ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য (ভিসি) ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। তাঁর মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক।
এদিকে উপাচার্য হিসেবে ডা. এনায়েত হোসেন যোগ দেওয়ার আগেই আগের উপাচার্যের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করার আশ্বাস দিলেও তিনি তা করেননি। বরং এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্য থেকে নিজের পছন্দমতো বিভিন্ন পদে নতুন করে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন ভিসি এনায়েত। আগের ভিসির মতো তাঁর বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলাকালেই গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা। ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছেন বেতনহীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন রেজিস্ট্রার। আর ক্যাম্পাসে না এসে ঢাকায় বসে আছেন ভিসি ডা. এনায়েত।
উপাচার্য ভোল পাল্টে সিলেটের বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন বলে ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সিলেটের প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতাকে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অফিসে ফেরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যোগদানের পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনিয়মিত উপাচার্য ডা. এনায়েত। সপ্তাহে দুই দিন ক্যাম্পাসে থাকেন, বাকি সময় ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। সিলেটেও দুটি জায়গায় রোগী দেখেন তিনি। এ ছাড়া অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছে ভিসি এনায়েতের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে না গিয়েই বিল তুলে নিয়েছেন ভিসি। শুধু তিনি একাই নেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনকারী বিলাল আহমদ চৌধুরীও ভিসির মতো ১৩ বার কেন্দ্র পরিদর্শন দেখিয়ে টাকা তুলে নেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ বার কেন্দ্র পরিদর্শন তো কমই হয়েছে। আরও বেশি পরিদর্শন করা লাগত। আমরা সেটা পারিনি। আর যাচাই-বাছাই ছাড়া তো বিল দেওয়া হয় না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মাঈদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া ২২ মাস ধরে আমাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও আমরা দাপ্তরিক কাজ নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি, স্বৈরাচারের দোষর ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচার মুক্তকরণ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক ভবনের মেরামতকাজের (সিভিল, স্যানিটেশন, বৈদ্যুতিক কাজ) বিলের চেক কোষাধ্যক্ষকে এড়িয়ে পাস হয় ভিসির স্বাক্ষরে। এ ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে কর্মচারীদের নামেও একাধিক চেক ইস্যু করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা না ডেকে উপাচার্য সিন্ডিকেটের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতেন। আগের উপাচার্যের রেখে যাওয়া ডিন তহবিলের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা দেড় বছরেও জমা দেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে উপাচার্য ডা. এনায়েত হোসেনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠালে দেখেও কোনো জবাব দেননি তিনি।
সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য (ভিসি) ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। তাঁর মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের শুরুতেই দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চক্ষু চিকিৎসক।
এদিকে উপাচার্য হিসেবে ডা. এনায়েত হোসেন যোগ দেওয়ার আগেই আগের উপাচার্যের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা স্থগিত করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর করার আশ্বাস দিলেও তিনি তা করেননি। বরং এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্য থেকে নিজের পছন্দমতো বিভিন্ন পদে নতুন করে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন ভিসি এনায়েত। আগের ভিসির মতো তাঁর বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলাকালেই গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ লাপাত্তা। ক্যাম্পাস পাহারা দিচ্ছেন বেতনহীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন রেজিস্ট্রার। আর ক্যাম্পাসে না এসে ঢাকায় বসে আছেন ভিসি ডা. এনায়েত।
উপাচার্য ভোল পাল্টে সিলেটের বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন বলে ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সিলেটের প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতাকে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অফিসে ফেরার চেষ্টা করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যোগদানের পর থেকেই ক্যাম্পাসে অনিয়মিত উপাচার্য ডা. এনায়েত। সপ্তাহে দুই দিন ক্যাম্পাসে থাকেন, বাকি সময় ঢাকায় বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। সিলেটেও দুটি জায়গায় রোগী দেখেন তিনি। এ ছাড়া অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছে ভিসি এনায়েতের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে না গিয়েই বিল তুলে নিয়েছেন ভিসি। শুধু তিনি একাই নেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনকারী বিলাল আহমদ চৌধুরীও ভিসির মতো ১৩ বার কেন্দ্র পরিদর্শন দেখিয়ে টাকা তুলে নেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ বার কেন্দ্র পরিদর্শন তো কমই হয়েছে। আরও বেশি পরিদর্শন করা লাগত। আমরা সেটা পারিনি। আর যাচাই-বাছাই ছাড়া তো বিল দেওয়া হয় না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মাঈদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া ২২ মাস ধরে আমাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও আমরা দাপ্তরিক কাজ নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি, স্বৈরাচারের দোষর ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচার মুক্তকরণ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক ভবনের মেরামতকাজের (সিভিল, স্যানিটেশন, বৈদ্যুতিক কাজ) বিলের চেক কোষাধ্যক্ষকে এড়িয়ে পাস হয় ভিসির স্বাক্ষরে। এ ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে কর্মচারীদের নামেও একাধিক চেক ইস্যু করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা না ডেকে উপাচার্য সিন্ডিকেটের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতেন। আগের উপাচার্যের রেখে যাওয়া ডিন তহবিলের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা দেড় বছরেও জমা দেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে উপাচার্য ডা. এনায়েত হোসেনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন লিখে পাঠালে দেখেও কোনো জবাব দেননি তিনি।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১১ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
১৬ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২০ মিনিট আগে