আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে প্রায় তিন মাসের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে লোকসানে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। সিংহভাগ হাউসের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে। এতে কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক হাউস। ব্যবসায় ভালো মুনাফা না হওয়ায় বাড়ছে না বেতন, বরং বাড়ছে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন সংঘটিত হয় ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মাধ্যমে। হাউসগুলোর আয়ের প্রধান উৎস লেনদেনের ওপর প্রাপ্ত কমিশন। চলমান দরপতনে লেনদেন তলানিতে ঠেকেছে। এতে করে লোকসানে পড়েছে সিংহভাগ হাউস। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই চাকরি হারাতে হবে অসংখ্য কর্মীকে।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিংহভাগ ব্রোকারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। শেয়ারবাজারের ভলিউম নেই (লেনদেন কম)। ২৫০টি ডিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউস এবং ৭০টির মতো ট্রেকহোল্ডার হাউস রয়েছে। বাজারে প্রতিদিন ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন না হলে এসব হাউস টিকে থাকতে পারবে না।
ব্রোকারেজ হাউস ড্রাগন সিকিউরিটিজের একজন ট্রেডার মাসুম রহমান। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কর্মীদের ভোগান্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কর্মীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। বাজারের অবস্থা খারাপ। এটা চলতে থাকলে হয়তো সময়মতো বেতন-ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। আর অনেক দীর্ঘ সময় বাজার খারাপ থাকলে চাকরি চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটবে।
ব্রোকারেজ হাউস মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, আয়-ব্যয়ের অনুপাত অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। এক-তৃতীয়াংশ হাউস হয়তো খরচের সমান আয় করতে পারছে। অল্প কিছু হাউস মুনাফায়। বাকি সব হাউস লোকসানে।
শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, লেনদেন ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসের কোনো আয় নেই। অনেক হাউসে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। মাঝারি ধরনের হাউসগুলোর লেনদেন হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা, যা ২ থেকে ৩ কোটি টাকা হতো। লেনদেন কমেছে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। তাতে আয় কমেছে, কিন্তু খরচ কমেনি।
এর নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে স্বাধীন আরও বলেন, হাউসগুলো সুচারুভাবে চলতে পারছে না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে খরচ কমানোর চেষ্টা করবে হাউসগুলো। তখন একটাই রাস্তা, কর্মী ছাঁটাই। কর্মীদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক কাজ করছে। তিনি যোগ করেন, এখনো অনেক কর্মীর বেতন-ভাতা আদর্শ নয়। কোনো হাউসেই বেতন বাড়ানো হচ্ছে না দীর্ঘদিন। বাড়াবে কীভাবে? লেনদেনই হচ্ছে না। ফলে অনেক কম বেতনে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে অনেক কর্মীদের।
এখনো ব্রোকাররা কর্মী ছাঁটাই না করে লোকসানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, তবে এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে আশঙ্কা থেকেই যায়। কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতেও পারে।
তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতির মুখে ব্রোকাররা, সেটার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই জানিয়ে ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘ব্রোকারদের লেনদেন ও অন্যান্য নিজস্ব হিসাবের তথ্য ডিবিএ সংরক্ষণ করে না। এতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না-ও করতে পারেন। এ জন্য আমরা এটা তাদের কাছে চাই না।’
সংকট উত্তরণে ব্রোকারেজ হাউসের ভূমিকা আছে কি না জানতে চাইলে ব্রোকারদের এই নেতা বলেন, ব্রোকারদের ভূমিকা আছে। তবে, সার্বিক সমস্যার সমাধান না হলে ব্রোকাররা খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।
পুঁজিবাজারে প্রায় তিন মাসের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে লোকসানে পড়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। সিংহভাগ হাউসের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে। এতে কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক হাউস। ব্যবসায় ভালো মুনাফা না হওয়ায় বাড়ছে না বেতন, বরং বাড়ছে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন সংঘটিত হয় ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মাধ্যমে। হাউসগুলোর আয়ের প্রধান উৎস লেনদেনের ওপর প্রাপ্ত কমিশন। চলমান দরপতনে লেনদেন তলানিতে ঠেকেছে। এতে করে লোকসানে পড়েছে সিংহভাগ হাউস। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই চাকরি হারাতে হবে অসংখ্য কর্মীকে।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিংহভাগ ব্রোকারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। শেয়ারবাজারের ভলিউম নেই (লেনদেন কম)। ২৫০টি ডিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউস এবং ৭০টির মতো ট্রেকহোল্ডার হাউস রয়েছে। বাজারে প্রতিদিন ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন না হলে এসব হাউস টিকে থাকতে পারবে না।
ব্রোকারেজ হাউস ড্রাগন সিকিউরিটিজের একজন ট্রেডার মাসুম রহমান। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কর্মীদের ভোগান্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কর্মীদের বেতন বাড়ানো হচ্ছে না। বাজারের অবস্থা খারাপ। এটা চলতে থাকলে হয়তো সময়মতো বেতন-ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। আর অনেক দীর্ঘ সময় বাজার খারাপ থাকলে চাকরি চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটবে।
ব্রোকারেজ হাউস মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, আয়-ব্যয়ের অনুপাত অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। এক-তৃতীয়াংশ হাউস হয়তো খরচের সমান আয় করতে পারছে। অল্প কিছু হাউস মুনাফায়। বাকি সব হাউস লোকসানে।
শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, লেনদেন ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসের কোনো আয় নেই। অনেক হাউসে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। মাঝারি ধরনের হাউসগুলোর লেনদেন হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা, যা ২ থেকে ৩ কোটি টাকা হতো। লেনদেন কমেছে ৮ থেকে ১০ শতাংশ। তাতে আয় কমেছে, কিন্তু খরচ কমেনি।
এর নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে স্বাধীন আরও বলেন, হাউসগুলো সুচারুভাবে চলতে পারছে না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে খরচ কমানোর চেষ্টা করবে হাউসগুলো। তখন একটাই রাস্তা, কর্মী ছাঁটাই। কর্মীদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক কাজ করছে। তিনি যোগ করেন, এখনো অনেক কর্মীর বেতন-ভাতা আদর্শ নয়। কোনো হাউসেই বেতন বাড়ানো হচ্ছে না দীর্ঘদিন। বাড়াবে কীভাবে? লেনদেনই হচ্ছে না। ফলে অনেক কম বেতনে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে অনেক কর্মীদের।
এখনো ব্রোকাররা কর্মী ছাঁটাই না করে লোকসানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, তবে এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে আশঙ্কা থেকেই যায়। কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতেও পারে।
তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতির মুখে ব্রোকাররা, সেটার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই জানিয়ে ডিবিএ সভাপতি বলেন, ‘ব্রোকারদের লেনদেন ও অন্যান্য নিজস্ব হিসাবের তথ্য ডিবিএ সংরক্ষণ করে না। এতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না-ও করতে পারেন। এ জন্য আমরা এটা তাদের কাছে চাই না।’
সংকট উত্তরণে ব্রোকারেজ হাউসের ভূমিকা আছে কি না জানতে চাইলে ব্রোকারদের এই নেতা বলেন, ব্রোকারদের ভূমিকা আছে। তবে, সার্বিক সমস্যার সমাধান না হলে ব্রোকাররা খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৩ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
৩ ঘণ্টা আগে