Ajker Patrika

হাসপাতালে রোগীর টাকা চুরি, কাঁদছেন অসহায় মা-মেয়ে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
টাকা হারিয়ে কাঁদছেন মা, পাশে বসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন মেয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টাকা হারিয়ে কাঁদছেন মা, পাশে বসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন মেয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জ্বর, দুর্বলতা ও বমি নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন রেজিয়া বেগম (৫০)। তিনি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার দিনমজুর আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন। এ জন্য বাড়ি থেকে সঙ্গে এনেছিলেন ৫ হাজার টাকা। তবে হাসপাতালের লিফটে ওঠার পরই তিনি বুঝতে পারেন, টাকাগুলো নেই।

হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সামনে কাঁদতে কাঁদতে রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমার দুবার স্ট্রোক করেছে। এই টাকাই ছিল ভরসা। সব চুরি হয়ে গেছে।’ তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার পাশে বসে মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনিও কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এখন মায়ের পরীক্ষা করব কীভাবে? আমাদের কাছে আর কোনো টাকা নেই।’

হাসপাতালের ভেতর রেজিয়ার আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এ সময় আশপাশের রোগী ও স্বজনেরা জানান, হাসপাতালে প্রায়ই এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এখনো চোরদের ধরা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে চোর-ছিনতাইকারীরা।

শহিদুল নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁরও মানিব্যাগ পকেট থেকে নিয়ে গেছে। আরেক স্বজন আলী আকবর জানান, তাঁর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছিল। টাকা হারিয়ে তিনি চিকিৎসা না করেই বাড়ি ফিরে যান।

হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘রোগীরা এখানে কষ্ট আর দুঃখ নিয়ে আসে। তাদের টাকা চুরি হয়ে যাওয়া সত্যিই অমানবিক।’ এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চুরি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত