ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে গভর্নর

শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে ব্যাংক খাত থেকে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান এই মনসুর বলেন, দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো দখলে নিতে সহায়তা করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর কয়েক দিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়।
আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ব্যাংকগুলো দখল করার পর সেগুলোর নিয়ন্ত্রকেরা তাদের বাছাই নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালানে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।’
গভর্নর আরও বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তাঁর সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ধাপে ধাপে চুরি’ করেছেন। ‘তাঁরা প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের ঋণ দিয়েছেন’—বলেন আহসান এইচ মনসুর।
তবে সাইফুল আলম ও এস আলম গ্রুপের নিয়োগ করা মার্কিন আইন প্রতিষ্ঠান ‘কুইন ইমানুয়েল উরকুয়ার্ট অ্যান্ড সুলিভান’ এক বিবৃতিতে বলেছে, গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এস আলম গ্রুপসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত অভিযানে মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখানো হয়নি। যা এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। (এস আলম) গ্রুপের অতীত ইতিহাস ও অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নরের অভিযোগ আমাদের কাছে বিস্ময়কর এবং অযৌক্তিক বলে মনে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে উল্লেখিত গোয়েন্দা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শেখ হাসিনা ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে পাঁচ মেয়াদে মোট দুই দশক ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিনা বিচারের কারাবন্দী রাখা ও নির্যাতন করা এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী গত আগস্টে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশটি পরিচালনার ভার নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার বারবার বলছে, সরকার আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য সবকিছু করবে।
এর আগে, গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনার সহযোগীদের বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রধান ব্যাংকগুলোর বোর্ড সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বন্দুকের নলের মুখে ব্যাংকের সব শেয়ার এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে এবং পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। গভর্নর বলেন, ‘একের পর এক ব্যাংকে তারা এই কাজ করেছে।’
একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে তাঁকে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চাপের মধ্যে রেখেছিল।
তিনি জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তাবিত বোর্ড সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ব্যাংকের একজন বিদেশি পরিচালকের ব্যবহৃত হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছিল সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁকে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয় পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য। তিনি বলেন, ‘তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকের চিঠিপত্র তৈরি করেছিল এবং আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।’
এস আলম গ্রুপ গত দশকে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ে। গ্রুপের ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ’ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য ঠিক করেছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অডিটকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, কর্তৃপক্ষ এখন এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার ‘গুণগত মানসম্পন্ন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের’ কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে, যাতে এগুলোতে পুনরায় পুঁজি জোগানো সম্ভব হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের বিপদগ্রস্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা বিক্রয়ের জন্য একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, সরকার দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ করবে। তাঁরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোথাও থাকা ব্যাংকের তৎকালীন শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদের আইনি দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে ব্যাংক খাত থেকে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান এই মনসুর বলেন, দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো দখলে নিতে সহায়তা করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর কয়েক দিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়।
আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ব্যাংকগুলো দখল করার পর সেগুলোর নিয়ন্ত্রকেরা তাদের বাছাই নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালানে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।’
গভর্নর আরও বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তাঁর সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ধাপে ধাপে চুরি’ করেছেন। ‘তাঁরা প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের ঋণ দিয়েছেন’—বলেন আহসান এইচ মনসুর।
তবে সাইফুল আলম ও এস আলম গ্রুপের নিয়োগ করা মার্কিন আইন প্রতিষ্ঠান ‘কুইন ইমানুয়েল উরকুয়ার্ট অ্যান্ড সুলিভান’ এক বিবৃতিতে বলেছে, গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এস আলম গ্রুপসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত অভিযানে মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখানো হয়নি। যা এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। (এস আলম) গ্রুপের অতীত ইতিহাস ও অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নরের অভিযোগ আমাদের কাছে বিস্ময়কর এবং অযৌক্তিক বলে মনে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে উল্লেখিত গোয়েন্দা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শেখ হাসিনা ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে পাঁচ মেয়াদে মোট দুই দশক ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিনা বিচারের কারাবন্দী রাখা ও নির্যাতন করা এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী গত আগস্টে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশটি পরিচালনার ভার নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার বারবার বলছে, সরকার আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য সবকিছু করবে।
এর আগে, গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনার সহযোগীদের বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রধান ব্যাংকগুলোর বোর্ড সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বন্দুকের নলের মুখে ব্যাংকের সব শেয়ার এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে এবং পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। গভর্নর বলেন, ‘একের পর এক ব্যাংকে তারা এই কাজ করেছে।’
একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে তাঁকে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চাপের মধ্যে রেখেছিল।
তিনি জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তাবিত বোর্ড সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ব্যাংকের একজন বিদেশি পরিচালকের ব্যবহৃত হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছিল সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁকে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয় পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য। তিনি বলেন, ‘তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকের চিঠিপত্র তৈরি করেছিল এবং আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।’
এস আলম গ্রুপ গত দশকে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ে। গ্রুপের ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ’ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য ঠিক করেছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অডিটকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, কর্তৃপক্ষ এখন এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার ‘গুণগত মানসম্পন্ন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের’ কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে, যাতে এগুলোতে পুনরায় পুঁজি জোগানো সম্ভব হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের বিপদগ্রস্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা বিক্রয়ের জন্য একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, সরকার দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ করবে। তাঁরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোথাও থাকা ব্যাংকের তৎকালীন শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদের আইনি দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে গভর্নর

শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে ব্যাংক খাত থেকে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান এই মনসুর বলেন, দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো দখলে নিতে সহায়তা করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর কয়েক দিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়।
আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ব্যাংকগুলো দখল করার পর সেগুলোর নিয়ন্ত্রকেরা তাদের বাছাই নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালানে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।’
গভর্নর আরও বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তাঁর সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ধাপে ধাপে চুরি’ করেছেন। ‘তাঁরা প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের ঋণ দিয়েছেন’—বলেন আহসান এইচ মনসুর।
তবে সাইফুল আলম ও এস আলম গ্রুপের নিয়োগ করা মার্কিন আইন প্রতিষ্ঠান ‘কুইন ইমানুয়েল উরকুয়ার্ট অ্যান্ড সুলিভান’ এক বিবৃতিতে বলেছে, গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এস আলম গ্রুপসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত অভিযানে মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখানো হয়নি। যা এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। (এস আলম) গ্রুপের অতীত ইতিহাস ও অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নরের অভিযোগ আমাদের কাছে বিস্ময়কর এবং অযৌক্তিক বলে মনে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে উল্লেখিত গোয়েন্দা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শেখ হাসিনা ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে পাঁচ মেয়াদে মোট দুই দশক ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিনা বিচারের কারাবন্দী রাখা ও নির্যাতন করা এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী গত আগস্টে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশটি পরিচালনার ভার নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার বারবার বলছে, সরকার আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য সবকিছু করবে।
এর আগে, গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনার সহযোগীদের বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রধান ব্যাংকগুলোর বোর্ড সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বন্দুকের নলের মুখে ব্যাংকের সব শেয়ার এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে এবং পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। গভর্নর বলেন, ‘একের পর এক ব্যাংকে তারা এই কাজ করেছে।’
একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে তাঁকে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চাপের মধ্যে রেখেছিল।
তিনি জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তাবিত বোর্ড সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ব্যাংকের একজন বিদেশি পরিচালকের ব্যবহৃত হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছিল সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁকে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয় পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য। তিনি বলেন, ‘তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকের চিঠিপত্র তৈরি করেছিল এবং আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।’
এস আলম গ্রুপ গত দশকে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ে। গ্রুপের ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ’ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য ঠিক করেছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অডিটকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, কর্তৃপক্ষ এখন এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার ‘গুণগত মানসম্পন্ন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের’ কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে, যাতে এগুলোতে পুনরায় পুঁজি জোগানো সম্ভব হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের বিপদগ্রস্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা বিক্রয়ের জন্য একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, সরকার দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ করবে। তাঁরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোথাও থাকা ব্যাংকের তৎকালীন শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদের আইনি দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে ব্যাংক খাত থেকে ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী। এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান এই মনসুর বলেন, দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো দখলে নিতে সহায়তা করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এর কয়েক দিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয়।
আহসান এইচ মনসুর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ব্যাংকগুলো দখল করার পর সেগুলোর নিয়ন্ত্রকেরা তাদের বাছাই নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালানে অতিরিক্ত ব্যয় নির্ধারণের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।’
গভর্নর আরও বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তাঁর সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে অন্তত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ধাপে ধাপে চুরি’ করেছেন। ‘তাঁরা প্রতিদিন নিজেরা নিজেদের ঋণ দিয়েছেন’—বলেন আহসান এইচ মনসুর।
তবে সাইফুল আলম ও এস আলম গ্রুপের নিয়োগ করা মার্কিন আইন প্রতিষ্ঠান ‘কুইন ইমানুয়েল উরকুয়ার্ট অ্যান্ড সুলিভান’ এক বিবৃতিতে বলেছে, গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগের ‘কোনো ভিত্তি নেই।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে এস আলম গ্রুপসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত অভিযানে মৌলিক নীতিগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখানো হয়নি। যা এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। (এস আলম) গ্রুপের অতীত ইতিহাস ও অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নরের অভিযোগ আমাদের কাছে বিস্ময়কর এবং অযৌক্তিক বলে মনে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে উল্লেখিত গোয়েন্দা সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তবে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
শেখ হাসিনা ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে পাঁচ মেয়াদে মোট দুই দশক ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, বিরোধীদের গ্রেপ্তার, বিনা বিচারের কারাবন্দী রাখা ও নির্যাতন করা এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রী গত আগস্টে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনার পতনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশটি পরিচালনার ভার নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার বারবার বলছে, সরকার আওয়ামী লীগ আমলে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য সবকিছু করবে।
এর আগে, গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, তিনি শেখ হাসিনার সহযোগীদের বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্তে যুক্তরাজ্যের সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রধান ব্যাংকগুলোর বোর্ড সদস্যদের টার্গেট করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বন্দুকের নলের মুখে ব্যাংকের সব শেয়ার এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে এবং পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। গভর্নর বলেন, ‘একের পর এক ব্যাংকে তারা এই কাজ করেছে।’
একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানান, জোরপূর্বক ব্যাংক অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে তাঁকে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চাপের মধ্যে রেখেছিল।
তিনি জানান, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তাবিত বোর্ড সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ব্যাংকের একজন বিদেশি পরিচালকের ব্যবহৃত হোটেল কক্ষে তল্লাশি চালিয়েছিল সরকারি সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁকে এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আটকে রাখা হয় পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য। তিনি বলেন, ‘তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকের চিঠিপত্র তৈরি করেছিল এবং আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।’
এস আলম গ্রুপ গত দশকে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ে। গ্রুপের ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ’ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ সরকার পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য ঠিক করেছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই অডিটকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, কর্তৃপক্ষ এখন এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার ‘গুণগত মানসম্পন্ন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের’ কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে, যাতে এগুলোতে পুনরায় পুঁজি জোগানো সম্ভব হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের বিপদগ্রস্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা বিক্রয়ের জন্য একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করছে।
আহসান এইচ মনসুর আরও জানান, সরকার দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ করবে। তাঁরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য বা অন্য কোথাও থাকা ব্যাংকের তৎকালীন শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদের আইনি দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে।

চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি খাতে দীর্ঘস্থায়ী পতন দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২ নভেম্বর) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। গত এপ্রিল মাসে প্রথমে ভারতের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আগস্টের শুরুতে ২৫ শতাংশ এবং ওই মাসের শেষে রাশিয়ার তেল কেনার ‘শাস্তি’সহ শুল্ক বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক এবং মারাত্মক। এর প্রভাবে মাত্র পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৮৮০ কোটি ডলার থেকে কমে ৫৫০ কোটি ডলারে নেমে আসে।
এই পতনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে শুল্কমুক্ত পণ্যের ওপর, যা একসময় ভারতীয় পণ্য রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। শুল্কমুক্ত এসব পণ্যের চালান প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্কমুক্ত রপ্তানি মে মাসের ৩৪০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ১৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্মার্টফোন এবং ওষুধ খাত। ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি গত বছরের (২০২৪) এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ১৯৭ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ মাসে এটি ৫৮ শতাংশ কমে গেছে। মে মাসে ২২৯ কোটি ডলার থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭। গত মে মাসে এই খাতে রপ্তানি ছিল ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। কিন্তু পাঁচ মাসে কমে সেপ্টেম্বর মাসে তা হয়েছে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
শ্রম-নির্ভর বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, রাসায়নিক, কৃষিজাত খাদ্যপণ্য ও যন্ত্রপাতি—এই খাতগুলো সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ। এখানে ৩৩ শতাংশ সংকোচন দেখা গেছে— গত মে মাসের ৪৮০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ৩২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
রত্ন ও গয়না ভারতের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রে এগুলোর রপ্তানি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যাওয়ায় (৫০ কোটি ২ লাখ ডলার থেকে ২০ কোটি ২৮ লাখ ডলারে নেমে এসেছে) সুরাট এবং মুম্বাইয়ের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সোলার প্যানেল রপ্তানি কমেছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। এই খাতে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকার পরও রপ্তানিতে ভারতের অবস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ধাতু ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি ৩৭ শতাংশ, তামা ২৫ শতাংশ এবং যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। তবে জিটিআরআই মনে করে, এই পতন মার্কিন শিল্প চাহিদার সামগ্রিক মন্দার ফল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, রপ্তানি হারানো ভারতের এই খাতগুলো এখন থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছে।
ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা ইতিমধ্যে সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—অর্থায়নের খরচ কমাতে সুদের সমতা বৃদ্ধি, নগদ প্রবাহের চাপ কমাতে শুল্ক প্রত্যর্পণ (শুল্ক-করের অর্থ ফেরত দেওয়া) দ্রুত করা এবং এমএসএমই (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) রপ্তানিকারকদের জন্য জরুরি ঋণ সুবিধা চালু করা।
জিটিআরআই সতর্ক করে বলেছে, দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা খাতগুলোতেও ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং চীনের কাছে দীর্ঘমেয়াদি বাজার হারাতে পারে। জিটিআরআইয়ের চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই শুল্কগুলো কেবল মুনাফার মার্জিনকেই সংকুচিত করেনি, বরং ভারতের রপ্তানি কাঠামোর মধ্যেকার গভীর দুর্বলতাগুলোও উন্মোচিত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি খাতে দীর্ঘস্থায়ী পতন দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২ নভেম্বর) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। গত এপ্রিল মাসে প্রথমে ভারতের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আগস্টের শুরুতে ২৫ শতাংশ এবং ওই মাসের শেষে রাশিয়ার তেল কেনার ‘শাস্তি’সহ শুল্ক বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক এবং মারাত্মক। এর প্রভাবে মাত্র পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৮৮০ কোটি ডলার থেকে কমে ৫৫০ কোটি ডলারে নেমে আসে।
এই পতনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে শুল্কমুক্ত পণ্যের ওপর, যা একসময় ভারতীয় পণ্য রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। শুল্কমুক্ত এসব পণ্যের চালান প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্কমুক্ত রপ্তানি মে মাসের ৩৪০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ১৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্মার্টফোন এবং ওষুধ খাত। ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি গত বছরের (২০২৪) এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ১৯৭ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ মাসে এটি ৫৮ শতাংশ কমে গেছে। মে মাসে ২২৯ কোটি ডলার থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭। গত মে মাসে এই খাতে রপ্তানি ছিল ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। কিন্তু পাঁচ মাসে কমে সেপ্টেম্বর মাসে তা হয়েছে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
শ্রম-নির্ভর বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, রাসায়নিক, কৃষিজাত খাদ্যপণ্য ও যন্ত্রপাতি—এই খাতগুলো সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ। এখানে ৩৩ শতাংশ সংকোচন দেখা গেছে— গত মে মাসের ৪৮০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ৩২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
রত্ন ও গয়না ভারতের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রে এগুলোর রপ্তানি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যাওয়ায় (৫০ কোটি ২ লাখ ডলার থেকে ২০ কোটি ২৮ লাখ ডলারে নেমে এসেছে) সুরাট এবং মুম্বাইয়ের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সোলার প্যানেল রপ্তানি কমেছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। এই খাতে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকার পরও রপ্তানিতে ভারতের অবস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ধাতু ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি ৩৭ শতাংশ, তামা ২৫ শতাংশ এবং যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। তবে জিটিআরআই মনে করে, এই পতন মার্কিন শিল্প চাহিদার সামগ্রিক মন্দার ফল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, রপ্তানি হারানো ভারতের এই খাতগুলো এখন থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছে।
ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা ইতিমধ্যে সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—অর্থায়নের খরচ কমাতে সুদের সমতা বৃদ্ধি, নগদ প্রবাহের চাপ কমাতে শুল্ক প্রত্যর্পণ (শুল্ক-করের অর্থ ফেরত দেওয়া) দ্রুত করা এবং এমএসএমই (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) রপ্তানিকারকদের জন্য জরুরি ঋণ সুবিধা চালু করা।
জিটিআরআই সতর্ক করে বলেছে, দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা খাতগুলোতেও ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং চীনের কাছে দীর্ঘমেয়াদি বাজার হারাতে পারে। জিটিআরআইয়ের চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই শুল্কগুলো কেবল মুনাফার মার্জিনকেই সংকুচিত করেনি, বরং ভারতের রপ্তানি কাঠামোর মধ্যেকার গভীর দুর্বলতাগুলোও উন্মোচিত করেছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া বিল নিয়ে মতবিরোধ চলছে। ২০১৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যে বিদ্যুৎ-সরবরাহ চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির শর্ত নিয়েই এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
আদানির এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু ব্যয়ের হিসাব ও বিল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই দুই পক্ষই বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চালু করতে রাজি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া দ্রুত, মসৃণ ও উভয়ের জন্য লাভজনক সমাধান এনে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনা এখনো চলছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষ হলে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাব।’
আদানি পাওয়ার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক–দশমাংশ পূরণ হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরে অভিযোগ করেছিল, আদানি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। কারণ, গড্ডা কেন্দ্র ভারতের কাছ থেকে যে কর-ছাড় সুবিধা পেয়েছিল, তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ আদানিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৪.৮৭ টাকা (০.১২২০ ডলার) হারে মূল্য দিয়েছে। অন্য ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ আসে, তার গড় মূল্য ইউনিটপ্রতি ছিল ৯.৫৭ টাকা।
গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।
সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া বিল নিয়ে মতবিরোধ চলছে। ২০১৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যে বিদ্যুৎ-সরবরাহ চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির শর্ত নিয়েই এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
আদানির এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু ব্যয়ের হিসাব ও বিল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই দুই পক্ষই বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চালু করতে রাজি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া দ্রুত, মসৃণ ও উভয়ের জন্য লাভজনক সমাধান এনে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনা এখনো চলছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষ হলে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাব।’
আদানি পাওয়ার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক–দশমাংশ পূরণ হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরে অভিযোগ করেছিল, আদানি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। কারণ, গড্ডা কেন্দ্র ভারতের কাছ থেকে যে কর-ছাড় সুবিধা পেয়েছিল, তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ আদানিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৪.৮৭ টাকা (০.১২২০ ডলার) হারে মূল্য দিয়েছে। অন্য ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ আসে, তার গড় মূল্য ইউনিটপ্রতি ছিল ৯.৫৭ টাকা।
গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।
সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এটি ব্যাংক লুটের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা অন্য কোথাও ঘটেনি এবং এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে; গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাংকগুলোর তৎকালীন প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটি সম্ভব হতো না।
২৮ অক্টোবর ২০২৪
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে