Ajker Patrika

সালিসে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্রতিবেশীদের চাপ, গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
রাণীশংকৈল থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাণীশংকৈল থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় কার্তিক চন্দ্র (৫০) নামের এক গরু ব্যবসায়ীকে প্রতিবেশীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের নারায়ানপুর কুয়াভিটা গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, শ্যালো মেশিন চুরির ঘটনায় সালিসে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় কার্তিককে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত কার্তিক চন্দ্র উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের মৃত খনা রায়ের ছেলে।

পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, শ্যালো মেশিন চুরির ঘটনা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল চোর ও তাঁর লোকজন। এ বিষয়ে আজ সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কার্তিক তাতে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে গ্রামে সপ্তাহজুড়ে আলোচনা চলছিল। গতকাল রাতে তাঁকে ডেকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে চাপ দেওয়া হয়। কার্তিক রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত ব্যবসায়ীর মেয়ে ললিতা রায় বলেন, ‘বাবাকে মোবাইলে ডেকে নেয় শ্যালো মেশিন চুরির সঙ্গে জড়িত হুদা ও তার লোকজন। আজ মঙ্গলবার বসতে চাওয়া সালিস বৈঠকে জড়িতদের নাম গোপন করে বাবাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

আজ দুপুরে কার্তিক চন্দ্রের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মণ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে রাণীশংকৈল থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত অনন্ত কুমার রায়ের দুই ছেলে তপন চন্দ্র (৪৩), ডালিম চন্দ্র (৩৫), নবদেব কুমার বর্মণ (৪৮) এবং তাঁর ছেলে রতন চন্দ্র বর্মণ (২৩) ও হিরা। গতকাল রাতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাঁদের ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বরাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, গতকাল রাতে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ অন্য আসামিরা মিলে প্রতিবেশী কার্তিক চন্দ্র বর্মণকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় কার্তিক চন্দ্র বর্মণ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন মিলে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় কার্তিককে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত