেছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি। আজ রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স...
২ ঘণ্টা আগেপূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্সসংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
৩ ঘণ্টা আগে