নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা যে প্রতিষ্ঠানের অভিযানের খবর পেলেই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান, সেই জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফুলের মালা দিয়ে সম্মানিত করেছে খিলগাঁও এলাকার মাংস ব্যবসায়ী খলিল আহমেদকে। কারণ, খলিল ও মিরপুরের উজ্জ্বল কম মুনাফায় মাংস বিক্রি করে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তবে এতে চরম ক্ষুব্ধ রাজধানীর অন্য মাংস ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার যে অনুষ্ঠানে খলিলকে সম্মানিত করা হয়েছে, সেখানেই ওই ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হইচই করেন। অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সেমিনারকক্ষে গতকাল মাংস ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে মানুষের উপার্জনে ভাটা পড়েছে। আবার পণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। এতে দিশেহারা দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েও পণ্যের দামে লাগাম টানতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতেও ব্যতিক্রম ঘটে রাজধানীর গরুর মাংসের বাজারে। ৮০০ টাকা কেজি দরের গরুর মাংস এখন পাওয়া যাচ্ছে ৫৯৫-৬০০ টাকায়। কম দামে মাংস বিক্রি করায় গতকাল সেমিনারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্য ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশি গরুর উৎপাদন বাড়া, গত ঈদুল আজহায় বিপুলসংখ্যক গরু অবিক্রীত থাকা, ভারতীয় গরু আমদানি এবং সাধারণ মানুষ গরুর মাংস কেনা কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। দাম অস্বাভাবিক কমে গেলে ক্ষুদ্র ও বড় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখছে সরকার। সে লক্ষ্যে গতকাল মাংস ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন,‘খলিল এত দিন মাংস বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছে। দেখি সে কত দিন কম দামে মাংস দিতে পারে!’ তবে তিনি এও বলেন, খলিলকে প্রতিপক্ষ ভাবার সুযোগ নেই।
খলিল আহমেদ বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি অনেক কমে গিয়েছিল। দিনে ২-৩টি গরু জবাই করতেন। দাম কমিয়ে বিক্রি করায় এখন দিনে ৩০-৩২টি গরু জবাই করছেন। প্রতি কেজি মাংস তিনি ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন। বেশি পরিমাণে বিক্রি করায় তাঁর আগের মতোই লাভ হচ্ছে। তিনি জানান, অন্য ব্যবসায়ীরা তাঁকে ফোন করে কম দামে মাংস বিক্রি করতে নিষেধও করেছেন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, খলিলের দোকানের মাংস মানসম্মত ও অন্যান্য দোকানের চেয়ে দামে অনেক কম। কম দামে বিক্রির বিষয়টি আদৌ সত্যি কি না তা যাচাই করতে একজন সহকর্মীকে দিয়ে তিনি মাংস কেনান। একই সঙ্গে তিনি সুপারশপগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায়, গুলশান এলাকায় ৭৩০ টাকায় এবং মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট, ডেমরাসহ বিভিন্ন বাজারে ৬৩০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখেন।
অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, তিনি যত দিন গরুর মাংস কিনেছেন। তত দিনই ঠকেছেন। একটি সুপারশপ থেকে মুরগির মাংস কিনে সেটি পচা পেয়েছেন।
ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, দেশে গরুর মাংসের গ্রেডিং করা জরুরি। গ্রেডিং করা হলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য অনেক মানুষের নেই। বাজারের তালিকা থেকে মানুষ মাংসের দাম বাদ দিচ্ছেন। মাংস মানুষের কাছে সুলভ করতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘খলিল সাহেব ভাইরাল হওয়ার জন্য কম দামে মাংস বিক্রি করছেন।’ খলিলের দোকানের মাংসের মান নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। ওই সময় অন্য মাংস ব্যবসায়ীরা হইচই শুরু করেন। তাঁদের একজন বলেন, ‘এখন আমরা সবাই খলিলের কাছ থেকে মাংস কিনুম।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী বুধবার বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন মাংসের দাম নির্ধারণে সভা করবে। পরে তা অধিদপ্তরকে জানাবে। তিনি মাংস বিক্রি করলে পাকা রসিদ রাখার নির্দেশ দেন।
মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা যে প্রতিষ্ঠানের অভিযানের খবর পেলেই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান, সেই জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফুলের মালা দিয়ে সম্মানিত করেছে খিলগাঁও এলাকার মাংস ব্যবসায়ী খলিল আহমেদকে। কারণ, খলিল ও মিরপুরের উজ্জ্বল কম মুনাফায় মাংস বিক্রি করে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তবে এতে চরম ক্ষুব্ধ রাজধানীর অন্য মাংস ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার যে অনুষ্ঠানে খলিলকে সম্মানিত করা হয়েছে, সেখানেই ওই ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হইচই করেন। অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সেমিনারকক্ষে গতকাল মাংস ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে মানুষের উপার্জনে ভাটা পড়েছে। আবার পণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। এতে দিশেহারা দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েও পণ্যের দামে লাগাম টানতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতেও ব্যতিক্রম ঘটে রাজধানীর গরুর মাংসের বাজারে। ৮০০ টাকা কেজি দরের গরুর মাংস এখন পাওয়া যাচ্ছে ৫৯৫-৬০০ টাকায়। কম দামে মাংস বিক্রি করায় গতকাল সেমিনারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্য ব্যবসায়ীরা।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশি গরুর উৎপাদন বাড়া, গত ঈদুল আজহায় বিপুলসংখ্যক গরু অবিক্রীত থাকা, ভারতীয় গরু আমদানি এবং সাধারণ মানুষ গরুর মাংস কেনা কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। দাম অস্বাভাবিক কমে গেলে ক্ষুদ্র ও বড় খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখছে সরকার। সে লক্ষ্যে গতকাল মাংস ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন,‘খলিল এত দিন মাংস বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লাভ করেছে। দেখি সে কত দিন কম দামে মাংস দিতে পারে!’ তবে তিনি এও বলেন, খলিলকে প্রতিপক্ষ ভাবার সুযোগ নেই।
খলিল আহমেদ বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি অনেক কমে গিয়েছিল। দিনে ২-৩টি গরু জবাই করতেন। দাম কমিয়ে বিক্রি করায় এখন দিনে ৩০-৩২টি গরু জবাই করছেন। প্রতি কেজি মাংস তিনি ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছেন। বেশি পরিমাণে বিক্রি করায় তাঁর আগের মতোই লাভ হচ্ছে। তিনি জানান, অন্য ব্যবসায়ীরা তাঁকে ফোন করে কম দামে মাংস বিক্রি করতে নিষেধও করেছেন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, খলিলের দোকানের মাংস মানসম্মত ও অন্যান্য দোকানের চেয়ে দামে অনেক কম। কম দামে বিক্রির বিষয়টি আদৌ সত্যি কি না তা যাচাই করতে একজন সহকর্মীকে দিয়ে তিনি মাংস কেনান। একই সঙ্গে তিনি সুপারশপগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায়, গুলশান এলাকায় ৭৩০ টাকায় এবং মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট, ডেমরাসহ বিভিন্ন বাজারে ৬৩০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখেন।
অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, তিনি যত দিন গরুর মাংস কিনেছেন। তত দিনই ঠকেছেন। একটি সুপারশপ থেকে মুরগির মাংস কিনে সেটি পচা পেয়েছেন।
ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, দেশে গরুর মাংসের গ্রেডিং করা জরুরি। গ্রেডিং করা হলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য অনেক মানুষের নেই। বাজারের তালিকা থেকে মানুষ মাংসের দাম বাদ দিচ্ছেন। মাংস মানুষের কাছে সুলভ করতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
একটি সুপারশপ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘খলিল সাহেব ভাইরাল হওয়ার জন্য কম দামে মাংস বিক্রি করছেন।’ খলিলের দোকানের মাংসের মান নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। ওই সময় অন্য মাংস ব্যবসায়ীরা হইচই শুরু করেন। তাঁদের একজন বলেন, ‘এখন আমরা সবাই খলিলের কাছ থেকে মাংস কিনুম।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী বুধবার বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন মাংসের দাম নির্ধারণে সভা করবে। পরে তা অধিদপ্তরকে জানাবে। তিনি মাংস বিক্রি করলে পাকা রসিদ রাখার নির্দেশ দেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজারকে টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সঠিক নিরপেক্ষ ও বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ অপরিহার্য। এর মাধ্যমে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হ
১ ঘণ্টা আগেআগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্ট করা ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু দেশ এখনো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে আর্থিক খাতের মোট লেনদেনের ২৭-২৮ শতাংশ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, বাকিটা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর পেছনে রয়েছে সহায়ক নীতিমালার ঘাটতি, গ্রাহকের আস্থার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, সমন্বয়ের অভাব আর সাইবার...
১৯ ঘণ্টা আগেবন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে