Ajker Patrika

১১ বছরেও চালু করা যায়নি আইসিইউ

  • হাসপাতালে ৫৮২ পদের বিপরীতে আছেন ২৪৮ জন
  • সরঞ্জাম কেনা হলেও জনবলসংকটে চালু করা যাচ্ছে না
  • শৌচাগারের দুর্গন্ধে রোগী ও স্বজনদের থাকা দুষ্কর
  • ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিতের দাবি জেলাবাসীর
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল 
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ৫৯
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

জনবলসংকটে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়নি টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ২০১৪ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করা যায়নি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), অর্থোপেডিক বিভাগ, ডায়ালাইসিস, ক্যাথল্যাব, স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু)। যদিও এসব সেবা চালুর জন্য কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। তবে নেই পর্যাপ্ত লোকবল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ ৩ শতাধিক জনবল নিয়োগ করা হলে হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে।

জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক চালু হওয়ার পর টাঙ্গাইল ‘দুর্ঘটনাপ্রবণ’ জেলা হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনাকবলিতদের সেবার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নির্মিত হয় ট্রমা সেন্টার। ওই সেন্টারেই ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

গণপূর্ত বিভাগ জানায়, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। হাসপাতাল ভবনসহ ২৭টি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ২৮৪ কোটি টাকা। ১০৮ কোটি টাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি কেনা হয়। বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্র বলেছে, ২০২২ সালের ২২ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। এরপর ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যসেবা সচল করার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে মেডিসিন, গাইনি, সার্জারি, শিশু, চর্ম, নাক-কান-গলা, চক্ষু বিভাগ, দন্ত বিভাগ, ফিজিওথেরাপি, শিশু বিকাশকেন্দ্র ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে।

আন্তবিভাগে অপারেশন, সিজারিয়ান অপারেশন ও স্বাভাবিক প্রসবসেবা চালু রয়েছে। এ ছাড়া রক্তসহ সব ধরনের পরীক্ষা, এক্স-রে, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ম্যামোগ্রাফি, ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডোপ টেস্ট চালু রয়েছে। এসব বিভাগেও জনবলের চরম সংকট রয়েছে।

হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ৫৫ জন সার্জনের জায়গায় আছেন ৫০ জন। চারজন অ্যানেসথেসিওলজিস্টের একজনও নেই। ফার্মাসিস্ট, বায়োকেমিস্ট, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্সিং সুপারভাইজরও নেই। ১৬৫ জন নার্স প্রয়োজন, ১০১ জনই নেই। ৭৮ জন কর্মচারীর মধ্যে ৩৭টি পদই শূন্য। ২৬২ জন আউটসোর্সিং কর্মীর মধ্যে আছেন ৯০ জন। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৮২ পদের বিপরীতে আছেন ২৪৮ জন। ৩৩৪ পদই শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের লম্বা লাইন। তাঁরা টিকিট সংগ্রহ করছেন। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা চলমান। মেডিসিন, গাইনি বিভাগে নির্ধারিত শয্যার দ্বিগুণ রোগী অবস্থান করছেন। রোগীরা বিছানা ও মেঝেতে অবস্থান নিয়েই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের ৮০টি কেবিন বন্ধ রয়েছে। জনবল ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ইউনিট চালু না থাকায় আইসিইউ এবং অর্থোপেডিক বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। কিডনি বিভাগ চালু হলেও ডায়ালাইসিস চালু নেই। এ ছাড়া ক্যাথল্যাব, স্ক্যানু এখনো চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক্যাল অনকোলজি ক্যানসার বিভাগ পুরোপুরি বন্ধ। ব্যবহার না হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি লিফট অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।

ঘাটাইলের ছনোটিয়া গ্রামের বকুল মিয়াকে ডা. ফরিদ আহমেদের চেম্বারের স্লিপ দেওয়া হয়। চিকিৎসক না থাকায় অন্য চেম্বারের কর্মীদের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর মতো অনেকেই ধরনা দিচ্ছেন অন্যজনের কাছে।

বকুল মিয়া বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নেওয়ার আশায় মেডিকেলে আসি। চিকিৎসকই যদি না থাকেন, তাহলে সেবা পাব কীভাবে?’

মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন হুগরা এলাকার হাসমত আলীর মতো অনেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালে করাতে পেরে খুশি। কিন্তু দুপুর ১২টা পেরোলেই রোগীর মধ্যে হতাশা নেমে আসে। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তখন রোগীদের ক্লিনিকের দিতে ছুটতে দেখা যায়।

বাসাইলের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোগী নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে নিতে সোয়া ১২টা বেজে যায়। ১২টার সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার টাকা জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ায় ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করলে টাঙ্গাইলবাসীর অনেক উপকার হতো।’

এদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে হাসপাতাল গেটে সারি সারি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট রয়েছে। অধিকাংশ সময় নোংরা থাকে হাসপাতাল। শৌচাগারের দুর্গন্ধ বাইরেও বিরক্তির সৃষ্টি করছে।

হাসপাতালের পরিচালক মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেন, ‘জনবলসংকটের কারণে অর্থোপেডিক বিভাগ, আইসিইউ, কেবিনসহ অনেক কিছুই চালু করতে পারিনি। বরাদ্দ ও উপকরণ সংকটের কারণে অনেক সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবাও ব্যাহত হয়। তবে আমরা স্বল্প বরাদ্দ, স্বল্প জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবলসংকটসহ সব সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুম নাচ-গানে রাজশাহীতে ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদ্‌যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের তরুণীদের জুম নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা ও লবান (নবান্ন) উৎসব।

রাজশাহীর গারো সম্প্রদায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের বাগানপাড়ায় উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ‘আমুয়া’ ও ‘রুগালা’ পালনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গারো শিল্পীরা নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘জুম নাচ’, এটি উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।

উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। ওয়ানগালা ও লবান উৎসব আমাদের একতা ও সমন্বয়ের প্রতিফলন।’

রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, ‘ওয়ানগালা ও লবান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আদিবাসীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরতে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপ্রাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পারলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। উৎসবের দিন গির্জা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শত শত মানুষ একত্রিত হন, আনন্দ ভাগাভাগি করেন এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানে ঘুরে নানা স্বাদের খাবার উপভোগ করেন। জুমের আলু, কুমড়া, শামুক ও কাঁকড়ার মতো খাবার ছিল বিশেষ আকর্ষণ।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ উৎসব মূলত জুম চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত। গারো, সাঁওতাল, পাহাড়ি, মাহালি ও ওঁরাও—এই পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতি বছর শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে উৎসবটি পালন করেন। নতুন ফসল তোলার পর নকমা (গ্রামপ্রধান) সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করেন তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পানিতে ডুবে ২ শিশু মারা গেছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে মো. তাকরিম (৩) উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।

জানা গেছে, আদনান কিছুদিন আগে কুট্টপাড়া উত্তর এলাকায় তার নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সঙ্গে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খেলা করছিল। একপর্যায়ে অসতর্কতাবশত ২ শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্বজনেরা শিশুদের না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পুকুরে ২ শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। এ সময় পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও তার দোসরেরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না: গণঅধিকারের রাশেদ

ঝিনাইদ প্রতিনিধি
মো. রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
মো. রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বাংলার জমিনে আর কোনো দিন ’১৮ বা ’২৪-এর মতো নির্বাচন হবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যেখানে ফ্যাসিস্টদের কোনো জায়গা হবে না।’

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠান থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেনকে পরিচয় করিয়ে দেন রাশেদ।

রাশেদ বলেন, এই সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এখনো টালবাহানা চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে দেশে আবারও একটি ১/১১ নেমে আসতে পারে।

তিনি বলেন, তৃণমূলে এখনো দখলদারি চলছে। যারা এসব অপকর্ম করছে, তাদের জুলাই আন্দোলনের সব দল মিলে প্রতিহত করতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই উল্লেখ করেন রাশেদ খান।

গণআধিকার পরিষদ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, কালীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি সোলাইমান হোসেনসহ যুব ও ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সিনিয়র নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আনা যাত্রীর সিগারেট-মোবাইল ফোন জব্দ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে আনা বিদেশি সিগারেট, প্রসাধনী সামগ্রী, মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ৪ লাখ টাকার মালপত্র জব্দ করেছে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ১৪৮-এ আসা মো. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে শুল্কায়ন ছাড়কালে এসব পণ্য পাওয়া যায়। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, ওই বিমানযাত্রীর কাছ থেকে ৫ কার্টন সিগারেট, ১২টি বিউটি ক্রিম, ৬টি মোবাইলসহ ১টি ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ব্যাগেজ সুবিধার অতিরিক্ত এবং আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য হওয়ায় এসব মালপত্র জব্দ করা হয়। পরে বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে এসব মালপত্র হস্তান্তর করা হয়।

ওই যাত্রীর আগের রেকর্ড না থাকায় পাসপোর্ট নোট করে গোয়েন্দা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পরে মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত