বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের নানামুখী উদ্যোগে অবশেষে মন গলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক পূর্বঘোষিত ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে এমন ঘোষণা এসেছে।
পাল্টা শুল্ক পুনর্বিবেচনার এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নয়, বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিতে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ, একই আদেশে ট্রাম্প ৬৯টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন। বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন শুল্কহার ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাল্টা শুল্কে এই ছাড় বাংলাদেশের জন্য আপাতত স্বস্তির হলেও এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ওপর। এখন প্রশ্ন একটাই—প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবসম্মত, আর সেগুলো রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিই-বা কতটা সুসংহত?
পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় অখুশি না হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে পাল্টা শুল্কের নতুন হার ঘোষণার পর বাণিজ্য উপদেষ্টা তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা যে অবস্থানে পৌঁছেছি, সেটি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী রেখেছে। এটি আমাদের সমন্বিত কূটনৈতিক অর্জন। তবে আমরা চেয়েছিলাম, শুল্কহারটা আরও নিচে থাকুক।’
একই সঙ্গে সতর্কও করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়। ভবিষ্যতের বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। একদিকে যেমন পোশাক খাত, অন্যদিকে আমাদের কৃষিনির্ভরতা—দুদিকেই ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দেনদরবার করে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার কাজটা সহজসাধ্য ছিল না। এটুকু অর্জনের জন্য তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে দেওয়া এসব প্রতিশ্রুতির অনেকগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গড় বাণিজ্য ৮ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি করে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি ৩ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, সেই পথনকশাও জানিয়েছে দেশটিকে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম ও তুলা আমদানির আগাম চুক্তি হয়েছে। দেওয়া হয়েছে দেশটির বোয়িং কোম্পানি থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হয়, বাংলাদেশ আরও বেশ কিছু বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য শর্তে রাজি হয়েই তবে পাল্টা শুল্কে এই ছাড় আদায় করেছে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে গোপনীয়তার চুক্তির (এনডিএ) কারণে সব শর্ত প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনিবার্যভাবেই থেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ আপাতত বাংলাদেশের জন্য সন্তোষজনক। তবে শুল্কছাড়ের পেছনে কী কী শর্ত বা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি—সেই বিবেচনা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বোয়িং বিমান কেনা বা অন্য কোনো বিষয়ে সম্ভাব্য সমঝোতা থাকলেও তা কতটা বাংলাদেশের পক্ষে সহনীয়, তা বিশ্লেষণ জরুরি। তিনি আরও বলেন, এটি শুধু শুল্ক নয়, বরং অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও কৌশলগত সিদ্ধান্তের বিষয়; যা পুরোপুরি খোলাসা করা উচিত।
অবশ্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এ প্রসঙ্গে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা সতর্কতার সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে প্রতিশ্রুতিগুলো আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। পোশাকশিল্প রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, তবে পাশাপাশি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে; বিশেষত মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানি নিয়ে। গম, তুলা এমনকি বিমান আমদানির বিষয়েও আমরা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছি। এটি শুধু আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক।’
পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেয়েছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। কারণ, পাল্টা শুল্কের এই হার পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান বা কিছুটা কম।
এ বিষয়ে পোশাকশিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ শতাংশ শুল্কহার শুনে অনেকে স্বস্তি পাচ্ছেন। কারণ, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা—সবাই প্রায় এই হারেই রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের জন্য এটি একটা বাড়তি খরচ। ফলে আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা চাপ তৈরি হবে; বিশেষ করে দামের ক্ষেত্রে।’
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আরও খোলামেলা বলেন, ‘২০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল মার্কেটে ভোক্তার চাহিদা প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে যেতে পারে; বিশেষত কম দামি পোশাকের ক্ষেত্রে। ফলে আগামী এক-দেড় বছর কিছুটা অর্ডার কমতে পারে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা আশাবাদী।’
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন ডলারের। এই বিশাল ঘাটতির জবাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় নামে হ্যানয়। আলোচনার টেবিলে ভিয়েতনাম প্রস্তাব দেয়, তারা নিয়মিত বাণিজ্যের বাইরে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে; অর্থাৎ মোট ঘাটতির মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার কমাবে। এতেই যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আগের ৪৫ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে নতুন হার নির্ধারণ করে মাত্র ২০ শতাংশ।
গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের অনেক দেশকে দায়ী করেন। এরপরই ঘোষিত হয় পাল্টা শুল্ক, যার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসে। ৯ এপ্রিল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে সেই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে ওয়াশিংটন। পরে ৮ জুলাই ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তবে এই পাল্টা শুল্ক এড়ানোর উপায়ও বলে দেন তিনি। সেই অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের চূড়ান্ত সময়সীমার আগে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বাংলাদেশের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। তবে এটি গড় ১৫ শতাংশ বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে মিলিয়ে কার্যকরভাবে দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশে।
অনেকে এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি বিশ্ববাজারের বৃহত্তর পুনর্বিন্যাসের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক পড়েছে সিরিয়ার ওপর, ৪০ শতাংশ মিয়ানমার ও লাওসের ওপর, ৩০ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর এবং ২৫ শতাংশ ভারতের ওপর। বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে সহনীয়।
এই বাস্তবতায় শুল্ক হ্রাসকে স্বল্পমেয়াদি স্বস্তি হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। তাঁর মতে, ‘যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর কী শুল্ক নির্ধারণ করে, সেটাই এখন বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। চীনের ওপর শুল্ক বাড়লে দক্ষিণ এশিয়া ও সাউথইস্ট এশিয়ান দেশের জন্য সুযোগ তৈরি হবে, না হলে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে।’
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এই শুল্ককাঠামো প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যকে নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে দেখছে। এখানে শুধু ঘাটতি নয়, কে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে, কে প্রতিশ্রুতি দেয়; সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। শুল্ক আলোচনার মতো জটিল বিষয়ে তিনি সমালোচকদের হতাশ করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম শুল্ক পাওয়াকে ‘অসামান্য অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এই কৃতিত্বের জন্য খলিলুর রহমান, শেখ বশিরউদ্দীনসহ পুরো আলোচক দলের প্রশংসা করেন এবং ব্যবসায়ীদের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর আহ্বান জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের নানামুখী উদ্যোগে অবশেষে মন গলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক পূর্বঘোষিত ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে এমন ঘোষণা এসেছে।
পাল্টা শুল্ক পুনর্বিবেচনার এই সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নয়, বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিতে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ, একই আদেশে ট্রাম্প ৬৯টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন। বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন শুল্কহার ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাল্টা শুল্কে এই ছাড় বাংলাদেশের জন্য আপাতত স্বস্তির হলেও এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের ওপর। এখন প্রশ্ন একটাই—প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা বাস্তবসম্মত, আর সেগুলো রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিই-বা কতটা সুসংহত?
পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় অখুশি না হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে পাল্টা শুল্কের নতুন হার ঘোষণার পর বাণিজ্য উপদেষ্টা তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা যে অবস্থানে পৌঁছেছি, সেটি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী রেখেছে। এটি আমাদের সমন্বিত কূটনৈতিক অর্জন। তবে আমরা চেয়েছিলাম, শুল্কহারটা আরও নিচে থাকুক।’
একই সঙ্গে সতর্কও করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়। ভবিষ্যতের বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। একদিকে যেমন পোশাক খাত, অন্যদিকে আমাদের কৃষিনির্ভরতা—দুদিকেই ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দেনদরবার করে পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার কাজটা সহজসাধ্য ছিল না। এটুকু অর্জনের জন্য তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে দেওয়া এসব প্রতিশ্রুতির অনেকগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গড় বাণিজ্য ৮ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি করে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতি ৩ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, সেই পথনকশাও জানিয়েছে দেশটিকে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম ও তুলা আমদানির আগাম চুক্তি হয়েছে। দেওয়া হয়েছে দেশটির বোয়িং কোম্পানি থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হয়, বাংলাদেশ আরও বেশ কিছু বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য শর্তে রাজি হয়েই তবে পাল্টা শুল্কে এই ছাড় আদায় করেছে। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে গোপনীয়তার চুক্তির (এনডিএ) কারণে সব শর্ত প্রকাশ করা হয়নি। ফলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন অনিবার্যভাবেই থেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ আপাতত বাংলাদেশের জন্য সন্তোষজনক। তবে শুল্কছাড়ের পেছনে কী কী শর্ত বা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি—সেই বিবেচনা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বোয়িং বিমান কেনা বা অন্য কোনো বিষয়ে সম্ভাব্য সমঝোতা থাকলেও তা কতটা বাংলাদেশের পক্ষে সহনীয়, তা বিশ্লেষণ জরুরি। তিনি আরও বলেন, এটি শুধু শুল্ক নয়, বরং অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও কৌশলগত সিদ্ধান্তের বিষয়; যা পুরোপুরি খোলাসা করা উচিত।
অবশ্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এ প্রসঙ্গে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা সতর্কতার সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে প্রতিশ্রুতিগুলো আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। পোশাকশিল্প রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, তবে পাশাপাশি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে; বিশেষত মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানি নিয়ে। গম, তুলা এমনকি বিমান আমদানির বিষয়েও আমরা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছি। এটি শুধু আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপ্রধান রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক।’
পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেয়েছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা। কারণ, পাল্টা শুল্কের এই হার পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান বা কিছুটা কম।
এ বিষয়ে পোশাকশিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ শতাংশ শুল্কহার শুনে অনেকে স্বস্তি পাচ্ছেন। কারণ, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা—সবাই প্রায় এই হারেই রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বায়ারদের জন্য এটি একটা বাড়তি খরচ। ফলে আমাদের রপ্তানিতে কিছুটা চাপ তৈরি হবে; বিশেষ করে দামের ক্ষেত্রে।’
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ আরও খোলামেলা বলেন, ‘২০ শতাংশ বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল মার্কেটে ভোক্তার চাহিদা প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে যেতে পারে; বিশেষত কম দামি পোশাকের ক্ষেত্রে। ফলে আগামী এক-দেড় বছর কিছুটা অর্ডার কমতে পারে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আমরা আশাবাদী।’
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনাম। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১২৩ বিলিয়ন ডলারের। এই বিশাল ঘাটতির জবাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় নামে হ্যানয়। আলোচনার টেবিলে ভিয়েতনাম প্রস্তাব দেয়, তারা নিয়মিত বাণিজ্যের বাইরে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে; অর্থাৎ মোট ঘাটতির মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার কমাবে। এতেই যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আগের ৪৫ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে নতুন হার নির্ধারণ করে মাত্র ২০ শতাংশ।
গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের অনেক দেশকে দায়ী করেন। এরপরই ঘোষিত হয় পাল্টা শুল্ক, যার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসে। ৯ এপ্রিল আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে সেই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে ওয়াশিংটন। পরে ৮ জুলাই ট্রাম্প অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তবে এই পাল্টা শুল্ক এড়ানোর উপায়ও বলে দেন তিনি। সেই অনুযায়ী, ৩১ জুলাইয়ের চূড়ান্ত সময়সীমার আগে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বাংলাদেশের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে। তবে এটি গড় ১৫ শতাংশ বিদ্যমান শুল্কের সঙ্গে মিলিয়ে কার্যকরভাবে দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশে।
অনেকে এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি বিশ্ববাজারের বৃহত্তর পুনর্বিন্যাসের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক পড়েছে সিরিয়ার ওপর, ৪০ শতাংশ মিয়ানমার ও লাওসের ওপর, ৩০ শতাংশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর এবং ২৫ শতাংশ ভারতের ওপর। বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে সহনীয়।
এই বাস্তবতায় শুল্ক হ্রাসকে স্বল্পমেয়াদি স্বস্তি হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান। তাঁর মতে, ‘যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর কী শুল্ক নির্ধারণ করে, সেটাই এখন বৈশ্বিক বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। চীনের ওপর শুল্ক বাড়লে দক্ষিণ এশিয়া ও সাউথইস্ট এশিয়ান দেশের জন্য সুযোগ তৈরি হবে, না হলে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে।’
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এই শুল্ককাঠামো প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যকে নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে দেখছে। এখানে শুধু ঘাটতি নয়, কে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে, কে প্রতিশ্রুতি দেয়; সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। শুল্ক আলোচনার মতো জটিল বিষয়ে তিনি সমালোচকদের হতাশ করেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ নেগোসিয়েশনে বাংলাদেশের ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম শুল্ক পাওয়াকে ‘অসামান্য অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এই কৃতিত্বের জন্য খলিলুর রহমান, শেখ বশিরউদ্দীনসহ পুরো আলোচক দলের প্রশংসা করেন এবং ব্যবসায়ীদের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর আহ্বান জানান।

চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি খাতে দীর্ঘস্থায়ী পতন দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২ নভেম্বর) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। গত এপ্রিল মাসে প্রথমে ভারতের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আগস্টের শুরুতে ২৫ শতাংশ এবং ওই মাসের শেষে রাশিয়ার তেল কেনার ‘শাস্তি’সহ শুল্ক বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক এবং মারাত্মক। এর প্রভাবে মাত্র পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৮৮০ কোটি ডলার থেকে কমে ৫৫০ কোটি ডলারে নেমে আসে।
এই পতনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে শুল্কমুক্ত পণ্যের ওপর, যা একসময় ভারতীয় পণ্য রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। শুল্কমুক্ত এসব পণ্যের চালান প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্কমুক্ত রপ্তানি মে মাসের ৩৪০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ১৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্মার্টফোন এবং ওষুধ খাত। ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি গত বছরের (২০২৪) এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ১৯৭ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ মাসে এটি ৫৮ শতাংশ কমে গেছে। মে মাসে ২২৯ কোটি ডলার থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭। গত মে মাসে এই খাতে রপ্তানি ছিল ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। কিন্তু পাঁচ মাসে কমে সেপ্টেম্বর মাসে তা হয়েছে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
শ্রম-নির্ভর বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, রাসায়নিক, কৃষিজাত খাদ্যপণ্য ও যন্ত্রপাতি—এই খাতগুলো সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ। এখানে ৩৩ শতাংশ সংকোচন দেখা গেছে— গত মে মাসের ৪৮০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ৩২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
রত্ন ও গয়না ভারতের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রে এগুলোর রপ্তানি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যাওয়ায় (৫০ কোটি ২ লাখ ডলার থেকে ২০ কোটি ২৮ লাখ ডলারে নেমে এসেছে) সুরাট এবং মুম্বাইয়ের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সোলার প্যানেল রপ্তানি কমেছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। এই খাতে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকার পরও রপ্তানিতে ভারতের অবস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ধাতু ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি ৩৭ শতাংশ, তামা ২৫ শতাংশ এবং যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। তবে জিটিআরআই মনে করে, এই পতন মার্কিন শিল্প চাহিদার সামগ্রিক মন্দার ফল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, রপ্তানি হারানো ভারতের এই খাতগুলো এখন থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছে।
ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা ইতিমধ্যে সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—অর্থায়নের খরচ কমাতে সুদের সমতা বৃদ্ধি, নগদ প্রবাহের চাপ কমাতে শুল্ক প্রত্যর্পণ (শুল্ক-করের অর্থ ফেরত দেওয়া) দ্রুত করা এবং এমএসএমই (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) রপ্তানিকারকদের জন্য জরুরি ঋণ সুবিধা চালু করা।
জিটিআরআই সতর্ক করে বলেছে, দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা খাতগুলোতেও ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং চীনের কাছে দীর্ঘমেয়াদি বাজার হারাতে পারে। জিটিআরআইয়ের চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই শুল্কগুলো কেবল মুনাফার মার্জিনকেই সংকুচিত করেনি, বরং ভারতের রপ্তানি কাঠামোর মধ্যেকার গভীর দুর্বলতাগুলোও উন্মোচিত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় ভারতের রপ্তানি খাতে দীর্ঘস্থায়ী পতন দেখা দিয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২ নভেম্বর) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। গত এপ্রিল মাসে প্রথমে ভারতের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আগস্টের শুরুতে ২৫ শতাংশ এবং ওই মাসের শেষে রাশিয়ার তেল কেনার ‘শাস্তি’সহ শুল্ক বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এর প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক এবং মারাত্মক। এর প্রভাবে মাত্র পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৮৮০ কোটি ডলার থেকে কমে ৫৫০ কোটি ডলারে নেমে আসে।
এই পতনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে শুল্কমুক্ত পণ্যের ওপর, যা একসময় ভারতীয় পণ্য রপ্তানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। শুল্কমুক্ত এসব পণ্যের চালান প্রায় ৪৭ শতাংশ কমেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শুল্কমুক্ত রপ্তানি মে মাসের ৩৪০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ১৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্মার্টফোন এবং ওষুধ খাত। ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি গত বছরের (২০২৪) এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২০২৫ সালের শুরুর দিকে ১৯৭ শতাংশ বেড়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ মাসে এটি ৫৮ শতাংশ কমে গেছে। মে মাসে ২২৯ কোটি ডলার থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭। গত মে মাসে এই খাতে রপ্তানি ছিল ৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। কিন্তু পাঁচ মাসে কমে সেপ্টেম্বর মাসে তা হয়েছে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
শ্রম-নির্ভর বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, রাসায়নিক, কৃষিজাত খাদ্যপণ্য ও যন্ত্রপাতি—এই খাতগুলো সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ। এখানে ৩৩ শতাংশ সংকোচন দেখা গেছে— গত মে মাসের ৪৮০ কোটি ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে ৩২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
রত্ন ও গয়না ভারতের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রে এগুলোর রপ্তানি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যাওয়ায় (৫০ কোটি ২ লাখ ডলার থেকে ২০ কোটি ২৮ লাখ ডলারে নেমে এসেছে) সুরাট এবং মুম্বাইয়ের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সোলার প্যানেল রপ্তানি কমেছে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। এই খাতে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের পণ্যে ২০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক বহাল থাকার পরও রপ্তানিতে ভারতের অবস্থান অনেক নিচে নেমে গেছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ধাতু ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি ৩৭ শতাংশ, তামা ২৫ শতাংশ এবং যন্ত্রাংশ রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ। তবে জিটিআরআই মনে করে, এই পতন মার্কিন শিল্প চাহিদার সামগ্রিক মন্দার ফল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, রপ্তানি হারানো ভারতের এই খাতগুলো এখন থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছে।
ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা ইতিমধ্যে সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—অর্থায়নের খরচ কমাতে সুদের সমতা বৃদ্ধি, নগদ প্রবাহের চাপ কমাতে শুল্ক প্রত্যর্পণ (শুল্ক-করের অর্থ ফেরত দেওয়া) দ্রুত করা এবং এমএসএমই (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) রপ্তানিকারকদের জন্য জরুরি ঋণ সুবিধা চালু করা।
জিটিআরআই সতর্ক করে বলেছে, দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ না নিলে, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা খাতগুলোতেও ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং চীনের কাছে দীর্ঘমেয়াদি বাজার হারাতে পারে। জিটিআরআইয়ের চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই শুল্কগুলো কেবল মুনাফার মার্জিনকেই সংকুচিত করেনি, বরং ভারতের রপ্তানি কাঠামোর মধ্যেকার গভীর দুর্বলতাগুলোও উন্মোচিত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
০২ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া বিল নিয়ে মতবিরোধ চলছে। ২০১৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যে বিদ্যুৎ-সরবরাহ চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির শর্ত নিয়েই এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
আদানির এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু ব্যয়ের হিসাব ও বিল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই দুই পক্ষই বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চালু করতে রাজি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া দ্রুত, মসৃণ ও উভয়ের জন্য লাভজনক সমাধান এনে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনা এখনো চলছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষ হলে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাব।’
আদানি পাওয়ার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক–দশমাংশ পূরণ হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরে অভিযোগ করেছিল, আদানি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। কারণ, গড্ডা কেন্দ্র ভারতের কাছ থেকে যে কর-ছাড় সুবিধা পেয়েছিল, তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ আদানিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৪.৮৭ টাকা (০.১২২০ ডলার) হারে মূল্য দিয়েছে। অন্য ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ আসে, তার গড় মূল্য ইউনিটপ্রতি ছিল ৯.৫৭ টাকা।
গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।
সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ভারতের শিল্পপতি গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া বিল নিয়ে মতবিরোধ চলছে। ২০১৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যে বিদ্যুৎ-সরবরাহ চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তির শর্ত নিয়েই এই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
আদানির এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু ব্যয়ের হিসাব ও বিল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। তাই দুই পক্ষই বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চালু করতে রাজি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রক্রিয়া দ্রুত, মসৃণ ও উভয়ের জন্য লাভজনক সমাধান এনে দেবে।’
তবে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেছেন, আলোচনা এখনো চলছে। তিনি বলেন, ‘আলোচনা শেষ হলে প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাব।’
আদানি পাওয়ার ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক–দশমাংশ পূরণ হয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরে অভিযোগ করেছিল, আদানি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। কারণ, গড্ডা কেন্দ্র ভারতের কাছ থেকে যে কর-ছাড় সুবিধা পেয়েছিল, তা বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ আদানিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৪.৮৭ টাকা (০.১২২০ ডলার) হারে মূল্য দিয়েছে। অন্য ভারতীয় কোম্পানির কাছ থেকে যে বিদ্যুৎ আসে, তার গড় মূল্য ইউনিটপ্রতি ছিল ৯.৫৭ টাকা।
গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।
সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’
আরও খবর পড়ুন:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
০২ আগস্ট ২০২৫
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে মাছ চাষ খাত নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, বাড়বে উৎপাদন, বিনিয়োগ আর রপ্তানির সুযোগ।
দেশের মিঠাপানির খামারগুলোয় প্রতিবছর অজানা ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বিপুল পরিমাণ মাছ মারা যায়। এই ক্ষতি থেকে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় শতকোটি টাকায়। এতে অনেক উদ্যোক্তা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেই হতাশার পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হচ্ছে ‘মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন’ প্রকল্প; যা দেশের মাছ চাষে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশীয় প্রজাতির টেকসই উৎপাদন ধরে রাখতে এই প্রকল্প অপরিহার্য। এটি সফল হলে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, বরং মাছ চাষে আত্মনির্ভরতা আরও সুদৃঢ় হবে।
সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট মাছ উৎপাদনের ৫৭ শতাংশ আসে মিঠাপানির খামার থেকে। চার লাখ হেক্টরের বেশি পুকুরে এই চাষ পরিচালিত হলেও সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা ও রোগনিয়ন্ত্রণের ঘাটতিতে খামারগুলো ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর ও রাজশাহীর মতো মাছ চাষের প্রধান এলাকাগুলোয় ভাইরাস সংক্রমণে কয়েক দিনের মধ্যেই ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবেই।
এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকারের এই টিকা উদ্ভাবনের উদ্যোগ। প্রথম ধাপে ৯টি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি—কই, পাঙাশ, তেলাপিয়া, কার্প, শিং, মাগুর, পাবদা, ট্যাংরা ও গুলশায় এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাছের রোগ নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে খাওয়ার এই টিকা সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই মাছ চাষে নেতৃত্ব নিতে পারে। এতে একদিকে খামারিদের আর্থিক ঝুঁকি কমবে, অন্যদিকে মাছ চাষ খাত পাবে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতি ও বিনিয়োগের নতুন গতি। মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিরাজুম মুনির বলেন, চাষিরা বিক্রির ঠিক আগমুহূর্তে অনেক সময় ৭০-৮০ শতাংশ মাছ হারান। কার্যকর টিকা প্রয়োগ করা গেলে এই মৃত্যুহার নাটকীয়ভাবে কমবে।
প্রকল্পের আওতায় আধুনিক বায়োমলিকুলার প্রযুক্তিতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস শনাক্ত করা, জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক টিকা তৈরি করা হবে। মুখে খাওয়ার টিকা উদ্ভাবনকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার; কারণ, এটি প্রয়োগে সহজ, খরচে সাশ্রয়ী এবং মাছের ওপর কোনো শারীরিক চাপ ফেলে না।
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও একাডেমিক খাতেও চলছে গবেষণা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ইতিমধ্যে উদ্ভাবন করেছে ‘বায়োফ্লিম’ নামে একটি টিকা, যা এরোমোনাস হাইড্রোফিলা ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত, আলসার ও পাখনা পচা রোগ প্রতিরোধে ৮৪ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ওই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বায়োফ্লিম শুধু পাঙাশ নয়; রুই, কাতলা, কই, শিংসহ অন্যান্য প্রজাতিতেও কার্যকর। এটি বাণিজ্যিক পর্যায়ে গেলে দেশীয় ফিশ হেলথ ইন্ডাস্ট্রির নতুন বাজার তৈরি হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি ও পানিসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, টিকা উদ্ভাবন সফল হলে এই খাত বিদেশি বিনিয়োগের নতুন দ্বার খুলে দেবে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। বাজেট কাঠামো অনুসারে প্রতি অর্থবছরে ৭ থেকে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা, এই প্রকল্প শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
০২ আগস্ট ২০২৫
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
১৭ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল উৎপাদন কেন্দ্র ঝিনাইদহে শীত মৌসুমের ফুলের বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত শনিবার জেলার সদর উপজেলার গান্না বাজারে সকাল ৬টায় ফুলচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাজারে আনেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি চলে, এরপর পাইকারেরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পৌঁছে দেন।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, শীতকালে ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক ভালো থাকে। বাজারের প্রথম দুই দিনে ৯ লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষিরা আশা করছেন, ভরা মৌসুমে দিনে এই বিক্রি কোটি টাকায় পৌঁছাবে।
দেশের মোট ফুলের বড় একটি অংশ ঝিনাইদহের ফুলচাষিরা জোগান দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন দিবস ও বিয়ে অনুষ্ঠান উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের এ বড় পাইকারি ফুল বাজারে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল উৎপাদিত হয় এ জেলাতেই। এখানকার হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলের মান, আকার ও রং উন্নত হওয়ায় দেশের বড় বড় পাইকারদের নজর এ জেলার ফুলের দিকে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরে জেলায় ২৯৪ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের আবাদ হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, হলুদ ও কমলা রঙের গাঁদা ফুলে বাজার ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের দর-কষাকষি। ভ্যান, সাইকেল এমনকি মোটরসাইকেলে করে ফুল নিয়ে আসছেন কৃষকেরা। বাজারের প্রথম দিনে রকমভেদে একগুচ্ছ গাঁদা ফুল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিন রোববারে বাজারে কমেছে ফুলের দাম। বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা করে। এ ছাড়া খেতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চায়না গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রঙের ফুল। এসব ফুলের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।
গান্না ফুল বাজারের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরই কমবেশি ফুল বিক্রি হয়ে থাকে এ বাজারে। তবে শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেশি। প্রথম দিনে একগুচ্ছ গাঁদা ফুলের ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে দাম কমে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, জারবেরা ৬-৮ টাকা, গোলাপ ৩-৫ টাকা করে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ ফুল চাষে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। তবে কোল্ডস্টোরেজের অভাবে কৃষক ফুল সংরক্ষণ করতে পারছেন না, যা মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
০২ আগস্ট ২০২৫
চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের রপ্তানি খাতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ স্বল্প-মেয়াদি পতনের ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মেটাতে আন্তর্জাতিক সালিসি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিষয়টি জানিয়েছেন। আদানি পাওয়ারও এক বিবৃতিতে একই ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে প্রতিবছর মাছ চাষ খাত হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই ক্ষতি ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে ৪৩ কোটি টাকার টিকা প্রকল্প। দেশীয় প্রজাতির মাছকে রোগমুক্ত রাখতে প্রথমবারের মতো তৈরি হবে মিঠাপানির মাছের টিকা, যা মৃত্যুহার কমাবে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের সফল প্রয়োগ হলে
১৭ ঘণ্টা আগে